হোম > ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য কয়েকটি ফ্রি ডাউনলোডার
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
লুৎফুন্নেছা রহমান
মোট লেখা:১৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ইন্টারনেট
তথ্যসূত্র:
ইন্টারনেট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য কয়েকটি ফ্রি ডাউনলোডার
প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে কোনো না কোনো সময় ফাইল ডাউনলোড করতে হয়৷ ফাইল ডাউনলোডের জন্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় অসংখ্য ডাউনলোড ম্যানেজার বা ডাউনলোডার৷ এ ডাউনলোড ম্যানেজারগুলো সবই যে একই রকম দক্ষ ও কার্যকর তা নয়৷ এদের কার্যকর ক্ষমতা ও বৈশিষ্ট্যে যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়৷ নিচে কয়েকটি ডাউনলোড ম্যানেজারের উল্লেখ্যযোগ্য ও কার্যকর বৈশিষ্ট্য ধরা হয়েছে৷ লক্ষণীয় ব্যাপার হলো এসব ডাউনলোড ম্যানেজার ইন্টারনেটে ফ্রি পাওয়া যায়৷
মাস ডাউনলোডার ৩.৪.৭
মাস ডাউনলোডারে রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু ফিচার সম্পৃক্ত করা হয়েছে, যা ডাউনলোড করার আগে জিপ ফাইল ব্রাউজ করতে পারে৷ যারা জিপ ফাইল ডাউনলোড করেন, তাদের জন্য এই ফিচারটি বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে৷ এক্ষেত্রে জিপ ফাইলের কনটেন্ট নিয়ে মাথা ঘামাতে হয় না৷ এর ইউজার ইন্টারফেসকে আপনি নিজের মতো করে কাস্টোমাইজ করে শুধু পছন্দের বা প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো ডিসপ্লে করাতে পারবেন৷
এটি ব্যান্ডউইডথের ব্যবহারকে সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগাতে পারে৷ মাস ডাউনলোডার ব্যবহার করে এফটিপি ও এইচটিটিপি সাইটের চমত্কার ট্রান্সফার রেট পাওয়া যায়৷ এটি SOCKS ও RTSP প্রক্সি সাপোর্ট করে৷ মাস ডাউনলোডারের নতুন ভার্সনে এক নতুন ফিচার যুক্ত করা হয়েছে যা স্ট্রিমিং ভিডিও ডাউনলোড করতে পারে৷ ইচ্ছে করলে ডাউনলোডের কার্যক্রম শুরু করার জন্য একটি বিশেষ সময় নির্ধারণ করে দিতে পারেন৷ শুধু তাই নয়, ডাউনলোড শেষে পরবর্তী ডাউনলোড কার্যক্রম কখন শুরু হবে তার সময়ও নির্ধারণ করে দিতে পারেন৷ তাছাড়া আপনি কতগুলো ডাউনলোড সক্রিয় রাখতে চান তাও নির্ধারণ করতে পারেন৷ একটি নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ ১০০টি ডাউনলোড কার্যক্রম রানিং থাকতে পারে৷
ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফিচার, যা ডাউনলোডিংয়ে সহযোগিতা প্রদান করার সঙ্গে সঙ্গে চমত্কার স্টাইলও প্রদান করে৷ ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই জন্য ডাউনলোডকে সারিবদ্ধভাবে অর্গানাইজ করা যায়৷ ডাউনলোড স্পিড বাড়ানোর জন্য সেকশন যুক্ত করতে পারবেন৷ ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারের স্পিড সর্বোচ্চ ৬০০ ভাগ পর্যন্ত বাড়ানো যায়৷ এর সর্বশেষ ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছে এক নতুন ফিচার যা ফ্ল্যাশ ভিডিও সাপোর্টের সক্ষমতা প্রদান করে৷ ভিডিওকে ইউটিউব, গুগল প্রভৃতি সাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়৷
সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট ও প্রচুর ফাইল যাতে ডাউনলোড করা যায় তার জন্য এটি সাপোর্ট করে এফটিপি ও এইচটিপি৷ ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করে বিটটরেন্ট ফাইলকে ডাউনলোড করা যায়৷ অ্যাকসেলারেটেড ডাউনলোড স্পিডটরেন্টকে দ্রুততার সঙ্গে ডাউনলোড করার সুযোগ দেয় যা ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারকে এক চমত্কার ডাউনলোডারে পরিণত করেছে৷
ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার এখন এক ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, যার অর্থ হলো এর উন্নয়নের জন্য সোর্স কোড ব্যবহারকারীদের কাছে উন্মুক্ত৷ এর সিকিউরিটির ব্যবস্থাটিও চমত্কার৷
ডাউনলোড এক্সেলারেটর প্লাস একটি ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজার৷ এর প্রিমিয়াম ভার্সনটি অধিকতর ফিচারসমৃদ্ধ যা কিনতে হয়৷ ডাউনলোড এক্সেলারেটের মূল উইন্ডোতে অনেকগুলো সাব-সেকশন রয়েছে, যা ডাউনলোডারের জন্য প্রদান করে মাল্টিপল ফাংশন৷ এগুলো ৪টি মূল সেকশনে বিভক্ত এবং উপস্থাপন করা হয়েছে ট্যাব হিসেবে৷ প্রথম ট্যাব হলো Downloads যা হ্যান্ডেল করে সব ডাউনলোড এবং গ্রিড ফরমে ডিসপ্লে করে ডাউনলোড প্রোগ্রাম ও ফাইল স্ট্যাটাস৷ ডাউনলোড এক্সেলারেটর ব্যবহার করে যা ডাউনলোড করা হয়েছে তার লিস্ট প্রদান করে Completed Download ট্যাবে৷ এটি মূলত একটি ব্রাউজার যা দ্রুততার সঙ্গে ফাইল খোঁজার জন্য ব্যবহার হয়৷ এটি সরাসরি সার্চ সাইটের সঙ্গে লিঙ্ক থেকে আপনাকে সাহায্য করবে ডাউনলোডেবল ফাইল দেখতে এবং পরে ডাউনলোড এক্সেলারেটর ব্যবহার করে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন৷ আপনি ইচ্ছে করলে পুরো সাইট বা কিছু নির্দিষ্ট ফরমেটের সিলেক্ট করা ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন৷ আর এ ধরনের কাজ করতে পারবেন ফিল্টার ব্যবহার করে৷ এটি প্রকৃত একটি এফটিপি সার্ভিস যা নিশ্চিত করবে যে আপনি সঠিক সোর্স থেকে ফাইল পাচ্ছেন৷
ওয়েবসাইট : www.dl4all.com/internet/ download_managers/5872-download-accelerator-plus-8.6.4.8
ফ্ল্যাশ গেট ১.৯.৬
এটি একটি স্বল্পমাত্রার ডাউনলোড ম্যানেজার যা দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডাউনলোড করতে পারে৷ এখানে অপ্রয়োজনীয় ফিচারগুলো পরিহার করা হয়েছে৷ তাই ফ্ল্যাশ গেট ডাউনলোড ম্যানেজার হার্ডডিস্কের কম স্পেস ব্যবহার করে৷ এতে ফাইলগুলো ছোট ছোট সাব সেকশনে ভাগ হওয়ার কারণে ডাউনলোড স্পিড প্রায় ৫০০ ভাগ বৃদ্ধি পায়৷ যদি ইন্টারনেট সংযোগটি ধীর গতির হয় যেমন ডায়ালআপ সংযোগ হয়, তাহলে ফ্ল্যাশ গেট বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে৷ এর মাল্টিসার্ভার হাইপার থ্রেডিং ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজির সহায়তায় ডাউনলোড ফাইলকে দ্রুত কপি করতে পারবেন ডিস্কের তেমন কোনো বিট না হারিয়ে৷
ফ্ল্যাশ গেটের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস ন্যুনতম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে৷ মেমরিতে ফাইল স্টোরেজকে খুব সহজেই ম্যানেজ করা যায় এই অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে৷ বিভিন্ন ধরনের ডাউনলোডের জন্য ক্যাটাগরিভাবে ফোল্ডার তৈরি করা যায় এতে৷ এর ফলে যখনই কোনো কিছু ডাউনলোড করা হবে, তখন সেটি সংশ্লিষ্ট ফোল্ডারে স্টোর হবে৷
ফ্ল্যাশ গেটের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এটি বিটটরেন্ট ফাইল সাপোর্ট ও ডাউনলোড করতে পারে৷ প্রথমে টরেন্ট ফাইলকে মেশিনে ডাউনলোড করে পরে তা ফ্ল্যাশে ওপেন করতে পারবেন৷
গেট রাইট এক চমত্কার ব্রাউজার যার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভার্সন৷ সবশেষ ভার্সনটি হলো ৬.৩ডি৷ এটি ট্রায়াল ভার্সন যা ৩০ দিন ব্যবহার করা যায়৷ এর ইউজার ইন্টারফেসটি চমত্কার হলেও ব্যাপকভাবে সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে না৷ শুধু তাই নয়, ডাউনলোড দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করার পর তা নিশ্চিত করে৷ এমনকি ডাউনলোড প্রসেসে কোনো রকম বাধা সৃষ্টি হলেও ডাউনলোড প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷
গেট রাইটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো ডাউনলোড রিকভারিংয়ের সক্ষমতা যা লিঙ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল৷ এতে এরর হ্যান্ডেলিং ম্যাকানিজ সম্পৃক্ত৷ এই ডাউনলোডার ব্যবহার করে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করা যায়৷
গেট রাইট ডিফল্ট বিটটরেন্ট ডাউনলোডার হিসেবে সেট হবে যদি একই রকম কাজ করতে পারে এমন অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম আপনার কমপিউটারে ইনস্টল করা না থাকে৷ এটি এফটিপি ও এইচটিটিপি ক্লায়েন্ট থেকে ডাউনলোড করাকে সাপোর্ট করে৷
ডাউনলোড স্পিড বাড়ানোর জন্য গেট রাইট প্রদান করে মিররের জন্য চমত্কার মনিটরিং কন্ট্রোল৷ মিরর হলো বাড়তি সোর্স যাতে রয়েছে ডাউনলোড করা ফাইলের কপি৷ গেট রাইট ব্যবহার করে বাড়তি মিরর সার্চ করতে পারবেন৷ আপনি ইচ্ছে করলে ডাউনলোড কার্যক্রমকে স্বয়ংক্রিয় করতে পারেন Automatic Mode ব্যবহার করে৷
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে কোনো না কোনো সময় ফাইল ডাউনলোড করতে হয়৷ ডাউনলোড করার জন্য দরকার কার্যকর ডাউনলোডার অ্যাপ্লিকেশন৷ আপনার কাজের ধরন ও চাহিদার ওপর ভিত্তি করে ফ্রি ডাউনলোডার অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্য থেকে বেছে নিতে পারেন কাঙ্ক্ষিত অ্যাপ্লিকেশনটি৷