• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের ওপর চাই যথাযথ নজরদারি
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
পাঠের মতামত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের ওপর চাই যথাযথ নজরদারি
তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের ওপর চাই যথাযথ নজরদারি
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউএনডিপির প্রশাসক হেলেন ক্লার্ক ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। সরকারের তথ্যমতে, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ২১টি মিউনিসিপ্যালিটি ডিজিটাল সেন্টার, ৪০৭টি ওয়ার্ড ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা গেছে- গ্রামে তথ্যসেবা পেতে এখন নানা ধরনের বাধা কাজ করছে। ফলে নিরবচ্ছিন্ন তথ্যসেবা থেকে গ্রামের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে আরও যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাহলো অনেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানই দখল করে রেখেছেন তথ্যকেন্দ্রের কমপিউটার। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলেমেয়েরা ব্যবহার করছেন ল্যাপটপ। সেবাকেন্দ্রের সোলার প্যানেলটি চেয়ারম্যানেরা নিজেদের বাড়িতে বসিয়েছেন। সেবাকেন্দ্রের আয় থেকে মাসোহারা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ কয়েকজন চেয়ারম্যান তথ্যকেন্দ্রে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান-সচিব-উদ্যোক্তাদের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে অনেক কেন্দ্র থেকে মানুষ সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
এসব তথ্য ও সেবাকেন্দ্রের বিবর্ণ চিত্র আমাদের হতাশ করে। তবে কিছু কিছু তথ্যকেন্দ্র ভালো সেবা দিলেও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণের মাসের পর মাস এসব তথ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকার খবরও পাওয়া যাচ্ছে। আরও অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো তথ্যকেন্দ্রে আর দশটি সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানের মতোই দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে। এ দুর্নীতির পথঘাট বন্ধ করতে না পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তার বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রমে যেসব কাজ শুরু হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট দুর্বলতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে সরকারের গৃহীত অনেক কর্মসূচি ব্যর্থ হতে বসেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হওয়া ছাড়া কিছুই হচ্ছে না, অন্যদিকে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়ছে। আর এসব কারণেই বোদ্ধামহল দৃঢ়ভাবে বলছে, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কথা যেভাবে প্রচার করছে, বাস্তবতা তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সরকার যেসব আইসিটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি, সেগুলো কতটুকু সুষ্ঠুভাবে চলছে, সে দিকটা উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। এসব গৃহীত প্রকল্পে নেই কোনো সুষ্ঠু তদারকি। ফলে এসব ক্ষেত্রে দৈন্য অবস্থা বিরাজ করছে। আর এ অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যক্রম ব্যর্থ হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা চাই, সরকার অন্তত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়নে আন্তরিক থাকবে। আন্তরিক থাকবে তথ্য ও সেবাকেন্দ্রসহ অন্যান্য সেবামূলক কর্মসূচির যথাযথ নজরদারিতে, যাতে কোনো অবস্থাতে কোনো ধরনের দুর্নীতি এতে জড়িয়ে না পড়ে।
শাহআলম
পাইকপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।

৩০ হাজার দক্ষ আইটি মানবসম্পদ গড়ে তোলার কার্যক্রম সফল হোক
তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন দিক আমাদের সামনে তুলে ধরছে অপার সম্ভাবনাময় অসংখ্য ক্ষেত্র। এসব ক্ষেত্রকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করে এবং সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ নিজেদের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশের তরুণ প্রজন্ম নিজেদেরকে যেমন বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, তেমনি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উপনীত করতে পেরেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশের সরকারগুলো বরাবরই তথ্যপ্রযুক্তিকে একটু খাটো করে দেখে এলেও গত ৮-১০ বছর ধরে এ দৃষ্টিভঙ্গির কিছুটা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে দেখা যাচ্ছে। বলা যায়, একটু দেরিতেই তথ্যপ্রযুক্তির গুরুত্ব বা সুফল বুঝতে পেরেছে এ দেশের সরকারগুলো। বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে ইতোমধ্যে প্রযুক্তিবান্ধব সরকার হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। ঘোষণা দিয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় এবং সে লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তেমনই এক কর্মসূচি হলো- সরকার আগামী তিন বছরে বিশ্বমানের আইসিটিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ৩০ হাজার দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং এই প্রশিক্ষণ দেবে। লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্প ও আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়ং যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন করে।
এখানে উল্লেখ্য, ৩০ হাজার প্রশিক্ষণার্থীর মধ্য থেকে ১০ হাজার আইটি ও সায়েন্স গ্র্যাজুয়েটকে দেয়া হবে টপআপ আইটি প্রশিক্ষণ এবং ২০ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক ও গ্র্যাজুয়েটকে দেয়া হবে ফাউন্ডেশন স্কিল প্রশিক্ষণ। আমরা সরকারের এ ধরনের কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাই।
সরকার উন্নয়নমূলক যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করে, যেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা হতে দেখা যায় না হাতেগোনা দুয়েকটির ব্যতিক্রম ছাড়া। সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বিভিন্ন কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। কখনও হয় আর্থিক কারণে, কখনও বা বিভিন্ন সুবিধাবাদী লোকের অনৈতিক কর্মকা--র কারণে। আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না এ কর্মসূচিতেও কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের ছোবল পড়ুক বা অন্য কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হোক। বাস্তবায়িত হোক এ কর্মসূচি। গড়ে উঠুক বছরে ৩০ হাজার আইটি দক্ষ জনবল, যা প্রকারান্তরে সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে।
আবুল বাশার
দক্ষিণ মুগদা, ঢাকা।


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস