• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কমপিউটার জগৎ-এর আয়োজনে চট্টগ্রামে হয়ে গেল জমজমাট ই-বাণিজ্য মেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সোহেল রানা
মোট লেখা:৪০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - জুন
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ই-বাণিজ্য মেলা
তথ্যসূত্র:
ই-কমার্স
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কমপিউটার জগৎ-এর আয়োজনে চট্টগ্রামে হয়ে গেল জমজমাট ই-বাণিজ্য মেলা
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা কমপিউটার জগৎ-এর আয়োজনে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও ই-ক্যাবের সহযোগিতায় ২৮ থেকে ৩০ মে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় তিন দিনব্যাপী ‘ই-জগৎ ডটকম চট্টগ্রাম ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৫’।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি রাজিব আহমেদ, ওয়ালেটমিক্সের সিইও হুমায়ুন কবির এবং কমপিউটার জগৎ ও ই-জগৎ ডটকমের সিইও আবদুল ওয়াহেদ তমাল ও মেলা সমন্বয় মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন মাসুম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন বলেন, কর্মব্যস্ত মানুষ প্রতিদিনের জীবনের ব্যস্ততা কমাতে, যানজটের ঝামেলা এড়াতে ও সময় বাঁচাতে অনলাইন কেনাকাটার দিকে ঝুঁকছেন। এভাবেই প্রতিদিন বাড়ছে প্রযুক্তিবান্ধব মানুষের সংখ্যা। অল্প সময়ই বাংলাদেশে ই-বাণিজ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ই-বাণিজ্যে পেশাদারিত্বের ছোঁয়া লেগেছে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণেরা। নতুন প্রজন্মকে ই-কমার্সের প্রতি আরও আগ্রহী করে তুলতে হবে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো ই-কমার্স। এ সেবাকে বাড়াতে পারলে দেশকে ডিজিটাল করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে ইন্টারনেট ছাড়া চাকরি অসম্ভব। ই-কমার্সের সফল বাস্তবায়নে চাই আইনের সহায়তা, সেই সাথে সরকারের যথার্থ দায়িত্ব পালন। তিনি আরও বলেন, কোনো একদিন কমার্স বলতে শুধু ই-কমার্সকে বোঝাবে।
অনুষ্ঠানে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি রাজিব আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-কমার্স খুবই সহায়ক মাধ্যম। এই প্রদশর্নীর মাধ্যমে জনগণ সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন ই-সার্ভিস সম্পর্কে সরাসরি জনতে পারেন।
ই-কমার্স উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে ই-ক্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন তাদের বিভিন্ন পণ্য/সেবা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে তুলে ধরবে। এতে জনসাধারণ উপকৃত হবেন।
মেলার আহবায়ক আবদুল ওয়াহেদ তমাল আইসিটি খাতে কমপিউটার জগৎ-এর অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, কমপিউটার জগৎ-এর যাত্রা শুরু ১৯৯১। সেই থেকে এই ২৪ বছর ধরে আইসিটি খাতকে উন্নত করার জন্য কমপিউটার জগৎ কাজ করে চলছে এবং বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়ে এসেছে। চীন ও ভারতে
ই-কমার্স এগিয়ে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে আছে। ই-কমার্সকে বেগবান করার লক্ষ্যে কমপিউটার জগৎ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ই-কমার্স নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার, মেলা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ থেকে ৩০ মে চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বার এবং দেশে-বিদেশে সপ্তমবারের মতো ই-কমার্স মেলার আয়োজন করা হয়। তিনি আরও বলেন, ই-বাণিজ্য দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের একটি সম্ভাবনাময় খাত। এর মাধ্যমে যেমন দেশের ব্যবসায়-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকা-- গতি আনা যায়, তেমনি নাগরিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায় অভাবনীয় গতিশীলতা। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার এ যুগে ই-বাণিজ্য ছাড়া ব্যবসায়-বাণিজ্য করা অনেকটাই কঠিন। দেশে ই-বাণিজ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে মেলার আহবায়ক বলেন, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, যেগুলো বাংলাদেশে ব্যবসায় করছে, তাদের পণ্য ও সেবাকে সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে উপস্থাপন করাই এ মেলার লক্ষ্য।
মেলার গোল্ড স্পন্সর ওয়ালেটমিক্সের সিইও হুমায়ুন কবির বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স সেবা কার্যকর করতে ওয়ালেটমিক্স বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষে্য ওয়ালেটমিক্স যেকোনো অনলাইন ব্যবসায়ের অনলাইন পেমেন্ট নিশ্চিত করছে। বর্তমানে সব ধরনের কার্ড ট্রানজেকশনসহ সব মোবাইল ব্যাংকিং ওয়ালেটমিক্সের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারছে। ফলে যেকোনো গ্রাহক খুব সহজেই অনলাইন পেমেন্ট করে পণ্য/সেবা নিতে পারবেন। অন্যদিকে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরাও এই পেমেন্ট সার্ভিস ব্যবহার করে লাভবান হবেন। ওয়ালেটমিক্স গ্রাহকের প্রতিটি ট্রানজেকশনের সিকিউরিটি অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে দিয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে মেলার সমন্বয় মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন শুরুতেই চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করা জন্য। তিনি বলেন, অনলাইন শপিং পরিচর্যা এবং ই-কমার্স ব্যবসায়ের জন্য এই মেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মেলার মাধ্যমে ভোক্তা ও উদ্যোক্তারা সরাসরি যোগাযোগ ও উপকৃত হবেন।
মেলায় অংশ নেয়া উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান
মেলায় মোট ৪০টি স্টল ছিল। এসব স্টলে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট, ব্যাংক, সরকারি প্রতিষ্ঠান, মোবাইল কমার্স, বিনোদন ও লাইফস্টাইল প্রতিষ্ঠান, ফেসবুকভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, বাচ্চাদের সামগ্রী, স্থানীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে। মেলায় অংশ নেয়া উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল : ই-জগৎ ডটকম, আপনজন ডটকম, এসএসএল ওয়্যারলেস, মনিহারি ডটকম, আরএনটেক, আইডেল কার্ট, সনি ভাইও, বাই মি ব্র্যান্ড ডটকম ডটবিডি, সিটিজি শপ ডটকম, শেয়ার ডিজিটালি, সফটটেক লি., ইট এনজয়, ইজিবাই ৬৯ ডটকম, বিটিসিএল ব্রড ব্যান্ড, আয়কর বিভাগ চট্টগ্রাম, ব্লেয়ার, স্টার টেক ও ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজি শপ, নিডেল ওয়ার্ক, টাইডাল, সাত রঙ, ই-কুরিয়ার, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, এইচটিএস বিডি ডটকম, ইন্টেল সিকিউরিটি, ঢাকা কম।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। মেলা প্রাঙ্গণে ছিল ফ্রি ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা।
মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের কথা
দেশের সবচেয়ে বড় ই-পেমেন্ট গেটওয়ে এসএসএল কমার্সের প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট বিশেষজ্ঞ রিসালত শামীম বলেন, বাংলাদেশীরা চাকরিসহ বিভিন্ন কাজে বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা চাইলেও দেশীয় পছন্দের গান শুনতে কিংবা গানের সিডি কিনতে পারেন না। তাই আমরা ই-টিউনসের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার গান গ্রাহকের ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে তারা সহজে ই-টিউনস থেকে গান কিনতে পারছেন।
তিনি বলেন, আমাদের আরও দুটি সেবা রয়েছে- ইজিবিডি ডটকম ও অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে প্রোভাইডার। এসব সেবার মাধ্যমে গ্রাহকেরা প্রায় ৩৯টি ব্যাংক থেকে টাকা রিচার্জ করতে পারবেন। এছাড়া যেকোনো ব্যাংক থেকে সহজে ঝামেলামুক্তভাবে লেনদেন করা যাবে। ই-বাণিজ্য মেলার মাধ্যমে আমরা দর্শনার্থীদের কাছে এসব বিষয় তুলে ধরেছি।
সিটিজি শপ ডটকমের কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন বলেন, কোনো ফি ছাড়াই চট্টগ্রামের গ্রাহকদের কাছে সব ধরনের পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে সিটিজি শপ ডটকম। এর ফলে কর্মব্যস্ত মানুষ প্রতিদিনের জীবনের ব্যস্ততম সময়ের অনেকটুকুই সাশ্রয় হচ্ছে।
আইডিওয়াইএলএল কার্টের কর্মকর্তা মালিহা হোসেন কিসমা বলেন, কিছু কিছু অললাইন শপ গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে। অনলাইনে একরকম ছবি দেখায়, কিন্তু ডেলিভারি দেয় অন্যরকম। তাই আমরা বিভিন্ন নামী-দামী ব্র্যান্ডের পণ্য কোনো চার্জ ছাড়াই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। এর ফলে তারা অনলাইনে যেরকম পণ্য দেখছেন, ডেলিভারির সময় সেরকম পণ্য বুঝে নিচ্ছেন।
এইচটিএস কর্পোরেশনের পরিচালক রাকিবুল হুদা জানান, ই-বাণিজ্যকে আরও সহজ করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার সংবলিত বিভিন্ন ট্যাব বিক্রি করা হচ্ছে।
অনলাইন শপ আপনজন ডটকমের কর্মকর্তা রাসেল বলেন, টি-শার্ট, ঘড়ি, উপহার সামগ্রীসহ প্রায় ৬০ ধরনের পণ্য গ্রাহকেরা অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন। অর্ডারের পর খুব কম সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো গ্রাহকদেরকে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন শহরে ডেলিভারির ক্ষেত্রে ৬০ টাকা ফি নেয়া হয়।
মেলায় আসা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না জাহান বলেন, মেলায় এসে ই-কমার্স সম্পর্কে নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। আসলে বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকগুণ বেড়ে গেছে। সবকিছু যদি অনলাইনকেন্দ্রিক হতো, মানুষের ঝামেলা অনেক কমে যেত। তবে দিন দিন প্রসার লাভ করছে ই-বাণিজ্য। আমি চাই প্রতিবছরই এই ধরনের মেলা চট্টগ্রামে হোক। এখানে এসে আমি ই-কমার্স সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। ই-কমার্সের মাধ্যমে আমি নিজেও পণ্য বেচাকেনায় আগ্রহী।
মেলায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়
মেলায় প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। মেলায় তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্ক- সব বয়সী মানুষের আগ্রহ ছিল নজরকাড়া। বিশেষ করে ই-বাণিজ্যের সুফল পেতে দর্শনার্থীরা দেশের বিভিন্ন ই-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে পরিচিত হন। আর মেলায় অংশ নেয়া বিভিন্ন ই-প্রতিষ্ঠান তুলে ধরে তাদের সেবা ও পণ্য। তারা গ্রাহকদের জানায় কীভাবে, কত সহজে সেবা ও পণ্য কেনা যায়। মেলায় দর্শনার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে নিজের পছন্দের জিনিসপত্র সহজে পাবেন তা জেনে নেন। আবার অনেকে এ ব্যবসায়ের সাথে জড়িত হয়ে কীভাবে ক্যারিয়ার গড়বেন তাও জেনে নেন মেলার বিভিন্ন স্টলের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে। ২৯ মে শুক্রবার বিকেলে মেলায় তারুণ্যের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো। মেলা প্রাঙ্গণের প্রবেশমুখেই দর্শনার্থীর জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। মেলায় আসা সব দর্শনার্থী ক্যুইজে অংশ নিয়ে জিতে নেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলার অফার
এবারের মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। এদের মধ্যে অনেক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-তরুণী ছিল। মেলায় বাচ্চাদের গেমিং ট্যাবের চাহিদা ছিল প্রচুর। ৫ হাজার টাকায় থ্রিজি ট্যাবলেট পিসিও ভালো সাড়া ফেলে। এছাড়া মনিহারি ডটকম, আপনজন ডটকম, আরএনটেক, ইডিলকার্ট, বাই মি ব্র্যান্ড, সিটিজি শপ, ব্লেয়ার, ই-জগৎসহ বিভিন্ন স্টলে টি-শার্ট, মেয়েদের ব্যাগ, ঘড়ি ও ল্যাপটপ, ট্যাবসহ বিভিন্ন পণ্য বিশেষ ছাড়ে পাওয়া যায়। মেলায় বিনামূল্যে প্রবেশ করে ক্যুইজে অংশ নিয়ে দর্শনার্থীরা জিতে নেন ট্যাব, স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন উপহার।
মেলার গোল্ড স্পন্সর এবং ই-কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালেটমিক্স লিমিটেড (www.walletmix.com/) মেলায় একটি মার্চেন্টের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং তিনটি মার্চেন্ট তাদের সেবা নেয়ার জন্য সাইন আপ করে।
মনিহারি ডটকম (www.monihari.com/) ওকে ব্র্যান্ডের মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন ৮৫০ টাকায় এবং ৩০০০ টাকায় স্মার্টফোন দেয়। ইজি ডটকম ডটবিডি (Easy.com.bd) ভিসা কার্ডের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাকাউন্ট রিচার্জে ৫ শতাংশ বোনাস দেয়। ইটিউন ইউজ (etune use) ২ টাকায় সারাদিন বাংলা গান শোনা যায়। শেয়ারডিজিটাল (Sharedigital) রাদি গার্ড পণ্যে ৩৩ শতাংশ ছাড় দেয়। এইচটিএস ব্র্যান্ডের ট্যাবলেট পিসিতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা মূল্যছাড় ছিল। ইডিলকার্টের (idyllkart.com) স্টল থেকে ৩০০০ টাকার পণ্য কিনলে ক্রেতা পান ১০ শতাংশ ছাড়। ইন্টেল ই-সেটে স্মার্ট সিকিউরিটি অ্যান্টিভাইরাস, ইন্টারনেট গার্ড, মোবাইল সিকিউরিটিতে ৫০ শতাংশ ছাড় এবং টি-শার্ট ফ্রি ছিল। বিটিসিএল ব্রডব্যান্ড সংযোগে কানেকশন ফি-তে ৫০০ টাকা ছাড়, বাই-মি-ব্র্যান্ড (buymebrand.com.bd) থেকে ১০০০ টাকার পণ্য কিনলে ১০ শতাংশ ছাড় ছিল। মেলাতে ই-জগৎ-এর একটি ১০০ টাকার ডিসকাউন্ট কার্ড কিনলে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়।
মেলার স্পন্সর ও পার্টনার
মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর ই-জগৎ ডটকম এবং গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল ওয়ালেটমিক্স ও তথ্যআপা। মেলার ইন্টারনেট সিকিউরিটি পার্টনার হিসেবে ছিল ইন্টেল সিকিউরিটি, কমিউনিকেশন পার্টনার আপনজন ডটকম, ইন্টারনেট পার্টনার ঢাকাকম লি., রেডিও পার্টনার ঢাকা এফএম অনলাইন, মিডিয়া পার্টনার এনটিভি অনলাইন, সেমিনার পার্টনার ইউনাইটেড পিপলস ট্রাস্ট, কুরিয়ার পার্টনার ই-কুরিয়ার লি., অনলাইন টিভি পার্টনার ওয়েবটিভি নেক্সট ডটকম, ব্লগ পার্টনার কমজগৎ ডটকম, লজিস্টিক পার্টনার অর্পণ কমিউনিকেশন লিমিটেড।
মেলার শেষ দিন
মেলার শেষ দিন দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। শেষ দিনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ক্যুইজে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
মেলা আয়োজনে প্রস্ত্ততি সভা
‘ই-জগৎ ডটকম চট্টগ্রাম ই-বাণিজ্য মেলা ২০১৫’ আয়োজনে ১৭ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিকেল ৪টায় এক মেলা প্রস্ত্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দৌলতুজ্জামান খান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ, ই-বাণিজ্য মেলার মেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ এহতেশাম উদ্দিন মাসুম, মেলার গোল্ড স্পন্সর ওয়ালেটমিক্সের সিইও মো. হুমায়ুন কবিরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মেজবাহ উদ্দিন মেলার আনুষ্ঠানিক তারিখ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-কমার্স অত্যন্ত সহায়ক মাধ্যম। এই প্রর্দশর্নীর মাধ্যমে জনগণ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ই-সার্ভিস সম্পর্কে সরাসরি জানতে পারবেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দৌলতুজ্জামান খান ই-কমার্স ও ই-সার্ভিস নিয়ে আলোচনা করেন। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ জনান, ই-কমার্স উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে এ প্রদর্শনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ই-ক্যাবের মেম্বার সংখ্যা ১৪৭টি এবং সবারই এই মেলায় আগ্রহ রয়েছে। এই মেলায় সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠন অংশ নিয়ে তাদের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে তুলে ধরতে পারবে।
উল্লেখ্য, ই-কমার্স সম্পর্কে সচেতনতা এবং ই-ব্যবসায়ের প্রসারের লক্ষ্যে কমপিউটার জগৎ ইতোমধ্যে ঢাকা বিভাগীয় শহরসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল এবং দেশের বাইরে লন্ডনে ই-বাণিজ্য মেলা সফলভাবে আয়োজন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমপিউটার জগৎ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বারের মতো এই ই-বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলার বিভিন্ন আপডেট ফেসবুকে www.facebook.com/ECommercefair পাওয়া যায়। এছাড়া মেলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.e-commercefair.com থেকেও জানা যায় প্রয়োজনীয় তথ্য


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - জুন সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস