• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিটক সিএসই কার্নিভ্যাল-০৯
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কামরুল ইসলাম
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিটক সিএসই কার্নিভ্যাল-০৯

সফলভাবে শেষ হলো কমপিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার (সিএসই) সোসাইটি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব ‘টেলিটক সিএসই কার্নিভ্যাল-০৯’। ঢাকার বাইরে জাতীয় পর্যায়ে এ ধরনের আয়োজন এটাই প্রথম। সেদিক থেকে আয়োজনের শুরু থেকেই আয়োজক এবং উৎসবের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আগ্রহের কোনো কমতি ছিল না। ছিল আশঙ্কাও শেষ পর্যন্ত সফল হবে তো?


উৎসবমুখর র‌্যালিতে শিক্ষকমন্ডলী, অথিতি ও শিক্ষার্থীরা

কিন্তু সব আশঙ্কা-উদ্বেগকে দূরে ঠেলে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং উৎসবমুখর পরিবেশের ভেতর দিয়ে শাহ্জালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসনের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই শুধু ছাত্রছাত্রীদের প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠিত এই উৎসব প্রমাণ করল এমন আয়োজন ঢাকার বাইরেও সম্ভব। ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব প্রচেষ্টাতেই সম্ভব। তথ্যপ্রযুক্তির বৃহৎ এই উৎসবে শামিল হয় দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

১০ এপ্রিল শুক্রবার। ঠিক সাড়ে নয়টায় রঙবেরঙের বেলুন আর ফেস্টুনে সুসজ্জিত মঞ্চে একে একে উঠে আসলেন অতিথিরা। সিএসই বিভাগের ছাত্রী জেসির প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আর্থিক সাহায্য ছাড়াই ছাত্রছাত্রীদের নিজস্ব প্রচেষ্টায় এত বড় উৎসবের আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি আরও বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের এই উদ্যোগ আগামী দিনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সালেহ উদ্দিন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী এবং টেলিটক বাংলাদেশ লি.-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: শামসুজ্জোহা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক-এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, ‘‘২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।’’ সভাপতির বক্তব্যে সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তাবায়িত হলে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।’’



এবার বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পালা। সিএসই বিভাগীয় ভবন (এ)-এর সামনে রঙবেরঙের বেলুন আর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে উৎসব শুরু করলেন প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম, সভাপতি প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিশেষ অতিথি শাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সালেহ উদ্দিন। বিপুল করতালি আর হর্ষধ্বনির ভেতর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার যেন ছড়িয়ে পড়ল আকাশজুড়ে। এর পর উৎসব উপলক্ষে অতিথিদের নেতৃত্বে আকর্ষণীয় টি-শার্ট গায়ে জড়িয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ছাত্রছাত্রীরা।

সফটওয়্যার প্রদর্শনী

উৎসবের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩টি দলের ২৯টি সফটওয়্যারের প্রদর্শনী। চলে শেষ দিন পর্যন্ত। সফটওয়্যার প্রদর্শনীতে উৎসুক দর্শকদের ভিড় ছিল লক্ষ করার মতো। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২৯টি স্টলে চলে এই প্রদর্শনী। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সফটওয়্যার ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যারের নানা দিক আগ্রহী দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন তিন দিন ধরে।



প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা

প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ছিল এই উৎসবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। আয়োজকদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। Sust Inter University Programming Contest (SIUPC)-এ দেশের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৩৭টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় দেয়া ৯টি সমস্যা থেকে সর্বোচ্চ ৮টি সমস্যার সমাধান করে প্রথম স্থান দখল করে নেয় বুয়েট থেকে আগত মাহবুবুল হাসান, তানিম মু. মুসা ও শাহরিয়ার রউফ-এর দল ‘ফ্যালকন’। ঢাবির ডার্ক নাইট ছয়টি, এনএসইউ-এর আর্ক্টারাস চারটি, বুয়েটের স্নাইপার চারটি, ঢাবির নাইট চারটি, বুয়েটের মাইস্টিক চারটি সমস্যার সমাধান করে যথাক্রমে ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে। এসইইউ-এর অ্যালবার্ট্রোস তিনটি সমস্যার সমাধান করে ৮ম স্থান দখল করে নেয়। এছাড়াও আয়োজক শাবিপ্রবির স্পার্ট তিনটি, পাই তিনটি ও ফাইভগন তিনটি সমস্যার সমাধান করে যথাক্রমে ৭ম, ৯ম ও ১০ম স্থান অধিকার করে।

গেমিং প্রতিযোগিতা

‘‘ভাই আমি রাস্তায় প্রতিযোগিতার টিকেটসহ মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছি। আমি কি অংশ নিতে পারব না?’’ অথবা এক মায়ের আকুতি তার ‘ছোট ছেলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পেরে কান্নাকাটি করছে। কোনোভাবেই কি একটি টিকেট দেয়া যাবে না?’ এ সবই ছিল গেমিং প্রতিযোগিতার কয়েকটি খন্ড চিত্র। সীমিত সম্পদ আর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এই সম্মানিত অতিথিদের প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না আয়োজকদের। সব আয়োজনের নাম নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল ৮ এপ্রিল। এই সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার টিকেট পাওয়া স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক গেমারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত গেমিং প্রতিযোগিতা উৎসবকে আনন্দমেলায় পরিণত করে।



উৎসবের শেষ দুই দিন ছিল এই আয়োজন। প্রথম দিন গেমাররা তাদের যার যার পারদর্শিতা প্রমাণ করে বিজয়ী হওয়ার লড়াইয়ে নামে। ঘণ্টাব্যাপী ধাপে ধাপে রাউন্ডের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম দিনের আয়োজন।

দ্বিতীয় দিন ছিল গোলের বন্যা বইয়ে দেয়ার দিন। ল্যাবের ভেতর এক একটা পিসি যেন এক একটা বিশ্বকাপ ফুটবলের মাঠ। আর বাইরে উৎসুক দর্শকতো আছেই। প্রতিটি রাউন্ড শেষে কারও মুখে হতাশা, কারও চোখে সাফল্যের আলোকচ্ছটা। এভাবেই টানটান উত্তেজনায় শেষ হয় ফুটবল খেলার এই আয়োজন।

সেমিনার

উৎসবের তিন দিন তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত গুরুগম্ভীর আলোচনার ভারে সেমিনার হল থেকে সাধারণ অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের দূরে রাখতেই বেশি আগ্রহী থাকে। কিন্তু এটাকে ভুল প্রমাণ করা সম্ভব হলো প্রথম দিনের সদা হাস্যোজ্জ্বল মুনির হাসানের কল্যাণে। তিনি তার স্বভাবজাত আকর্ষণীয় ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করলেন ‘‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য চাই জনগণের সংযুক্তি’’। ডিজিটাল বংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে জনগণের অংশীদারিত্বের নানা দিক তুলে ধরেন তার মূল্যবান প্রবন্ধে। দ্বিতীয় দিন ছিল স্পিনোভিশন লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও টিআইএম নূরুল কবিরের উপস্থাপনায় “Shaping Your Future : Act Right Now!!!”। শেষের দিন সিএসই বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম. খাদেমুল ইসলাম উপস্থাপন করেন “The Dream of Digital Bangladesh and Role of the Universities Coordinator”। এই প্রবন্ধটির মাধ্যমে তিনি শিল্প সংস্থার সাথে সিএসই ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী তিন জন প্রাবন্ধিকের কল্যাণে তিন দিনের সেমিনারও হয়ে ওঠে উৎসবমুখর।



পুরস্কার বিতরণী

সফটওয়্যার প্রদর্শনী, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, গেমিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সবচেয়ে প্রত্যাশিত মুহূর্ত ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অতিথি ও ছাত্রছাত্রীতে পরিপূর্ণ অডিটরিয়ামে প্রথমেই গেমিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার ঘোষণা করেন বিভাগের শিক্ষক ও গেমিং প্রতিযোগিতার কো-অর্ডিনেটর মাসুদ রানা। প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতার সময়ই জেনে গিয়েছিল ফল। কিন্তুু তার পরও হলভর্তি দর্শকের সামনে নিজের নামটা শব্দযন্ত্রের ভেতর দিয়ে শুনতে উদগ্রীব ছিল বিজয়ীরা। এনএফএস মোস্ট ওয়ান্টেডে চ্যাম্পিয়ন হয় স্কলারসহোম-এর রিদম। প্রথম রানারআপ হয় শাবিপ্রবির আইপিই বিভাগের সরজ দত্ত এবং দ্বিতীয় রানারআপ হয় আনন্দ নিকেতন-এর ফাহিম।

কার্নিভ্যালের তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠিত ফিফা ২০০৮-এ চ্যাম্পিয়ন হয় শাবিপ্রবি সিএসই বিভাগের রাশেদুল হাসান। ১ম ও ২য় রানারআপ হয় যথাক্রমে ব্লুবার্ড স্কুলের ফাহিম আবরার ও আইইউটির রুবাইয়াত সাদি। বিজয়ীরা অতিথিদের হাত থেকে তাদের পুরস্কার গ্রহণ করে।

সফটওয়্যার প্রদর্শনীতে বিজয়ী সফটওয়্যার ডেভেলপারদের নাম ঘোষণা করেন সফটওয়্যার প্রদর্শনীর কো-অর্ডিনেটর খন্দকার ইনতেনাম উনায়েস আহমেদ (তানভীর)। বিজ্ঞ বিচারকমন্ডলীর রায়ে প্রথম স্থান দখল করে শাবিপ্রবির মানস, সোহাগ ও পিকলুর ‘‘সাস্ট ওপেন সোর্স সার্চ ইঞ্জিন প্রটোটাইপ’’। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মো: মহিউদ্দিন ও দেবজ্যোতি আইচ-এর ‘‘অপারেটিং পারসোনাল কমপিউটার ইউজিং ইন্টারনেট, সুইচিং অ্যান্ড শিডিউলিং ইলেক্ট্রনিক ডিজাইন ফ্রম ইন্টারনেট’’ দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেয়। তৃতীয় স্থান দখল করে আইইউটির আনোয়ারুল আবেদীন মিতু ও এস এম শাহনেওয়াজের ‘‘রেজাল্ট সলিউশন’’। এছাড়াও বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয় রাবি’র সুব্রত কুমার মহন্ত ও আ. সাত্তারের ‘‘বাংলা ভয়েস অপারেটেড চিলড্রেন লার্নিং সফটওয়্যার’’কে।

প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় দেয়া সমস্যাগুলোর ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে পুরস্কার ঘোষণা করেন কনটেস্টের প্রধান বিচারক প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ওইদিনই আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিদেশে পাড়ি জমানোয় পুরস্কার বিতরণীতে অংশ নিতে পারেনি বুয়েটের ফ্যালকন ও ঢাবির ডার্ক নাইট। তৃতীয় স্থান থেকে বিশতম স্থান অর্জনকারী দলগুলো তাদের কোচের নেতৃত্বে একে একে মঞ্চে এসে প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে।

সমাপনী অনুষ্ঠান

উৎসবের শেষ দিনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ‘‘টেলিটক সিএসই কার্নিভ্যাল-০৯’’-এর আহবায়ক মৃণাল চন্দ্র সরকার। এসময় তিনি এই উৎসবের সাথে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক ‘‘টেলিটক বাংলাদেশ লি.’’-এর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: সালেহ উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি টেলিটক বাংলাদেশ লি.-এর মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) এম হাবিবুর রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের ডিন প্র্ফেসর ড. মো: আখতারুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল সফলভাবে উৎসব শেষ হওয়ায় সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে পরবর্তীতেও এধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান।

আরো কিছু আয়োজন

ভোট ফর কক্সবাজার অ্যান্ড সুন্দরবন

তথ্যপ্রযুক্তি উৎসবে কক্সবাজার এবং সুন্দরবনের জন্য ভোট সংগ্রহের সুযোগ হাতছাড়া করেনি সিএসই সোসাইটি। উৎসবের তিন দিন প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় বাংলাদেশকে তুলে ধরার এই আয়োজনে জমা হয় দেড় হাজারেও বেশি ভোট।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস

এ-বিল্ডিংয়ের বাইরে প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ছিল একটি স্টল। আয়োজন করে বসে নয়, চলতে চলতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটুকু জেনে নেয়ার উদ্দেশ্যে লেখা হ্যান্ডবুক ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামমাত্র মূল্যে আগত দর্শকদের মাঝে বিলি করা হয় এক হাজার কপি।

কিড্স কর্নার

চারদিকে হইচই, গুলি আর বোমার শব্দ। না আপনি কোনো রাজনৈতিক সমাবেশে নন, আপনি দাঁড়িয়ে আছেন উৎসবের সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জগৎ রঙবেরঙের বেলুনে সাজানো কিড্স কর্নারে। আগত অতিথিদের হাত ধরে আসা ছোট সোনামণিদের আনন্দে সারাক্ষণ মাতিয়ে রাখার উপকরণের কোনো কমতি ছিল না কিড্স কর্নারে। উৎসবস্থল ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলেও তারা ক্লান্ত হয়নি সারাদিন গেম খেলে, মুভি অথবা টম অ্যান্ড জেরির দুষ্টুমি দেখে।

ইনফরমেশন ডেস্ক

অনুষ্ঠানের যেকোনো তথ্য সর্বক্ষণিক সরবরাহের জন্য ছিল ইনফরমেশন ডেস্ক। অনুষ্ঠান সংক্রান্ত তাৎক্ষণিক যেকোনো তথ্য দিয়ে আগত দর্শকদের সহায়তা করার জন্য প্রস্ত্তত ছিল সিএসই সোসাইটির নির্বাচিত কর্মীরা।

সহযোগিতায় ছিল যারা

অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য অর্থ দিয়ে সহায়তা করে টেলিটক বাংলাদেশ লি., মেট্রোপলিটন ‍ইউনিভার্সিটি, ডাটা সফ্‌ট বাংলাদেশ লি., স্কয়ার টয়লেট্রিজ লি.(কুল)। খাবারের সহায়তায় ছিল হোটেল ফরচুন গার্ডেন। অনুষ্ঠানের খবর বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দেয়ার ভূমিকায় ছিল মাসিক কমপিউটার জগৎ, সি নিউজ, রেডিও ‍ফুর্তি ও দৈনিক ‍উত্তর পূর্ব।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
২০০৯ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস