• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মইন উদ্দীন মাহমুদ স্বপন
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
কমপিউটার মেলা
তথ্যসূত্র:
মেলা
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮
সবার জন্য কমপিউটার স্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮।



১৯৯৩ সালে বিসিএস প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কমপিউটার মেলার প্রথম আয়োজন করে হোটেল সোনারগাঁওয়ে৷ ৩ হাজার বর্গফুট জায়গায়, ১৬টি প্রতিষ্ঠান সে মেলায় অংশে নেয়৷ এরই ধারাবাহিকতায় বিসিএস প্রায় প্রতি বছরই কমপিউটার মেলা আয়োজন করে আসছে৷

লক্ষ একটি কমপিউটার বাজার সম্প্রসারণ ও জনগণকে কমপিউটার সম্পর্কে সচেতন করা৷ আর-এ লক্ষে ৩০ মার্চ সবার জন্য কমপিউটার-এ স্লোগান নিয়ে আয়োজিত হয় দেশের সবচেয়ে বড় কমপিউটার মেলা বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮৷ বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি তথা বিসিএস-এর উদ্যোগে ঢাকার নিউ এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে অবস্থিত ইসিএস কমপিউটার সিটিতে ৭ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হয় ৫ এপ্রিল৷ দেশের বৃহত্তম কমপিউটার বাজারের ৭টি ফ্লোরের প্রায় এক লাখেরো বেশি বর্গফুট এলাকাজুড়ে এ মেলা চলে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত৷ এতে মোট ২৭৬টি প্রতিষ্ঠান ৩০০টি স্টলে এ শিল্পের সর্বাধুনিক পণ্য, প্রযুক্তি ও কলাকৌশল প্রদর্শন করে৷

দেশের সবচেয়ে পুরনো কমপিউটার ও কমপিউটারজাত পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এলিফ্যান্ট রোড৷ মূলত এলিফ্যান্ট রোডেই সর্বপ্রথম কমপিউটার ব্যবসায়ের সূচনা হয়৷ বাংলাদেশের কমপিউটার পণ্যের ৬০ শতাংশের বেশি যোগান যায় এ এলাকার বিভিন্ন মার্কেট থেকে৷



বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির উদ্যোগে বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান৷ এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল মাহমুদ এবং বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফা মহসীন মন্টু৷ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিসিএস সহসভাপতি এ.টি. শফিকউদ্দিন আহম্মদ৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার৷

শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, কমপিউটার মেলার এ আয়োজনটি জাতির অগ্রগতির ওপর নিশ্চিত প্রভাব ফেলবে৷ অপার সম্ভাবনা রয়েছে শিল্পটির তবে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে৷ তিনি কমপিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও কমপিউটার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করার জন্য কমপিউটার সমিতির সাথে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন৷

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল মাহমুদ বলেন. সবার জন্য কমপিউটার-এর মাতো এত সুন্দর একটি স্লোগান ব্যবহার করার জন্য কমপিউটার সমিতিকে ধন্যবাদ৷ তিনি আরো বলেন, হাইস্কুলগুলোতেও কমপিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন৷ বাংলাদেশে কলসেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে৷ এটা শুভ লক্ষণ৷ তবে বাংলাদেশকে সবার আগে কমপিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারলে সব আয়োজন বিফলে যাবে৷

বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড ব্যবসায়ী মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোস্তাফা মহসীন মন্টু বলেন, বাংলাদেশে এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদ্যুৎ নেই৷ সেই সব গ্রামের স্কুলে সোলার ব্যবস্থার মাধ্যমে যেন কমপিউটার পরিচালনার সুযোগ থাকে৷ ভবিষ্যতে যেন একটা বড় শিল্প গড়ে ওঠে এই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি এ কামনাই করছি৷

কমপিউটার সমিতির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এলিফ্যান্ট রোডের ইসিএস কমপিউটার সিটিতে এধরনের মেলার আয়োজন অবশ্যই একটি মাইলফলক৷ তিনি আরো বলেন, দেশের হার্ডওয়্যারের যে বিশাল বাজার রয়েছে তার ষাট ভাগের বেশি এলিফ্যান্ট রোড থেকেই যোগান দেয়া হয়৷ তিনি দাবি করেন, কমপিউটার শিক্ষা ছাড়া যেনে সরকারি চাকরি না দেয়া হয়, সরকারকে সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ তিনি ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা করার আবেদন জানিয়ে বলেন, সরকারের কাছে কোনো আবেদনের জন্য দেশের কোনো নাগরিককে সরাসরি উপস্থিত হওয়ার চাইতে এক মাউস ক্লিকেই যেন কাজটা করা সম্ভব হয়, তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে৷

বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির সহসভাপতি এবং বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এর আহবায়ক এ.টি. শফিক উদ্দিন আহম্মদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷

প্রযুক্তি মেলা মানেই কয়েকশত কমপিউটারের স্টল ও কমপিউটারসহ আইসিটিসংশ্লিষ্ট পণ্যের দোকান নিজেদের সাজিয়ে রাখে দেশের লাখ লাখ কমিপউটারপ্রেমী মানুষের সামনে কমিপউটারে সর্বশেষ ও অতিপ্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শন করার জন্য৷ এর সাথে থাকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও কমপিউটার গেমিংসহ নানা আয়োজন৷ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮- এর ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি৷ বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেসব প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে নিজেদের স্টলগুলো সজ্জিত করেছিল তা নিম্নরূপ : আকর্ষণীয় মূল্যে বিভিন্ন মডেলের ল্যাপটপ

সম্প্রতি তরুণদের মাঝে ল্যাপটরের প্রতি বেশিমাত্রায় আকর্ষণ লক্ষ করা গেছে, যার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে এ মেলায়৷ আর তাই বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি আয়োজিত বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এ অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানই ডেস্কটপ কমপিউটারের চেয়ে ল্যাপটপ কমপিউটারে বেশি সুযোগসুবিধা অফার করেছে৷ এসব অফারের মধ্যে ছিল ল্যাপটপ কিনে পেনড্রাইভ থেকে শুরু করে বিদেশ ভ্রমণের টিকেট পাওয়ার সুযোগ৷

কমপিউটার সোর্স লিমিটেডের বিভিন্ন পরিবেশকের স্টলে অফার ছিল এইচপি ও কম্প্যাক প্রেসারিও ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের ছাড় মূল্য৷ এইচপি কম্প্যাক প্রেসরিও ব্রান্ডের কয়েকটি মডেল তারা এ মেলায় নিয়ে আসে৷ মেলা উপলক্ষে এসার তিন মডেলের ল্যাপটপের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়৷ এসারের ডুয়াল কোর মোবাইল প্রসেসর সমৃদ্ধ অ্যাস্পায়ার ৪৭১৫ জেডএনডব্লিউএক্সএমআই মডেলের দাম ৫৪ হাজার ৮০০ টাকা৷ এসার ফেরারি মডেলের ল্যাপটপ নিয়ে আছে এ মেলায়৷ এর সাথে ফ্রি অফার ছিলো এসার ক্রিস্টাল আই৷

স্মার্ট টেকনোলজি গিগাবাইটের কয়েকটি মডেলের নোটবুক নিয়ে আসে৷ ল্যাপটপের সাথে অফার করে ফ্রি ব্লুটুথ ও এক্সিকিউটিভ শার্ট৷

ইন্টারন্যাশনাল অফিস মেশিনস লিমিটেডের স্টলের আকর্ষণ ছিল তোশিবার স্যাটেলাইট সিরিজের কয়েকটি নোটবুক মডেল৷ তাছাড়া তোশিবা টেকরা মডেলের বিভিন্ন ল্যাপটপ ও তোশিবা পোর্টেজি মডেলের বিভিন্ন ল্যাপটপ দিয়ে সজ্জিত ছিল তোশিবার স্টল৷

গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রা. লি. তাদের স্টলকে সজ্জিত করেছিল আসুসের ই-পিসিসহ আসুসের কয়েকটি মডেলের নোটবুক দিয়ে৷ এ মেলায় আসুসের ই-পিসি সবচেয়ে ছোট ও সবচেয়ে কম দামী নোটবুক ছিল৷ স্যাটকম কমপিউটারস এর স্টল সাজোনো হয়েছিল এপলের বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দিয়ে৷ ছিল ম্যাকবুক এয়ার ও ম্যাকবুক প্রো দিয়ে৷

কম ভ্যালী লি. মেলা উপলক্ষে বেনকিউ জয়বুকের নোটবুকের মোড়ক উন্মোচন করে৷ অন্যান্য আকর্ষণ

প্রিন্টার :

ডিজিটাল ক্যামেরার দাম সহজলভ্য হওয়ায় ফটোপ্রিন্টারের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে ব্যাপকভাবে৷ ক্রেতাসাধারণের এ চাহিদা মেটাতে বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এ এইচপি, ক্যানন, এপসন, স্যামসাং, লেক্সমার্কের পৃষ্ঠপোষক ও পরিবেশকদের স্টলগুলোতে সবসময় আগ্রহী ক্রেতার উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে৷ এইচপি ডেস্কজেড সিরিজের বিভিন্ন মডেলের প্রিন্টারের দাম ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৯ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ও লেজার প্রিন্টারের দাম মডেল ভেদে ৮ হাজার থেকে ৩৩ হাজার টাকার মধ্যে ছিল৷

ফ্লোরা লিমিটেডের স্টলে এপসন স্টাইলাস ফটো প্রিন্টারের বিভিন্ন মডেলের প্রিন্টার৷ স্যামসাংয়ের পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজি তাদের স্টলকে সুসজ্জিত করেছিল স্যামসাংয়ের কালার মনোক্রম লেজার প্রিন্টার ও মাল্টিফাংশন প্রিন্টারে বিভিন্ন মডেল দিয়ে৷ ক্যাননের ডিলারদের স্টলে পাওয়া গেছে বিভিন্ন মডেলের বাবলজেট ও লেজার প্রিন্টার৷ মেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক লেক্সমার্কের পরিবেশক কমপিউটার সোর্স তাদের স্টলকে সুসজ্জিত করেছিল বিভিন্ন মডেল, সিরিজ ও দামের লেক্সমার্ক প্রিন্টার দিয়ে৷

মনিটর :

বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এ এলসিডি মনিটরের প্রতি ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা গেছে৷ মেলায় স্মার্ট টেকনোলজিস স্যামস্যাংয়ের ১৯, ২০ ও ২১ ইঞ্চির তিনটি মডেলের এলসিডি মনিটর নিয়ে আসে৷ গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রা. লি. বিশেষভাবে তৈরি আসুসের মনিটর এলসিডি নিয়ে আসে৷ স্যাটকম নিয়ে আসে সিনেমা ডিসপ্লে মডেলের ২১ ও ২৩ ইঞ্চির সাইজের দুটি এলসিডি মনিটর৷ কম ভ্যালী তাদের স্টলে উপস্থাপন করে বেনকিউ ব্র্যান্ডের দুটি মডেলের এলসিডি মনিটর৷ এক্সেল টেকনোলজি উপস্থাপন করে ইসিসের ১৭ ও ২১ ইঞ্চি মডেলের দুটি এলসিডি মনিটর৷ আর টেকভ্যালী কমপিউটারস লি. এর স্টলে পাওয়া যায় এক্সভিডিয়া ব্র্যান্ডের ১৭ ইঞ্চির এলসিডি মনিটর৷ পিসি : বিসিএস আইটিএক্সপো ২০০৮-এ বিভিন্ন স্টলে আকর্ষণীয় দামে বিপুলসংখ্যক বিভিন্ন ব্র্যান্ড নামে ক্লোন পিসি বিক্রি হতে দেখা গেছে৷ কনফিগারেশন ভেদে এসব ক্লোন পিসির দাম সর্বনিম্ন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা হতে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে ছিল৷

মেলার স্পন্সর ও সহায়ক

এ মেলায় সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল৷ স্পন্সর হিসেবে ছিল বিশ্বখ্যাত আইসিটি কোম্পানি আসুস, বেনকিউ, লেক্সমার্ক ও স্যামসাং৷ অফিসিয়াল মিডিয়া পার্টনার আইএসপি আকিজ অনলাইন৷ মেলার প্রবেশমূল্য ১০ টাকা৷ তবে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে প্রবেশের সুযোগ ছিল৷

ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন

ইন্টারনেটে ভোটের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্য নির্বাচনে সুন্দরবন ও কক্সবাজারকে নির্বাচিত করতে ভোট সংগ্রহ ও এ সংক্রান্ত আগ্রহ ও সচেতনতা বাড়ানোর বিশেষ কার্যক্রম চলেছিল মেলায়৷ জাগোবাংলাদেশ জাগো নারে একটি সংগঠন মেলায় আসা দর্শকদের জন্য প্রচারপত্র বিতরণ ও ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করে চতুর্থ তলার একটি বিশেষ স্টলে৷

শেষ কথা

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপিউটার ও কমপিউটারসংশ্লিষ্ট পণ্যের খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতার ৬০ শতাংশের বেশির অবস্থান এই এলিফ্যান্ট রোডে, যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই৷ এমনকি এলিফ্যান্ট রোডে বসবাসকারীরাও জানেন না যে, এ এলাকা থেকেই মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় বাংলাদেশের কমপিউটার ও কমপিউটার সংশ্লিষ্ট পণ্যের বাজার৷ বিসিএসআইটি এক্সপো ২০০৮ শুধু প্রথাগত মেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি৷ এতে সম্পৃক্ত করা হয় শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যের সাথে পরিচয়ও গুণাগুণ বর্ণনা, শিশুতোষ কমপিউটার শিক্ষা পদ্ধতি ও প্রতিযোগিতা এবং শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা৷ এ মেলার মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পায় এ মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার৷ এলিফ্যান্ট রোডের কমপিউটার পণ্যের ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো৷

এ পর্যন্ত বিসিএস আয়োজিত বিভিন্ন মেলা

সাল স্থান উদ্বোধক/প্রধান অতিথি সভাপতি
২৬-২৭ নভেম্বর, ১৯৯৩ হোটেল সোনারগাঁও বাণিজ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম সাজ্জাত হোসেন
১৩-১৪ মে, ১৯৯৪ হোটেল আগ্রাবাদ মত্স্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী
আব্দুল্লাহ আল নোমান সাজ্জাত হোসেন
২২-২৩ নভেম্বর, ১৯৯৪ হোটেল সোনারগাঁও এফবিসিআই সভাপতি
সালমান এফ রহমান সাজ্জাত হোসেন
২৯ নভেম্বর-১ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ হোটেল শেরাটন মেলার কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের
নিয়ে মেলা উদ্বোধন করেন সাজ্জাত হোসেন
১১-১২ নভেম্বর, ১৯৯৫ হোটেল আগ্রাবাদ সাবেক মত্স্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী
আবদুল্লাহ আল নোমান ড. এম নুরুল ইসলাম
১৬-১৮ নভেম্বর, ১৯৯৬ হোটেল শেরাটন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জিল্লুর রহমান মোস্তাফা জব্বার
১১-১৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ হোটেল শেরাটন অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া মোস্তাফা জব্বার
১০-১৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৮ ঢাকার আইডিবি ভবন অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া আফতাব-উল-ইসলাম
১১-২৫ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ ঢাকার আইডিবি ভবন অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া আফতাব-উল-ইসলাম
৩-৫ আগস্ট, ২০০০ হোটেল শেরাটন অর্থমন্ত্রী এসএএমএস কিবরিয়া আব্দুল্লাহ এইচ কাফি
২৭-৩০ মার্চ, ২০০১ হোটেল শেরাটন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী
(অব)লে.জেনারেল নূরুদ্দিন খান আব্দুল্লাহ এইচ কাফি
২৪-৩০ মার্চ, ২০০২ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মো: সবুর খান
১২-১৮ জানুয়ারি, ২০০৩ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান মো: সবুর খান
২৯ এপ্রিল-০৩ মে, ২০০৪ সিলেটের এবিসি টাওয়ার অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান এসএম ইকবাল
১২-১৭ ডিসেম্বর, ২০০৪ ভাসানী নভোথিয়েটার রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এসএম ইকবাল
২২-২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্স স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এসএম ইকবাল
১৭-২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভাসানী নভোথিয়েটার বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান মো: ফয়েজ উল্লাহ খান
২০০৭ সালে মেলা হয়নি
২৮ ফেব্রুয়ারি - ০৩ মার্চ ২০০৮ খুলনার জলিল টাওয়ার বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ মো: ওয়াহিদুজ্জামান মোস্তাফা জব্বার
৩০ মার্চ ০৫, এপ্রিল ২০০৮ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান মোস্তাফা জব্বার
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস