• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ প্রকল্পে স্থবিরতা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ প্রকল্পে স্থবিরতা
কয়েক বছর আগে মাসিক কমপিউটার জগৎ একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ দেশে সর্বপ্রথম দাবি তোলে- বাংলাদেশের জন্য চাই নিজস্ব উপগ্রহ। এই প্রতিবেদনে আমরা বাংলাদেশের নিজস্ব উপগ্রহ থাকার পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরার পাশাপাশি এর অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়টির বিস্তারিত আলোচিত হয় এবং সরকারের প্রতি এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা তাগাদা রাখি, যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি আমাদের উপগ্রহ উৎক্ষেপণের উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নামতে হবে। নইলে যত দিন যাবে, ততই স্পেকট্রাম পাওয়াসহ অন্যান্য বিষয়ে জটিলতা সময়ের সাথে বাড়বে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরবর্তী সময়ে আমরা যখন জানতে পারি, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত মেয়াদে ‘বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ’ নামে একটি উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমরা সে সময়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। কারণ, আমরা মনে করি এর মাধ্যমে বাংলাদেশের নিজস্ব উপগ্রহ পাওয়ার দাবিটি পূরণ হতে যাচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘আটকে আছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প’ শিরোনামে খবরটি পড়ে আমরা এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।
পত্রিকাটির খবরে প্রকাশ- সরকারের অন্যতম আলোচিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পের অনিশ্চয়তা এখনও কাটছে না। অর্থায়ন জটিলতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এ প্রকল্পের বিষয়ে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দু’টি মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এ প্রস্তাবে অর্থায়নসহ প্রকল্পটির সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়ে দ্রুততার সাথে পর্যালোচনা ও করণীয় ঠিক করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে সার্বিক বিবেচনা ও যাচাই-বাছাই না করে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না বলে মনে করে ইআরডি।
ইআরডি সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী চীনা প্রতিষ্ঠানের গ্রেটওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এ প্রস্তাব দেয়। এ অবস্থায় মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে এবং প্রস্তাবকারীদের দ্রুত আলোচনায় বসার পরামর্শ দেন। এদিকে এ বিষয়ে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আসিফ পত্রিকাটিকে জানান- এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন। অভিজ্ঞতাও অনেক কম। ফলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে অনেক ভেবেচিন্তে। তবে আমাদের কথা হচ্ছে- আমরা যেনো ভাবনাচিমত্মা এমন শম্বুক গতিতে না করি, যেমনটি ঘটেছে ফাইবার অপটিক কানেকশন পাওয়ার ক্ষেত্রে, যেখানে আমরা কয়েক বছর পিছিয়ে গিয়েছিলাম সম্পূর্ণ অকারণে। তা ছাড়া এজন্য আমাদের অর্থনৈতিক খেসারতও কম দিতে হয়নি। তাই আমরা সময় ক্ষেপণের ব্যাপারে সতর্ক থাকার তাগিদটা এখনই দিয়ে রাখতে চাই।
আমরা জানি, বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ প্রকল্পটি ২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এটি ২০১৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। সে হিসেবে আমাদের হাতে আছে এক বছরেরও কম সময়। অতএব ভাবনা-চিমত্মা যে করতে হবে, তা দ্রুতই করতে হবে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। অনুমোদনের পর প্রকল্পটির জন্য সহজ-শর্তে ঋণ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ৫৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন উলিস্নখিত চীনা কোম্পানিটি এখন এই উপগ্রহের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে দিতে চাইছে। তাই এ ব্যাপারে একটি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। কারণ, এ কোম্পানি সহজ-শর্তে ঋণ জোগাতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত দরকার।
মনে রাখতে হবে, আমাদের নিজস্ব উপগ্রহ থাকা একটি বড় ধরনের প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতির কোনো অবকাশ নেই।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - সেপ্টেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস