• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > এশিয়ান ইনফো সুপার হাইওয়ে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
এশিয়ান ইনফো সুপার হাইওয়ে
এসকাপ তথা জাতিসংঘের ‘ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’-এর নেতৃত্বে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এশীয় অঞ্চলে একটি টেরিস্ট্রিয়াল ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে গড়ে তোলার। এই ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে এ অঞ্চলের ৩২টি সদস্য দেশে ব্যান্ডউইডথ প্রাপ্তিকে বাড়িয়ে তুলবে, একই সাথে ব্যান্ডউইডথের দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনবে। প্রস্তাবিত এই ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে হবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি, যা ১ লাখ ৪৩ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। এশীয় হাইওয়ে বরাবর এই কানেকটিভিটি গড়ে তোলা হবে।

সদস্য দেশগুলো এই মর্মে সম্মত হয়েছে একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের, যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ের নীতিমালা ও কারিগরি বিষয়ের বিস্তারিত। জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলবিষয়ক অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান এসকাপ এক বিবৃতিতে সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এ পদক্ষেপের লক্ষ্য প্রতিটি সদস্য দেশের ব্যাকবোন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলা এবং এসব দেশে ভূমিভিত্তিক ও সমুদ্রভিত্তিক ফাইবার অবকাঠামোর মধ্যকার সংযোগ আরও সুসংহত বা সুদৃঢ় করে তোলা। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে যে, এ অঞ্চলের আইসিটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য নীতিমালা তৈরির জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতে হবে। গত অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত এসকাপের আইসিটি কমিটির বৈঠকের চতুর্থ অধিবেশনে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে এ ধরনের একটি অবকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ব্যয় নির্বাহ। কিন্তু ফাইবার অপটিক ম্যাটেরিয়াল ও ফাইবার অপটিক তারের আবরক বস্ত্তর প্রকৃত ব্যয় খুব একটা বেশি না বলে অনেকের অভিমত। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খনন খাতের ব্যয়, এর নিরাপত্তা বিধানের খরচ, বিশেষত সীমান্ত এলাকায় এই হাইওয়ের নিরাপত্তার খরচ, নির্মাণাধীন এলাকার বাধা ও বিলম্বজনিত নিহিত খরচ- এমনটি মনে করেন এসকাপের নির্বাহী সচিব শমশাদ আখতার। তার মতে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো পরিবহন নেটওয়ার্ক বরাবর এই আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ করে এর নির্মাণ খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনতে পারে।

বর্তমানে উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ১৫ শতাংশের কম মানুষ উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ এ অঞ্চলের স্বল্পোন্নত ভূমি-পরিবেষ্টিত দেশগুলোতে, যেখানে সস্তায় নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম এসকাপের উল্লিখিত অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, একবার ব্যাকবোন নির্মিত হয়ে গেলে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল তথা আমত্মঃমহাদেশীয় নেটওয়ার্কের একটি হাব- এমন সম্ভাবনা প্রচুর।

জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এই ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক আরও কম দামে পাইকারি হারে ব্যান্ডউইডথ বিক্রির সুযোগ করে দেবে- এ অভিমত কলম্বোভিত্তিক আইসিটি থিঙ্কট্যাঙ্ক LIRNEasia-র সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খানের। তিনি ২০১২ সালে কলম্বোয় অনুষ্ঠিত এসকাপ বৈঠকে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে নির্মাণের ধারণা তুলে ধরেন। সেই সূত্রে জাতিসংঘের একটি সংস্থা দক্ষেণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়া এবং রাশিয়ার ব্রডব্যান্ড ও আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটির ওপর একটি সমীক্ষা চালায়। পরবর্তী সময়ে LIRNEasia এই সমীক্ষাটি পর্যালোচনা করে এবং এসকাপের জন্য নীতি সার-সংক্ষেপ তৈরি করে। গত মাসের ব্যাঙ্কক বৈঠকে এসকাপের আইসিটি ও পরিবহন উভয় বিভাগ সম্মত হয় এই প্রকল্পকে এগিয়ে নেয়ার জন্য।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রশ্নে জানা গেছে, বাংলাদেশের এশিয়ান হাইওয়ে বরাবর ভারত ও মিয়ানমার সীমামেত্মর কাছাকাছি এলাকায় চারটি ট্রানজিট পয়েন্ট থাকবে। এটি ব্যাপকভাবে দেশের ইন্টারন্যাশনাল কানেকটিভিটি সম্প্রসারিত করবে। ইউরোপের দেশগুলো টেরিস্ট্রিয়ালি কানেকটেড হয়। সেখানে ইন্টারনেট ব্যান্ডের দাম তুলনামূলকভাবে ৬ ভাগের ১ ভাগ। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জন্য অতি প্রয়োজন সস্তা ব্যান্ডউইডথ। বিশেষ করে যখন আউটসোর্সিংয়ে আমাদের দেশটি ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এশিয়ান ইনফো সুপার হাইওয়ের ব্যাপারটি সরকারকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে। আমরা সরকারকে সতর্ক করতে চাই, নববই দশকের প্রথম পাদের ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল সংযোগের ক্ষেত্রে আমরা যে ভুল করেছিলাম, সে ভুলের যেনো আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - নভেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস