• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > নতুন বছরের আকর্ষণীয় প্রযুক্তি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মইন উদ্দীন মাহমুদ স্বপন
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি
তথ্যসূত্র:
প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ২
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
নতুন বছরের আকর্ষণীয় প্রযুক্তি
প্রতি বছরই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বছর শেষে হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কোন কোন প্রযুক্তিপণ্য বা সার্ভিস সেরা বা আকর্ষণীয়৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি৷ তবে সবাই যে সবসময় একই নীতিমালা বা একই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বর্ষসেরা পণ্য নির্বাচন করেন, তা নয়৷ এদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়৷ কেউ কেউ কমপিউটার সংশ্লিষ্ট পণ্যকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন৷ আবার কেউ কেউ সরাসরি পণ্যসমূহকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহারিক গতিপ্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন৷ ২০০৮ সালে যেসব প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদরা, তার প্রতি লক্ষ রেখে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মইন উদ্দীন মাহ্‌মুদ৷



প্রতি বছরই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বছর শেষে হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কোন কোন প্রযুক্তিপণ্য বা সার্ভিস সেরা বা আকর্ষণীয়৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি৷ তবে সবাই যে সবসময় একই নীতিমালা বা একই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বর্ষসেরা পণ্য নির্বাচন করেন, তা নয়৷ এদের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়৷ কেউ কেউ কমপিউটারসংশ্লিষ্ট পণ্যকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন৷ আবার কেউ কেউ সরাসরি পণ্যসমূহকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহারিক গতিপ্রকৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন৷ ২০০৮ সালে যেসব প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদরা, তার প্রতি লক্ষ রেখে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মইন উদ্দীন মাহ্‌মুদ৷

মিডিয়া সেন্টার

লিভিংরুমে ডিজিটাল মিউজিক, ফটো এবং ভিডিও যথাযথভাবে উপভোগ করতে চাইলে এক দীর্ঘ তারিকা দরকার হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ তবে এ চাহিদামাফিক শতভাগ কার্যকর তালিকা করা মোটেও সহজ নয়৷ মিডিয়া রিসিভার ল্যাবের মতে ডিজিটাল মিউজিক, ফটো ও ভিডিওর জন্য যেসব অপশন রয়েছে সেগুলো আমাদের প্রয়োজনীয় সব চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট না হলেও এক্সবক্স ৩৬০ বর্তমানে বাজারে একমাত্র মিডিয়া সেন্টার এক্সটেন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত৷



উইন্ডোজ মিডিয়া সেন্টার ইন্টারফেসকে সরাসরি রিসিভারে স্ট্রিমিং করার মাধ্যমে সব ধরনের ফিচার পাবেন, যেমনটি পাওয়া যায় লোকাল কমপিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে৷ অবশ্য সেটি হবে ছোট শব্দহীন বক্সে৷ এতে সম্পৃক্ত করা হয়েছে পিসি টিভি টিউনার এক্সেস সুবিধা থেকে শুরু করে স্ট্রিমলাইভ ব্রডকাস্ট, টিভি দেখা বা টিভি প্রোগ্রাম রেকর্ডিংয়ের জন্য সিডিউল করা কিংবা ভিউয়িং, মিউজিক, ফটো বা ভিডিও পর্যন্ত সবকিছুই৷ এটি Div X ও XviD সাপোর্ট করে৷ এটি ৮০২.১১ভ স্ট্যান্ডার্ডের এবং ভিসতা মিডিয়া সেন্টার চমত্কারভাবে সাপোর্ট করে৷ মিডিয়া সেন্টার এক্সটেন্ডারকে টেলিভিশন সেটে এমবেডেট করা হয়েছে, যা দিতে পারবে সন্ধিহীন লিভিংরুম ইন্টিগ্রেশন৷

উইন্ডোজ হোম সার্ভারের উল্লেখযোগ্য ফিচার

সেন্ট্রালাইজড ব্যাকআপ :

এটি সর্বোচ্চ ১০টি পিসিতে ব্যাকআপ অনুমোদন করে৷ সিঙ্গেল ইনস্ট্যান্স স্টোর টেকনোলজি ব্যবহার করে একই ফাইলের মাল্টিপল কপি করাকে এড়িয়ে যায় এমনকি এই ফাইল যদি মাল্টিপল পিসিতে থাকে তাহলেও৷

সুগঠিত মনিটরিং :

কেন্দ্রীয়ভাবে নেটওয়ার্কের পিসিগুলো ট্র্যাক করতে পারে৷ এক্ষেত্রে এ ন্টিভাইরাস এবং ফায়ারওয়ালও সম্পৃক্ত থাকে৷

ফাইল শেয়ারিং :

অফার করে নেটওয়ার্ক শেয়ার যাতে করে দূরের ফাইলগুলো কমপিউটারে স্টোর হতে পারে৷ এ ফিচারটি কাজ করে নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে৷ এক্ষেত্রে ডকুমেন্ট, মিউজিক, ছবি, ভিডিও প্রভৃতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি রাখা হয়েছে৷

১০ গিগাবিট ইথারনেট

১০ গিগাবিট ইথারনেট (10gBASE-T) একটি টেলিকমিউনিকেশন টেকনোলজি যা অফার করে প্রতি সেকেন্ডে ডাটা স্পিড সর্বোচ্চ ১০ বিলিয়ন বিট৷ এটি তৈরি হয় ইথারনেট টেকনোলজিতে এবং বর্তমানে বেশিরভাগ লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে (ল্যান) ব্যবহার হয় ১০ গিগাবিট ইথারনেট যা ইথারনেট টেকনোলজিতে তৈরি হয়৷ ১০ গিগাবিট টেকনোলজি অধিকতর দক্ষতায় এবং স্বল্প ব্যয়ে এন্ড-ইউজারের কাছে ডাটা স্থানান্তর করতে পারে৷ এছাড়াও এন্ড-টু-এন্ড-এ প্রদান করে সঙ্গতিপূর্ণ টেকনোলজি৷ অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করে ১০ গিগাবিট ইথারনেটকে বর্তমান নেটওয়ার্কে প্রতিস্থাপন করা যায় যা এটিএম (ATM) সুইচ এবং সোনেট (SONET) মাল্টিপ্লেক্সার ব্যবহার করে৷ এর ফলে ১০ গিগাবিট ইথারনেট সুইচ করে এবং ডাটারেট উন্নতি হবে ২.৫ গি.বি. থেকে ১০ গি.বি.-এ৷ আশা করা যায় ১০ গিগাবিট ইথারনেট ইন্টারকানেকটেড লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক এবং মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে৷ ১০ গিগাবিট ইথারনেট ব্যবহার করে IEEE 802.3 স্ট্যান্ডার্ড৷ মাল্টিমোড ফাইবারের ক্ষেত্রে ১০ গিগাবিট ইথারনেট সাপোর্ট করার সর্বোচ্চ ৩০০ মিটার৷ সিঙ্গেল মোড ফাইবারে এটি সাপোর্ট করে সর্বোচ্চ ৪০ কি. মি. পর্যন্ত৷

বাণিজ্যিক পিটুপি

যে দশ বিষয় সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করা হয়েছে, পিটুপি সম্ভবত সেগুলোর ক্ষেত্রে একটি দূরপাতী অনুমান হলেও শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে৷ কিন্তু কেন? তা পরখ করে দেখা যাক :

বর্তমান আলোকে দেখা যায়, এমন কিছু কিছু সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে যাদের দরকার ব্যাপক ব্যান্ডউইডথ, যেমন- মাইক্রোসফট, অ্যাডোবি বা এপল৷ এসব কোম্পানি যে ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করে তার জন্য প্রচুর ব্যয়ভার বহন করতে হয়৷ অথচ এ খরচ বহুলাংশে কমানো যায় পিটুপি বা পিয়ার-টু-পিয়ার ব্যবহার করে৷ আর এ কারণে গত কয়েক বছর ধরে পিয়ার-টু-পিয়ার টেকনোলজি ব্যাপকভাবে ব্যবহার বেড়ে গেছে বিশেষ করে কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে৷ সাম্প্রতিক প্রবণতায় দেখা যায়, প্রধান প্রধান মিডিয়া প্লেয়ার ব্যাপকভাবে পিটুপি টেকনোলজির প্রতি ঝুঁকে পড়েছে৷ এর কারণ হলো বাণিজ্যিক পিটুপি যথেষ্ট নিরাপদ, বিশ্বস্ত এবং পরিশীলিত সফটওয়্যার ও নেটওয়ার্ক টেকনোলজি যা প্রদান করে একটি উচ্চতর নিয়মিত রীতিমাফিক মানের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স যেখানে স্বত্বাধিকারীর কনটেন্টের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়৷ বিবিসি ও স্কাই ইতোমধ্যে পিটুপি ব্যবহার করতে শুরু করেছে তাদের ভিডিও ডাউনলোড সার্ভিসের জন্য৷ এখন দেখা যাচ্ছে সফটওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন ইন্ডান্ট্রিগুলোও এ সারিতে শামিল হচ্ছে ব্যাপকভাবে৷ এটি আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে বিশেষজ্ঞমহল মনে করে৷

স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক

২০০৮ সালে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হবে স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক বা এসএএন (SAN) বাস্তবায়ন করা, যেখানে মাল্টিপল সার্ভার তথ্য বিনিময় করে দৃঢ় স্টোরেজ বিন্যাসে৷ এখানে বেশ কিছু টেকনোলজি রয়েছে যা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে৷ ফাইবার চ্যানেল হচ্ছে এর সমর্থক৷



স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক হলো ডেডিকেটেড নেটওয়ার্ক যা ল্যান ও ওয়ান থেকে ভিন্ন৷ এটি মূলত ব্যবহার হয় বিভিন্ন সার্ভারে যুক্ত স্টোরেজ রিসোর্সগুলো যুক্ত করতে৷ এসএএন হার্ডওয়্যার ও এসএএন সফটওয়্যারের কালেকশন দিয়ে এ নেটওয়ার্ক গঠিত৷ স্টোরেজ এরিয়া নেটওয়ার্ক বা এসএএন-এ দুই ধরনের ভিন্নতা দেখা যায়-

০১. একটি নেটওয়ার্ক যার মূল কাজ হচ্ছে কমপিউটার সিস্টেম ও স্টোরেজ উপাদানের মাঝে ডাটা ট্রান্সফার করা৷ ০২. স্টোরেজ সিস্টেম যা স্টোরেজ উপাদান, স্টোরেজ ডিভাইস, কমপিউটার সিস্টেম অথবা অ্যাপ্লিকেশনসহ সব নিয়ন্ত্রক সফটওয়্যার, ইথারনেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিউনিকেট করা৷ এসএএন হচ্ছে শেয়ার্ড স্টোরেজ ডিভাইসের উচ্চগতির সাব নেটওয়ার্ক৷

রিচ ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশনস

ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহারের প্রতি লক্ষ রেখে সম্ভবত ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে আইটি বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছিলেন Next year, the year of the internet will take off as an application platform অবশ্য প্রতিশ্রুতিটি এেছিল জাভা বিপ্লবের সূচনালগ্নে৷ সেই প্রতিশ্রুতি এতোদিন পর বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে৷

রিচ ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন (RAI) হলো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন যেখানে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফিচার এবং গতানুগতিক ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের ফাংশনালিটি৷ ২০০২ সালে ম্যাক্রোমিডিয়া Rich Internet Application টার্মের সূচনা করে৷

ফ্ল্যাশ প্লাটফর্মে ম্যাক্রোমিডিয়াকে সম্পৃক্ত হয়৷ অ্যাডোবি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রায় সর্বজনীন ওয়েব এফিসিয়েন্ট এবং আকর্ষণীয় ডিজাইন সম্বলিত হওয়ায় ডেভেলপ করে নতুন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাকশন স্ক্রিপ্ট ৩ (ActionScript3) ও ডেডিকেটেড আইডিই, ফ্লেক্স৷ এর ফলে অ্যাডোবি ই ন্টিগ্রেটেড রানটাইম (AIR) সহযোগে ফ্ল্যাশ ও এইচটিএমএলভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন উভয় রান করতে পারবে-অনলাইনে রান করতে ব্রাউজার এবং ডেস্কটপ রান করবে অফলাইনে৷ এর ফলে মাইক্রোসফটকে অবতীর্ণ হতে হচ্ছে এক প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ পরিবেশে৷ এই প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ পরিবেশে টিকে থাকার জন্য মাইক্রোসফটকে নতুন মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ ডেভেলপ করতে হচ্ছে যা হ্যান্ডেল করতে পারবে ওয়েবকেন্দ্রিক ডিজাইন৷ এই ডিজাইনের সাবসেট ও মিডিয়া হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা পাওয়া যাবে নতুন ক্রশপ্লাটফরম ও ক্রশ সিলভার সিলভারলাইট প্লেয়ার-এর মাধ্যমে৷

ফ্লেক্স/ফ্ল্যাশ/অ্যাকশন স্ক্রিপ্ট/এআইআর এবং এক্সএএমএল/সিলভার লাইট/ডট নেট ২০০৮ সালের জন্য হবে রিচ ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন৷ সুতরাং আগামীতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে নাকি বিবর্তন ঘটবে তাই এখন বিবেচ্য বিষয়৷

২১সিএন

২১সিএন হচ্ছে বিটির পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাডভান্সড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক৷ ২১সিএন-কে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এটি এন্ড ইউজারকে কন্ট্রোল, চয়েজ ও ফ্লেক্সিবিলিটি সহযোগে ক্ষমতাবান করা হয়েছে যা ইতোপূর্বে কখনোই দেখা যায়নি৷ এখানে যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ডিভাইসে কমিউনিকেট করার সুবিধা রয়েছে এতে৷ বিটি প্রকৃত কাস্টোমারকেন্দ্রিক, সফটওয়্যারচালিত অবকাঠামো৷ যা গ্রাহকদের দেবে চমত্কার ও আকর্ষণীয় নতুন সার্ভিস৷ এ সার্ভিস আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিকতর দ্রুতগতিসম্পন্ন ও উন্নতর৷

বিটির টুয়েন্টি ফাষ্ট সেঞ্চুরি নেটওয়ার্ক (২১সিএন) এই শিরোনামের সার্থকতার প্রমাণ পাওয়া যায় এর ব্যবহার ও সুবিধা পরখ করে৷ বিটি দাবি করেছে, ২০০৮ সালের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যের অর্ধেক ২১সিএন-এ প্লাগ করবে৷ এর ফলে সম্ভাব্য সুবিধা হিসেবে পাওয়া যাবে ২৪ মে.বা./সে. গতির হোম ব্রডব্যান্ড কানেকশন৷

বিটির মতে, আইপিভিত্তিক নেটওয়ার্ক দেবে উচ্চগতি শক্তির জন্য প্রচ- বেগ, যেমন ভিডিও-অন-ডিমান্ড, ভিওআইপি এবং ভিডিও কমিউনিকেশন৷ এটি চাহিদামাফিক ব্যান্ডউইডথও অফার করে৷ এর ফলে কনজ্যুমার ও এসএমই অস্থায়ীভাবে তাদের কানেকশন স্পিড প্রয়োজনে বাড়াতে পারবে৷

গ্লোবাল সার্ভিসের মাধ্যমে বিটি বর্তমানে অফার করছে বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশে ভয়েসসহ সার্ভিস৷ বিটিকে নির্দিষ্ট করা হয় ২১সিএন দিয়ে৷ এর রয়েছে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন নেটওয়ার্ক প্লাটফরম,-এর ফলে ক্রমোন্নতি, মার্জার, আত্তীকরণ ও মৈত্রীবন্ধন বেড়েছে ব্যাপকভাবে৷ এসব মাল্টিপল প্লাটফরম সমন্বিত হয়ে একটি সাধারণ অথচ শক্তিশালী গ্লোবাল আইপিভিত্তিক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে, যা কাস্টোমার সাইটে এক্সেস করা যাবে নির্দিষ্ট দেশের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে৷ গড়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে নতুন শহর এতে যুক্ত হচ্ছে এবং প্রতি মাসে ৩০০০ নতুন কাস্টোমার সাইট যুক্ত হচ্ছে৷ ২০০৭ সালের শেষের দিকে এই নেটওয়ার্ক ১৬০ দেশে সম্প্রসারিত হবে৷

ফেমটুসেল

মটোরোলার একদল প্রকৌশলী ২০০২ সালে প্রথম ফেমটুসেল প্রোটেটাইপ উদ্ভাবন করেন৷ মূলত ফেমটুসেল প্রোটোটাইপ হলো একটি এক্সেস পয়েন্ট বেজ স্টেশন যা স্কেলেবেল, মাল্টিচ্যানেল, দুমুখী কমিউনিকেশন ডিভাইস৷ এটি টেলিকমিউনিকেশরে অবকাঠামোর প্রধান সব কম্পোনেন্টকে একীভূত করে বৈশিষ্ট্যসূচক বেজ স্টেশনকে সম্প্রসারিত করেছে, এর টিপিক্যাল উদাহরণ হলো খকুকও এক্সেস পয়েন্ট বেজ স্টেশন৷ ভিওআইপি অ্যাপ্লিকেশন অনুমোদন করে বিশেষ ইউনিট যাতে করে স্বাভাবিক বেজ স্টেশনের মতো করে ভয়েস ও ডাটা সার্ভিস প্রদান করতে পারে, তবে ওয়াইফাই এক্সেস পয়েন্টের বিস্তার ঘটিয়ে৷

এক্সেস পয়েন্ট বেজ স্টেশনের প্রধান সুবিধা হলো এতে খরচ অনেক কমে যায়৷ এক্সেস পয়েন্ট বেজ স্টেশনকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যে সাধারণ হট-স্পট কাভারেজ থেকে শুরু করে বিশাল ক্ষেত্রজুড়ে বিস্তার করা যায় যেখানে প্রতিটি ইউনিট থাকে থাকে সজ্জিত করা হয় পূর্ণমাত্রার বেজ স্টেশনে৷

ফেমটুসেলের ব্যাপক উত্তরণ ঘটবে ২০০৮ সালে৷ যেমন টি-মোবাইল এবং অরেঞ্জ-এর সম্ভাব্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ফেমটুসেল৷ বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্ক যেসব ক্ষেত্রে লোকাল বেজ স্টেশন থেকে ডাটা সিগন্যাল গ্রহণ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সেসব সীমাবদ্ধতা দূর করা হচ্ছে৷ টি-মোবাইল এবং অরেঞ্জ তাদের কাস্টোমারদের দিচ্ছে বাসায় রক-সলিড থ্রিজি কাভারেজ৷ ফলে এগুলো সহজেই মোবাইলে কল গ্রহণ করতে পারবে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিদ্বন্ধিতা করতে পারবে বিটির সাথে- স্বল্পমূল্যের কল প্যাকেজ অফার করে৷ এক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যাবে যারা ল্যান্ডলাইনের পরিবর্তে মোবাইলকে বেশি পছন্দ করেন৷ ফেমটুসেল অনুমোদন করে হাইস্পিড মোবাইল ডাটা৷ সুতরাং ব্যয়বহুল ডুয়াল মোড ওয়াইফাই ফোনের জন্য বাড়তি খরচ করতে হবে না কনজ্যুমারদের৷

ওয়্যারলেস হোম

ইতোমধ্যে ওয়েব পেজ ও মিউজিক আমাদের বাসার চারপাশ ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ তবে ২০০৮-এ তারহীন প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা যাবে অনেক অনেক বেশি করে৷ এক্ষেত্রটি হচ্ছে UWB (Ultrawideband) -এর মূল আকর্ষণ৷ এটি বিদ্যমান যেকোনো ডিভাইসের অনাহূত হস্তক্ষেপ মুক্ত এবং ডাটা ট্রান্সফার করতে পারে অনেক দ্রুত৷ যার ডাটা ট্রান্সফার রেট ওয়াইফাই-এর তুলনায় অনেক বেশি৷ সবচেয়ে বেসিক লেবেলে দেখা যায় ওয়্যারলেস হাবের ক্ষেত্রে৷ সুতরাং আপনি সব পেরিফেরালকে কক্ষের এক প্রান্তে সমন্বিত করতে পারবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই৷

উইন্ডোজ হোম সার্ভার

বিস্ময়করভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে অত্যুত্সাহী ও ম্যানুফ্যাকচারাররা উইন্ডোজ হোম সার্ভারকে ব্যাপকভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে এবং তা যদি কনজ্যুমার পর্যন্ত ছড়াতে পারে, তাহলে ২০০৮ সালে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে এক নতুন মাত্রা সৃষ্টি করবে৷

উইন্ডোজ হোম সার্ভার মূলত মাইক্রোসফটের একটি হোম সার্ভার অপারেটিং সিস্টেম যা জুলাই ২০০৭-এ রিলিজ পেয়েছে৷ উইন্ডোজ হোম সার্ভারের উদ্দেশ্য হচ্ছে মাল্টিপল কানেকটেড পিসিতে ফাইল শেয়ারিং, অটোমেটেড ব্যাকআপ এবং রিমোট এক্সেস ইত্যাদি সলিউশন প্রদান করা৷ এটি মূলত উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ এসপি২ ভিত্তিক৷ উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ এসপি২-এর প্রায় সব টেকনোলজি এতে সম্পৃক্ত হয়েছে৷ তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে৷

শেষ কথা

প্রযুক্তিকে কখনো কোনো সীমাবদ্ধ বেড়াজালে আবদ্ধ করা যায়নি৷ আগামীতেও যাবেনা৷ প্রযুক্তি তার আপন গতিতে সব বাধা অতিক্রমকে এগিয়ে যাবে৷ এটিই স্বাভাবিক ও প্রতিবেদনে যেসব প্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে- তা আমাদের দেশে হয়েতো তেমন ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না ঠিকই, তবে আগামীতে যে এসব প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার বাংলাদেশে হবে না একথা বলা যাবে না, প্রয়োজনের তাগিদে এদের সম্প্রসারণ ঘটবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই, তবে যত তাড়াতাড়ি হবে ততই মঙ্গলজনক, আমরা এসব প্রযুক্তির প্রত্যাশায় রইলাম৷
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস