• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > মালয়েশিয়ায় ই-গেমিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ তৃতীয়
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এম. মিজানুর রহমান সোহেল
মোট লেখা:১০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেমস
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
মালয়েশিয়ায় ই-গেমিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ তৃতীয়
মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান কমপিউটারে ফুটবল গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৩ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করেছে বাংলাদেশ। এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ালিদ মুনির তৃতীয় এবং আকাশ চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ প্রতিযোগিতা শেষে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা ৩ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয় এশিয়ান ফুটবল গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৩ বাংলাদেশের বাছাই পর্ব। বাংলাদেশের বাছাই পর্ব আয়োজন করে আমব্রেলা ম্যানেজমেন্ট। এ ইভেন্টের সহযোগী হিসেবে ছিল ক্যাস্পারস্কি, ইউসিসি ও থারমালটেক। ইভেন্টের মিডিয়া সহযোগী হিসেবে ছিল তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ মাসিক কমপিউটার জগৎ। তিন দিনের এ প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী ছিলেন দুই শতাধিক। গেমিং প্রতিযোগিতা হয় কমপিউটার এবং প্লেস স্টেশন-৩ দুই পর্বে। তিন দিন শেষে কমপিউটার পর্বের ফাইনালে অংশ নেন ওয়ালিদ মুনির ও সিয়াম। প্লেস স্টেশন-৩-এর ফাইনালে অংশ নেন আকাশ ও আরিফ। কমপিউটার পর্বের বিজয়ী হন ওয়ালীদ মুনির এবং পেস্ন স্টেশন-৩ পর্বে বিজয়ী হন আকাশ। এশিয়ান ফুটবল গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৩-এর বাংলাদেশের বাছাই পর্ব আয়োজিত হয় মোহাম্মদপুরের র্যারগ গেমিং ক্যাফেতে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার চূড়ান্ত পর্বে যোগদান করে বাংলাদেশ ছাড়া ৮টি দেশ। ২৮ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হন ওয়ালিদ মুনির ও আকাশ। এশিয়ান ফুটবল গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপে এরা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় এরা মালয়েশিয়ায় পৌঁছান। সকাল সাড়ে ১০টায় এরা মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ওয়ালিদ প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও আকাশ চতুর্থ স্থান লাভ করেন। মালয়েশিয়ায় মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মোট ৩৬ প্রতিযোগী। মূল প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন মালয়েশিয়ার দুই প্রতিযোগী। মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।
আমব্রেলা ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার বাসিতুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, মালয়েশিয়ায় এ প্রতিযোগিতার ফলাফল থেকে একটি জিনিস লক্ষণীয়, আমাদের দেশের গেমারেরা আন্তর্জাতিক মানের এবং সুযোগ পেলে এরা দেশে এবং দেশের বাইরে আরও ভালো ফল অর্জন করতে সক্ষম হবেন। তিনি বলেন, ওয়ালিদ মুনিরের এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করার মাধ্যমে বাংলাদেশ অনেক দিন পর একটি আন্তর্জাতিক পদক লাভ করল। এ অর্জন শুধু ওয়ালিদ মুনিরের একার নয়, সবার। আমাদের দেশে কমপিউটার গেমিং অথবা ই-স্পোর্টসকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সব সময় দেখা হয় না। কিন্তু এ জায়গায় ভালো করার সুযোগ রয়েছে এর প্রমাণ দিয়েছেন ওয়ালিদ মুনির। বাসিতুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা খুব আনন্দিত এ ইভেন্ট নিয়ে। আমাদের দেশের গেমারেরা যে আমত্মর্জাতিক মানের, তা বোঝা গেল এ ইভেন্টের ফলাফলের মাধ্যমে। ভবিষ্যতে স্পন্সরদের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকলে আমরা এ ধরনের প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করতে পারব। আমব্রেলা ম্যানেজমেন্টের বর্তমান সদস্যরা হলেন বাসিতুল ইসলাম, আবিদ আশরাফ, জিয়াউল হক সৌরভ, কাজি মৈত্রী, মহীন চৌধুরী, সামি মুন্তাসির এবং মশিউর।
প্রসঙ্গত, এশিয়ান ফুটবল গেমিং চ্যাম্পিয়নশিপের মূল আয়োজক ছিল মালয়েশিয়ার গেম মুনস্টার এবং সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল টিম ডেমোলিশন স্কয়ার (ভারত) এবং আমব্রেলা ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ)।

গেম খেলার প্রতি উৎসাহ কবে থেকে জানতে চাইলে ওয়ালিদ মুনির জানান, ছোটবেলা থেকেই গেম খেলার প্রতি আমার অন্যরকম নেশা ছিল। নিজের বাসায় বা বন্ধুর বাসায় যেখানেই সুযোগ পেতাম, সেখানেই খেলতাম। তখন থেকে এ অভ্যাস নিয়মিতভাবে এখনও চলছে।

গেমিং জগতের সাথে জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ওয়ালিদ মুনির বলেন, সর্বপ্রথম গণমাধ্যমে দেখলাম কমপিউটার গেমের প্রতিযোগিতা হবে। সেই প্রতিযোগিতায় কয়েকবার অংশ নেয়ার সুযোগ হয়। এরপর থেকেই শুরম্ন হয়ে যায় আমার গেম খেলার প্রতিযোগিতা।

গেম খেলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা কে দেন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বাবা আমাকে গেম খেলার প্রতি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে তার কখনও বিরক্তি আমার চোখে পড়েনি। তিনি সব সময় এ ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে আসছেন। আর আমার বন্ধুরাও এ ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে আসছে।

গেমিংয়ে যারা ভালো করতে চান তাদের জন্য পরামর্শ হিসেবে বলেন, নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে। গেমের প্রতি বিনোদনের মনোভাব ও প্রবল ভালোবাসা থাকতে হবে। তবেই ভালো গেমার হয়ে উঠতে পারবেন।
গেমিংয়ে একজন বাংলাদেশী হিসেবে বাবা-মায়ের উৎসাহের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সাপোর্ট ছাড়া এটা খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে। কারণ, অনেকের বাবা-মা এ ব্যাপারে উৎসাহ দেন না বলে ইচ্ছা ও মেধা থাকা সত্ত্বেও ভালো কিছু করতে পারছেন না।

মালয়েশিয়ায় গেমিং প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সেরা দেশের স্বীকৃতিতে অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ভালোই লাগছে। দেশের জন্য কিছু তো আনতে পেরেছি। স্বপ্ন ছিল একটু বড়, তবুও যা পেয়েছি ওটাও ভালো।
গেমিং নিয়ে তার স্বপ্ন কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফিফাতে বাংলাদেশকে সেরা অবস্থানে নিয়ে যাব। ভবিষ্যতে বাইরে খেলতে গেলে স্বর্ণপদক নিয়ে আশাটাই মূল পরিকল্পনা।

ফিডব্যাক : mmrsohelbd@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৩ - নভেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস