স্কুলে থাকতেই কমপিউটার বিজ্ঞানী হওয়া বেশ অবাক করার মতো ব্যাপার৷ স্কুলের পাঠ্য বিষয়ের মাধ্যমে কমপিউটার বিজ্ঞানে দখল নেয়ার সুযোগ নেই৷ তারপরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে অনেক মেধাবী মানুষ তারা স্কুলেই বয়সের স্কুলের প্রথাগত গণ্ডির বাইরে এসে কমপিউটার বিজ্ঞানে দখল নিয়ে নিচ্ছে৷ এমন মেধাবী মানুষের মধ্যে আমেরিকার রেইড বার্টনের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য৷ তিনি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ই কমপিউটার এলগরিদম এবং প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন৷ রেইড বার্টন ২০০১ সালে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকস (আইওআই)-এ এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছেন৷ ওই প্রতিযোগিতায় বার্টন ৬০০ পয়েন্টের মধ্যে ৫৮০ পয়েন্ট পেয়েছিলেন৷ পরবর্তী এমআইটি থেকে তিনি ও তার টিম এসিএম আইসিপিসতে একবার দ্বিতীয় এবং আরেকবার পঞ্চম স্থান দখল করে৷ এখানে উল্লেখ্য, এসিএম আইসিপিসি হচ্ছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য আন্তর্জাতিক কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা৷ আর এ প্রতিযোগিতায় একজন প্রতিযোগী দুইবারের বেশি অংশ নিতে পারেন না৷ পারলে রেইড বার্টন অনেকবারই এ প্রতিযোগিতার শীর্ষস্থান দখল করতেন৷
এসিএম প্রোগ্রামিংয়ের কথা যেহেতু এসেই গেল, তাই আমি এ প্রতিযোগিতায় আমাদের বাংলাদেশী বিশেষ করে বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের কথা না বলে পারছি না৷ এসিএম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ওয়ার্ল্ড ফাইনালে ১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিচ্ছে৷ সারা পৃথিবী থেকে প্রায় ৮৩টি দেশের ৭ হাজার টিমের মধ্যে মাত্র ১০০টির মতো টিম ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করে৷ এ বছর চায়নার শক্তিশালী ফুদান ইউনিভার্সিটির টিমকে যারা ইতোমধ্যে চায়না রিজিওনের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাদেরকে হারিয়ে সানি, শান্ত ও নাফির টিম ঢাকা রিজিওনাল সাইটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এবারকার ওয়ার্ল্ড ফাইনাল যা আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কানাডার ব্যানফে অনুষ্ঠিত হবে৷ তাতে অংশ নেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে৷ এ নিয়ে পরপর ১১ বার কোনো বিরতি ছাড়াই বুয়েটের প্রতিযোগীরা এসিএম ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নিচ্ছে, যা পৃথিবীতে হাতেগোনা শুধু কয়েকটি ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রেই ঘটেছে৷ এটা নিঃসন্দেহে বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের মেধার বড় স্বীকৃতি এবং দেশের জন্য বড় সম্মানের ব্যাপার৷ এমআইটি, বার্কলে, হার্ভাড এবং স্টানফোর্ড এসব ইউনিভার্সিটির নাম আসলেই আমাদের চোখ বড় হয়ে যায়৷ কারণ, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার তাদের অবদান অনেক৷ সেই এমআইটি, বার্কলে, হার্ভাড এবং স্টানফোর্ডকে পেছনে ফেলে ২০০০ সালে বুয়েটের মোস্তাক, ফেরদৌস ও পাপ্পানাদের টিম এসিএম আইসিপিসতে ১১তম স্থান দখল করে নিয়েছিল এবং পাপ্পানাদের এই সাফল্য এখনও অনেক বাংলাদেশীকে অনুপ্রাণিত করছে৷ যাই হোক, কথা হচ্ছিল রেইড বার্টনকে নিয়ে, তিনি ২০০৪ সালে টপ কোডার এবং টপ কোডার কলিজিয়েট চ্যালেঞ্জের ফাইনালে পৌঁছান৷ রেইড বার্টনের মতো বাংলাদেশের অনেক প্রোগ্রামার টপ কোডার ফাইনালে পৌঁছার দৌড়ে আছেন, তাদের মধ্যে এগিয়ে আছেন রেড কোডার আব্দুল্লাহ মাহমুদ সতেজ৷ রেইড বার্টন অষ্টম শ্রেণী থেকেই এমআইটির বিখ্যাত কমপিউটার বিজ্ঞানী চার্লস ই লেইসারসনের সাথে খ-কালীন কাজ করতেন এবং তখনকার দিনের সেরা কমপিউটার দাবা প্রোগ্রাম কিল্ক চেজে দক্ষ হয়ে উঠেন৷ রেইড বার্টনের মেধা শুধু কমপিউটার প্রোগ্রামিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়৷ তিনি ২০০১ সালে পূর্ণ পয়েন্ট পেয়ে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথমেটিকস অলিম্পিয়াডে চারটি গোল্ড মেডেল পেয়েছেন৷ ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর তিনি উইলিয়াম লোয়েল পুটন্যাম প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ পদক পেয়েছেন৷ তিনি তার প্যাকিং ডেনসিটি বিষয়ক গবেষণার জন্য আমেরিকান ম্যাথমেটিকস সোসাইটি ও ম্যাথমেটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার যৌথভাবে প্রদত্ত ফ্রাঙ্ক অ্যান্ড ব্রেনিই মরগান প্রাইজ পেয়েছেন৷
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে রেইড বার্টনের মতো তরুণ কিন্তু অসাধারণ প্রতিভাকে তাদের তরুণ বয়সেই খুঁজে বের করে যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকস (আইওআই)-এর আয়োজন করা হচ্ছে৷ আইওআই এর প্রস্তাবনা আসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো থেকে এবং প্রথম আইওআই বুলগেরিয়ার প্রাভেজ-এ অনুষ্ঠিত হয়৷ আইওআই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য একজন প্রতিযোগীর বয়স ২০ বছরের নিচে হতে হবে এবং সে কোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করছে, এমন হতে পারবে না৷ আইওআই প্রতিযোগিতা দুই দিনে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রতিদিনে প্রতিযোগীদের তিনটি করে সমস্যার সমাধান ৫ ঘণ্টার মধ্যে করে দাখিল করতে হয়৷ প্রতিযোগিতার সময়ে প্রতি প্রতিযোগীকে স্বতন্ত্রভাবে অন্য কোনো প্রকার বই বা যন্ত্রের সাহায্য না নিয়ে এমনকি নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা না বলে নিজ নিজ কমপিউটারে প্রোগ্রাম লিখে সমস্যাগুলোর সমাধান বের করতে হয়৷ সাধারণত প্রতিযোগীদের প্রচলিত যেকোনো একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন সি. সি প্লাস প্লাস, প্যাসক্যাল বা জাভা ব্যবহার করে প্রোগ্রাম লিখতে হয়৷ তবে সমস্যাগুলোর সব সমাধান বের করতে প্রতিযোগীদের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জানার সাথে সাথে কমপিউটার এলগরিদম, এলগরিদম ডিজাইন, ডাটা স্ট্রাকচার, প্রবলেম সলভিং এবং প্রোগ্রাম টেস্টিংয়ে দক্ষ হতে হবে৷ প্রতিযোগীদের দাখিল করা প্রোগ্রামগুলো পরে গোপন টেস্ট ডাটা ব্যবহার করে টেস্ট করে গ্রেডিং করা হয়৷ প্রতিটা টেস্ট কেসে একটি প্রোগ্রাম নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট মেমরি স্পেস ব্যবহার করে সঠিক সমাধান দিতে পারলে নির্দিষ্ট পয়েন্ট অর্জন করে৷ দুই দিনের প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রোগ্রামে অর্জিত পয়েন্ট যোগ করে একজন প্রতিযোগীর মোট পয়েন্ট বের করা হয় এবং তুলনামূলক অর্জিত মোট পয়েন্টের ভিত্তিতে তাকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ৠা িঙ্কং দেয়া হয়৷ আইওআইএ বিজয়ী প্রতিযোগীকে নিঃসন্দেহে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ তরুণ কমপিউটার বিজ্ঞানী বলা যেতে পারে৷ গত বছর আগস্ট মাসে ক্রোয়েশিয়ার জাগরে শহরে ১৯তম আইওআই (আইওআই ২০০৭) অনুষ্ঠিত হয়৷ ওই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ মোট ৮০টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নেয়৷ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে তরুণ কমপিউটার বিজ্ঞানী ফাহিম৷ প্রতিযোগিতায় সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হন পোল্যান্ডের টমাস কুলসিঞ্জকি৷ ২০তম আইওআই (আইওআই ২০০৮) আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মিসরের আলেকজান্দ্রিয়া শহরে অনুষ্ঠিত হবে৷
বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড (বিআইও) হচ্ছে আইওআই-এর জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিযোগিতা৷ ২০০৪ সালে প্রথম বিআইও অনুষ্ঠিত হয়৷ বিআইও প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান দখলকারী প্রতিযোগীরা আইওআই প্রযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন৷ ৫ম বিআইও (বিআইওআই) বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস এবং বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড কমিটি যৌথভাবে আয়োজন করবে বলে একমত হয়েছে৷ বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড কমিটি বাংলাদেশের ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ড. এম কায়কোবাদ প্রমুখের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তরুণ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনোলজিতে দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে গঠিত হয়৷ আর বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস হচ্ছে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও গবেষণার বাংলাদেশের শীর্ষ সংগঠন৷ বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস বাংলাদেশী শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং গবেষকদের প্রতি বছর যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করে তাদের কাজে উত্সাহ যুগিয়ে থাকে৷ প্রফেসর এম শমশের আলী ও প্রফেসর নাইউম চৌধুরী যথাক্রমে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি৷
এটা তো গেল বিআইও-এর আয়োজক বা সংগঠকদের কথা, এবার ফেরা যাক মূল বিআইও-এর কথায়৷ ১৮তম আইওআই মেক্সিকোর মেরিদা শহরে ২০০৬ সালের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেন সমিত, ফাহিম ও সানি৷ বিআইও প্রতিবছর দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রথমে বিভাগীয় পর্যায়ে, তারপর জাতীয় পর্যায়ে৷ এখন পর্যন্ত পাঁচটি বিভাগ : ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিভাগীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ বিভাগীয় প্রতিযোগিতা থেকে বাছাইকরা প্রতিযোগীরা জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে৷ ৫ম বিভাগীয় বিআইও প্রতিযোগিতা পাঁচটি বিভাগে একযোগে আগামী ২৮ মার্চ ২০০৮ শুক্রবার এবং ৫ম জাতীয় বিআইও প্রতিযোগিতা আগামী ১১ এপ্রিল শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে৷ বিভাগীয় প্রতিযোগিতাগুলো বিভাগীয় আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় আয়োজন করা হয়৷ এবারের ঢাকা বিভাগের আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নটর ডেম কলেজ এবং দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি হচ্ছেন ফরহাদ মনজুর৷ রাজশাহী বিভাগের আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কমপিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি হচ্ছেন ড. শামিম আহমেদ৷ খুলনা বিভাগের আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি হচ্ছেন ড. এমএমএ হাশেম৷ চট্টগ্রাম বিভাগের আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি এবং দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি হচ্ছেন তৌফিক সাইদ৷ সিলেট বিভাগের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটি এবং দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি হচ্ছেন জুটন চন্দ্র আচার্য্য৷ জাতীয় প্রতিযোগিতা ড. এম কায়কোবাদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নটর ডেম কলেজে অনুষ্ঠিত হবে৷ বরিশাল বিভাগের ছাত্রছাত্রীদেরকে খুলনা বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷ বাংলাদেশের সব স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের তাদের নিজ নিজ বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য নিজ নিজ স্কুল ও কলেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷ রেজিস্ট্রেশন ফরম প্রতিটা বিভাগের আয়োজক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির কাছে অথবা এই ওয়েব ঠিকানায় http://teacher.ute.ac.bd/mhkabor/bioc ) পাওয়া যাবে৷ বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস এবং বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড কমিটির পক্ষ থেকে আমরা স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এবং বাবা-মাদের যথাক্রমে তাদের ছাত্রছাত্রীদের ছেলেমেয়েদের বিআইও ও আইওআইতে অংশ নেয়ার জন্য উত্সাহ ও সুযোগ করে দেয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি৷
বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সেস এবং বাংলাদেশ ইনফরমেটিকস অলিম্পিয়াড কমিটির প্রত্যাশা বাংলাদেশের তরুণ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা বিআইওতে অংশ নিয়ে কমপিউটার প্রোগ্রামিং এবং এলগরিদমে তাদের দক্ষতার প্রমাণ দেবে৷ যার ফলে বাংলাদেশ জানতে পারবে তার শ্রেষ্ঠ তরুণ কমপিউটার বিজ্ঞানীদের এবং সেই তরুণ ও মেধাবী কমপিউটার বিজ্ঞানীদের আরো উত্কর্ষ সাধনের জন্য উত্সাহ যোগাতে পারবে তাদের তরুণ বয়সেই যথাযথ স্বীকৃতি ও সম্মান জানিয়ে৷ সর্বোপরি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কমপিউটার বিজ্ঞানীরা আইওআইতে অংশগ্রহণ করে আন্তর্জাতিকভাবে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখে নিজের ও দেশের জন্য নিয়ে আসবে বিরল স্বীকৃতি ও সম্মান৷