• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সিভিলাইজেশন ৫ : এক্সপ্যানশন প্যাকস
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সিভিলাইজেশন ৫ : এক্সপ্যানশন প্যাকস
সিভিলাইজেশন ৫ : এক্সপ্যানশন প্যাকস

আগেই বলেছিলাম, সিভিলাইজেশন সিরিজের গেমগুলোতে তেমন একটা নাটকীয়তা নেই। কারণ, যত বড় সিদ্ধান্ত আছে সব আগেই নিয়ে ফেলতে হয়, তাই এন্ডগেম নিয়ে তেমন একটা আকর্ষণ বাকি থাকে না। সারাক্ষণ শুধু সেনাবাহিনী আর দেশ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতেও ভালো লাগে না। এ সবকিছুকে ছাড়িয়ে সিভিলাইজেশন ৫ সিরিজের বাকি গেমগুলোর মতো মোটেও নয়। কারণ সিভিলাইজেশন ৫ আর তার এক্সপ্যানশন প্যাকে ভরপুর রয়েছে রক্ত জমাট করা নাটকীয়তা আর টানটান উত্তেজনা। ফলে গেমটিকে সিরিজের অন্য গেমগুলো থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। দুটি এক্সপ্যানশন আছে সিভিলাইজেশন ৫-এ। ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড ও গডস অ্যান্ড কিংস। প্রথম কথা হলো- সিভিলাইজেশন ৫ ও এর এক্সপ্যানশনগুলো সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছে আধুনিকতা আর স্ট্র্যাটেজি গেমিংয়ের আধিপত্যের ওপর। সিভিলাইজেশন ৫ ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড নামের এক্সপ্যানশনে যুক্ত করা হয়েছে কালচার-ড্রিভেন পলিসি ট্রি, যা এর আগের এক্সপ্যানশন গডস অ্যান্ড কিংস থেকে আরও উন্নত করা হয়েছে। গডস অ্যান্ড কিংস এক্সপ্যানশনের বদলে ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্যানেল যুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি দেশ তার নিজস্ব সার্বভৌমত্বের প্রকৃতি ও সরকার ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে পারবে গেমারের ইচ্ছেমতো। গণতন্ত্র থেকে শুরু করে একনায়কতন্ত্র পর্যন্ত- সবকিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সিভিলাইজেশন ৫-এ। আর বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক পরিচালনার মাধ্যমে অর্জন করা যাবে কালচারাল পয়েন্ট, যা দিয়ে বিভিন্ন অ্যাচিভমেন্ট আনলক করা যাবে।
গডস অ্যান্ড কিংসের রিলিজের পর সিভিলাইজেশন ৫-এ যুক্ত হয়েছে ধর্ম, এসপিওনাজ, তিনটি সম্পূর্ণ নতুন গেমিং সিনারিও, নতুন ইউনিট, নতুন সিটি ও নয়টি নতুন সিভিলাইজেশন। এরপর এসেছে ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড, যেখানে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্রেড রুট, ন্যাশনাল কংগ্রেস, দুটি নতুন সিনারিও, আটটি নতুন মহাস্থাপনা ও নয়টি নতুন সিভিলাইজেশন। দুটি গেমই পরপর সিভিলাইজেশন সিরিজের মধ্যে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
সিভিলাইজেশন ৫ খেলার সময় মাথায় রাখতে হবে, প্রত্যেকটি সভ্যতা ও তাদের অন্তর্বর্তী সংস্কৃতির নিজস্ব প্রবাহমান ধারা আছে, আছে নিজস্ব নিষেধাজ্ঞা, ঐতিহ্য- নিজেদের ধাঁচে। বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৌঁছালে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক স্থাপনা তৈরি করতে হবে, যা ভবিষ্যৎ নতুন ধারণা বহন করবে। যেমন : ট্যুরিজম, ইনফ্লুয়েন্স, মরালিটি ধারণা- এসব কিছুর ওপর নির্ভর করবে। কথা হলো- সিভিলাইজেশন ৫ সবচেয়ে বড় সিভিপিডিয়া দিয়ে সমৃদ্ধ, যা গেমারদের জন্য ছোটখাটো একটি নৃতাত্ত্বিক শিক্ষাসফর হতে পারে। তারা ঘুরে দেখতে পারবেন প্রতিটি সভ্যতার পেছনে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা সংস্কৃতি ও এর পেছনের ইতিহাস, যা অনেক সময় তাদের বিস্ময়ের সীমাকেও ছাড়িয়ে যাবে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, গেমার কখনই বুঝে উঠতে পারবেন না আসলে কী ধরনের হবে তার ও তার সভ্যতার বিশাল এই যাত্রার শেষ। আর এখানেই সিরিজের অন্য গেমগুলোর সাথে এই গেমটির মূল পার্থক্য, যা যেকোনো গেমার সব মূল্য দিয়েই দেখতে চাইবেন।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো/এএমডি অ্যাথলন, র্যা ম : ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট সাউন্ড কার্ড।

