• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > দ্বিমাত্রিক ছবিকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী
মোট লেখা:৪২
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - জানুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সফটওয়্যারগ্রাফিক্স, 
তথ্যসূত্র:
গ্রাফিক্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
দ্বিমাত্রিক ছবিকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন

একটি বস্ত্তর তিনটি মাত্রা থাকে। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও বেধ- এই তিন মাত্রার কারণে সাধারণত কোনো বস্ত্তকে বলা হয় ত্রিমাত্রিক। তবে আমরা আমাদের তোলা ছবিতে কেবল দুই মাত্রা দেখি অর্থাৎ একটি ছবিতে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছাড়া অন্য মাত্রাটি থাকে না। এর ফলে স্থির ছবিতে কোনো বস্ত্ত বা প্রাণীকে জীবমত্ম বলে মনে হয় না। কিন্তু এই দ্বিমাত্রিক ছবিকেও যদি ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করা যায়, তবে ছবিটির ভাবার্থই পাল্টে যাবে। ছবিটি হয়ে উঠবে প্রাণবমত্ম। অ্যাডোবি ফটোশপ সিএসথ্রির মাধ্যমে এই কাজটি অনেক সহজ এবং স্বল্প সময়ে করা সম্ভব। কাজটি এই পর্বে করে দেখানো হয়েছে। ইচ্ছে করলে অন্য কোনো সফটওয়্যার দিয়েও এ কাজটি করা যাবে।



একটি প্রাণীকে যদি ছবির ফ্রেমে নিয়ে আসা হয়, তাহলে সেই প্রাণীটি কি কখনো জীবমত্ম বলে মনে হয়? যখন ছবিটি তুলছিলেন তখন যে প্রাণবমত্ম ভাব নিয়ে বসেছিল। ছবিতে আনার পর সে প্রাণবমত্ম ভাব হয়তো আর দেখা যায় না। আজ একটি ব্যাঙের ছবিকে কী করে প্রাণবমত্ম করে ছবির ফ্রেমের ভেতরে রেখেই ফ্রেমের বাইরে বের হবার প্রচেষ্টাকে ব্যাখ্যা করা যায়, তা দেখানো হয়েছে।



কাজ শুরু করার আগে প্রথমে একটি ভালো স্পষ্ট ছবি নির্বাচন করা প্রয়োজন। এখানে একটি ব্যাঙের ছবি নির্বাচন করা হয়েছে, যা সামনের দিক থেকে তোলা। ছবিটি একটু বেশি রেজ্যুলেশনের হলে কাজ করতে সুবিধা হবে। নিজের সংগ্রহে এরকম ছবি না থাকলে ইন্টারনেটে এ ধরনের প্রচুর প্রাণীর ছবি পাওয়া যায়। ছবি নির্বাচনে লক্ষ রাখবেন, প্রাণীর ছবিটি যেন একটু সামনের দিক থেকে তোলা হয়ে থাকে এবং ছবির মাঝে মোশন থাকলে আরো ভালো হবে।





যারা এ ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই প্রজেক্টটি অনেক সহায়ক হবে। এটি একেবারে এন্ট্রি ফ্রেমের জন্য সহজ প্রক্রিয়া করে দেখানো থাকে । পরে এ বিষয়ে আরো কিছু প্রজেক্ট করে দেখানো হবে। প্রকৃতপক্ষে ছবির বর্ডার তৈরি করে ছবিকে কিছুটা ত্রিমাত্রিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

এবার কাজে আসা যাক। প্রথমে ছবিটির একটি ব্যাকআপ কপি হিসেবে একটি অরিজিনাল লেয়ার প্যালেটে তৈরি করে নিন। এটি করতে লেয়ার প্যালেটে লেয়ারটি সিলেক্ট করে Ctrl চেপে A চাপুন। এখন লেয়ারটি কপি করে একই লেয়ারের ওপর পেস্ট করুন। দেখবেন লেয়ার প্যালেটে একটি ডুপ্লিকেট লেয়ার তৈরি হয়েছে। এবার একটি নতুন লেয়ার নিন, যার রঙ সাদা হবে এবং একটি কালো লেয়ার তৈরি করে নিন। কালো লেয়ার তৈরি করার জন্য Color fill ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো লেয়ার মাস্কিং করার সময় কাজে আসবে, যা পরে দেখানো হবে।

এবার অরিজিনাল লেয়ার সিলেক্টেড রেখে একটি Frame layer খুলুন। এটি করতে লেয়ার Pallate-এর নিচ থেকে New layer খুলুন এবং এটিকে রিনেম করে ফ্রেম করে দিন। এটির Criteria box থেকে Differance সিলেক্ট করে দিন। এবার অরিজিনাল ছবিতে এবং Frame layer-এ Layer mask সংযোগ করুন। এটি করতে লেয়ার প্যালেটের নিচে একটি পতাকার মতো আইকন রয়েছে তাতে ক্লিক করুন। এবার কাজ করার জন্য পুরোপুরি প্রস্ত্তত।

এখন কিছু সময় ধরে অরিজিনাল ছবিটির দিকে লক্ষ করে দেখুন কোন এঙ্গেল থেকে Perspective লুক সবচেয়ে সুন্দর লাগবে। এখানে এমন একটি Perspective frame তৈরি হবে, যা ছবির বিষয়কে ত্রিমাত্রিক দেখাতে সাহায্য করবে। যেহেতু এ ছবি তোলাই হয়েছে একটু Perspective এঙ্গেলে, তাই প্রাকৃতিকভাবে সেই এঙ্গেলে ফ্রেম করলে ব্যাপারটা হয়তো স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক লাগবে। ব্যাঙের সামনের দিক যেহেতু ফোকাসে রয়েছে, তাই সামনের পুরো অংশ ফ্রেমের ভেতরে রাখা হবে এবং পেছনের পায়ের কিছু অংশ ফ্রেমের বাইরে থাকবে। ব্যাপারটা দেখতে মনে হবে ব্যাঙটা হেঁটে ফ্রেমের ভেতরে ঢুকছে।





এখন Frame layerটি সিলেক্ট করে এমন একটি চতুষ্কোণ বক্স অাঁকতে হবে, যার ভেতরে ব্যাঙটিকে রাখা সম্ভব হবে। অর্থাৎ যে ফ্রেমটির কল্পনা করা হয়েছে তার সর্বোচ্চ সাইজজুড়ে একটি Rectangle বক্স তৈরি করে নিন, যা চিত্র-৩-এর মতো দেখতে হবে। এবার ফ্রেমের ভেতরে সিলেকশন টুল দিয়ে একটি চিকন বর্ডার ছেড়ে দিয়ে সিলেকশন করুন। এবার Ctrl + X চাপুন। দেখুন একটি চিকন সুন্দর ফ্রেম বর্ডার তৈরি হয়ে গেছে। এবার এই ফ্রেমটিকে ছবির Perspective View-এর সাথে মেলাতে হবে। এর জন্য ফ্রেমকে Distort করা প্রয়োজন। এটি করতে EditTransformDistort-এ ক্লিক করুন। অথবা শট কাট Key হিসেবে Ctrl + T চাপুন। তার পর মাউসের ডান বাটন চেপে Distort সিলেক্ট করুন। এবার ফ্রেমটি Adjust করে নিন। যতটুকু অংশ ফ্রেমের ভেতরে রাখতে চান, সে অংশটুকুজুড়ে ফ্রেমটি বসবে। কতটুকু Distort করবেন তা নির্ভর করবে ছবিটার জীবটাকে কতটুকু Perspective পজিশনে দেখাতে চান তার ওপর। লক্ষ রাখবেন, ফ্রেমটি এখানে অনেক বড়। ফ্রেম পরিমাণ মতো না হলে ছবিটির ত্রিমাত্রিকতা পুরোটাই নষ্ট হবে। তাই ফ্রেম করতে সাবজেক্টের সাইজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাবজেক্টের অমত্মত দুই-তৃতীয়াংশ ফ্রেমের ভেতরে থাকা বাঞ্ছনীয়। এর থেকে কম নিয়েও কাজ করা যায়। এবার Distort ততটুকুই করবেন, যতটুকু অংশ আপনি ফ্রেমের বাইরে দেখাতে চান, যা দেখতে চিত্র-৪-এর মতো হবে। ফ্রেমিং সমেত্মাষজনক হবার পর এর অবস্থান ঠিক করে দিন। লক্ষ রাখবেন, ফ্রেমিং করতে গিয়ে প্রাণীর কোনো অংশ যেন কাটা না পড়ে। এবার লেয়ার মাস্কিং করার পালা।

মাস্কিংয়ের প্রথম পর্যায়
|
মাস্কিং করার জন্য সিলেকশন করা অতি প্রয়োজনীয়। সিলেকশন করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। যেমন পেন টুল বা ল্যাসো টুল। এগুলো খুব দ্রুত মাস্ক করার জন্য প্রয়োজন হয়। এখানে পেন টুল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। মাস্কিং করতে প্রথমে অরিজিনাল লেয়ার সিলেক্ট করুন। মাস্কিং করার সময় লক্ষ করবেন দুই রকম কালার থাকে। একটি সাদা, একটি কালো। কালো রঙ থাকে সিলেকশনের যেসব অংশ মুছতে চান তার জন্য। আর ভুলক্রমে মুছে দেয়া অংশকে পুনরায় দৃশ্যমান করতে রয়েছে সাদা ব্রাশ। এখন কালো ব্রাশ দিয়ে ছবির যেসব অংশ অর্থাৎ ব্যাকগ্রাউন্ডের যে অংশটুকু অদৃশ্য করতে হবে, সে অংশগুলোতে টানতে হবে। লেয়ার প্যালেটে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন, যে অংশগুলো অদৃশ্য করছেন তার একটি কালো অবয়ব তৈরি হবে। প্রকৃতপক্ষে লেয়ার মাস্ক নিয়ে কাজ করার সুবিধা এই যে, প্রতিটি কাজই ইচ্ছে করলে আনমাস্ক করে আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়। ছবি মাস্কিং করার পর দেখতে চিত্র-৫-এর মতো হবে।



এখানে ফ্রেমের বাইরে ব্যাঙের অবস্থান ছাড়া পুরোটাই মাস্কড আউট করা হয়েছে। যেটুকু অংশ ফ্রেমের বাইরে অবস্থান করছে সেটুকুই ছবিটিকে ত্রিমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে। এখন যেমন দেখা যাচ্ছে, তাতে ছবিটি যথেষ্ট রাফ অবস্থানে আছে। এখন খুব যত্নসহকারে ছোট ব্রাশের সাহায্যে ছবির ফিনিশিং আনার চেষ্টা করা হবে। এর জন্য মাস্কিং করার সময়ই ছবিটিকে ১০০% জুম করে সূক্ষ্ম সফট ব্রাশ দিয়ে সিলেকশনের পাশ দিয়ে মাস্কড আউট করুন। লক্ষ রাখবেন, কোণাগুলো যেন মসৃণ হয়। অন্যথায় সাবজেক্টকে আলাদা আলাদা মনে হবে।

মাস্কিংয়ের দ্বিতীয় পর্যায়

প্রথম মাস্কিং পরিপূর্ণভাবে শেষ করার পর দ্বিতীয় মাস্কিং শুরু করতে হবে। এখন সবচেয়ে সূক্ষ্ম অংশসমূহে মাস্কিং করতে হবে। ব্যাঙটির পায়ের কাছের অংশগুলোকে একটু জুম করে নিন। এবার খুব ছোট সাইজের সফট ব্রাশ দিয়ে পায়ের সাথে জড়িয়ে থাকা ব্যাকগ্রাউন্ডের অংশগুলো সূক্ষ্মভাবে স্পষ্ট করুন। এখানে ১০ পিক্সেলের সফট এয়ার ব্রাশ ব্যবহার করা হয়েছে। রানের দিকটা একটু সফটভাবে মাস্কিং করে নিতে হবে। মাস্কিং করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন মাস্কের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায়। অধিক এরিয়া মাস্কিং হয়ে গেলে সাদা ব্রাশ ব্যবহার করে সেটিকে পুনরুদ্ধার করতে পারবেন সহজেই।

এবার ফিনিশিং হিসেবে ব্যাঙটিকে জুম করে এর এরিয়াসমূহ চিহ্নিত করুন। কখনো ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙের সাথে মিশে যাবার কারণে পাশের অংশগুলো বোঝা যায় না। এই ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে কাজটি করতে পারেন। এটি করতে লেয়ার প্যালেটে কখনো সাদা লেয়ারটি আবার কখনো কালো লেয়ারটি দৃশ্যমান রাখতে পারেন। যেটাকে অদৃশ্য করতে চান, সেটির পাশে যে চোখের চিহ্ন আছে তাতে ক্লিক করলে চলে যাবে। পুনরায় দেখতে চাইলে সেই বক্সেই ক্লিক করুন। এভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তন করে দেখে নিতে পারেন কোনো অংশ বাদ পড়েছে কি না। যদি ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা থাকে তখন চারদিকের অপ্রয়োজনীয় অংশ লক্ষ করা যায়। তাই এ ছবির ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড সাদাই রাখা হয়েছে। অন্য ছবির ক্ষেত্রে যদি কালো রঙ ভালো লাগে, তবে তাই রাখতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে এ কাজগুলো মনের সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে। তাই একটু সময় লাগলেও সন্তুষ্টিমতো কাজ করা উচিত।

এবার Smudge tool ব্যবহার করে ফ্রেমের বাইরের অংশকে ব্যাকগ্রাউন্ডের কালারের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছোট ব্রাশ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে, যা ব্যাঙের গায়ের কালার ব্যাকগ্রাউন্ডের সাদা কালারের সাথে মিশে যাবে। এ পর্যায়ে একটু ডিটেইল কাজ করলে প্রাকৃতিক মনে হবে। এখানে মূল ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পুরোটাই মুছে ফেলা হয়েছে। মনে রাখবেন, লেয়ার মাস্ক নিয়ে কাজ করলে কাজটি সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ হয়, কারণ ভুলক্রমে কোনো অংশ মাস্ক করে ফেললেও পরে তা শোধরানো যাচ্ছে ডিমাস্কিংয়ের মাধ্যমে। অথবা পুরো মাস্কিংকেই বাতিল করে দিয়ে আবার নতুন করে শুরু করা যায়। তাই অন্য পদ্ধতিতে কাজটি করা সম্ভব হলেও লেয়ার মাস্ক-এর মাধ্যমে কাজটি আরো নিরাপদ এবং সহজ হয়।

মাস্কিংয়ের তৃতীয় পর্যায়

এবার ফ্রেমের কিছু অংশ মাস্ক করতে হবে। যে অংশগুলো ব্যাঙের শরীরের ওপর এসে পড়েছে সে অংশগুলো মাস্ক করুন। প্রথমে লেয়ার প্যালেট থেকে ফ্রেম লেয়ার সিলেক্ট করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডটি কালো করে নিলে অর্থাৎ কালো লেয়ারটি সক্রিয় করে নিলে ভালো হবে। যেহেতু এখানে ফ্রেমটি সাদা রংঙের তাই কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে সুবিধা হবে। এখন একটু লক্ষ রাখবেন, ব্যাঙের কোনো অংশই যেন ফ্রেমের নিচে ঢাকা পড়ে না যায়। এখানে পায়ের পাতাটি ফ্রেমের ওপরে পড়বে তা স্পষ্ট করে তুলতে হবে। একইভাবে মাস্কিং করে এমন একটি Illusion তৈরি করতে হবে, যেন ফ্রেমের ওপরেই ব্যাঙটি বসে রয়েছে, যা দেখতে চিত্র-৬-এর মতো হবে। যতটুকু সম্ভব সাবজেক্ট হিসেবে ব্যাঙটিকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। এবার কিছু Shadow তৈরি করতে হবে। ব্যাঙের অবস্থান বুঝিয়ে দিতে একটু ছায়া সাইডে রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে ছবির লাইট সোর্স কোথা থেকে আসছে। যেদিক থেকে আলো এসে সাবজেক্টে পড়বে তার বিপরীত দিক থেকে ছায়াটি তৈরি করতে হবে। কোনো বস্ত্তর ছায়া তার অবস্থান অনুযায়ী পড়ে, তাই ব্যাঙটির লাইটের উৎসর দিকে লক্ষ করলে বোঝা যাবে এটি দিনের আলোয় তোলা। তাই এর সাইডে অল্প ছায়া দিলে ছবিটি অনেক প্রাকৃতিক হবে। ছায়া তৈরি করার জন্য দুটো লেয়ার তৈরি করা হয়েছে এখানে। প্রথমটি ফ্রেমের জন্য, যা Frame shadow হিসেবে করা হয়েছে এবং পরেরটি সাবজেক্টের জন্য। এটি ফ্রেম লেয়ারের ওপরে স্থাপন করতে হবে এবং এই দুটোকে গ্রুপ করে নিতে হবে। গ্রুপ করতে Ctrl চেপে G চাপলে হয়ে যাবে। যাতে করে যে ছায়া তৈরি করা হবে তা ফ্রেমের সাথে সাথেই দৃশ্যমান হবে এবং ব্যাঙটার জন্য যে ছায়া তৈরি করতে হয়েছে, তা অরিজিনাল ছবির সাথে গ্রুপ করতে হবে। Frame shadow layer-এ সফট ব্রাশ সিলেক্ট করে হালকা ধূসর রঙ পেইন্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রাশ Opacity ৭৫%-এ রাখতে হবে। যেসব জায়গায় রঙ করবেন, যেখানে ছায়া পড়তে পারে। তাই কল্পনায় আগে বুঝে নিন কোথায় কোন এঙ্গেলে ছায়া পড়বে। একইভাবে এই shadow layer-এ পেইন্ট করতে হবে। ছায়া কতটুকু থাকবে তা আপনার সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করবে এবং একটি ব্যাপারে লক্ষ রাখবে ছায়াগুলো যেন একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এই ছবির ক্ষেত্রে ছায়ার ওপরে Gaussian blur ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচ পিক্সেল পর্যমত্ম ব্লার করতে পারেন, এতে ভালো দেখাবে এবং লেয়ার প্রপার্টিজ থেকে মোডটি Multiply করে দিতে হবে। ফাইনাল টাচ হিসেবে শ্যাডোগুলোর অপাসিটি কমিয়ে-বাড়িয়ে দেখতে পারেন। ছায়াগুলোই ছবিকে প্রাণবমত্ম করে তুলতে সাহায্য করবে। এখন পুরো ছবিটি দেখলে মনে হচ্ছে না যে ব্যাঙটি হেঁটে হেঁটে ফ্রেমের ভেতর আসছে। আশা করি আপনাদের ছবিটিও অনেকটা ত্রিমাত্রিক হয়ে উঠেছে।

আগামী সংখ্যায় কী করে একটি ছবিতে বৃষ্টির ইফেক্ট যোগ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। একটি শুকনো দিনের ছবিতে রাতের ঘন বর্ষার ইফেক্ট দিলে ছবিটির অর্থই পাল্টে যাবে। এরকম আরো কিছু মজার গ্রাফিক্সের কাজ জানতে চাইলে চোখ রাখুন কমপিউটার জগৎ-এর গ্রাফিক্সের পাতায়।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৯ - জানুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস