• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে আইসিটি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: আবীর হাসান
মোট লেখা:১৫০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৭ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইসিটি
তথ্যসূত্র:
দেশ ও প্রযুক্তি
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে আইসিটি

অনেকে এমন অভিযোগ প্রায়ই করেন, এদেশের আইসিটি লেখকরা নেতিবাচক শব্দ বেশি ব্যবহার করেন৷ অভিযোগটা একেবারে মিথ্যা নয়, করা হচ্ছে না, হয়নি, নেই-এধররে শব্দের ব্যবহার হয় প্রায়শই৷ এর কারণ সম্ভবত বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা... বিশ্বব্যাপী প্রচলিত আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তুলে ধরতে তুলনামূলক কথা যখন লেখার প্রয়োজন পড়ে, তখন নিজেদের বাস্তবতা তুলে ধরতে এ শব্দ ব্যবহার করা ছাড়া উপায় কী?

যেমন, বাংলাশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বলতে গেলে নেতিবাচক আর একটি শব্দ মন্দা ব্যবহার করইে হবে৷ এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে মন্দা চলছে না৷ বিনিয়োগ কমে গেছে, বিদেশী বিনিয়োগ আসছে না, আমদানি-রফতানি দুই-ই কমেছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে৷ এরকম সময়ে অর্থনীতিতে আইসিটির অবদানও তেমন একটা নেই৷ এখানেই উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নতর বিভেদটা বড় হয়ে ওঠে৷ বর্তমান বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো আইসিটিকে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেখাই যাচ্ছে আইসিটিকে যারা অর্থনীতির সঙ্গী করে নেয়নি তারাই স্বল্পোন্নতর কাতারে রয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর নেতা৷ তবে সত্যি বলতে কি- এই নেতৃত্ব গৌরবের নয় মোটেই৷ কারণ ভালো কিছু করে দেখাতে না পারা তথা সার্বিক উত্পাদনশীলতা বাড়াতে না পারা, পরনির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠতে না পারা, আধুনিক বিনিয়োগ উপযোগী আবহ সৃষ্টি করতে না পারা, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা বাড়াতে না পারা, সাধারণ মানুষের জীবন-মান উন্নত না হওয়াই মূলত স্বল্পোন্নত পর্যায়ে থেকে যাওয়ার কারণ৷ আর এই সময়ে এসব দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যেসব উপায়ের কথা বলা হচ্ছে, তার সবই প্রায় আইসিটিনির্ভর৷ এই যে বাংলাদেশে ইন্টেল ওয়ার্ল্ড অ্যাহেড প্রোগ্রারে যে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে তাও একই লক্ষ্যে৷

কিন্তু লক্ষণীয় শিল্পে বিনিয়োগ করতে এখনই আসছে না ইন্টেল৷ এর কারণ সম্ভবত বাংলাদেশের অর্থনীতির দুর্বলতা, বিশেষ করে সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো সঙ্কুচিত হয়ে পড়া৷ বিগত বছর কুড়ি ধরে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে আইসিটি৷ অন্যান্য খাতের সহযোগী এবং নিজস্ব উত্পাদনশীলতা দিয়ে আইসিটি যে অবদান রেখেছে, তাকেই সম্ভাবনাময় বলে মূল্যায়ন করা হচ্ছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলা হলেও উত্পাদনশীলতা বাড়ানোর পদক্ষেপগুলো খুব জোরালো হয়নি৷ সব সময়ই এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে বেশি করে দেখানো হয়েছে কিন্তু উদ্যোগহীনতাই যে মূল কারণ ছিল এখন তা বুঝা যাচ্ছে৷ রাজনৈতিক সরকারগুলো আইসিটিকে ঠিকমতো বুঝেনি একথা সত্যি- কিন্তু বেসরকারি শিল্প-বাণিজ্যের উদ্যোক্তারাও যে নতুন যুগের শিল্পপ্রযুক্তি এবং বাণিজ্যিক সংস্কৃতিকে বুঝতে বা কাজে লাগাতে পারেননি- এটাও সত্যি৷

অর্থনীতিকে নতুন উত্পাদনশীল প্রক্রিয়ার সংযোজন করার প্রভূত সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি৷ কেন হলো না- তাই নিয়ে অনুসন্ধানও যে খুব একটা হয়েছে তা নয়৷ ফলে একটা অবচেতন অবস্থার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি৷ অনেক অর্থনীতিবিদ এখন একে পুঁজিবাদ বলতেও নারাজ৷ কারণ, এর ধরন-ধারণ বিশেষ করে সংস্কৃতি এমন একটা স্তরে রয়েছে যাকে তাত্ত্বিকভাবেও প্রাইমারিলেভেল-এর বেশি কিছু বলা যায় না৷ কারণ, এর একদিকে রয়েছে প্রাচীন হাল-হাতিয়ার নিয়ে কৃষি আর অন্যদিকে রয়েছে ক্ষুদ্র-মাঝারি কনজ্যুমার প্রডাক্টের ব্যবসায় এবং বাড়ি তৈরির শিল্প৷ আবার কৃষি ও প্রচলিত শিল্পের সহায়ক অন্যান্য ভিত্তিমূলক শিল্পও তেমন একটা গড়ে ওঠেনি৷ ব্যতিক্রম হিসেবে সিমেন্ট ও ওষুধ শিল্পের কথা বলা যায়, কিন্তু এগুলোর কাঁচামালও সেই আমদানিনির্ভর৷ উপরন্তু বর্তমান অর্থনীতির মূল ভিত্তি যে তৈরী পোশাক শিল্প-তাও মূলত পূর্ণাঙ্গ শিল্প নয়৷ ফলে অর্থনীতি দৃঢ়ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি এখন পর্যন্ত৷ বিশ্বে প্রচলিত মুক্তবাজার অর্থনীতির চাপের মধ্যেই পড়ে গেছে বাংলাদেশ-অন্য দেশের বাজার হয়েছে, কিন্তু নিজস্ব পণ্যের বাজার সৃষ্টি করতে পারেনি৷ এটাকে আসলে উপস্থিত চাহিদা মেটানোর একরকমের ভোগবাদী অর্থনীতিই বলা যায়- যার সংস্কৃতিতে উত্পাদনের হাল-হাতিয়ার আধুনিকীকরণের তেমন কোনো তাগিদ নেই৷ এবং সবচেয়ে নেতিবাচক দিক হচ্ছে মানুষের কাছে আধুনিক তথ্যও নেই৷

এই তথ্যের মহাযুগে আসলে মানুষকে সচেতন করে তাকে উত্পাদনশীল কাজে নিয়োজিত করতে উদ্বুদ্ধ করে তথ্য, কিন্তু সেটাই যখন না থাকে তখন মানুষ তো অসহায় হয়ে পড়বেই, দেশের অর্থনীতিও নাজুক অবস্থায় পড়ে৷ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় কি? সহজ কথায় বলতে গেলে-অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা৷ সেটা কীভাবে সম্ভব? এই নিয়ে প্রচুর আলোচনা, এমনকি বিতর্কেরও প্রয়োজন রয়েছে৷ তবে সার্বিক বিচারে সাধারণভাবে যা মনে হচ্ছে তা হলো- এখন পুঁজিতন্ত্রের প্রাইমারি লেভেল থেকে পরবর্তী স্তরগুলো একে একে পার হয়ে চতুর্থ স্তরে আসতে গেলে একশ বছর বা তারও বেশি সময় লেগে যাবে৷