লিজেন্ড অব ডন
ভয়ঙ্কর যোদ্ধা, পৌরাণিক জাদুকর, বামন, দেবতাঘেরা শহর ‘নার’। ড্রিম্যাট্রিক্স গেম স্টুডিও থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ গেম লিজেন্ড অব ডন বিশ্বজুড়ে গেমারদের আমন্ত্রণ জানায় নারের সেই রহস্যঘেরা জাদুময় দুনিয়াতে, যেখানে প্রত্যেকের অস্তিত্ব নির্ভর করে তাদের তরবারি চালনার দক্ষতা আর জাদুশক্তির ওপর। লিজেন্ড অব ডনকে অন্য যেকোনো রোল প্লেয়িং গেম থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়। কারণ, এতে রয়েছে অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা আর অনন্যসাধারণ কী কনফিগারেশন। সম্পূর্ণ ফ্রি মোড গেম হওয়া সত্ত্বেও গেমারের যেকোনো সিদ্ধান্ত গেমের ঘটনাপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে না। অস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের জাদুর ক্রাফটিং সুবিধা গেমারকে দেয় সর্বোচ্চ ক্রাফটিংয়ের সুবিধা, যা নেভাউইন্টার নাইটস বা ওয়ারিয়রস অব অরচির মতো গেমগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। গেমটির শুরুতে বিভিন্ন শ্রেণী, জাতি, পাওয়ার ট্রেন্ডের মাঝ থেকে নিজস্ব চরিত্র নির্ধারণ করে নিতে হয়। এতে রয়েছে ইচ্ছেমতো ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ ও চলাচলের সুবিধা। গেমার সম্পূর্ণ ম্যাপে ইচ্ছেমতো বিচরণ করতে পারবেন শুধু এবং শুধু একটি শর্তে বেঁচে থাকতে হবে। গেমারের ইচ্ছের প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়া হয়েছে। গেমার সম্পূর্ণ ম্যাপে যেখানে খুশি সেখানে যা ইচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ ও নিরীক্ষণ করতে পারবেন। আর সবচেয়ে ভালো লাগার মতো ব্যাপারটি হচ্ছে লিজেন্ড অব ডন সম্পূর্ণভাবে লোডিংয়ের ঝামেলা থেকে মুক্ত। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে ড্রিম্যাট্রিক্স গেম স্টুডিওর গেম প্রণেতারা বলেন, তারা চেষ্টা করেছন যাতে গেমারের সময়ের অহেতুক অপচয় না ঘটে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য গেম ডেভেলপাররা প্রথমত বিশাল মহাদেশ তৈরি করেছেন, যাতে রয়েছে ভূগর্ভস্থ অন্ধকার কারাগুহা থেকে শুরু করে বিশাল রাজ-অট্টালিকা, নতুন নতুন অঞ্চল আরও অনেক কিছু। এই বিশাল ম্যাপিংয়ের সুবিধা হলো গেমার যখন একদিক দিয়ে গেম খেলতে ব্যাস্ত থাকবেন, তখন ব্যাকস্ক্রিনে গেমের অন্যান্য উপাদান লোড হতে থাকবে। ফলে নতুন করে কোনো লোডিং স্ক্রিনের ঝামেলা নেই। এর বৈচিত্র্যময় ক্রাফটিং সুবিধা গেমারকে মগ্ন রাখবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর যারা একটু কল্পনার জগতে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তাদের কল্পনার প্রধান উপজীব্যও হয়ে বসতে পারে লিজেন্ড অব ডন। ছবির মতো অসাধারণ সুন্দর প্রাকৃতিক চিত্রকলা গেমারকে মুগ্ধ করে রাখবে। নারের সব এলাকায় রয়েছে অদ্ভুত জাদুময় রাজ্য, যেখানে পর্বতমালা মহাকর্ষের নিয়ম মেনে চলে না। এখানে আছে ভয়ঙ্কর জঙ্গল, অসংখ্য কারাগুহা, ক্যাম্প, বন্দর ও ধ্বংসসত্মূপ- যেগুলো পুরনো যুদ্ধের ক্ষত বহন করে আজও টিকে আছে। হ্রদ, বিশাল পর্বতমালা, ছোট ছোট পাহাড় যেকোনো অভিযাত্রীর হৃদয় হরণ করবে। উড়ন্ত দ্বীপ আর জাদুময় জলাভূমি মাঝেমধ্যেই গেমারকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া রয়েছে পুরনো মন্দির, প্রার্থনাস্থল, যেগুলো হিরণ্ময় করে তৈরি করা হয়েছে দেবতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য। শুধু এখানে যা নিয়ে বলা হয়েছে তা-ই নয়, বরং আরও বহু ফিচার নিয়ে ড্রিম্যাট্রিক্স স্টুডিও সাজিয়েছে গেমটিকে। তাই লিজেন্ড অব ডনের দশক-সেরা রোল প্লেয়িং গেম না হয়ে ওঠার পেছনেও কোনো কারণ নেই। চিরায়ত রোল প্লেয়িং গেমের ঘটনাপ্রবাহের সাথে যখন অত্যাধুনিক গ্রাফিক্স এবং মনোরম গেমিং পরিবেশ ও শব্দশৈলী একাকার হয়ে যায়, তখন গেম ছেড়ে উঠে আসা সত্যিই অসম্ভব হয়ে ওঠে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো ২.২ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন ৬৪ এক্স২ ৫০০০, র্যা ম : ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট পিক্সেল শেডার ৩.০ (এনভিডিয়া ৮৮০০/এটিআইএইচডি ৩৮৫০) সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস।ভিডিও কার্ড : ২৫৬ মেগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ১ গিগাবাইট সাউন্ড কার্ড

আরমা ২
স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেমাররা সচরাচর বহুদিন অপেক্ষা করে থাকেন একটি মানসম্পন্ন গেমের রিলিজের জন্য। আরমা ৩ আসলেই মানসম্পন্ন কোনো গেম কি না তা গেমাররা এতদিনে নিজেরাই যাচাই করে ফেলেছেন। তাই দিনশেষে আরমা ৩-এর প্রিসিক্যুয়ালগুলো খেলে নিলেইবা ক্ষতি কী। কথা বলছি আরমা ২ নিয়ে। এতটুকু বলা যায়, পৃথিবীর অন্য যেকোনো স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেমের মতোই বিশাল বিশাল যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়াও আরমা ২-এ আছে টানটান উত্তেজনা, অদ্ভুত নাটকীয়তা আর অবশ্যই রক্তক্ষয়, যদিও সত্যিকারের নয়। তবে যাই হোক না কেনো, আরমা সিরিজের তৃতীয় এই গেমটি গেমারকে নিয়ে যাবে বাস্তবতার অনেকখানি কাছাকাছি। দুর্দান্ত স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেম আবহের গ্রাফিক্স ও শব্দকৌশল গেমারকে বাস্তব আর গেমিংয়ের অপূর্ব সমন্বয়কে জীবন্ত করে তুলবে।
গেমের প্রেক্ষাপট ২০০৯ সালের মাঝামাঝি কোনো এক সময়ে দক্ষিণ জাগোয়ারা, যা কি না একটি কল্পিত রাষ্ট্র কেরানাউসের মধ্যে অবস্থিত। থার্ড পারসন ভিউ থেকে শুধু শুটিং নয়, বিভিন্ন যানবাহন কন্ট্রোল, অপারেশনে অন্য কমান্ডোদের নেতৃত্ব দেয়া, ইনফ্যান্ট্রি প্লেসমেন্ট সবকিছুই করা যাবে আরমা সিরিজের এই গেমে। অন্যান্য ট্র্যাকটিক্যাল বা স্ট্র্যাটেজিক গেমগুলোর সাথে আরমা ২-এর পার্থক্য এখানেই যে, অন্য গেমগুলো যেখানে ভয়াবহতার প্রচ-তা আর সিনেম্যাটিক অ্যাপিয়ারেন্সের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়, সেখানে আরমা ২ গুরুত্ব দিয়েছে লাইভ স্টাইল কমব্যাট আর যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতার ওপর। Every Bullet Counts এরকম একটা আবহের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে আরমা ২। সুতরাং সাবধান, বর্তমান গেমগুলোর মতো লাইফ রিজেনারেশন, শিল্ড রিজেনারেশনের আশায় বসে থাকলে হবে না। মৃত্যুর জন্য একটা গুলিই যথেষ্ট।
আরমা ২ পুরোটাই এমন এক প্রণোদনা, যেখানে গেমার প্রতিমুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রকে, যুদ্ধকে অনুভব করবেন নিজের প্রতিটি রক্ত-কণিকায়। সামনে থেকে ছুটে আসা গুলিকে মনে হবে যেনো নিজের কানের পাশ দিয়েই শিষ কেটে গেল। বলার অপেক্ষা রাখে না, আরমা ২ খেলতে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হচ্ছে ধৈর্য; অপেক্ষা করতে হবে প্রতিটি সতর্ক মুহূর্তের মাঝে প্রতিটি অসতর্কতার। সুযোগ বুঝে আঘাত হানতে হবে সবচেয়ে কঠিন রক্ষাব্যূহের সবচেয়ে দুর্গম কিন্তু মোলায়েম জায়গায়।
যারা এই সিরিজের একেবারেই নতুন গেমার, তাদের শুরুর দিকে একটু ঝামেলা হতে পারে গেমিং কন্ট্রোল নিয়ে। কারণ, মাউস হুইল আর স্পেসবার দিয়ে গেমের অনেকখানি চালাতে হবে। আর যদি পুরনো গেমার হয়ে থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে পুরোপুরি বাস্তব মডেলের অস্ত্র ও আর্সেনাল আপনাকে করবে মন্ত্রমুগ্ধ। সুতরাং অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ সব গেমারেরই উচিত হবে লড়াই শুরু করা।

গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো ২.২ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন, র্যা ম : ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ৫১২ মেগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস।

ফিডব্যাক : alyousufhridoy@yahoo.com

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - জুন সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস