• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ২০০৭ সালের সেরা দশ অ্যান্টিভাইরাস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সৈয়দ হাসান মাহমুদ
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ভাইরাস
তথ্যসূত্র:
ভাইরাস সন্ত্রাস
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
২০০৭ সালের সেরা দশ অ্যান্টিভাইরাস

কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত বিভাগ ভাইরাস-এর ষষ্ঠ সংখ্যায় গত বছরের সেরা দশটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কি কি সুবিধা প্রদান করে থাকে এবং সেই সাথে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাস সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷



বর্তমানে কিছু লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস বেশ আকর্ষণীয় দামে বাজারে পাওয়া যায়৷ এদের মধ্যে বিট ডিফেন্ডার, সিল্ড ডিলাক্স, পান্ডা অ্যান্টিভাইরাস ইত্যাদি অন্যতম৷ এগুলো প্রায় সব সময় বছরের সেরা দশ অ্যান্টিভাইরাসের তালিকায় থাকে৷ এবার দেখা যাক এই অ্যান্টিভাইরাসগুলোতে কি ধরনের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান, যার ভিত্তিতে এগুলো অন্য অ্যান্টিভাইরাসগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে৷

সেরা লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাসগুলোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের কয়েকটি নিচে দেয়া হলো :

১. মাল্টিপল ভাইরাস স্ক্যান :

মাল্টিপল ভাইরাস স্ক্যানের কারণে পাওয়া যাবে এডভান্সড সিডিউল স্ক্যান করার সুবিধা যা দিয়ে ব্যবহারকারী বিভিন্ন স্থানে এবং নির্দিষ্ট ফোল্ডারে স্ক্যান করতে পারবেন৷ আর একটি সুবিধা হলো রিয়েল টাইম স্ক্যানিং যা কয়েক মিনিট পর পর পিসি স্ক্যান করবে এবং ভাইরাস কোনো ক্ষতি করার আগেই তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে৷

২. ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস :

সেরা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলো যাতে খুব সহজে ব্যবহার করা যায় সেজন্য ভালো নজর দেন নির্মাতারা৷ নতুন কমপিউটার ব্যবহারকারী বা ভাইরাস সম্পর্কে কম জানেন এমন লোকও যেন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে কোনো ঝামেলায় না পড়েন সেজন্য খুব সহজে এর ফাংশনগুলো তুলে ধরা হয়৷

৩. ভাইরাস ও ওয়ার্ম শনাক্ত করার দক্ষতা :

এ অ্যান্টিভাইরাসগুলোর ভাইরাস ও ওয়ার্ম ধরার ক্ষমতা অসাধারণ৷ খুব দ্রুততার সাথে কাজ করা এবং সব রকম ভাইরাস ধরতে পারে বলে এই সফটওয়্যারগুলো সেরাদের তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে৷ নানা রকম উত্স থেকে (যেমন ই-মেইল, ইনস্ট্যান্ট মেসেজ অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েব ব্রাউজিং ইত্যাদি) ভাইরাস শনাক্ত করতে এরা সিদ্ধহস্ত৷

৪. ভাইরাস ক্লিনিং ও কোয়ারানটাইন করার ক্ষমতা :

ভালো অ্যান্টিভাইরাসগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করে তা হলো ভাইরাস ভালোভাবে ক্লিন বা ডিলিট করে কিংবা কোয়ারানটাইন বা আটকে রাখে, ফলে ভাইরাস পিসির কোনো ক্ষতি করতে পারে না৷

৫. এক্টিভিটি রিপোর্টিং :

রিয়েল টাইম স্ক্যানের সাহায্যে প্রাপ্ত ভাইরাস তাড়াতাড়ি দেখানোর কাজটিও করতে হয় ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসগুলোর৷ সহজভাবে উপস্থাপন করতে হয় ভাইরাসের ইনফরমেশন যেমন- ভাইরাসের নাম, যে ফাইলটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তার নাম, ভাইরাস লোকেশন ইত্যাদি৷ এছাড়া ডিলিট করার অপশনও এতে থাকে৷

৬. ভাইরাস ডাটাবেজ আপডেট :

অনেক অ্যান্টিভাইরাস প্রতি ঘণ্টায় আপডেট হয়, আবার কিছু প্রতিদিন বা প্রতিসপ্তাহে আপডেট হয়৷ যাদের ইন্টারনেট আছে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট করার সুবিধা পাবেন, আর যাদের ইন্টারনেট নেই তাদের জন্য ম্যানুয়ালি আপডেট করার সুবিধাও রয়েছে৷

৭. ফিচার সেট :

এসব টুলে নানা রকম ফিচার সেট থাকে যা ব্যবহারের ফলে পিসিকে সর্বোত্তম সুরক্ষা দেয়া সম্ভব৷ প্রোটেকশন লেভেল নির্ধারণ করা, হিওরিস্টিং স্ক্যানিং, স্ক্রিপ্ট ব্লকিং ইত্যাদিও করা যায় এই অ্যান্টিভাইরাসগুলো দিয়ে৷

৮. সহজ ইনস্টলেশন ও সেটআপ ব্যবস্থা :

ইনস্টলেশন পদ্ধতি খুব সহজ ও সরল এবং সেটআপ ব্যবস্থা যাতে কারো কাছে কঠিন মনে না হয় সেই ব্যাপারটিও নির্মাতারা মাথায় রাখেন৷

প্রতিমাসেই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর একটি ৠাংকিং করা হয়৷ প্রতিমাসের নতুন নতুন ভাইরাস ও অন্যান্য সমস্যা সমাধান করতে কোন অ্যান্টিভাইরাস বেশি কার্যকর তার ওপর ভিত্তি করে এই ৠাংকিং করা হয়৷ www.starreviews.com, http://anti-virus-software-review.toptenreviews.com http://byrev.net
এই ওয়েব সাইটগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে এখনকার সেরা ১০টি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়ে লেখা হলো৷

সিএ অ্যান্টিভাইরাস :



এই প্রোগ্রামের মূল ইন্টারফেস অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি৷ এছাড়া ভাইরাস সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর ও নতুন ভাইরাসজনিত সমস্যাগুলো সিএ অ্যান্টিভাইরাসের ওয়েবসাইটে পাঠানোর সুব্যবস্থা রয়েছে৷ সিএ অ্যান্টিভাইরাস রিয়েল টাইম প্রোটেকশনের পাশাপাশি যেকোনো নির্দিষ্ট ফোল্ডার এবং কম্প্রেসড ফাইল স্ক্যান করার সুবিধা দিয়ে থাকে৷ হার্ডডিস্কে মাত্র ২৫ মে. বা. জায়গা দখল করে এবং চলার সময় রিসোর্সও ব্যবহার করে খুব কম৷ ওয়েবসাইট : http://shop.ca.com

বিট ডিফেন্ডার ২০০৮ :



বর্তমানের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস হচ্ছে বিট ডিফেন্ডার৷ কারণ এর পিসি প্রোটেকশন খুব শক্তিশালী এবং প্রায় প্রতিঘণ্টায় আপডেট হয়৷ যার ফলে সর্বশেষ চেনা ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ও ম্যালওয়্যার থেকে আপনি পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবেন৷ এছাড়া এর অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো গেম মোড অপশন৷ এই অপশন চালু করে গেম খেললে গেম খেলার সময় বিট ডিফেন্ডার পিসির রিসোর্স খুব কম ব্যবহার করবে যাতে গেমের পারফরমেন্স বাড়ে৷ ওয়েবসাইট : www.bitdefender.com

সিল্ড ডিলাক্স ২০০৮ :



এটি ডেভেলপ করেছে PCSecurityShield এবং বানানো হয়েছে কাসপারস্কি ৬ ইঞ্জিন ব্যবহার করে৷ এর ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া খুব সহজ, এমনকি ইনস্টল করার পর পিসি রিস্টার্ট করার প্রয়োজনও পড়ে না৷ এসব কারণে এর জনপ্রিয়তা বেশ বেড়েছে৷ একই সাথে এটি ভাইরাস ও ইন্টারনেটের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম (যেমন অ্যাডওয়্যার, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি) থেকে সুরক্ষা দিতেও সক্ষম৷ সিস্টেম রিসোর্সও খুব কম দখল করে এবং প্রতিদিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়৷ এছাড়া এটি ভিসতাতে চলার উপযোগী করে বানানো হয়েছে৷ ওয়েবসাইট : www.pcsecurityshield.com

নরটন অ্যান্টিভাইরাস ২০০৮ :



প্রোগ্রামের মূল ইন্টারফেসটি খুব সুন্দর৷ অ্যান্টিভাইরাসটি একই সাথে ভাইরাস, ইন্টারনেট ওয়ার্ম, রুটকিট শনাক্তকরণ এবং স্পাইওয়্যার থেকে সুরক্ষা দেয়৷ এর আরেকটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে এটি আগের সংস্করণগুলোর মতো পিসি স্লো করে না এবং ভাইরাসের সাহায্যকারী সাব ফাইলগুলোকেও শনাক্ত করে মুছে ফেলতে পারে, যার ফলে পিসি সম্পূর্ণরূপে ভাইরাসমুক্ত হয়৷ এছাড়া প্রোগ্রামটি খুব দ্রুত ভাইরাস স্ক্যান করতে পারে এবং রিয়েল টাইম প্রোটেকশন দিয়ে থেকে৷ ১৫ দিনের পরীক্ষামূলক সংস্করণ এখান থেকে ডাউনলোড করা যাবে৷ ওয়েবসাইট : http://nct.symantecstore.com/fulfill/0184.066

কাসপারস্কাই ৭.০ :



আইসিএসএ (অউওই) ল্যাব ও ওয়েস্ট কোস্ট ল্যাবের পরীক্ষা অনুযায়ী সিএ অ্যান্টিভাইরাসের মতো কাসপারস্কাইও ১০০% ভাইরাস প্রোটেকশন দিতে সক্ষম এবং পাশাপাশি রিয়েল টাইম ই-মেইল, ফাইল ও ওয়েব সার্ফিংয়ের সময়ও ভাইরাস স্ক্যানের সুবিধা দিয়ে থাকে৷ কাসপারস্কাই হিডেন স্পাইওয়্যারকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে দিতে বেশ সিদ্ধহস্ত এবং প্রতিঘণ্টায় এর ভাইরাস ডেফিনেশন আপডেট হয়৷ আপডেট ফাইল সাধারণত খুব ছোট, মাত্র ৫০ কে.বি.-এর মতো৷ ওয়েবসাইট : http://usa.kaspersky.com

ইসেট নড ৩২ :



২০০৬ সালে নড ৩২ এভি কমপারাটিভস প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোত্তম অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে৷ এই অ্যান্টিভাইরাসের অসাধারণ একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দ্রুতগতিতে স্ক্যান করার ক্ষমতা৷ সাদাসিধে ইন্টারফেসের এই অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামের ভাইরাস ধরার ক্ষমতাও তেমন খারাপ নয় এবং এটি রিসোর্স হিসেবে মাত্র ২৩ মে. বা. জায়গা দখল করে৷ ওয়েবসাইট : http://shop.eset.com/

পান্ডা অ্যান্টিভাইরাস ২০০৮ :


ইনস্টল ইট অ্যান্ড ফরগেট অ্যাবাউট ভাইরাসেস অ্যান্ড স্পাইওয়্যার- এই দাবিকে সামনে রেখে পান্ডা অ্যান্টিভাইরাস ২০০৮ বাজারে এসেছে৷ প্রোগ্রামটি একই সাথে অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টি স্পাইওয়্যার, অ্যান্টি ফিশিং এবং অ্যান্টি রুটকিট হিসেবে কাজ করে৷ এছাড়া প্রোগ্রামটি ভাইরাস এবং ওয়ার্মযুক্ত ক্ষতিকর ওয়েবসাইটগুলোকে ব্লক করে ব্যবহারকারীর ঝামেলামুক্ত ওয়েব সার্ফিং নিশ্চিত করে৷ নিয়মিত অপডেট করলে এটি সবধরনের সমস্যা থেকে ব্যবহারকারীর পিসিকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম৷ ওয়েবসাইট : www.pandasecurity.com

এভিজি অ্যান্টিভাইরাস ৭.৫ প্রো :



এভিজি অ্যান্টিভাইরাসের ইনস্টল করার প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং ব্যবহারও বেশ সহজ৷ এর আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এটি উইন্ডোজের প্রায় সব সংস্করণেই চালানো যায়৷ এটি চলার সময় ৠামে মাত্র ১৬ মে. বা. জায়গা নেয়, ফলে কম গতিসম্পন্ন পিসিতেও স্বাচ্ছন্দ্যে চলার উপযোগী৷ এর পরীক্ষামূলক সংস্করণটি ৩০ দিন পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী৷ এছাড়া একবার কিনে নেয়ার পর এর নতুন সংস্করণ ব্যবহারকারী বিনামূল্যে পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন৷ ওয়েবসাইট : www.grisoft.com

ম্যাকফি ভাইরাস স্ক্যান প্লাস :



ম্যাকফির এই সংস্করণকে প্রিভেনশন ও প্রোটেকশনের দিক থেকে একের ভেতর ছয় হিসেবে গণ্য করা যায়৷ এটি একই সাথে অ্যান্টিভাইরাস, অ্যান্টি স্পাইওয়্যার, অ্যান্টি হ্যাকার হিসেবে কাজ করে৷ এছাড়া এর রিয়েল টাইম স্ক্যানিং, অটোমেটিক আপডেট ও পিসি মেইনটেইন করার ক্ষমতা রয়েছে৷ তাছাড়া এটি পিসিতে ইনস্টল থাকলে নিরাপদে ইন্টারনেট সার্চ এবং সার্ফ করা যায়৷ ওয়েবসাইট : http://us.mcafee.com

ট্রেড মাইক্রো পিসি সিলিন ২০০৮ :



পিসি সিলিন অ্যান্টিভাইরাসের নাম হয়তো কমবেশি সবাই শুনেছেন৷ অনেক আগে থেকেই এই অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামটি পিসি সুরক্ষায় বেশ কার্যকর ভূমিকা রেখে আসলেও মাঝখানে বেশ কয়েক বছর এর তেমন নাম-ডাক ছিলো না৷ কিন্তু এর বর্তমান সংস্করণ বেশ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভাইরাসের পাশাপাশি স্পাইওয়্যার, ট্রোজান হর্স প্রোগ্রাম, স্পাইওয়্যার ও ওয়ার্মের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর৷ এছাড়া এটি ইন্টারনেট থেকে আসা সব ধরনের সমস্যার সমাধান দিতে বেশ কার্যকর৷ ওয়েবসাইট : http://us.trendmicro.com/

এছাড়া অন্যান্য ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাসের মধ্যে এফ সিকিউর, অ্যাভাস্ট অ্যান্টিভাইরাসে ৪.৭, আভাইরা অ্যান্টিভির পারসোনাল এডিশন প্রিমিয়াম অন্যতম৷

এবার আসা যাক ভাইরাস সমস্যা ও সমাধানবিষয়ক আলোচনায়৷ অনেক পাঠকের সমস্যার ওপর ভিত্তি করে এবার তিনটি উল্লেখযোগ্য ভাইরাস সমস্যার সমাধান দেয়া হলো :

হিডেন ফাইল দেখার সমস্যা



ইদানীং উইন্ডোজ এক্সপিতে হিডেন ফাইল বা ফোল্ডার দেখতে না পাওয়ার সমস্যার কথা অনেকে জানিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে ফোল্ডার অপশনের ভিউ মেনুতে show hidden files and folders বাটনটি মার্ক করা থাকা সত্ত্বেও কোনো হিডেন ফাইল দেখা যায় না৷

এ সমস্যার সমাধান দুভাবে করা যায়৷ প্রথমত Menu বারের Folder Option থেকে View ট্যাবে গিয়ে Display the contents of system folders চেকবক্সটি মার্ক করে দিন, তারপর Hidden files and folders সেকশন-এর Show hidden files and folders -এর রেডিও বাটন মার্ক করুন এবং Hide file extensions for known file types চেকবক্সটি থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিন৷ (চিত্র : ১-এর মতো) Ok করে বের হয়ে আসুন, তারপর দেখেন হিডেন ফাইল দেখা যাচ্ছে কিনা৷
রেজিস্ট্রি এডিট করেও এ সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায়৷ রেজিস্ট্রি এডিট করার জন্য Start->Run -এ গিয়ে লিখুন regedit, তারপর HKEK_CURRENT_USER\Software\Microsoft\Windows\Current Version\Explorer\Advanced\Hidden ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করুন তারপর Value Data -এর বক্সে ১ লিখে ওকে করে বের হয়ে আসুন৷

টাস্ক ম্যানেজার ডিজাবল সমস্যা

ট্রোজান গোত্রের একটি প্রোগ্রাম এই সমস্যা সৃষ্টি করে৷ যার ফলে Ctrl+Alt+Delete চেপে টাস্ক ম্যানেজার আনতে চাইলে "Task Manager is being disabled by your administrator" এই মেসেজটি দেখায়৷

এই সমস্যার সমাধান করতে চাইলে Run -এ গিয়ে gpedit.msc টাইপ করে এন্টার দিন৷ Group Policy উইন্ডো আসলে সেখানে User Configuration থেকে Administrative Templates-> System -এ গিয়ে Ctrl+Alt+Delete অপশন সিলেক্ট করুন, তারপর ডান পাশ থেকে Remove Task Manager -এ ডবল ক্লিক করুন এবং Disable বাটনে মার্ক করে ওকে করে বের হয়ে আসুন৷ তারপর Ctrl+Alt+Delete কীগুলো একসাথে চেপে দেখুন টাস্ক ম্যানেজার ফিরে এসেছে কিনা৷

রেজিস্ট্রি এডিট সমস্যা



হিডেন ফাইল দেখার সমস্যার সমাধান করার জন্য রেজিস্ট্রি এডিট করার প্রয়োজন পরে, কিন্তু দেখা যায়, রেজিস্ট্রি এডিট অপশনই নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে এবং Run -এ গিয়ে regedit লিখে এন্টার দিলে "Registry editing has been disabled by your administrator"-এই মেসেজ প্রদর্শন করে৷ এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ছোট একটি সফটওয়্যার RRT (রিমুভরেসট্রিকশন্স টুল) খুব কাজে দেবে৷ সফটওয়্যারের সাইজ মাত্র ৪৬ কে. বি. এবং এটি নিচের ঠিকানা থেকে ডাউনলোড করা যাবে৷

http://www.majorgeeks.com/RRT_Remove_Restrictions_Tool_d5635.html সফটওয়্যারটির সাহায্যে খুব সহজেই রেজিস্ট্রি এডিট, ফোল্ডার অপশন, টাস্ক ম্যানেজার ডিজাবল সমস্যার সমাধান করা যাবে মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে৷ সফটওয়্যার ইনস্টল করার পর চিত্র : ২-এর মতো একটি ইন্টারফেস আসবে, এখন শুধু এনাবল অল-এ ক্লিক করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে৷

আশা করি সমাধানগুলো পাঠকদের কাজে আসবে৷ যেকোনো ধরনের ভাইরাস সমস্যায় আক্রান্ত হলে আমাদের মেইল করে জানান৷ আপনাদের পাঠানো সব ধরনের ভাইরাস সমস্যার সমাধান প্রদান করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে৷


ফিডব্যাক : shmt_15@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস