• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফায়ারওয়াল ও সিকিউরিটি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মর্তুজা আশীষ আহমেদ
মোট লেখা:৭৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৭ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ভাইরাস
তথ্যসূত্র:
ভাইরাস সন্ত্রাস
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফায়ারওয়াল ও সিকিউরিটি


আমাদের নিয়মিত ধারাবাহিক বিভাগ ভাইরাসের চতুর্থ সংখ্যায় সিস্টেমের ফায়ারওয়াল ও সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ সেই সাথে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভাইরাস সমস্যা ও তার কিছু সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে

আমার এক আত্মীয় আমাকে একবার বলেছিলেন, উইন্ডোজ ৯৮ ব্যবহার করে তিনি খুব শান্তিতে আছেন৷ এটি নাকি বিশ্বের এযাবতকালের সেরা অপারেটিং সিস্টেম৷ শুনে আমার প্রচণ্ড হাসি পেয়েছিল৷ আসলে উইন্ডোজ ৯৮ সময়ের হিসেবে অসাধারণ একটি অপারেটিং সিস্টেম৷ এ বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই৷ কিন্তু গত কয়েক বছরে হ্যাকার ও ভাইরাসের উত্পাত এত বেশি বেড়ে গেছে যে সময়ের হিসেবে উইন্ডোজ ৯৮ অপারেটিং সিস্টেম এখন শিশু৷ বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বর্তমানে এত বেশি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, যা চিন্তার বাইরে৷ এসব কথা চিন্তা করে মাইক্রোসফট দুই-তিন বছর আগে উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল ও সিকিউরিটি সেন্টার নামে দুটি টুল সংযোজন করে এক্সপির সার্ভিস প্যাক টুতে৷ এর ফলে অযাচিত অনেক ঝামেলা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি৷ তাই যারা উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন, তারা নিদেনপক্ষে সার্ভিস প্যাক টু বা এর পরে রিলিজ পাওয়া কোনো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করবেন৷ তাহলে দেখবেন আপনার সিস্টেম ভাইরাস বা এ জাতীয় অনেক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্ত৷ আর যারা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তাদের কথা বলার মতো তেমন কিছুই নেই৷ লিনআক্স বা ম্যাকের ব্যবহারকারী আগে থেকেই বেশ কম বলে এদের জন্য তৈরি হওয়া ভাইরাসও বেশ কম৷ তাই লিনআক্স ও ম্যাকের সুরক্ষা নিয়ে তেমন ভাবনার কিছু নেই৷

উইন্ডোজ এক্সপিতে সিকিউরিটি সেন্টার যুক্ত করার ফলে এন্টিভাইরাসের সাথে অপারেটিং সিস্টেমের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়৷ আর অনেকেই মনে করেন যে, এন্টিভাইরাস ইনস্টল করা আছে তার মানে আর কোনো সমস্যা নেই, ভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা পাওয়া গেছে৷ ব্যাপারটি তা নয়৷ কখনই মনে করবেন না যে এন্টিভাইরাস ইনস্টল করা আছে বলেই আপনি সুরক্ষিত৷ পুরোপুরি সুরক্ষা পেতে হলে এন্টিভাইরাস নিয়মিত আপডেট করতে হবে৷ আপডেট নিয়মিত না করা হলে এন্টিভাইরাস কোনোই কাজে আসবে না৷ আপনি যতই ভালোমানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন না কেন, আপডেট করা না হলে সেটি অনেক ভাইরাস শনাক্তই করতে পারবে না৷ তাই আপনার কমপিউটার পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে হলে নিয়মিত ইন্টারনেট থেকে এন্টিভাইরাস আপডেট করার কোনো বিকল্প নেই৷ সাধারণত ইন্টারনেট চালু থাকলে এখনকার এন্টিভাইরাসগুলো নিজে নিজেই আপডেট করে৷ যদি নিয়মিত ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকা না যায় তাহলে ম্যানুয়ালি এন্টিভাইরাস আপডেট করতে হবে৷

আমাদের কাছে অনেকেই মেইল করেছেন ভালো এন্টিভাইরাসের নাম জানার জন্য বা ভালো একটি দোকানের নাম জানার জন্য যেখান থেকে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কেনা যায়৷ বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে কোনো দোকান থেকে সফটওয়্যার কিনে লাভ নেই৷ কারণ দোকানগুলোতে যে সফটওয়্যার পাওয়া যায় সেগুলো পাইরেটেড৷ দোকানগুলোতে লাইসেন্সড সফটওয়্যার পাওয়া যায় না৷ এখন অবশ্য কিছু কিছু দোকানে লাইসেন্সড সফটওয়্যার পাওয়া যায়, কিন্তু লাইসেন্সড সফটওয়্যারের সবার পক্ষে ব্যবহার করা সম্ভব নয়৷ তবে ইন্টারনেটে অনেক ফ্রি এন্টিভাইরাস পাওয়া যায়৷ সেগুলো কেনার জন্য দোকানে না গিয়ে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিলেই হয়৷ মনে রাখবেন যেহেতু আপনাকে নিয়মিত এন্টিভাইরাস আপডেট করতেই হবে, তাই কমপিউটার পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে ইন্টারনেট জরুরি৷

ফ্রি সফটওয়্যারের প্রসঙ্গ যখন এসেছে তখন বলে রাখা ভালো যে ইন্টারনেটে অসংখ্য হ্যাকিং সফটওয়্যার আছে যেগুলো নিজেদের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বলে দাবি করে৷ এগুলো তৈরি করা হয় বিভিন্ন ক্ষতি করার জন্য৷ এগুলো অ্যাডওয়্যার হোক বা স্পাইওয়্যার হোক এগুলোর উদ্দেশ্যই থাকে সবাইকে প্রলুব্ধ করা৷ ভুলেও কখনো এগুলো ডাউনলোড বা ইনস্টল করবেন না৷ মনে রাখবেন সত্যিকার লাইসেন্সড সফটওয়্যার কখনো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার করে না৷ এসব বিজ্ঞাপনে ভুলেও প্রলুব্ধ হবেন না৷ এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতে হলে ভালোমানের এবং ৠাংঙ্কিয়ে অন্তত প্রথম দশে স্থান পাওয়া এন্টিভাইরাস ব্যবহার করাই উচিত৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ৠাঙ্কিং করে থাকে৷ গুগলে সার্চ করলেই এ ধরনের ৠাঙ্কিং পাওয়া সম্ভব৷ পুরোপুরি অচেনা কোনো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না৷ তা না হলে কমপিউটার সুরক্ষিত তো হবেই না বরং অরক্ষিত হবে, ঝামেলাই বাড়াবে৷

কিছু কিছু এন্টিভাইরাস এবং সিস্টেম মেইনটেইন সফটওয়্যার আছে যেগুলো পার্সোনাল ফায়ারওয়াল বা এ ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকে৷ এই ফায়ারওয়ালগুলো বিভিন্ন অনাকাঙিক্ষত অনুপ্রবেশ থেকে আপনার সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখে৷ এই অনুপ্রবেশ হতে পারে কোনো হ্যাকার বা ক্ষতিকর কোনো প্রোগ্রামের মাধ্যমে৷ সিস্টেমের সুরক্ষার জন্য এ ধরনের ফায়ারওয়ালের কোনো বিকল্প নেই৷ তাই অনাকাঙিক্ষত বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা উচিত৷

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বলবো বিনা প্রয়োজনে আপনাদের ব্রাউজারের পপআপ এনাবল করবেন না৷ আর চেষ্টা করবেন সবসময় শুধু ট্রাস্টেড সাইটগুলোতে ভিজিট করতে৷ হ্যাকিং সাইটগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলবেন৷ এজন্য ভালো হয় কোনো সাইটে প্রবেশের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নেয়া৷ স্প্যাইওয়্যার ঠেকাতে একটি ভালো ও কার্যকর সফটওয়্যার হচ্ছে ইয়াহু এন্টিস্পাই৷ এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো একই সাথে সমমানের দুটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার রাখা যায় না৷ কিন্তু ইয়াহু এন্টিস্পাই সফটওয়্যারটি অন্য কোনো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারের সাথে একসাথে চলতে পারে৷ এই সফটওয়্যারটি পুরোপুরি ফ্রি৷ শুধু ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিলেই চলবে৷ এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করার জন্য www.toolbar.yahoo.com সাইটটি ভিজিট করুন৷ ডাউনলোড করার জন্য (চিত্র-১) ডাউনলোড বাটন ক্লিক করুন৷


চিত্র-১


চিত্র-২

ডাউনলোড হয়ে গেলে ইনস্টল করুন৷ ইনস্টল হয়ে গেলে ইয়াহু এন্টিস্পাই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সাথে ইন্ট্রিগ্রেটেড হয়ে যাবে৷ ইয়াহু এন্টিস্পাই চালানোর জন্য ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার থেকে (চিত্র-২)ক্লিক করুন৷


চিত্র-৩

এর অপশন মেনু থেকে (চিত্র-৩)-এর মতো সিলেক্ট করুন৷

দিনে একবার অন্তত ইয়াহু এন্টিস্পাই চালাবেন৷ এটি অটোমেটিক আপডেট সিলেক্ট করা থাকলে নিজে থেকেই আপডেট হবে৷ ইয়াহু এন্টিস্পাই ব্যবহারের জন্য আশা করা যায় স্প্যামওয়্যার থেকে আপনি পুরোপুরি সুরক্ষিত৷

এবারে সাম্প্রতিক কিছু ভাইরাস সমস্যা ও তার সমাধান দেয়া হলো :

এন্টিভাইরাস আনইনস্টল সমস্যা



আমাদের দেশের বেশিভাগ কমপিউটার ব্যবহারকারী লাইসেন্সড এন্টিভাইরাস কিনে ব্যবহার করতে পারেন না৷ তাই পাইরেটেড করতে সফটওয়্যার ব্যবহার না চাইলে আমাদের বিভিন্ন ফ্রি এন্টিভাইরাসের শরণাপন্ন হতে হয়৷ ফ্রি এন্টিভাইরাসগুলো খুব বেশিদনের সাবস্ক্রিপশন দেয় না৷ তাই দেখা যায় মেয়াদ না থাকার কারণে মাসে একবার বা দুই মাস পর পর এন্টিভাইরাস পরিবর্তন করতে হয়৷ পরিবর্তন করতে চাইলেই অনেক সময় এন্টিভাইরাস আনইনস্টল সমস্যায় পড়তে হয়৷

সাধারণত একই সাথে একাধিক এন্টিভাইরাস সিস্টেমে রাখা যায় না৷ একাধিক এন্টিভাইরাস সিস্টেমে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না৷ অনেক সময় এন্টিভাইরাস আনইনস্টল করার প্রয়োজন হতে পারে৷ অনেকেই অভিযোগ করেন যে, এন্টিভাইরাস ঠিকমতো আনইনস্টল করা যায় না৷ আসলে এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম সবসময় রান করে বলে অনেক সময় আনইনস্টল হতে চায় না৷ এজন্য আনইনস্টল করার আগে টাস্কবার থেকে সংশ্লিষ্ট এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামের আইকনের রাইট বাটন ক্লিক করে প্রোগ্রাম ডিজাবল করতে হবে৷ এরপর কন্ট্রোল প্যানেলের এড-রিমুভ প্রোগ্রাম থেকে সিস্টেমের সংশ্লিষ্ট এন্টিভাইরাস সিলেক্ট করে রিমুভ বাটন ক্লিক করে আনইনস্টল করতে হবে৷ আশা করা যায় এভাবে সিস্টেমের এন্টিভাইরাস আনইনস্টল করলে এ জাতীয় সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে৷

ওয়েবড্যাভ সমস্যা



এটি এক ধরনের হ্যাকিং টুল৷ উইন্ডোজভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোতে এটি বেশ ভালোই ক্ষতি করে থাকে৷ এই টুলটি ক্ষতি করা শুরু করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে৷ আপনার সিস্টেমে এটি আক্রমণ করলে সিস্টেম মারাত্মক ধীরগতির হয়ে যাবে৷ Hacktool.webdav নামে ফাইল বিভিন্ন ফোল্ডারে দেখা যাবে৷

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে কমপিউটারটি রিস্টার্ট করে বায়োস পার হবার সময় এ৮ চেপে অপারেটিং সিস্টেমের ওএস চয়েজ মেনুর সেফ মোড অপশন থেকে সেফ মোড চালু করতে হবে৷ তারপর পুরো সিস্টেম সার্চ করে ফাইলটির সব কপি খুঁজে বের করতে হবে৷ Ctrl+A চেপে সব ফাইল সিলেক্ট করে শিফট চেপে স্থায়ীভাবে ডিলিট করতে হবে৷ এবার রিস্টার্ট করলেই আপনার সিস্টেম এই সমস্যা থেকে মুক্ত৷

নান্সি সমস্যা



এটি ডায়ালার ধরনের একটি মারাত্মক প্রোগ্রাম৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমে এটি সংক্রমিত হয়৷ এটি সংক্রমিত হলে sye.exe, snss.exe, sRs9.exev নামে তিনটি ণসণ ফাইল তৈরি হয়৷ এই সমস্যা থেকে বাচতে হলে কমপিউটার রিস্টার্ট করে বায়োস পার হবার সময় F8 চেপে অপারেটিং সিস্টেমের ওএস চয়েজ মেনুর সেফ মোড অপশন থেকে সেফ মোড চালু করতে হবে৷ তারপর পুরো সিস্টেম সার্চ করে ফাইলটির সব কপি খুঁজে বের করতে হবে৷ Ctrl+A চেপে সব ফাইল সিলেক্ট করে শিফট চেপে স্থায়ীভাবে ডিলিট করতে হবে৷ এবারে রিস্টার্ট করলেই আপনার সিস্টেম এই সমস্যা থেকে মুক্ত৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক আপডেট করা যেকোনো এন্টিভাইরাসের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

এবি সিস্টেম স্পাই



এটি রিমোট এক্সেস করে সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করে৷ এটি সিস্টেমে sye.exe, sss.exe নামে ফাইল তৈরি করে ছড়ায়৷ এটি একটি বাণিজ্যিক রিমোট এক্সেস ধরনের প্রোগ্রাম, যা সিস্টেমে ঘাপটি মেরে বসে থাকে এবং সিস্টেমের বিভিন্ন অ্যা ক্টিভিটি লক্ষ করে সময় ও সুযোগমতো সিস্টেমের ক্ষতি করে থাকে৷ উইন্ডোজভিত্তিক প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমেই এটি আক্রমণ করে থাকে৷ এটি স্পাই হলেও মূলত একটি ট্রোজান৷ এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে কমপিউটার রিস্টার্ট করে বায়োস পার হবার সময় F8 চেপে অপারেটিং সিস্টেমের ওএস চয়েজ মেনুর সেফ মোড অপশন থেকে সেফ মোড চালু করতে হবে৷ তারপর পুরো সিস্টেম সার্চ করে ফাইলটির সব কপি খুঁজে বের করতে হবে৷ Ctrl+A চেপে সব ফাইল সিলেক্ট করে শিফট চেপে স্থায়ীভাবে ডিলিট করতে হবে৷ এবারে রিস্টার্ট করলেই আপনার সিস্টেম এই সমস্যা থেকে মুক্ত৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক আপডেট করা যেকোনো এন্টিভাইরাসের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

পোল্টারজিস্ট



এটি একটি জোকিং প্রোগ্রাম৷ এটি সিস্টেমের তেমন উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করে না৷ তবে মাঝেমধ্যে বেশ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ এই প্রোগ্রামটি তেমন গুরুতর ক্ষতি না করলেও একই নেটওয়ার্কের অন্য ইউজারদের রিমোট এক্সেসের ব্যবস্থা করে দেয়৷ এর ফলে সিস্টেমের সিকিউরিটি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে৷ সাম্প্রতিক আপডেট করা যেকোনো এন্টিভাইরাসের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

পিটিএইচ টুলকিট



এই প্রোগ্রামটি একটি ট্রোজান এবং একই সাথে একটি শক্তিশালী হ্যাকিং টুল৷ এর পুরো নাম হচ্ছে পাস দি হ্যাশ টুলকিট৷ এটি উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ এই প্রোগ্রামটি নিজে নিজেই একাধিক লগইন সেশন বা ইউজার তৈরি করে হ্যাশের মাধ্যমে৷ এটি একটি ট্রোজান বলে নিজে থেকে ছড়ায় না৷ এটা ম্যানুয়ালি ছড়ায়৷ সাম্প্রতিক আপডেট করা যেকোনো এন্টিভাইরাসের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

ক্রাগল



এটি কোনো ভাইরাস নয়৷ এটিকে অপ্রত্যাশিত প্রোগ্রাম বলা যায়৷ এটি মারাত্মক ক্ষতিকর নয়৷ কিন্তু এটিও মাঝেমধ্যেই ব্যবহারকারীদের বেশ বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ এটি এমন একটি অ্যাপ্লিকেশন, যা আপনাকে বিভিন্ন ক্রাকিং সাইটগুলোতে প্রবেশে সাহায্য করে৷ এর ফলে সিস্টেমে বিভিন্ন স্প্যাম নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে৷ ইয়াহু এন্টিস্পাইয়ের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

মাল্টি পাস রিকভারি



এটি নিজেকে রিকভারি সফটওয়্যার বলে দাবি করে৷ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নিজেই একটি স্প্যামজাতীয় প্রোগ্রাম৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ এটি আপনার সিস্টেমের যাবতীয় পাসওয়ার্ড রিকভার করে ফেলবে৷ এর ফলে সিস্টেমের নিজস্ব কোনো সিকিউরিটি থাকবে না৷ যেকেউ সিস্টেম এক্সেস করতে পারবে৷ ইয়াহু এন্টিস্পাইয়ের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

মাই স্পাই প্রোটেক্টর



এটিও নিজেকে রিকভারি সফটওয়্যার বলে দাবি করে৷ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নিজেই একটি স্প্যামজাতীয় প্রোগ্রাম৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ ইয়াহু এন্টিস্পাইয়ের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

ডিসকভারি লাইভ



এটি বিভিন্ন মেসেঞ্জারের মাধ্যমে সিস্টেমে প্রবেশ করে৷ প্রকৃতপক্ষে এটি একটি অ্যাডওয়্যার৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ এটি সিস্টেমের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পপআপ এনাবল করে দেয় এবং নিজেই পপআপের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাডওয়্যার সিস্টেমে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়৷ ইয়াহু এন্টিস্পাইয়ের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

ডাহিজ



এটি এক ধরনের হ্যাকিং টুল৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ এটি অনাকাঙিক্ষত বিভিন্ন প্রোগ্রাম ডাউনলোড করে ইনস্টল করে সিস্টেমের সিকিউরিটি ব্যাহত করে৷ ইয়াহু এন্টিস্প্যামের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

১২৩ কী লগার



এটি এক ধরনের স্পাইওয়্যার৷ উইন্ডোজভিত্তিক সব অপারেটিং সিস্টেমসহ সাম্প্রতিক রিলিজ পাওয়া উইন্ডোজ ভিসতাতেও আক্রমণ করে থাকে৷ আপনার সিস্টেমের বিভিন্ন তথ্য পাচারে এটি সাহায্য করে৷ ইয়াহু এন্টিস্পাইয়ের সাহায্যে এটি দূর করা যায়৷

যেকোনো এন্টিস্পাইয়ের সাহায্যেই এই ভাইরাসগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷ মনে রাখবেন স্প্যামওয়্যার থেকে মুক্ত থাকতে চাইলে এন্টিভাইরাসের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এন্টিভাইরাসের ইন্টারনেট সিকিউরিটি ইনস্টল রাখা উচিত৷

ফিডব্যাক : mortuaz_ahmad@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৭ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস