• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্যান্ডোরাস টাওয়ার
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্যান্ডোরাস টাওয়ার
প্যান্ডোরাস টাওয়ার
ফাইনাল ফ্যান্টাসির পর সেই জনরার দায়িত্ব পালন করতে পারে তেমন কোনো গেম এখনও আসেনি। তবে প্যান্ডোরাস টাওয়ার সেই অভাব অনেকটাই পূরণ করেছে বলে সবার দাবি। একটি নারী, একটি হাতকাটা লোক, একটি টিকটিকি- সাথে মনাকল, বার- সব মিলিয়ে হিবিজিবি অবস্থা। সবাই বলে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারলে আর কোনো কিছুর দিকে খবর থাকে না মানুষের। কিন্তু প্যান্ডোরাস টাওয়ার এসব ধারণাকে নিয়ে আরেকবার ভাবাবে। রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি ঘরানার ম্যাপ স্টাইল অনেকটাই সিভিলাইজেশনের মতো। জয় করতে হবে অজানাকে, ডাঞ্জনস, প্যালেস আর রাইভাল হিরোদেরকে। সাথে আছে শক্তিশালী কাস্টমাইজেশন সেকশন, যেখানে হিরো কাস্টমাইজেশন করা যাবে। আছে ফ্যান্টাসি সেটিংস দিয়ে ইউনিট ক্র্যাফটিং, যা নিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো সেনাবাহিনীকে তৈরি করা যাবে।
পুরো প্যান্ডোরাস টাওয়ারের ব্যাটল স্কিম অসম্ভব দ্রুত। তাই দক্ষ গেমারদের জন্য এটি পারফেক্ট স্ট্র্যাটেজিক প্লাটফর্ম হলেও রুকিদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। গেমটির অসাধারণ গেমপ্লে গেমারকে দেবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা, যদিও টার্নভিত্তিক নয় এবং গ্রাফিক্স বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো উন্নত নয়। তারপরও পুরো ব্যাটল স্কিম কখনই গেমারকে একঘেয়েমিতে ফেলবে না। যুদ্ধ আরও জমজমাট হয়ে ওঠে যখন খুব শক্তিশালী কোনো হিরোর সাথে ড্রাগনদেরর ব্যাটল শুরু হয় কিংবা যখন বিশাল এক সিজ উইপনারি-মিক্সড আর্মির সামনে পড়ে কাবু হয়ে ওঠে। গেমটিতে আছে বেশ বড় টেক ট্রি, যা নিজের গেম প্ল্যান থেকে হিসাব করে বের করতেই অনেকখানি আনন্দ উপভোগ করা যাবে।
সাথে আছে স্টোরি মুডের বিশাল ম্যাপস কালেকশন, যা দিয়ে সহজেই দুই দিন চালিয়ে দেয়া যাবে। অদ্ভুত সুন্দর টেক্সচার, টেরিয়ান, রিসোর্স সবকিছুই গেমারকে মুগ্ধ করবে। সাথে তৈরি করা প্রতিটি সিটিতে থাকছে নির্দিষ্ট রেসিয়াল ইনহ্যাবিটেট, তাই সেগুলো দেখাশোনা করাটাও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হবে। সূক্ষ্ম হিসাব-নিকাশ ছাড়াও গেমারকে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ওপর কিছুটা নির্ভর করতে হবে। কারণ, গেমটির এআই যথেষ্টই ভালো প্রতিপক্ষ। সবকিছু মিলিয়ে প্যান্ডোরাস টাওয়ার গেমারকে এক সফল ও উত্তেজনাপূর্ণ রোল প্লেয়িং অ্যাকশনের অভিজ্ঞতা দেবে। তাই দেরি না করে এখনই রোল প্লেয়ার হয়ে উঠুন আর নিজেকে তৈরি করে ফেলুন দক্ষ পাজল ব্রেকার হিসেবে।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : ইন্টেল কোর টু কোয়াড বা তার সমতুল্য, র্যা ম : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭, ভিডিও কার্ড : জি ফোর্স ৬০০০ সিরিজ জিটিএস/রাডেওন বা সমতুল্য ও হার্ডডিস্ক : ৮ গিগাবাইট
স্পিস্নন্টার সেল কনভিকশন
গেমারেরা সচরাচর বহুদিন অপেক্ষা করে থাকেন একটি মানসম্পন্ন গেম রিলিজের জন্য। স্পিস্নন্টার সেল টম ক্লান্সির সিরিজের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম সিরিজ এবং এটি আসলেই মানসম্পন্ন কোনো গেম কি না, তা গেমারেরা এতদিন নিজেরাই যাচাই করে ফেলেছেন। তাই দিন শেষে স্পিস্নন্টার সেল ব্ল্যাকলিস্টের প্রিক্যুয়ালগুলো খেলে নিলেইবা ক্ষতি কী। কথা বলছি স্পিস্নন্টার সেল নিয়ে। এতটুকু বলা যায় যে, পৃথিবীর অন্য যেকোনো স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেমের মতোই বিশাল বিশাল যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়াও স্পিস্নন্টার সেল কনভিকশনে আছে টান টান উত্তেজনা, অদ্ভুত নাটকীয়তা আর অবশ্যই রক্তক্ষয়। যদিও সত্যিকারের নয়, তবে যাই হোক না কেন, স্পিস্নন্টার সেল গেমটি গেমারকে নিয়ে যাবে বাস্তবতার অনেকখানি কাছাকাছি। দুর্দান্ত স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেম আবহের গ্রাফিক্স আর অনেকটা বাস্তব শব্দকৌশল গেমারের বাস্তব আর গেমিংয়ের অপূর্ব সমন্বয়কে জীবন্ত করে তুলবে।
গেমের অম্রুতপূর্ব স্টোরি টেলিং পুরো গেমের সাথে গেমারকে একাত্ম করে ফেলবে। শুধু শুটিং নয়, বিভিন্ন যানবাহন কন্ট্রোল, অপারেশনে অন্যান্য কমান্ডোকে নেতৃত্ব দেয়া, ইনফ্যান্ট্রি প্লেসমেন্ট- সবকিছুই করা যাবে সিরিজের এই গেমটিতে। অন্যান্য টেকটিক্যাল বা স্ট্র্যাটেজিক গেমের সাথে স্পিস্নন্টার সেল কনভিকশনের পার্থক্য এখানেই যে, অন্য গেমগুলো যেখানে ভয়াবহতার প্রচ-তা আর সিনেমাটিক অ্যাপিয়ারেন্সের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়, সেখানে কনভিকশন গুরুত্ব দিয়েছে লাইভ স্টাইল কমব্যাট আর যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতার ওপর।
গেমের নায়কের নাম স্যাম ফিশার আর স্যাম ফিশারের এখন রক্তশূন্যতা। সেই থেকে গল্পের শুরু। আরম্ভ হবে স্টেলথ অ্যাকশন মোড দিয়ে। স্পিস্নন্টার সেল পুরোটাই এমন এক প্রণোদনা, যেখানে গেমার প্রতিমুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রকে, যুদ্ধকে অনুভব করবেন নিজের প্রতিটি রক্তকণিকায়। সামনে থেকে ছুটে আসা গুলিকে মনে হবে যেন নিজের কানের পাশ দিয়েই শিষ কেটে গেল। এখন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, ব্ল্যাকলিস্ট খেলতে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন তা হচ্ছে ধৈর্য। অপেক্ষা করতে হবে প্রতিটি সতর্ক মুহূর্তের মাঝে প্রতিটি অসতর্কতার। সুযোগ বুঝে আঘাত হানতে হবে কঠিন রক্ষাব্যূহের সবচেয়ে দুর্গম কিন্তু মোলায়েম জায়গায়।
যারা এই সিরিজের একেবারেই নতুন গেমার, তাদের শুরুর দিকে একটু ঝামেলা হতে পারে গেমিং কন্ট্রোল নিয়ে। আর যদি পুরনো গেমার হয়ে থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে পুরোপুরি বাস্তব মডেলের অস্ত্র ও আর্সেনাল আপনাকে করবে মন্ত্রমুগ্ধ। সুতরাং অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ সব গেমারেরই উচিত হবে স্যাম ফিশার হয়ে লড়াই শুরু করা।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো ২.২ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ১ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কিবোর্ড ও মাউস

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস