• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পুরনো গেম- জিউস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: অনিমেষ ‍আহমেদ
মোট লেখা:১৬
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
কমপিউটার গেমগেম, গেমস, 
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পুরনো গেম- জিউস




কমপিউটার জগৎ পত্রিকায় আমরা পুরনো গেম বিভাগটি রেখেছি যারা সিস্টেমে নতুন গেম চালাতে পারেন না কনফিগারেশন নিয়ে ঝামেলার কারণে তাদের কথা মাথায় রেখে। পুরনো গেমগুলোর সুবিধা হচ্ছে যেকোনো সিস্টেমে এ গেমগুলো চালানো যায়।



গেমিং এমন একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এর সাহায্যে বিনোদনের পাশাপাশি অবাক করা নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। বাস্তব জীবনে সবার পক্ষে তা অর্জন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। যেমন, আপনি ইচ্ছে করলে ইতিহাসভিত্তিক গেম খেলতে পারেন। এর মাধ্যমে ইতিহাসের অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। আজকাল অনেক ইতিহাসনির্ভর বা কাহিনী অবলম্বনে তৈরি গেম পাওয়া যায়। এসব গেমের মাধ্যমে অনেক ঘটনা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন। বইপত্র পড়ে হয়তো কোনো দিনও আপনার পক্ষে তা সম্ভব হতো না। একই কথা প্রযোজ্য যেকোনো অ্যাডভেঞ্চার বা কোনো অভিযানের ক্ষেত্রেও। আসলে সব ধরনের গেমের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। সিয়েরা গেম তৈরির প্রতিষ্ঠানটি প্রচুর পৌরাণিক গেম তৈরি করে সফল হয়েছে। তারা রোমান সভ্যতা, মিসরীয় সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা প্রভৃতি নিয়ে গেম তৈরি করেছে। তারা গ্রিক সভ্যতা নিয়ে যে গেম তৈরি করেছে তার নাম জিউস। কিছুটা রূপকথা, কিছুটা পুরাণ আর কিছুটা বাস্তবতা মিলিয়ে তৈরি করা হয়াছে এ গেম। সেজন্য এ গেমে গ্রিক দেব-দেবীদের প্রভাব অনেক বেশি।

গেমিং মানেই যে যুদ্ধ কথাটা শুধুই অ্যাকশন গেমগুলোর ক্ষেত্রে খাটে। স্ট্র্যাটেজিক গেম এমন এক গেমিংয়ের মাধ্যম যার মাধ্যমে যতটা না যুদ্ধ করতে হয় তার চেয়ে বেশি যুদ্ধের কৌশল খাটাতে হয়। এতে করে যুদ্ধের জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং যুদ্ধের কৌশল ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ঘটানো যায়। আপনি ঠিকভাবে রণকৌশল প্রয়োগ করতে পারলেই কেবল জিততে পারবেন। কৌশল কি তা আপনাকে বলে দেয়া হবে না। ফলে আপনার চিন্তা-ভাবনার বিকাশ ঘটবে।



স্ট্র্যাটেজিক গেমের অনেক ধরন আছে। এ গেমটি হচ্ছে একটি রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজিক গেম। রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজিক গেমের আসল কাজ হচ্ছে প্রতিপক্ষের চেয়ে শক্তিশালী একটি সৈন্যবাহিনী তৈরি করে নির্দিষ্ট মিশনে জয়লাভ করা।

জিউস একটি রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজিক গেম। এ গেমে আপনাকে বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন তৈরি করতে হবে। কনস্ট্রাকশন তৈরির পাশাপাশি আপনাকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নগরায়নের বিভিন্ন ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার কাজের ওপর নির্ভর করবে দেব-দেবীদের খুশি-অখুশি থাকার বিষয়টি। শুধু সাধারণ প্রজাদের খুশি রাখলেই চলবে না। দেব-দেবীদেরও খুশি রাখতে হবে। তা না হলে আপনার ওপর নেমে আসবে অভিশাপ।



গেমের মূল ক্যাম্পেইনে আপনাকে শুরুতেই একটি শহর দেয়া হবে। শহর বলতে শুধু উন্মুক্ত আকাশ আর খোলা ময়দান। এখানে আপনাকে নিজের ইচ্ছেমতো গ্রিক নগরী তৈরি করে নিতে হবে।

এ গেম খেলার জন্য আপনাকে গ্রিক পুরাণ নিয়ে কিছুটা জানতে হবে। ভালো হয় যদি গ্রিক রূপকথা পড়ে কিছুটা ধারণা নিয়ে নিতে পারেন। আর ধারণা না থাকলেও সমস্যা নেই, ধারণা করে নিতে পারবেন এ গেম থেকে। এখনকার যুগে গেম খেলেও যে রূপকথা জানা যায় তার খুব চমৎকার নিদর্শন হচ্ছে এ গেম।

এ গেমে একাধারে আপনাকে রাজনীতি, অর্থনীতি, শহরায়ন, ধর্মীয় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি দিকে লক্ষ রাখতে হবে। তাই সময় নিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে গেম চালাতে হবে। আর ঠান্ডা মাথায় না খেললে এই গেমের প্রতিটি মিশনে জেতার সম্ভাবনা খুব কম থাকবে। তাই খেলার সময় খুব ধীরেসুস্থে এ গেম খেলুন। সময় যত লাগুক তা গেমে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

গেমের একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে এ গেমে লেভেলভিত্তিক ভিডিওর ব্যবস্থা না রাখা। ভিডিও থাকলে এ গেম আরো জীবন্ত হয়ে উঠতো এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে অনেক বিশেষ ইভেন্টে ভিডিও রাখা হয়েছে। আর গেমের অডিও এবং মিউজিক সময়ের তুলনায় বেশ ভালোই বলতে হবে। কিন্তু গ্রাফিক্স এবং গেম ইউনিটগুলো দিয়ে এ গেমের সীমাবদ্ধতাগুলো চমৎকারভাবে দূর করা হয়েছে।

একই প্রতিষ্ঠানের আগের গেম হচ্ছে ফারাও। ফারাও গেমের তুলনায় এ গেমের ক্যাম্পেইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন এ ক্যাম্পেইনে দল বাড়ানো হয়েছে। তবে এ আলাদা ক্যাম্পেইনগুলো ইন্টারলিঙ্কড। প্রতিটি ক্যাম্পেইনের সাথে প্রতিটির সংযোগ রাখা হয়েছে। ফলে ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়েছে নিপুণভাবে। গেম ইঞ্জিনে পরিবর্তন আনার ফলে গেম ডিটেইলস বেড়ে গেছে অনেকগুণে। বিশেষ করে ড্যামেজ ডিটেইলস খুব চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

এ গেম এবং এর এক্সপানশন প্যাক ডাউনলোড করে নিতে পারবেন নিচের দুটো লিঙ্ক থেকে।

www.download.com/Zeus-Master-of-Olympus-demo/3000-7562_4- 10050457.html

www.gamespot.com/pc/strategy/zeusmasterofolympus/downloads.html

যা যা প্রয়োজন :
প্রসেসর : পেন্টিয়াম ২ বা তদুর্ধ, এএমডি কে ৭ বা তদুর্ধ, গ্রাফিক্স কার্ড : ১৬ মেগাবাইট বা তদুর্ধ, র্যা ম : ৬৪ মেগাবাইট বা তার বেশি।

কজ ওয়েব

ফিডব্যাক : mortuza_ahmad@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৯ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা