১৯৯৭ সালের নভেম্বর মাসে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ছাত্রদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু৷ আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমন কুমার নাথ, রেজাউল আলম চৌধুরী এবং তারিক মেসবাউল ইসলাম এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল এসিএম আইসিপিসি আয়োজিত বিশ্বচ্যাম্পিয়ানশিপে অংশ নেয়ার
যোগ্যতা অর্জন করে৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরের ম্যারিয়ট মার্কির প্রায় পঞ্চাশতলা হোটেল ভবনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পর পরীক্ষার মাঝে প্রতিটি সুযোগে অনুশীলন করার উত্সাহটি সম্ভবত আগের প্রতিযোগীরা কল্পনাও করতে পারবে না৷ যা হোক, সেই প্রতিযোগিতায় ৫৪টি দলের মধ্যে ২৪তম অবস্থানটি আমাদের কাছে তখন সাদামাটা পারফরমেন্স মনে হলেও বিগত দশ বছরের অভিজ্ঞতায় এটি একটি অসাধারণ ফলাফল হিসেবে মানতে হবে৷ PC2 সফটওয়্যারটি সম্পর্কে আমাদের যেমন ধারণা ছিল কম, ঠিক তেমনি বিচারকদের রায় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আমাদের জ্ঞান ছিল খুবই সীমিত৷
সেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী ড. সুমন কুমার নাথ এখন মাইক্রোসফট রিসার্চে কর্মরত, সেন্সর নেটওয়ার্কে গবেষণা করে যথেষ্ট সুনামও অর্জন করেছে৷ ড. তারিক মেসবাউল ইসলাম আইবিএম টরন্টোতে কর্মরত৷ আর যার অসাধারণ উত্সাহে এবং প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এসিএম প্রোগ্রামিংয়ে নৈপুণ্য অর্জন করেছে সেই ড. রেজাউল আলম চৌধুরী টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, অস্টিনে কর্মরত৷ অত্যন্ত উঁচুমানের সিম্পোজিয়াম অন ডিসক্রিট অ্যালগরিদম-এ বিগত ৪ বছর ধরে নিয়মিত প্রকাশনা ও উপস্থাপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিজ্ঞানী এবং গবেষক সমাজে যথেষ্ট সমীহ আদায়ে ইতোমধ্যেই সক্ষম হয়েছে৷
১৯৯৯ সালে নেদারল্যান্ডের আইন্দহোভেন শহরে অনুষ্ঠিত ২৩তম বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় দল অংশ নেয়৷ ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে অনুষ্ঠিত ২৪তম বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুস্তাক আহমেদ, মুনিরুল আবেদীন এবং মোহাম্মদ রুবাইয়াত ফেরদৌস জুয়েলের দল ৬০টি দলের প্রতিযোগিতায় একাদশ স্থান দখল করে৷ শুধু তাই নয়, সুবিখ্যাত এমআইটি, হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, বার্কলেসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দল আমাদের নিচে স্থান পায়৷ সেই দলের মুনিরুল আবেদীন পাশ করার আগেই মাইক্রোসফটে চাকরি পায় এবং এখন মাইক্রোসফটের হেড অফিসে চাকরি করছে৷ রুবাইয়াত ফেরদৌস জুয়েলও একই জায়গায় চাকরি করছে৷ মুস্তাক আহমেদ কানাডার ওয়াটার লু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছে৷ এই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দলটি আইআইটি কানপুরে আয়োজিত এশিয়া আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় প্রায় ৬০টি দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ সুখের বিষয় ওই একই প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দল রানারআপ হয়ে বাংলাদেশের কমপিউটারের ছাত্রদের প্রোগ্রামিংয়ে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে৷
কানাডার ভ্যানকুভারে আয়োজিত ২৫তম বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে বুয়েটের দল অংশ নিয়েছে৷ তারপর ২০০২ সালে, হনলুলুতে (এআইইউবি দলও অংশগ্রহণ করে), ২০০৩ সালে বেভারলি হিলস ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০০৪ সালে প্রাগে, ২০০৫ সালে সাংহাই, ২০০৬ সালে স্যানএন্টনিও এবং ২০০৭ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাসমূহে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ধারাবাহিকভাবে দশ বছর অংশ নেয়ার দুর্লভ সাফল্য অর্জন করে৷ পরপর দশবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে যোগদানের কৃতিত্ব সারাবিশ্বে বড়জোড় ৭/৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেখানে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ৫০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পায় না, সেখানে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির ছাত্রদের প্রোগ্রামিং নৈপুণ্যের ওপর ভর করে ৫০ থেকে ৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যে নিয়মিতভাবে স্থান করে নিচ্ছে, তা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষার সাফল্যেরই পরিচায়ক৷ শুধু প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী হিসেবেই নয়, এমনকি সমস্যা রচনা এবং বিচারকার্যেও বাংলাদেশের তরুণ বিশেষজ্ঞরা ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে৷
বুয়েটের স্নাতক এবং সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহরিয়ার মঞ্জুর অনেক বছর ধরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে একজন সম্মানিত বিচারক৷ যেকোনো প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের সমমানের সাফল্য আছে কিনা সন্দেহ৷ শুধু তাই-ই নয়, প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ভুবনে শাহরিয়ার মঞ্জুর যথেষ্ট খ্যাতিমান৷ এবার সিউলের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায়ও বিভিন্ন দেশের কোচরা শাহরিয়ার মঞ্জুরের প্রশংসা এবং ঢাকা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার সমস্যা সেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ উত্তর আমেরিকার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ করে যারা এই প্রতিযোগিতার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়, বাংলাদেশের ছাত্রদের বিশেষ করে বুয়েটের ছাত্রদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা প্রশংসিত হচ্ছে৷ আর সেই সুবাদে আমাদের ছাত্ররা অধিকতর হয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সসমূহে ভর্তির সুযোগও পাচ্ছে৷
শুধু শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিষয়েই আমাদের ছাত্রদের সাফল্য সীমিত নয়৷ এসিএম প্রতিযোগিতা করে মাইক্রোসফট এবং গুগলের মতো নামীদামী সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছে অনেকে৷ এই কিছুদিন হলো বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাইক্রোসফটের ভ্যানকুভার অফিসে যোগদান করেছে৷ এর আগে মোহাম্মদ সাইফুর রহমানও রেডমন্ডে চাকরিরত৷ বুয়েটের জয়ী রেজা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকও মাইক্রোসফটে চাকরি পেয়েছে৷ এই তালিকায় রয়েছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক ও বর্তমানে প্রায় ৭০/৮০ জন বাংলাদেশী মাইক্রোসফটে কর্মরত৷ ভারতীয়দের সংখ্যা নাকি মাইক্রোসফটে হাজার দশেক হবে৷ সেই হিসেবে আমাদের সংখ্যা হওয়া উচিত কমপক্ষে দেড় হাজার, যা আমাদের আগের এসিএম প্রতিযোগীদের থেকেই আসতে হবে৷ আমাদের ইশতিয়াক আহমেদ (ডলার) গুগলে চাকরি পেয়েছে৷ বিশ্বের হাজার হাজার প্রতিযোগী থেকে ১০০ জন বাছাই করে নিউইয়র্কে যে প্রতিযোগিতা হয়েছিল তাতে ডলারের র্যাঙ্ক ছিল ৮০’র কাছাকাছি৷ অত্যন্ত গর্ব করার মতো ফলাফল৷ বিজ্ঞান-প্রযুক্তির কোনোরকম ৠাঙ্কিয়েই ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের র্যাঙ্ক পাওয়া মনে হয় আমাদের কারো পক্ষে এখনও সম্ভব নয়৷
ভ্যালাদলিদ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত নামকরা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ এবং অর্জন অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য৷ এই সাইটে রেজাউল আলম চৌধুরী এবং শাহরিয়ার মঞ্জুর হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেছিল৷ এছাড়া দেশভিত্তিক ৠাঙ্কে বাংলাদেশের অবস্থান হলো প্রথম, যার নামের পাশে আমাদের লালসবুজ পতাকাও শোভা পাচ্ছে৷ সুতরাং বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠীর কাছে কল্পনাতীত সফলতায় আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির ছাত্ররা প্রিয় মাতৃভূমিকে যোগ্যভাবে উচ্চাসন দিতে সমর্থ হয়েছে৷ আমার মনে হয় না অন্য কোনো বিষয়ের এই মাপের প্রতিযোগিতায় আমাদের অবস্থান এমন ঈর্ষণীয়৷ আমাদের ছাত্ররা নিজেদের উদ্যোগে টপকোডারসহ নানা প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জন করতে হাজার হাজার ঘণ্টার অনুশীলন করছে, যার ফলেই বাংলাদেশ টপকোডার প্রতিযোগিতায়ও ২০-এর কাছাকাছি ৠাঙ্ক পেয়েছে৷ যুগের পর যুগ তথ্যপ্রযুক্তিকে থ্রাস্ট সেক্টর ঘোষণা করলেও তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা বিনিয়োগের বিচারে যথেষ্ট গুরুত্বহীন৷ সরকার বাহাদুর নানা সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির ছাত্রবৃদ্ধির কথা বলেই খালাস- এর জন্য ভৌত অবকাঠামো বাড়ানো, ল্যাবরেটরি উন্নয়ন, শিক্ষক তৈরিসহ কোনো বিষয়ে বিনিয়োগের কোনো পরিকল্পনাই নেই৷
প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিভাগই শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে৷ বিষয়টি যথাযথভাবে অনুধাবনের জন্য আইআইটিসমূহের ফ্যাকাল্টির সাথে তুলনা করলেই চলবে৷ উপরন্তু বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষা চালু থাকায় সত্যিকারেই আমাদের বিভাগগুলো যোগ্য উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে৷ এর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ছাত্রদের প্রোগ্রামিংসহ নানা বিষয়ের দক্ষতা তৈরি মোটেই সহজ নয়৷ আমাদের ছাত্ররা নানা অনলাইন সাইটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে তাদের প্রোগ্রামিং নৈপুণ্য যেহারে বেড়েছে তা অন্যভাবে সম্ভব হতো না৷ বাংলাদেশের ছাত্রদের এই উত্সাহ এবং সাফল্যকে সামনে রেখেই নিশ্চয়ই এসিএম এতদিন যাবত আমাদের এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার সাইটটি ঢাকায় রেখেছে৷
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি আমাদের ছাত্রদের প্রোগ্রামিংয়ে উত্সাহ, মেধা এবং মানসিক দৃঢ়তার মাধ্যমে সারাবিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির দক্ষতায় বাংলাদেশের একটি উন্নততর ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হবে৷
এসিএম রিজিওনাল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০০৭
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ৮ ডিসেম্বর আয়োজন করেছে এসিএম ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) ঢাকা রিজিওনাল ২০০৭৷ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, চীন এবং থাইল্যান্ডের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি দল৷ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত প্রতিযোগিতা চলবে৷ একই স্থানে রাতে দেয়া হবে পুরস্কার৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ৷ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জালালউদ্দিন আহমেদ৷ ৩০ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়৷ এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপিউটার বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর, এসিএম আইসিপিসি ঢাকা রিজিওনাল ২০০৭ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর এবং কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন সৈয়দ আখতার হোসেন৷ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয় ।