এজন্য বহু বছর আগে থেকেই কোনো কোনো সচেতন ব্যক্তি লিপ ফ্রগ বা ব্যারে মতো উল্লম্ফন দেয়ার কথা বলে আসছেন৷ বিশেষ করে একথাটা বলা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে৷ উন্নয়নশীল এবং বাংলাদেশের পর্যায়ের স্বল্পোন্নত দেশগুলো যাদের উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্যই উল্লম্ফনের কথা বলা হচ্ছে৷ আর এই উল্লম্ফনের প্রধান শক্তি হচ্ছে আইসিটি৷ কারণ আইসিটি অনেক ক্ষেত্রে উত্পাদনশীলতার অনেক স্তরকে সহজে অতিক্রম করতে সাহায্য করে৷ যেমন কৃষির উন্নয়ন সহযোগী তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে কৃষির উত্পাদনশীলতা এবং পণ্য বিপণন ও কৃষকের জীবন-মান উন্নয়নে ভালো অবদান রাখতে পারে আইসিটি৷ বিশ্বে বহুল ব্যবহৃত কৃষির উন্নত পদ্ধতির তথ্য দিতে পারে-সহায়ক প্রযুক্তি তৈরির তথ্যও দিতে পারে আইসিটি৷ কাজেই অর্থনীতিকে কৃষিভিত্তিক রেখেও তার উন্নয়ন সম্ভব আইসিটির মাধ্যমে সেক্ষেত্রে কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে শিক্ষা এবং জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে৷ এই কাজটা বাংলাদেশে করা খুব একটা আয়াসসাধ্য নয়- কারণ এখানে জনঘনত্ব বেশি এবং সরকারি নেটওয়ার্ক ছাড়াও এনজিও নেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবেই বিস্তৃত৷ ক্ষুদ্রঋণের তহবিল নিয়ে যদি গ্রাম-গ্রামান্তরে পৌঁছে যাওয়া যায় তাহলে আইসিটির সুবিধা নিয়ে যাওয়া যাবে না- এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়৷ সমস্যাটা এখানে রয়ে যাচ্ছে সেই সংস্কৃতিগত৷ কিন্তু সেটাতে তো পরিবর্তন কিছুটা হলেও এসেছে৷ মহাজনী-বন্ধকী ব্যবস্থায় ঋণের পরিবর্তে এখন জামানতহীন ক্ষুদ্রঋণ পাচ্ছে যেসব সাধারণ মানুষ সেই মানুষগুলোর বেশিরভাগই অশিক্ষিত-অসচেতন৷ ফলে ঋণের টাকার সদ্ব্যবহার করতে পারছে না অনেকেই৷ এই সমস্যাটা দূর করা যেতে পারে তাকে আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষিত, সচেতন ও সাবধানী করে তুলতে পারলে৷ এক্ষেত্রে ইন্টেলের প্রয়াসকে আমরা যদি মডেল হিসেবে নেই এবং সাথে সাথে আরো অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়, তাহলে দ্রুত সুফল পাওয়া যেতে পারে৷ কারণ আইসিটিভিত্তিক শিক্ষা ও সার্ভিস ছড়িয়ে দিতে হলে অনেক নতুন কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে, যার অন্যতম ওয়াই-ম্যাক্স নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা৷ এটা তো একটা বাণিজ্যিক ব্যাপারও হয়ে উঠতে পারে৷ কিন্তু এক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে বাধা আছে- আইএসপি অপারেটররা চাইলেই এ সেবা দিতে পারছেন না জনসাধারণকে৷ বিটিআরসির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এর ওপর৷ অথচ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ওয়াইফাই, ওয়াই-ম্যাক্স ধরনের রেডিও ব্যান্ডকে যেকোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে৷ এক্ষেত্রেও বলা যায় যে, সংরক্ষণবাদী সংস্কৃতি কাজ করছে এর পেছনে৷ যেখানেই কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়, সেখানেই এক ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়৷ বাধা সৃষ্টির উস্কানিদাতারও অভাব নেই৷ নতুন একটা নীতিমালা হবে-ভালো কথা, কিন্তু সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার সময় বন্ধ করে রেখে কেন?

এধররে প্রবণতার কারণেই দেখা যায় বিভিন্ন আধুনিক শিল্প উদ্যোগও থমকে যায়৷ বর্তমান বাংলাদেশে এ সমস্যা খুবই প্রকট৷ যদিও একে সাময়িক বলে মনে করছেন কেউ কেউ কিন্তু এটাও তো সত্যি যে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি না থাকলেও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই এবং একই সাথে আইসিটিভিত্তিক শিল্প-বাণিজ্য বিকাশের সহায়ক পরিস্থিতিও নেই৷ এখন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আইসিটির ব্যবহার কমিয়ে পড়াশোনা করতে৷

বিস্ময়কর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হছে এখন বাংলাদেশে-যেখানে অর্থনৈতিক সংস্কৃতি ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে এবং তার গতি এত দ্রুত যে সমাজকে তা অস্থির করে তুলছে৷ এই সংস্কৃতিকে অগ্রগামী করতে হলে আইসিটিকে নিয়েই এগুতে হবে৷ অনেকে এখন মোবাইল ফোনকে আইসিটির বিকল্প ভাবতে শুরু করেছেন৷ এটা সম্ভবত হয়েছে সুযোগগুলোকে ঠিকমতো না পাওয়ার কারণে এবং মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি কিছুটা উন্নত হয়ে আইসিটির কাছাকাছি আসায়৷ কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি আইসিটির কাছাকাছি আসলেও তা থেকে ই-লিটারেসি অর্জন এবং সুলভে তথ্য ব্যবহার সম্ভব নয়৷ মোবাইল ফোন দিয়ে সম্ভব হলে উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের লোকজন কমপিউটার-ইন্টারনেট ব্যবহার ছেড়ে দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই সব কাজ করত৷ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই বাংলাদেশে মোবাইল ফোন যোগাযোগকে অনেক সহজ করেছে কিন্তু জ্ঞানের তথ্যভাণ্ডারকে উন্মুক্ত করতে পারেনি৷ জ্ঞানের তথ্য মানুষের সামনে উন্মুক্ত না হলে যে অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে না, আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে না তা বলাই বাহুল্য৷

মোদ্দা কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং তা হতে হবে আইসিটিভিত্তিক৷ ইতোমধ্যে সরকারের কিছু কিছু ওয়েবসাইট চোখে পড়ছে, কিছু কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার ব্যবহার হচ্ছে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ই-মেইল চালাচালি এবং টাইপরাইটারের বিকল্প হিসেবে৷ ব্যাংকিং সেক্টর ছাড়া উপযুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানোর মতো সামর্থ্য খুব কম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেরই আছে৷ এর প্রয়োজনীয়তা অনুভবের শক্তিও অনেক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের নেই৷ ফলে একদিকে যেমন আইসিটিনির্ভর কর্মসংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে না তেমনি দেশের সফটওয়্যার বাণিজ্যেও গতি আসছে না৷ দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যও রয়ে গেছে আইসিটির আওতার বাইরে৷ এর কারণেই দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের ওপর তেমন একটা চাপ আসেনি আইসিটিভিত্তিক হওয়ায়৷ আর এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে পুরো দেশের মানুষকেই৷এই সময়ে দেশের প্রধান অর্থনৈতিক খাত তৈরী পোশাক শিল্পের ব্যবসায় যখন ২৩ শতাংশ কমে গেছে এবং সার্বিক রফতানি ২১ শতাংশ কমেছে-যখন অভ্যন্তরীণ বাড়ি তৈরির শিল্প রয়েছে প্রচ- চাপের মুখে সে সময় বিকল্প হিসেবে হলেও আইসিটির কথা ভাবতে হবে সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সবাইকে৷ ঢিমে তেতলায় চলা বা রক্ষণশীল মনোভাব পাল্টাতে তো পয়সা খরচ হয় না, কিন্তু এভাবে চললে যে আয়-উন্নতি কমে যায়, তা দেখাই যাচ্ছে
৷ আধুনিক বিশ্বে অর্থনীতিই যে রাজনীতির নিয়ামক সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, আবার অর্থনীতি পুরাপুরুরিই আইসিটিনির্ভর৷ সে কারণে বর্তমান বাজার অর্থনীতির মূল কথা হচ্ছে অন্যান্য পণ্যের সাথে সাথে আইসিটি পণ্য উত্পাদনের এবং বাজার সম্প্রসারণের যোগ্যতা অর্জন করা৷ উল্লম্ফন আমাদের করতেই হবে এবং তা আইসিটিকে নির্ভর করে ছাড়া সম্ভব নয়৷ কারণ, অন্য উপায়গুলো আরো ব্যয়বহুল৷ একটি ইস্পাত শিল্প প্লান্ট কিংবা রাসায়নিক শিল্প প্লান্ট বসানোর চাইতে অনেক কম খরচে একটি সফটওয়্যার শিল্প ইউনিট কিংবা হার্ডওয়্যার প্লান্ট গড়ে তোলা যায়৷ পরমাণু চুল্লির চাইতে অনেক সহজে, বিতর্ক এড়িয়ে গড়ে তোলা যায় আইসিটি পার্ক৷ এজন্যই চিন্তার ধারাটা পাল্টে কাজে নামা দরকার এবং তা সময় নষ্ট না করে৷
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৭ - নভেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস