লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
অধ্যাপক এম. লুৎফর রহমান
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
প্রযুক্তি ভাবনা
তথ্যসূত্র:
দেশ ও প্রযুক্তি
রূপকল্প ২০২১ এবং তথ্যপ্রযুক্তি জনবল
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হবে ২০২১ সালে। অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ কেমন হবে ২০২১ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন কি স্বপ্নই থাকবে? তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে এবং আগামী ত্রিশ বছরের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য স্থির করেছে বাংলাদেশ সরকার। মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য আমাদের জিডিপি বর্তমান ছয়শত ডলার থেকে অন্তত দ্বিগুণ হতে হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার তৈরি করেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯। এ নীতিমালার সঠিক বাস্তবায়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘রূপকল্প ২০২১ : ডিজিটাল বাংলাদেশ’।
এই রূপকল্পে রয়েছে ১০টি উদ্দেশ্য, ৫৬টি কৌশলগত বিষয়বস্ত্ত এবং ৩০৬টি করণীয় বিষয়।
করণীয় বিষয়সমূহ নিম্নলিখিত তিনটি মেয়াদে ভাগ করা হয়েছে :
- স্বল্পমেয়াদী (আঠারো মাস বা কম)
- মধ্যমেয়াদী (পাঁচ বছর বা কম)
- দীর্ঘমেয়াদী (দশ বছর বা কম)
বর্তমান সভ্যতা ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। কমপিউটার, মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, প্রিন্টার, ইন্টারনেট ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র ও ব্যবস্থার উদাহরণ। ডিজিটাল প্রযুক্তি, ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ও তাদের সঠিক ব্যবহার দ্রুত উন্নয়নের চালিকাশক্তি। রূপকল্প ২০২১-এর সাথে রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির গভীর সম্পর্ক। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়া রূপকল্প ২০২১-এর উদ্দেশ্য। ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সুশিক্ষিত, সুদক্ষ এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ।
রূপকল্পে উল্লিখিত কৌশলগত ও করণীয় বিষয়সমূহের বাস্তবায়ন ছাড়া স্বপ্নের সোনার বাংলা সম্ভব হবে না। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট অনেক কিছু করার আছে। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবল। এ লেখায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি জনবল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
রূপকল্প ২০২১ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা
বর্তমানে দৈনন্দিন ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার এজন্য অনেক রকম কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এবং অনেক রকম কার্যক্রম চলছে। আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় হলো : ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, ই-এডুকেশন, ই-মেডিসিন, ই-অ্যাগ্রিকালচার, অর্থাৎ তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রশাসন, ব্যবসায়-বাণিজ্য, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার ছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে না।
রূপকল্পের বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় বা অন্যান্য সেবা পাওয়ার জন্য জনসাধারণকে অফিস-আদালতে দৌড়াতে হবে না। বাড়িতে বসে ইলেকট্রনিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনসাধারণ অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন এবং অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ধরনের কয়েকটি উদাহরণ হতে পারে : ট্যাক্স বা কর পরিশোধ, বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ, বাস বা ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ, সংবাদপত্র পঠন, বিভিন্ন ধরনের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়া, কৃষির জন্য বালাই দমন, বাজারদর, সার ব্যবহার ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ, পরীক্ষার ফল সংগ্রহ এবং আরও অনেক কিছু।
সরকারি এবং অন্যান্য সেবা জনসাধারণের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত তথ্যকেন্দ্র থাকবে। মোবাইল ফোন, এসএমএস, ই-মেইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব কেন্দ্র থেকে দ্রুত রাষ্ট্রীয় এবং অন্যান্য সেবা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন কৃষক মোবাইল ফোনে কথা বলে, এসএমএস করে অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে আবহাওয়া, বাজারদর, ফসলের বালাই দমন ইত্যাদি অনেক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে পারেন। এভাবে সেবা দেয়ার জন্য থাকবে নির্ভরযোগ্য কৃষি তথ্যকেন্দ্র, চিকিৎসা তথ্যকেন্দ্র, কর তথ্যকেন্দ্র, শিক্ষা তথ্যকেন্দ্র, আবহাওয়া তথ্যকেন্দ্র, পরিবহন তথ্যকেন্দ্র এবং এ ধরনের অনেক অনেক তথ্যকেন্দ্র। উল্লেখ্য যে, রূপকল্প ২০২১-এর স্বল্পমেয়াদী অনেক করণীয় বিষয়ের অগ্রগতি সমেত্মাষজনক। প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়ানো ও গুণগত মান উন্নয়নের জন্য সরকার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অনেক কার্যক্রম শুরু করেছে।
তথ্যপ্রযুক্তি জনবল
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনবলকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। এদের এক ভাগ ই-সেবা দেবে এবং অপর ভাগ ই-সেবা নেবে। স্বয়ংক্রিয় উপায়ে জনসাধারণকে দ্রুত ই-সেবা বা ই-সার্ভিস দেয়ার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত তথ্য অবকাঠামো। কমপিউটারপ্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগপ্রযুক্তি, ইন্টারনেট এবং সংশ্লিষ্ট হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার ইত্যাদি এই অবকাঠামোর অন্তর্ভুক্ত। তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো স্থাপন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ জনবল থাকতে হবে। সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের জনবল প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এই বিপুল জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হলে গড়তে হবে ডিজিটাল গ্রাম। এ জন্য গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি সাক্ষরতা সম্প্রসারণ এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
তথ্যপ্রযুক্তি জনবল সৃষ্টির কৌশল
বাংলাদেশের সব মানুষ হবে শিক্ষিত এবং তাদের থাকবে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জানা-শোনা। এ ধরনের সমাজকে বলা হয় জ্ঞানভিত্তিক সমাজ। ডিজিটাল বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য প্রয়োজন হবে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল। ডিজিটাল অবকাঠামো স্থাপন, পরিচালনা এবং তথ্যসেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজন দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং তথ্যসেবা নেয়ার উপযুক্ত জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নেয়ার উপযুক্ত করে তুলতে হবে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সব স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। প্রাথমিক ও নিম্নমাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে সহজ উপায়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জনের সুযোগ রাখতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সম্পন্ন করার পর অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা স্তরে প্রবেশ করে না। তাই সব ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে। আশার কথা, এ যে এসব বিষয়ে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যসমাজের প্রতিটি স্নাতক সনদপ্রাপ্ত ব্যক্তি অবশ্যই তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হবেন। এজন্য সব বিষয়ের স্নাতক পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অন্তত একটি কোর্স থাকতে হবে। এছাড়া পঠন-পাঠনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব প্রচেষ্টা শুরু হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজসমূহে এ সুযোগ সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের সব বয়স্ক জনগণকে তথ্যসমাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। কমপিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে ও অফিস-আদালতে এ ধরনের প্রশিক্ষণের প্রসার ঘটান প্রয়োজন।
ডিজিটাল গ্রাম গড়তে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্ভব নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রাম ও শহরের মধ্যে তথ্যসেবা এবং তথ্য সুযোগ-সুবিধার কোনো পার্থক্য থাকবে না। এজন্য গ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। উপজেলা ও ইউনিয়ন প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিটি গ্রামে তথ্যসেল বা তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা প্রয়োজন। এই সেলের মাধ্যমে গ্রামবাসী ডিজিটাল বাংলাদেশ সরকারের সব ধরনের কর্মকান্ড সম্পর্কে সরাসরি অবহিত হবেন। এ সেলের মাধ্যমে মোবাইল ফোন, এসএমএস, ই-মেইল, ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করে জনসাধারণ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবহাওয়া, রাজনীতি প্রভৃতি নানা বিষয়ে দ্রুত টাটকা খবর সংগ্রহ করবেন। বিনোদন ও প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার হবে এই সেল বা কেন্দ্র।
তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পরিকাঠামো
ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সরকার পরিচালনার জন্য প্রয়োজন দেশব্যাপী বিস্তৃত তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো। বিশাল এ অবকাঠামো স্থাপন, সম্প্রসারণ, রক্ষণাবেক্ষণসহ জনগণের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজন তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিশাল কর্মীবাহিনী। কমপিউটার অপারেটর থেকে শুরু করে প্রোগ্রামার, অ্যানালিস্ট, প্রকৌশলী, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন সেবক ও পরিসেবক এ কর্মীবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে। এ জন্য প্রয়োজন বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পরিকাঠামো। এই পরিকাঠামোর একটি খসড়া বিন্যাস নিচে দেয়া হলো।
তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামোর সর্বোচ্চ পদ হতে পারে প্রধান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বা চিফ ইনফরমেশন স্পেশালিস্ট। সিনিয়র সচিব পর্যায়ের এ কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন। তিনি দেশে তথ্যপ্রযুক্তি নীতি প্রণয়ন ও তার সার্বিক বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবেন এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও তার প্রয়োগ সম্পর্কে আগাম দিকনির্দেশনা দেবেন। মন্ত্রণালয়সমূহের জন্য প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব ও ডেপুটি সচিব পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তি পরিবেসক। এসব পরিসেবক তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করবেন। বিভাগীয় অফিসেও উপযুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি পরিসেবক প্রয়োজন হতে পারে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট কর্মকান্ড পরিচালনার প্রয়োজনে এবং জনগণের কাছে তথ্যসেবা পৌঁছে দেয়া এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো পরিচালনার জন্য যথাক্রমে উপ সচিব ও সহকারী সচিব পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তি পরিসেবক প্রয়োজন হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে কমপক্ষে স্নাতক পাস এসব পরিসেবক পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরিচালনায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পাবেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্যও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা প্রয়োজন। রূপকল্প ২০২১-এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঠিকভাবে প্রণয়ন করে অতিদ্রুত তথ্যপ্রযুক্তি পরিকাঠামো বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
উপসংহার
সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বে একটি সমৃদ্ধশালী, স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা রূপকল্প ২০২১-এর উদ্দেশ্য। তথ্যপ্রযুক্তির অপরিসীম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা অনুযায়ী বিশাল তথ্যপ্রযুক্তি জনবল প্রয়োজন। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে এ জনবল সৃষ্টি করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণকে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সাক্ষরতা দানের ব্যবস্থা নেয়া। এছাড়া দেশব্যাপী বিস্তৃত বিশাল তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোনির্ভর প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রয়োজন বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পরিকাঠামো।
লেখক : অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
কজ ওয়েব
ফিডব্যাক : lrahman44@gmail.com