লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
প্রযুক্তি ও সমাজ
গ্লোবাল ইনফরমেশন টেকনোলজি রিপোর্ট
এই তো কিছুদিন আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম প্রকাশ করলো গ্লোবাল ইনফরমেশন টেকনোলজি রিপোর্ট ২০০৭-২০০৮৷ সুদীর্ঘ এ রিপোর্ট জরিপভিত্তিক৷ এলে আইসিটির বিশ্বপ্রবণতা ধরা পড়েছে৷ শুরুতেই এই প্রবণতার বিষয়টি সংক্ষেপে উল্লেখ করে এরপর রিপোর্টের মূল বিষয় উল্লেখের প্রয়াস পাবো৷
আইসিটি আজ উদ্ভাবন আর সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নে কেন্দ্রীয় বিবেচ্য এক বিষয়৷ আইসিটি উল্লেখযোগ্য হারে শুধু উত্পাদনশীলতা বাড়িয়ে তোলেনি, বাড়িয়ে তোলেনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, পাশাপাশি তা মানবসমাজের সামনে সুযোগ করে দিয়েছে উন্নত জীবনযাপন ও সহজতর উপায়ে কর্মসম্পাদনের৷ সব ক্ষেত্রের সব স্তরের মানুষ উপভোগ করতে পারছে সে সুযোগ৷ ইন্টারনেট ব্যবসায়ে, শিক্ষায়, বিশ্ব পর্যায়ে মিথষ্ক্রিয় যোগাযোগ ইত্যাদিতে এনেছে এক নয়া বিপ্লব- তা হোক না উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল অথবা তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশেই৷
উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, শিকাগোডিজিটাল এক্সেস অ্যালায়েন্স নারে জোট সার্বজনীন ব্যান্ডউইডথ এক্সেস-কে আজ রূপ দিয়েছে এক জনঅধিকার হিসেবে৷ তেমনি ইউােপীয় কমিশনের অভিমত হচ্ছে, হাই ব্যান্ডউইডথ কানেকশন সাধারণ অর্থনৈতিক স্বার্থে প্রয়োজনীয় একটি সার্ভিস৷ প্রোভাইডাররাও ব্যান্ডউইডথকে বিবেচনা করছে একটি সার্বজনীন সেবা বা ইউনিভার্সেল সার্ভিস হিসেবে৷ যেমন অক্টোবর ২০০৭-এ যুক্তরাজ্য পোস্ট অফিস একটি নতুন সার্ভিস চালু করেছে৷ এ সার্ভিস বিশেষত চালু করা হয়েছে ব্যান্ডউইডথ সার্ভিস যারা নিয়েছে দেরি করে, তাদের জন্য৷
পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি, যেমন WiFi (ওয়াইফাই) এবং WiMax (ওয়াইম্যাক্স) গৃহীত হচ্ছে দ্রুতগতিতে এবং তা কানেকটিভিটি জোরালো করে তুলছে৷ ওয়াইফাইর দ্রুত উদ্ভব ঘছে WLAN থেকে৷ ওয়াইফাই এখন ইন্টারনেট সুবিধা দিচ্ছে ঘরে-বাইরে মোবাইল কমপিউটারে৷ এর মাধ্যমে মানুষ পাচ্ছে ওয়্যারলেস ইন্টারনেটে এক্সেস৷ বিশ্ব পর্যায়ে মানুষকে যোগাচ্ছে ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস সার্ভিস৷ উত্তর আমেরিকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দেয়া অনুমিত হিসাব মতে, একটি শহরের ৪৫ শতাংশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীই মোবাইল৷ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, গণপূর্ত কর্মী ও তদন্ত কর্মীদের প্রতিদিন অফিসের বাইরেই কাজ করতে হয়৷ অথচ তাদের প্রয়োজন হয় নানা তথ্যের৷ সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সবখানে তাদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে এমন নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে এরা যেনো ওয়্যারলেস কানেকশনের সুযোগটা পায়৷
অনেক উন্নয়নশীল দেশে ব্যবহার হচ্ছে ওয়াইম্যাক্স৷ ২০০৭ সালের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ওয়ারিদ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান Motorola and Wateen Telecom পাকিস্তানের ১৭টি শহরে ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে৷ ভারতে ওয়াইম্যাক্স পাবলিসাইজ করা হয় থ্রিজি মোবাইল টেকনোলজির চেয়ে ৩০ গুণ দ্রুততর গতিতে এবং ওয়্যারলেস ডাটা রেটের ১০০ গুণ বেশি দ্রুতগতিতে৷ ফলে ওয়াইম্যাক্স সেখানে গ্রামীণ এলাকায় কানেকটিভিটি সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে৷ এটাকে ভারতের লাস্ট-মাইল কানেকটিভিটি ইস্যু হিসেবে কালে লাগানো হচ্ছে৷ আর এটা ছিল ভারতের গ্রামীণ ইন্টারনেট টেকআপের জন্য একটা বড় সমস্যা৷ বর্ধিত হারের শেয়ারিংয়ের জন্যও ওয়াইম্যাক্স সুবিবেচিত৷ গ্রামের কানেকটিভিটি ততক্ষণ নিশ্চিত, যতক্ষণ বিদ্যুৎ পাওয়া নিশ্চিত থাকবে৷
এই বর্ধিত হারের কানেকটিভিটির সুবিধা হলো, তথ্যে বহুমুখী প্রবেশের সুযোগ৷ এতে স্বাক্ষরতার ওপর ভালো প্রভাব ফেলেছে৷ ব্যাপকভাবে তা অবদান রাখছে ডিজিটাল লিটারেসিতে৷ মানবমূল্য প্রবৃদ্ধিতে আছে এর ইতিবাচক প্রভাব৷ তা করতে সরকারের অর্থব্যয়ের প্রয়োজন সব সময় ছিল, এখনো আছে৷ বর্ধিত হারের কানেকটিভিটির কারণ আরো কম বোধগম্য অথচ সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ উপকারও রয়েছে৷ এ উপকার আছে বৃহত্তর সামাজিক প্রেক্ষাপটে৷ কানেকটিভিটির ইতিবাচক প্রভাব আছে স্বচ্ছতা, সুশাসন ও গণতন্ত্রের ওপর৷ বর্ধিত হারের কানেকটিভিটির অন্যান্য ধরনের উপকারগুলোর সংজ্ঞায়ন প্রক্রিয়া এখন শুরু হয়েছে৷ বিশেষ করে শহুরে ব্যবস্থা, জীবনের ধরন, জীবনমান ইত্যাদি ক্ষেত্রে কানেকটিভিটির ইতিবাচক প্রভাবগুলোর এখন সংজ্ঞায়ন চলছে৷ যেমন, ২০০৬ সালে প্রযুক্তি চাহিদা নির্ণয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রভাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে এক জরিপ পরিচালিত হয় সেন্ট পল শহরের জন্য৷ সে জরিপ মতে, এ শহরের একটি চাহিদা হচ্ছে নলেজ ওয়ার্কারদের একটি ক্রিয়েটিভ ক্লাস বা সৃজনশীলশ্রেণী সৃষ্টি করা৷ আকে জরিপে দেখা গেছে, এ কাজটি জোরালো করে তুলতে হাই ব্যান্ডউইডথ কানেকটিভিটির ক্ষমতা রয়েছে৷
বিশ্বজুড়ে বর্ধিত মাত্রায় কানেকটিভিটি সামাজিক দৃঢ়তা রক্ষায়ও একটা প্রধান নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর গ্রাম ও শহরের মানুষের মধ্যে ডিজিটাল গ্যাপ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারি খাতে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার পেয়েছে এই কানেকটিভিটি বাড়িয়ে তোলার বিষয়টি৷ প্রায় সব দেশে সার্বিক আইসিটি উদ্যোগ নির্বিশেষে কানেকটিভিটি পেয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার৷ আর আজকের দিনে বিভিন্ন দেশ নিজেদের প্রতিযোগিতায় টিকে রাখার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে হাই ব্যান্ডউইডথ কানেকটিভিটির ওপর৷ উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন উদ্যোগে আইসিটি অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়েছে৷
এমনি যখন অবস্থা, তখন আমরা পেলাম ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রণীত গ্লোবাল ইনফরমেশন টেকনোলজি রিপোর্ট ২০০৭-২০০৮৷ এটি এ ফোরারে প্রণীত এ ধরনের সপ্তম বার্ষিক রিপোর্ট৷ আইরিনি মিয়া এ ফোরামের উর্ধতন অর্থনীতিবিদ ও এ রিপোর্টের কো-এডিটর৷ রিপোর্টটির অপর কো-এডিটর ছিলেন সৌমিত্র দত্ত৷ তিনি কাজ করছেন শীর্ষসারির ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল Insead-এ৷ উল্লেখ্য, উলিখিত ফোরাম আলোচ্য রিপোর্টটি প্রণয়ন করে Insead-এর সহায়তায়৷ আর এ রিপোর্ট প্রণয়নে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ছিল সিসকো সিস্টেমস৷ এই রিপোর্টে রয়েছে চারটি থিমেটিক পার্ট বা অংশ৷ প্রথম অংশে অন্তর্ভুক্ত আছে ২০০৭-০৮-এর এনআরআই বা নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্স৷ আর এর সাথে আছে নেটওয়ার্ক রেডিনেস সম্পর্কিত বাছাই করা কয়েকটি বিষয়ের ওপর শেকড়সন্ধানী লেখা৷ এসব লেখায় বিশেষ আলোকপাত রয়েছে কিভাবে নেটওয়ার্ক রেডিনেস সহায়ক হতে পারে উদ্ভাবনমূলক কাজে৷ উদ্ভাবন ও আইসিটির মধ্যে সম্পর্ক থেকে শুরু করে উদ্ভাবন প্রবণতাবিষয়ক নানা প্রসঙ্গ এসেছে এসব লেখায়৷ যেমন এসব লেখায় প্রসঙ্গ এসেছে ইউনাইটেড কমিউনিকেশনস এবং বিকাশমান বাজারে টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেশন ও ই-স্কিলস-এরও৷
থিমেটিক পার্ট টু-তে আলোকপাত রয়েছে দেশ বা অঞ্চলের কেসস্টাডি৷ এতে আছে নেটওয়ার্ক রেডিনেস বাড়ানোর সর্বোত্তম নীতিমালা ও অনুশীলনগুলো৷ এ বছরের রিপোর্টে রয়েছে সিঙ্গাপুর, কাতার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেসস্টাডির গভীর বিশ্লেষণ৷
তৃতীয় অংশে দেয়া হয়েছে রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত ১২৬টি দেশের প্রোফাইল৷ প্রতিটি দেশের বর্তমান নেটওয়ার্ক রেডিনেস স্ট্যাটাস৷ আছে সুনির্দিষ্ট কিছু চলক বা ভেরিয়েবলের ব্যাপারে অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা৷ তুলনা আছে এনআরআই-এর৷ আছে অন্যান্য উপাদানেরও৷
চতুর্থ ও শেষ অংশে আছে বিস্তারিত ডাটা টেবল বা তথ্যছক৷ এতে আছে এনআরআই-এর সব কটি অর্থাৎ ৬৮টি চলরে তথ্য৷ আছে গ্লোবাল র্যা ঙ্কিং অর্থাৎ দেশগুলোর নিজ নিজ অবস্থান৷
প্রথম অংশ : নেটওয়ার্ক রেডিনেস
দুঃখের সাথে উল্লেখ করতে হয়, নেটওয়ার্ক রেডিনেস ইনডেক্স বা নেটওয়ার্কসংক্রান্ত প্রস্তুতি সূচকে ১২৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৩তম স্থানে৷ আমাদের নিচে অবস্থান নিয়েছে মাত্র ৩টি দেশ৷ দেশ তিনটি যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে, বুরুন্ডি ও চাঁদ৷ এর আগে ২০০৬-০৭ সালের এ রিপোর্টে ১২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৮তম স্থানে৷ সে বিবেচনায় আমাদের নেটওয়ার্ক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অবস্থান অবনমন ঘটেছে এবারের রিপোর্টে৷ আমাদের মতো এবার ভারতের অবস্থানও আগের ৪৪তম স্থান থেকে নেমে ৫০তম স্থানে এসেছে৷ পাকিস্তানের অবস্থান ৮৪তম থেকে নেমে এসেছে ৮৮তম স্থানে৷ শ্রীলঙ্কা অবশ্য এর অবস্থান ৮৩তম থেকে ৭৮তম স্থানে তুলে এনেছে৷
নেটওয়ার্ক রেডিনেস র্যা ঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে ডেনমার্ক৷ গত বছরও দেশটি এক নম্বরেই ছিল৷ একইভাবে পর পর দুই বছর সুইডেন দখল করলো দ্বিতীয় স্থানটি৷ এবার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড৷ আগের বছর ছিল পঞ্চম স্থানে৷ সেরা দশে স্থান পাওয়া দেশগুলো যথাক্রমে : ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আইসল্যান্ড, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র এবং নরওয়ে৷ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি নরডিক দেশগুলোর এই শীর্ষ দশে অবস্থান নেয়া থেকে এটুকু স্পষ্ট, নরডিক দেশগুলো ই-রেডিনেসে জোরালো অগ্রগতি অর্জন করে চলেছে৷ তবে সেরা বিশে বেশ কিছু এশীয় দেশও স্থান করে নিতে পেরেছে : সিঙ্গাপুর ৫ম, হংকং ১১তম, অস্ট্রিয়া ১৫তম, তাইওয়ান ১৭তম এবং জাপান ১৯তম৷ কিন্তু এশিয়ার বৃহত্তম বিকাশমান অর্থনীতির দেশ ভারতের অবস্থান ৫০তম স্থানে থাকাটা অনেকটা বেমাননই মনে হয়৷
দ্বিতীয় অংশ : কেসস্টাডি
এ অংশে আইসিটির উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর তিনটি কেসস্টাডি উপস্থাপিত হয়েছে সিঙ্গাপুর, কাতার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর৷ সিঙ্গাপুরসংশ্লিষ্ট কেসস্টাডিতে সিঙ্গাপুর চিহ্নিত হয়েছে একটি ইন্টেলিজেন্টনেশন হিসেবে৷ প্রাকৃতিক সম্পদহীন ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির একমাত্র সম্পদ এর জনগণ৷ আইসিটি দেশটির প্রবৃদ্ধিলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে মুখ্য উপাদান এই আইসিটি৷ এ কেসস্টাডির শিরোনাম সিঙ্গাপুর : বিল্ডিং অ্যান ইন্টেলিজেন্ট নেশন উইথ আইসিটি৷ এলে বলা হয়, দেশটির আইসিটি অভিযাত্রা ২৬ বছরের৷ ১৯৮১ সালের ন্যাশনাল কমপিউটারাইজেশন প্ল্যান-এর মাধ্যলে এ অভিযাত্রার শুরু৷
কাতার সম্পর্কিত কেসস্টাডিতে বলা হয়েছে : দেশটি একটি জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলছে৷ বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলোর মধ্যে কাতার একটি৷ মাথাপিছু বছরে আয় ৬২ হাজার ডলার৷ এত সম্পদ থাকলেও দেশটি অতিসম্প্রতি আধুনিকায়নের অভিযাত্রা শুরু করেছে৷ এক্ষেত্রে এখন আইসিটিকে মুখ্য হাতিয়ার ভাবা হচ্ছে৷ লক্ষ্য হচ্ছে, আইসিটির মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন, সার্বজনীন কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার কাজ দেশটিতে শুরু হয়েছে মাত্র৷ অধিকন্তু সব খাতে কয়েকগুণ ইতিবাচক প্রভাব বাড়ানো, রাজনৈতিক সংস্কারের সুফল জনগণের মাঝে পৌঁছানো এবং কাতার আধুনিক অগ্রসর জাতি গড়ায় সহায়তা যোগানোর ক্ষেত্রে আইসিটিকেই ইঞ্জিন হিসেবে ভাবছে৷ এই অভিযাত্রার শুরু ২০০৪ সালে রয়েল ডিক্রির মাধ্যমে কাতারস সুপ্রিম কাউন্সিল অব আইসিটি (ICT Qatar) গঠরে মধ্য দিয়ে৷ এর সুফল ইতোমধ্যেই কাতারবাসী পেতে শুরু করেছে, এর বিবরণ পাওয়া যায় আলোচ্য রিপোর্টের Qatar : Leveraging Technology to Create a Knowledge Based Economy in the Middle East শীর্ষক কেসস্টাডিতে৷
তৃতীয় ও চতুর্থ অংশ
তৃতীয় ও চতুর্থ অংশে রয়েছে রিপোর্টের অন্তর্ভুক্ত ১২৬টি দেশের প্রোফাইল৷ আর কিছু তথ্যছক৷ এনআরআই-এর ৬৮টি চলকের উল্লেখ আছে এ তথ্যছকে৷
বলা দরকার
গ্লোবাল ইনফরমেশন টেকনোলজি রিপোর্ট আমাদেরকে আমাদের নেটওয়ার্ক রেডিনেস সম্পর্কে বিপর্যয়কর নাজুক অবস্থাটাই জানিয়ে দিলো৷ জানি না আমাদের নীতিনির্ধারক মহল এ রিপোর্ট পড়েছেন কি না৷ পড়ে থাকলে এ ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা তাদের মুখ থেকে শোনাটাই মনে হয় যৌক্তিক ছিল৷ কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের হর্তা-কর্তারা একেবারে নিশ্চুপ৷ চোখ বুজে থাকলে কিন্তু প্রলয় থামে না৷ প্রলয় যেটা আসার আসবেই৷ কিন্তু প্রলয়ের আগের পূর্বাভাস উপলব্ধি করে প্রয়োজনীয় সতর্ক পদক্ষেপ নিয়ে বাঁচার উপায় কিন্তু একটা পাওয়া যায়৷ আমাদের জাতীয় জীবনে সে উপলব্ধিটারই অভাব সবচেয়ে বেশি৷ আর এই প্রবণতা আমরা বরাবর বেশি ঘটতে দেখছি আইসিটি খাতের বেলায়ই৷ ফলে আমরা শুধু পিছিয়েই যাই, এগিয়ে যাবার সব পথ আমাদের জন্য থাকে বন্ধ৷ এর একটা অবসান বোধহয় আজ খুবই প্রয়োজন৷
র্যাঙ্ক - দেশ
১. ডেনমার্ক
২. সুইডেন
৩. সুইজারল্যান্ড
৪. আমেরিকা
৫. সিঙ্গাপুর
৬. ফিনল্যান্ড
৭. নেদারল্যান্ডস
৮. আইসল্যান্ড
৯. দ. কোরিয়া
১০. নরওয়ে
১১. হংকং
১২. ব্রিটেন
১৩. কানাডা
১৪. অস্ট্রেলিয়া
১৫. অস্ট্রিয়া
১৬. জার্মানি
১৭. তাইওয়ান
১৮. ইসরাইল
১৯. জাপান
২০. এস্তোনিয়া
২১. ফ্রান্স
২২. নিউজিল্যান্ড
২৩. আয়ারল্যান্ড
২৪. লুক্সেমবার্গ
২৫. বেলজিয়াম
২৬. মালয়েশিয়া
২৭. মাল্টা
২৮. পর্তুগাল
২৯. আরব আমিরাত
৩০. স্লোভেনিয়া
৩১. স্পেন
৩২. কাতার
৩৩. লিথুয়ানিয়া
৩৪. চিলি
৩৫. তিউনিসিয়া
৩৬. চেক প্রজাতন্ত্র
৩৭. হাঙ্গেরি
৩৮. বার্বাডোজ
৩৯. পুয়ের্তোরিকো
৪০. থাইল্যান্ড
৪১. সাইপ্রাস
৪২. ইতালি
৪৩. স্লোভাকিয়া
৪৪. লাতভিয়া
৪৫. বাহরাইন
৪৬. জ্যামাইকা
৪৭. জর্দান
৪৮. সৌদি আরব
৪৯. ক্রোয়েশিয়া
৫০. ভারত
৫১. দ. আফ্রিকা
৫২. কুয়েত
৫৩. ওমান
৫৪. মরিশাস
৫৫. তুরস্ক
৫৬. গ্রিক
৫৭. চীন
৫৮. মেক্সিকো
৫৯. ব্রাজিল
৬০. কোস্টারিকা
৬১. রোমানিয়া
৬২. পোল্যান্ড
৬৩. মিসর
৬৪. উরুগুয়ে
৬৫. এল সালভাদর
৬৬. আজারবাইজান
৬৭. বুলগেরিয়া
৬৮. কলম্বিয়া
৬৯. ইউক্রেন
৭০. কাজাকস্তান
৭১. রাশিয়া
৭২. ভিয়েতনাম
৭৩. মরক্কো
৭৪. ডোমিনিকান
৭৫. ইন্দোনেশিয়া
৭৬. আর্জেন্টিনা
৭৭. বতসোয়ানা
৭৮. শ্রীলঙ্কা
৭৯. গুয়াতেমালা
৮০. ফিলিপিন্স
৮১. ত্রিনিদাদ ও টোবাকো
৮২. মেসিডোনিয়া
৮৩. পেরু
৮৪. সেনেগাল
৮৫. ভেনেজুয়েলা
৮৬. মঙ্গোলিয়া
৮৭. আলজেরিয়া
৮৮. পাকিস্তান
৮৯. হন্ডুরাস
৯০. জর্জিয়া
৯১. কেনিয়া
৯২. নামিবিয়া
৯৩. নাইজেরিয়া
৯৪. বসনিয়া হার্জেগোভিনা
৯৫. মলদোভা
৯৬. মৌরিতানিয়া
৯৭. তাজিকিস্তান
৯৮. মালি
৯৯. তানজানিয়া
১০০. গাম্বিয়া
১০১. গায়ানা
১০২. বুর্কিনা ফাসো
১০৩. মাদাগাস্কার
১০৪. লিবিয়া
১০৫. আর্মেনিয়া
১০৬. ইকুয়েডর
১০৭. আলবেনিয়া
১০৮. উগান্ডা
১০৯. সিরিয়া
১১০. বলিভিয়া
১১১. জাম্বিয়া
১১২. বেনিন
১১৩. কিরগিজস্তান
১১৪. কম্বোডিয়া
১১৫. নিকারাগুয়া
১১৬. সুরিনাম
১১৭. ক্যামেরুন
১১৮. নেপাল
১১৯. প্যারাগুয়ে
১২০. মোজাম্বিক
১২১. লেসেটো
১২২. ইথিওপিয়া
১২৩. বাংলাদেশ
১২৪. জিম্বাবুয়ে
১২৫. বুরুন্ডি
১২৬. চাদ
দেশ র্যা ঙ্ক ২০০৭/০৮ র্যা ঙ্ক ২০০৬/০৭
ডেনমার্ক ১ ১
সুইডেন ২ ২
সুইজারল্যান্ড ৩ ৫
আমেরিকা ৪ ৭
সিঙ্গাপুর ৫ ৩
ফিনল্যান্ড ৬ ৪
নেদারল্যান্ডস ৭ ৬
আইসল্যান্ড ৮ ৮
দ. কোরিয়া ৯ ১৯
নরওয়ে ১০ ১০
দেশ র্যাঙ্ক ২০০৭/০৮ র্যাঙ্ক ২০০৬/০৭
ডেনমার্ক ১ ১
সুইডেন ২ ২
সুইজারল্যান্ড ৩ ৫
আমেরিকা ৪ ৭
সিঙ্গাপুর ৫ ৩
ফিনল্যান্ড ৬ ৪
নেদারল্যান্ডস ৭ ৬
আইসল্যান্ড ৮ ৮
দ. কোরিয়া ৯ ১৯
নরওয়ে ১০ ১০