• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > জাভা দিয়ে লজিক বিল্ডিং
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: আব্দুল কাদের
মোট লেখা:৬০
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - এপ্রিল
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
জাভা
তথ্যসূত্র:
প্রোগ্রামিং
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
জাভা দিয়ে লজিক বিল্ডিং
জনপ্রিয় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জাভা। জাভার সিকিউরিটি, হাই পারফরম্যান্স ও কোড ফাইলের আকার খুব ছোট হওয়ায় এর ব্যবহার ব্যাপক। এছাড়া যেকোনো অপারেটিং সিস্টেমে রান করাই জাভার প্রধান বৈশিষ্ট্য। এ কারণেই ওয়েবসাইট বিল্ডিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল গেম তৈরি, চ্যাটিং সফটওয়্যারসহ প্লাটফরম ইন্ডিপেনডেন্ট কাজে জাভার প্রয়োগ বেশি। যেকোনো প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে লজিক গুরুত্ববপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ পর্বে জাভা দিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লজিক বাড়ানোর কৌশল দেখানো হয়েছে।
কীবোর্ড থেকে ইনপুট নেয়া
জাভা প্রোগ্রামে কীবোর্ড থেকে ইনপুট নেয়া যায় তিনটি উপায়ে : ০১. কোনো প্রোগ্রাম রান করার সময়, ০২. প্রোগ্রাম রান করার পরে বা চলা অবস্থায় ইউজারের কাছ থেকে ইনপুট নেয়া ও ০৩. উইন্ডোভিত্তিক কোনো অ্যাপ্লিকেশনে যেমন টেক্সটবক্স, টেক্সট এরিয়া ইত্যাদিতে ইনপুট দেয়া।
এ পর্বে প্রোগ্রাম রান করার সময় ইনপুট দেয়ার দুটি প্রোগ্রাম ও রানিং অবস্থায় ইনপুট নেয়ার একটি প্রোগ্রাম দেয়া হলো।
প্রথমেই আমরা ইউজারের কাছ থেকে নেয়া কয়েকটি সংখ্যার মধ্যে বড় সংখ্যাটি খুঁজে বের করার প্রোগ্রাম দেখব। এই প্রোগ্রাম রান করার সময় ইউজার কয়েকটি নাম্বার দিলে সবচেয়ে বড় নাম্বারটি দেখাবে। নিচের প্রোগ্রামটি নোটপ্যাডে টাইপ করে FindMax.java নামে সেভ করে চিত্র-২-এর মতো করে রান করতে হবে। তবে এর আগে ইনস্টল করা জাভা সফটওয়্যার (jdk1.4)-এর ড্রাইভ দেখিয়ে দেয়ার জন্য চিত্র-১ অনুসরণ করুন। এ লেখায় ফাইলগুলো C ড্রাইভের test ফোল্ডারে সেভ করা হয়েছে।
class FindMax
{
public static void main(String args[ ]) //1
{
int max=0;
int i[ ] = new int[args.length]; //2
for (int k=0; k {
i[k]=Integer.parseInt(args[k]); //3
}
max=i[0]; //4
for(int j=1; j {
if(max max=i[j];
}
System.out.println(“Max number is : “+max); //6
}
}
কোড বিশ্লেষণ
প্রোগ্রামটির শুরুতে ১নং চিহ্নিত লাইনে সধরহ মেথডের আর্গুমেন্ট হিসেবে String টাইপের অ্যারে args ডিক্লেয়ার করা হয়েছে। রান টাইমে ইউজার ইনপুট গ্রহণ করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয় এবং ইনপুটগুলো স্ট্রিং বা টেক্সট হিসেবে নেয়া হয়। এমনকি নাম্বার দিলেও তা টেক্সট হিসেবে গণ্য হয়। প্রথম ইনপুটটি args অ্যারের ০ পজিশনে (args[0]), পরেরটি ১ পজিশনে (args[1]) এভাবে ক্রমান্বয়ে ইনপুটগুলোকে সাজানো হয়। প্রোগ্রামে বড় সংখ্যাটি রাখতে বা প্রিন্ট করার জন্য সধী ভেরিয়েবল ও args অ্যারের ইনপুটগুলো নাম্বারে পরিবর্তন করে রাখার জন্য ২নং লাইনে ইন্টিজার টাইপের অ্যারে র নেয়া হয়েছে। অ্যারেতে কতগুলো ভেরিয়েবল তৈরি হবে, তা নির্দিষ্ট করে না দিয়ে ইউজার যতগুলো সংখ্যা দেবে সে সংখ্যক ভেরিয়েবল তৈরির জন্য args.length ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর for লুপ ব্যবহার করে Integer.parseInt-এর মাধ্যমে ৩নং লাইনে একটি করে ইনপুট নাম্বারে পরিবর্তন করে i অ্যারেতে রাখা হচ্ছে। আমরা প্রথমত i অ্যারের i[0] পজিশনের নাম্বারটিকে বড় ধরে নিচ্ছি এবং তা ৪নং লাইনে max ভেরিয়েবলে রেখে আরেকটি for লুপের সাহায্যে পরের নাম্বারগুলোর সাথে তুলনা করা হবে। ৫নং লাইনে if কন্ডিশন তৈরি করা হয়েছে। এখানে max ভেরিয়েবলের মান i[1] পজিশনের চেয়ে বেশি হলে নাম্বারটি max-এ রাখবে। এভাবে max-এর সাথে ক্রমান্বয়ে i[2], i[3] I i[4] নাম্বারগুলো তুলনা করে বড় সংখ্যাটি বের করা হয়, যা ৬নং লাইনে প্রিন্ট করা হচ্ছে।
চিত্র-২-এর প্রথম লাইনে প্রোগ্রামটিকে কম্পাইল করে দ্বিতীয় লাইনে প্রোগ্রামটি রান করার সময় আমরা পাঁচটি নাম্বার ব্যবহার করেছি। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি ছিল ১১০, সেটি পরের লাইনে প্রিন্ট করেছে। ইউজার ইচ্ছে করলে পাঁচটির বেশি নাম্বারও ব্যবহার করতে পারবেন।
দ্বিতীয় প্রোগ্রাম
এই প্রোগ্রাম রান করার সময় ইউজার যে নাম্বার বা টাকার অঙ্ক দেবেন তাকে ভাঙাতে কয়টি নোট (বড় সংখ্যার নোট হতে ছোট সংখ্যার) দরকার তা দেখাবে। নিচের প্রোগ্রামটি নোটপ্যাডে টাইপ করে ConvrtInNote.java নামে সেভ করে চিত্র-৩-এর মতো করে রান করতে হবে।
public class ConvrtInNote
{
public static void main(String args[])
{
int t500=0, t100=0, t50=0, t20=0, t10=0, t5=0, t2=0, t1=0;
int a = Integer.parseInt(args[0]); //1
System.out.println(a + “ taka is converting in note”);
System.out.println(“———————————”);
t500=a/500; //2
if (t500 !=0)
System.out.println(“500 Taka note need : “ + t500 + “ piece”);
t100=(a-(t500*500))/100; //3
if (t100 !=0)
System.out.println(“100 Taka note need : “ + t100 + “ piece”);
t50=(a-(t500*500 + t100*100))/50; //4
if (t50 !=0)
System.out.println(“50 Taka note need : “ + t50 + “ piece”);
t20=(a-(t500*500 + t100*100 + t50*50))/20; //5
if (t20 !=0)
System.out.println(“20 Taka note need : “ + t20 + “ piece”);
t10=(a-(t500*500 + t100*100 + t50*50 + t20*20))/10;//6
if (t10 !=0)
System.out.println(“10 Taka note need : “ + t10 + “ piece”);
t5=(a-(t500*500 + t100*100 + t50*50 + t20*20 + t10*10))/5; //7
if (t5 !=0)
System.out.println(“5 Taka note need : “ + t5 + “ piece”);
t2=(a-(t500*500 + t100*100 + t50*50 + t20*20 + t10*10 + t5*5))/2; //8
if (t2 !=0)
System.out.println(“2 Taka note need : “ + t2 + “ piece”);
t1=a-(t500*500 + t100*100 + t50*50 + t20*20 + t10*10 + t5*5 + t2*2); //9
if (t1 !=0)
System.out.println(“1 Taka note need : “ + t1 + “ piece”);
}
}
কোড বিশ্লেষণ
প্রোগ্রামটিতে আট ধরনের নোট রাখার জন্য ৮টি ইন্টিজার টাইপের ভেরিয়েবল নেয়া হয়েছে। ১নং চিহ্নিত লাইনে কীবোর্ড থেকে নেয়া ইনপুট কনভার্ট করে ধ নামের ভেরিয়েবলে রাখা হয়েছে। এরপর ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯নং লাইনে লজিক সেট করে ক্রমান্বয়ে ৫০০, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫, ২ ও ১ টাকার নোটে পরিবর্তন করা হয়েছে, যা পরবর্তী লাইনগুলোর মাধ্যমে প্রিন্ট করা হয়েছে। প্রোগ্রামটি দেখলে খুব সহজেই বোঝা যাবে।
রান টাইমে ইন্টারেকটিভ ইনপুট
প্রোগ্রামটি নোটপ্যাডে টাইপ করে InteractiveCalc.java নামে সেভ করে চিত্র-৪-এর মতো রান করাতে হবে।
import java.io.*;
class InteractiveCalc
{
public static void main(String args[])
{
int num1=0, num2=0;
char sign=’ ‘;
try
{
InputStreamReader isr=new InputStreamReader(System.in);
BufferedReader br = new BufferedReader(isr);
num1 = Integer.parseInt(br.readLine());
num2 = Integer.parseInt(br.readLine());
sign=(char)System.in.read();
}
catch(Exception e){}
switch(sign)
{
case ‘+’ :
System.out.println(“The sum is = “+ (num1+num2));
break;
case ‘-’ :
System.out.println(“The subtraction is = “ +(num1-num2));
break;
case ‘*’ :
System.out.println(“The multiply is = “ +(num1*num2));
break;
case ‘/’ :
System.out.println(“The division is = “ + (num1/num2));
break;
default: System.out.println(“Correct your input”);
}
}
}
কোড বিশ্লেষণ
প্রোগ্রামটি রান করলে রানিং অবস্থায় ইউজারকে তিনটি ইনপুট দিতে হবে। প্রথম দুটি নাম্বার ও পরেরটি চিহ্ন (যোগ, বিয়োগ, গুণ বা ভাগ করার জন্য)। এখানে দুটি নাম্বার রাখার জন্য দুটি ইন্টিজার টাইপের ভেরিয়েবল হঁস১ ও num2 এবং একটি চিহ্ন রাখার জন্য ক্যারেক্টার টাইপের ভেরিয়েবল sign নেয়া হয়েছে। তারপর switch case-এর মাধ্যমে ইউজারের দেয়া চিহ্ন অনুযায়ী যোগ, বিয়োগ, গুণ বা ভাগ হয়ে রেজাল্ট প্রিন্ট হবে।
পরে উইন্ডোভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আলোচনা করা হবে
ফিডব্যাক : balaith@gmail.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - এপ্রিল সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস