ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আয়ের যেসব পদ্ধতি রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ওয়েবসাইট তৈরির কাজগুলোতে। এর একটি প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ইন্টারনেটের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান একদিকে যেভাবে তার গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, অপরদিকে বিভিন্ন শহরে বা বিভিন্ন দেশে অবস্থিত নিজস্ব শাখার সাথে আন্তঃযোগাযোগও সহজে এবং কম খরচে করতে পারে। তাই বর্তমান সময়ে একটি ডেস্কটপ সফটওয়্যার তৈরি করার চাইতে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার দিকেই সবার ঝোঁক থাকে।
একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট দুটি বিষয়ের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়, যার একটি হচ্ছে ওয়েবসাইটটি কিভাবে কাজ করবে, তার নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রোগ্রামিং এবং অপর অংশটি হচ্ছে এর বহিরাবরণ বা ডিজাইন। ওয়েবসাইট নির্দেশনা সাধারণত পিএইচপি, এএসপি, পাইথুন, পার্ল, রুবি ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় লেখা হয় এবং ডাটাবেজ হিসেবে মাইএসকিউএল, এমএস এসকিউএল, পোস্টগ্রে এসকিউএল ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। অনলাইনে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিংয়ের কাজই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। যারা কমপিউটার বিজ্ঞান বা এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়ালেখা করেছেন, তারা ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিং করে থাকেন। তবে অনেকেই আছেন, যারা শুধু নিজের চেষ্টায় প্রোগ্রামিং শিখে বর্তমানে বেশ ভালো অবস্থায় আছেন। নিজে নিজে প্রোগ্রামিং শেখাটা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থেকে শুরু করে তাতে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে বছরখানেক সময় লেগে যেতে পারে। অন্যদিকে ওয়েবসাইট ডিজাইন তুলনামূলকভাবে ততটা সময়সাপেক্ষ নয়, ব্যক্তিভেদে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। আয়ের দিক থেকে ওয়েবসাইট প্রোগ্রামিংয়ের পরই রয়েছে ওয়েবসাইট ডিজাইনের ব্যাপক সম্ভাবনা। ওয়েবসাইট ডিজাইন শেখার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে ইন্টারনেটে এ বিষয়ে যে পরিমাণ টিউটরিয়াল রয়েছে, তা থেকে ঘরে বসে সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টাতেই ডিজাইনিং শেখা সম্ভব।
প্রয়োজনীয় দক্ষতা
একটি ওয়েবসাইটে তথ্য কিভাবে বিন্যস্ত থাকবে তার ওপর ভিত্তি করে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়- স্ট্যাটিক এবং ডাইনামিক ওয়েবসাইট। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে ওয়েবসাইটের তথ্য কখনো পরিবর্তন হয় না, অন্যদিকে ডাইনামিক ওয়েবসাইটের তথ্য ব্যবহারকারীর চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়। স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটকে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে ডাইনামিক ওয়েবসাইটে পরিণত করা হয়। একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি করা থেকে শুরু করে এটিকে একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে পরিণত করতে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। একজন সফল ওয়েবসাইট ডিজাইনারকে ফ্রিল্যান্সার হতে হলে শুধু ডিজাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট তৈরির অন্যান্য বিষয় যেমন- টেম্পলেট তৈরি, এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট ইত্যাদিতেও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন। নিচে পর্যায়ক্রমে বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়েছে।
টেম্পলেট তৈরি
ওয়েবসাইটের একটি ডিজাইনকে ওয়েবসাইট টেম্পলেট বলা হয়। টেম্পলেট সাধারণত অ্যাডোবি ফটোশপ ইলাস্ট্রেটর, ফ্ল্যাশ ইত্যাদি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। বর্তমানে ওপেন সোর্স ব্যবহারকারীদের কাছে Gimp নামের সফটওয়্যারটিও টেম্পলেট তৈরির জনপ্রিয় একটি টুলে পরিণত হয়েছে। এদের মধ্যে ফটোশপ সফটওয়্যারই সবচেয়ে জনপ্রিয়। অন্যদিকে ফ্ল্যাশ দিয়ে অ্যানিমেটেড ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ফ্ল্যাশের কাজেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফ্ল্যাশের অ্যাকশনস্ক্রিপ্ট নামে নিজস্ব প্রোগ্রামিং ভাষা আছে। শুধু ফ্ল্যাশ দিয়েই সম্পূর্ণ একটি ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ওয়েবসাইট ডিজাইনিংয়ে যারা আসতে আগ্রহী তারা ফটোশপ অথবা ফ্ল্যাশ থেকে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে পারেন।
একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনারের সমসাময়িক ওয়েবসাইটের ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। বর্তমানের বেশিরভাগ ওয়েবসাইট ওয়েব ২.০ নামের একটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে। একে দ্বিতীয় প্রজন্মের ওয়েবসাইট ডিজাইনও বলা হয়। সহজভাবে বললে ওয়েব ২.০ মানের একটি ওয়েবসাইটে নিচে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কয়েকটি বা সবগুলো থাকতে পারে : ০১. সাধারণ ও পরিচ্ছন্ন ইন্টারফেস যাতে ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো সহজেই পড়া যায়, ০২. মূল ডিজাইন ব্রাউজারের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করবে, অন্যদিকে অতীতের ওয়েবসাইটগুলো ব্রাউজারের বাম দিকে সরানো থাকত, ০৩. ওয়েবপেজের কলাম সংখ্যা কম থাকবে, ০৪. পেজের উপরের অংশ স্পষ্টভাবে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট অংশ থেকে আলাদা থাকবে, ০৫. সহজে ব্যবহারযোগ্য নেভিগেশন, ০৬. লোগো বোল্ড থাকবে, ০৭. লেখাগুলো বড় থাকবে, যাতে পড়তে আরামদায়ক হয়, ০৮. সূচনা লেখা বোল্ড থাকবে, ০৯. বাটন এবং ডিজাইনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে থ্রিডি ও রিফ্লেকশন ইফেক্ট নিয়ে আসা, ১০. উজ্জ্বল রঙের সংমিশ্রণ, ১১. Gradient বা গাঢ় থেকে হালকা রঙের সমস্ত, ১২. সুন্দর ও নজরকাড়া আইকন।
এইচটিএমএলে রূপান্তর
একটি ওয়েবপেজ অক্ষর, ছবি, লিঙ্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত, যা এইচটিএমএল নামের একটি ভাষায় লেখা হয়। এটি কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা নয়, বরং একটি ওয়েবপেজকে ব্রাউজারে প্রদর্শন করার ডকুমেন্ট ফরমেট। এইচটিএমএলের উন্নত সংস্করণ হচ্ছে এক্সএইচটিএমএল, যা এক্সএমএল নামের আরেকটি ভাষার নিয়ম অনুসরণ করে। এইচটিএমএল বা এক্সএইচটিএমএলে দক্ষ হতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। অনলাইনে অনেক টিউটরিয়াল সাইট রয়েছে, তবে সবচেয়ে সহজ ও ভালো টিউটরিয়াল পাওয়া যাবে www.w3schools.com নামের ওয়েবসাইটে।
ফটোশপ দিয়ে তৈরি করা ওয়েবসাইটের টেম্পলেটকে সাধারণত পিএসডি ফরমেটে সেভ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে পিএসডি ফাইলে টেম্পলেটকে সংরক্ষণ করা পর্যন্ত একজন ডিজাইনারের কাজ শেষ হয়ে যায়। তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বাড়তি আয় করতে চাইলে এইচটিএমএল জানাটাও জরুরি। ডিজাইনকে ওয়েবপেজে রূপান্তর করতে হলে এইচটিএমএল দিয়ে কোডিং করতে হবে। এ রূপান্তরের প্রক্রিয়া ডিজাইনভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ফটোশপে Slice নামে একটি টুল আছে, যা দিয়ে ডিজাইনকে এইচটিএমএলে রূপান্তর করা যায়। শুধু পিএসডি থেকে এইচটিএমএলে রূপান্তর করার কাজও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস সাইটগুলোতে পাওয়া যায়।
সিএসএস প্রয়োগ
সিএসএস হচ্ছে এক ধরনের স্টাইলশিট ভাষা, যা দিয়ে একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে প্রদর্শন করা হয়। ওয়েবসাইটের ডিজাইনকে সাধারণত এইচটিএমএল ডকুমেন্টে সরাসরি না লিখে আলাদা একটি সিএসএস ফাইলে ভিন্ন ভিন্ন ক্লাস তৈরি করা হয়। এরপর এইচটিএমএল ডকুমেন্টে ওই সিএসএস ফাইলের লিঙ্ক দেয়া হয় এবং এইচটিএমএলের বিভিন্ন অংশে বা Tag-এ সেই ক্লাসগুলোকে যুক্ত করা হয়। এইচটিএমএলের একটি নির্দিষ্ট অংশের ফন্ট দেখতে কী ধরনের হবে, লেখার পেছনে ছবি বা রং কোনটা থাকবে, বর্ডার থাকবে কি না ইত্যাদি স্টাইল সম্পর্কিত নির্দেশনা ক্লাসগুলোতে দেয়া হয়।
সিএসএস দিয়ে এইচটিএমএল ডকুমেন্টে স্টাইল বা ডিজাইন তৈরি করার অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। উল্লেখযোগ্য দুটি সুবিধার একটি হচ্ছে এইচটিএমএলের বিভিন্ন অংশে বা বিভিন্ন পৃষ্ঠায় খুব সহজে একই স্টাইল দেয়া যায়। অন্য আরেকটি সুবিধা হচ্ছে শুধু সিএসএস ফাইলকে পরিবর্তন করে একটি ওয়েবসাইটের চেহারা মুহূর্তের মধ্যে পরিবর্তন করা সম্ভব। সিএসএসের প্রাথমিক ধারণা পেতে কয়েক ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন এবং www.w3schools.com সাইটটিই যথেষ্ট। তবে সিএসএসে পূর্ণ দখল আনতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।
জাভাস্ক্রিপ্ট
জাভাস্ক্রিপ্ট হচ্ছে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা যাকে ব্রাউজার সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা বলা হয়। অন্যদিকে পিএইচপি হচ্ছে সার্ভার সাইড স্ক্রিপ্টিং ভাষা। জাভাস্ক্রিপ্টের সুবিধা হচ্ছে এটি সরাসরি ব্যবহারকারীর কমপিউটারের রিসোর্স ব্যবহার করে দ্রুততার সাথে কাজ করে, যা একটি ওয়েবসাইটকে ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলে। জাভাস্ক্রিপ্টে দক্ষ হতে অবশ্যই ভালো প্রোগ্রামিং জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ডিজাইনাররাও জাভাস্ক্রিপ্টের কিছু সুবিধা গ্রহণ করে ডিজাইনকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন। জাভাস্ক্রিপ্ট প্রোগ্রামিংকে সহজ করতে বেশ কিছু ফ্রেমওয়ার্ক বা কোডিং লাইব্রেরি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে jQuery নামের লাইব্রেরি। এটি দিয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন, নজরকাড়া ইফেক্ট, প্রয়োজনীয় টুল ইত্যাদি তৈরি করা যায়। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন www.jQuery.com ওয়েবসাইট থেকে। jQuery দিয়ে তৈরি অসংখ্য টুল অনলাইনে ফ্রি পাওয়া যায়।
ডিজাইন শেখার কয়েকটি সাইট
নিচে ফটোশপ দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং শেখার কয়েকটি জনপ্রিয় সাইট তুলে ধরা হয়েছে।
www.psdtuts.com
ফটোশপের বিভিন্ন ইফেক্ট শেখার জন্য এটি একটি চমৎকার টিউটরিয়াল ব্লগ সাইট। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন টিউটরিয়াল এ সাইটে আসে। এ সাইটে ফটোশপ দিয়ে একটি ছবি ইফেক্ট দেয়া থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট ডিজাইন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের টিউটরিয়াল পাওয়া যায়। টিউটরিয়ালের পাশাপাশি ফটোশপ নিয়ে বিভিন্ন আর্টিকেল এ সাইটে লেখা হয়। লেখাগুলো খুবই মানসম্মত এবং পর্যাপ্ত ছবি দিয়ে পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা। মানসম্মত হওয়ার একটা কারণ হচ্ছে লেখাগুলো ফটোশপ এক্সপার্টরাই লিখে থাকেন যাদেরকে প্রতিটি লেখার জন্য ১৫০ ডলার দেয়া হয়। আপনিও যদি ফটোশপে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন এবং ইংরেজিতে সহজভাবে লিখতে পারেন তাহলে টিউটরিয়াল তৈরি করে এ সাইট থেকে নিয়মিত আয় করতে পারেন।
www.psdfan.com
এ সাইটেও খুবই মানসম্মত টিউটরিয়াল পাওয়া যায়। প্রতি এক-দুই দিন পর পর নতুন টিউটরিয়াল আসে। টিউটরিয়ালগুলো প্রধানত ফটো ইফেক্ট, ড্রয়িং, টেক্সট ইফেক্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর লেখা হয়। টিউটরিয়ালের পাশাপাশি বেশকিছু গ্রাফিক্স, আইকন, ফটোশপ ব্রাশ, টেক্সচার এবং ছবি বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। সাইটে বিভিন্ন ফটোশপ এক্সপার্টদের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করা হয়।
www.pslover.com
এ সাইটের নিজস্ব কোনো টিউটরিয়াল নেই, বরং ওয়েবে ছড়িয়ে থাকা ফটোশপের বিভিন্ন টিউটরিয়ালকে এখানে লিস্ট আকারে সাজানো হয়। এ সাইটে সাড়ে বারো হাজারের বেশি ফটোশপের টিউটরিয়ালের একটি সম্ভার পাবেন। টিউটরিয়ালগুলো বিভিন্ন বিভাগে সাজানো থাকে, ফলে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খোঁজে পাওয়া যায়। বিভাগের পাশাপাশি আইকনের মাধ্যমে টিউটরিয়ালগুলো সাজানো থাকে।
www.nettuts.com
এটি ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং প্রোগ্রামার উভয়ের জন্য খুবই সাহায্যকারী একটি টিউটরিয়াল সাইট। এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, অ্যাজাক্স, জেকোয়েরি, পিএইচপি, রুবি, ওয়ার্ডপ্রেস ও ডিজাইনবিষয়ক আরো অনেক বিষয়ের ওপর ছবিসহকারে এবং সহজ ভাষায় টিউটরিয়াল পাওয়া যায়। এ সাইটে ভিডিওর মাধ্যমে অনেক টিউটরিয়াল প্রকাশ করা হয়। ডিজাইনারদের জন্য সাহায্যকারী অনেক টুল সাইট থেকে ফ্রি ডাউনলোড যায়। এ সাইট থেকেও টিউটরিয়াল লিখে প্রতিটির জন্য ১৫০ ডলার করে আয় করা যায়।
www.photoshopstar.com
ফটোশপ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন ইফেক্ট তৈরির টিউটরিয়াল নিয়ে জনপ্রিয় এ সাইটটি সাজানো হয়েছে। সাইটটিতে ফটোশপের ইফেক্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ফটো ইফেক্ট, টেক্সট ইফেক্ট, ওয়েব গ্রাফিক্স, ওয়েবসাইট ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর টিউটরিয়াল পাওয়া যায়। ওয়েবসাইট ডিজাইন বিভাগে একটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করতে হয় তা ছবিসহকারে বর্ণনা করা হয়েছে। এ লেখায় মাত্র কয়েকটি টিউটরিয়াল সাইট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু এর বাইরে আরো অসংখ্য টিউটরিয়াল সাইট রয়েছে, যা থেকে খুব সহজেই আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইনে অভিজ্ঞ হতে পারবেন।
অনলাইনে টিউটরিয়ালের পাশাপাশি বাজারে ফটোশপের মানসম্মত ভিডিও টিউটরিয়াল সিডি, বই ইত্যাদি পাওয়া যায়, যা থেকে ফটোশপের প্রাথমিক কৌশল রপ্ত করতে পারেন। তবে ভালো ওয়েবসাইট ডিজাইনার হতে হলে বেশি করে অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডিজাইন দেখতে হবে। উন্নতমানের ডিজাইন বিক্রি করে এরকম ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে- www.dreamtemplate.com, www.templatemonster.com, www.templateworld.com ইত্যাদি। এ সাইটগুলোতে ডিজাইনের প্রিভিউ দেখা যায়। নতুন ডিজাইনাররা প্রথম অবস্থায় চেষ্টা করুন ঠিক একই ধরনের ডিজাইন আপনিও তৈরি করতে পারছেন কিনা। এভাবে শিখতে থাকলে একদিকে যেমন সমসাময়িক ওয়েবসাইট ডিজাইন সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হবে, অন্যদিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন তৈরির আইডিয়াও পাবেন। ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে অনলাইনে আয় করা যায় এরকম সাইট নিয়ে পরবর্তী সংখ্যায় আলোচনা করা হবে।
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : zakaria.cse@gmail.com