• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গ্রে গু
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গ্রে গু
গ্রে গু
‘ব্যাক-টু-দ্য ফিউচার রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি গেম’-এটুকুই যেকোনো স্ট্র্যাটেজিস্ট গেমারের জন্য গ্রে গু উদগ্রীব করে ফেলার জন্য যথেষ্ট। অত্যাধুনিক গ্রাফিক ও তিন ধাপের গেম প্লে গেমারকে এক ভিন্নমুখী অভিজ্ঞতার মুখোমুখি করাবে। স্ট্যান্ডার্ড, অ্যানিহিলেশন, ডেস্ট্রয় এইচকিউ- আজ থেকে প্রায় এক মিলেনিয়ার পর গল্পের শুরু। যে সময় মানবজাতির অভিযাত্রীরা আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রের গ্রহে পাড়ি জমিয়েছে। খুঁজে পেয়েছে কিছু এলিয়েন জাতিকে। গ্রে গু গেমটি বিশ্ববিখ্যাত গেমিং জায়ান্টের সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজিস্ট সংযোজন। নামটি এসেছে আণুবীক্ষণিক মেশিন দিয়ে পৃথিবীতে সব গ্রহ গ্রাস করার একটি সুপরিচিত অ্যাপক্যালিপ্টিক দৃশ্যকল্প থেকে।
এখানে অন্য স্ট্র্যাটেজি গেমগুলোর মতো অর্থ কিংবা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করতে হয় না, বরং অত্যাধুনিক পৃথিবীতে পরে থাকা ধ্বংসসত্মূপ থেকে পাওয়া রসদ দিয়েই কাজ চালাতে হবে গেমারকে। গেমার খেলতে পারবে ওপরের তিনটি জাতির যেকোনো একটি জাতি হিসেবে। প্রত্যেকটি জাতির রয়েছে নিজস্ব বিল্ডিং ডিজাইন, টেকনোলজি, সোলজার হিরো, সেনাবাহিনী, ভেহিকল, কানেকশন সিস্টেম ইত্যাদি। প্রত্যেক জাতির রয়েছে নিজস্ব মিলিটারি আপগ্রেড, স্ট্রাকচার আপগ্রেড, ধ্বংসাত্মক টেকসহ আরও অনেক কিছু। তবে শুধু একটি দিক দিয়ে এই গেমটি সমসাময়িক স্ট্র্যাটেজি গেম কমান্ড অ্যান্ড কনকার আর ডিউন ২ গেম দুটির অসাধারণ রিমাইন্ডার। গেমটিতে একই সাথে একাধিক জাতি নিয়ে খেলা যায় না, তবে ভিন্ন প্লেয়ার হিসেবে তা করা যাবে। অনলাইন মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের সুবিধা ছাড়াও এতে রয়েছে নিজের ইচ্ছেমতো ম্যাপে খেলার সুবিধা ও প্রত্যেক জাতির জন্য আলাদা ক্যাম্পেইন মোড। এর দুর্দান্ত জুমিং ইন সুবিধা সর্বপ্রথম রিয়েল টাইম স্ট্র্যাটেজি গেমের জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। গ্রে গু’র ভাবালুতাসম্পন্ন সংঘাত চিন্তা করার জন্য আলাদা মিশন প্রয়োজন ছিল না দুই ধরনের হিউমনয়েড; তাদের ঘাঁটি নির্মাণ করা বেশ পরিচিত গেম প্লে মানুষের একটু গানবোট থেকে সিম্ফনি চালানো, দৈত্যাকার মেক ট্যাঙ্ক এবং লুমিং রোবট ড্রোন- সব মিলিয়ে মন্দ জমবে না পুরো গেম প্লে। গেমটি যেকোনো স্ট্র্যাটেজি গেমপ্রেমীর জন্য ‘মাস্ট প্লে’ একটি গেম।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : পেন্টিয়াম ৪/ডুয়াল কোর/এএমডি অ্যাথলন, র্যা ম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড ৫১২ মেগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ১০+ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড ও কীবোর্ড

এক্সট্রিম ট্র্যাকার
ভ্যালুসফট আর এসসিওএস সফটওয়্যার বরাবরের মতো এবারও তাদের ভিন্নধর্মী সিম্যুলেশন রেসিং গেম এক্সট্রিম ট্র্যাকার এনেছে নতুন চমক। মার্সিডিজ কিংবা বিএম ডবিস্নউর তুখোড় সব রেসিং কার নয় বরং এবারের আকর্ষণ জবড়জং ট্রাক-লরি-ভ্যান ইত্যাদি। কিছুটা স্বল্প পরিসরে প্রকাশিত হলেও গেমটি সারা ইউরোপ মহাদেশে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বাজারের রাঘববোয়ালদের সাথে পালস্না দেয়া গেমটির লক্ষ্য না হলেও এক্সট্রিম ট্র্যাকার খুব ভালোমতোই এই কাজটি করতে পেরেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত অঞ্চলগুলোকে নিয়ে গেমটির রেসিং ট্র্যাকগুলো তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলের কিছু দুর্গম রাস্তাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশী গেমারদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি সংবাদ। এছাড়া এখানে মন্টানা, বলিভিয়া, উত্তর পেরু, অস্ট্রেলিয়ার দুর্গম সব পাহাড়ি, মরুভূমি, মালভূমি অঞ্চলকে রেসিং ট্র্যাকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব রেসিং ট্র্যাকের সাথে গেমার যদি একবার একাত্ম হয়ে যেতে পারেন, তবে অদ্ভুত এক আনন্দ এসে ভর করবে।
এই গেমটি অন্য গেমগুলোর মতো অনন্যসাধারণ না হলেও একটু ধৈর্যশীল। গেমাররা ঠিকই গেমটির মধ্য থেকে এর আনন্দ খুঁজে নেবেন। ভারবাহক হয়ে ট্রাক, ভ্যান বা লরিতে করে বিশাল বিশাল মালামালের প্যাকেজ গেমারকে পৌঁছে দিতে হবে হয়তো কোনো কোনো জায়গাতে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই। সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে এই সময় আর দুর্গম এলাকা। কিছু কিছু বাহন এত বিশাল আর রাস্তা এতই সরু যে গাড়ি চালাতেই হিমশিম খেতে হবে। আবার তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালাতে গেলে পড়ে যেতে পারেন পাশের গভীর খাদে কিংবা ধাক্কা লেগে নষ্ট হয়ে যেতে পারে মূল্যবান মালপত্র। ৩০ ধরনের বাহন ও মালপত্র নিয়ে মিশনগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
উত্তরের বরফ, আমেরিকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, চট্টগ্রামের ঘন অরণ্য- সব মিলিয়ে বিচিত্র পরিবেশে আর প্রতিটি প্রেক্ষাপটের আছে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা। আপনি হঠাৎ করে যখন দেখবেন আপনার সামনে-পেছনে বাংলাদেশী ট্রাক আর তাতে লেখা ‘১০০ হাত দূরে থাকুন’ কিংবা পাশে লেখা ‘সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন’ তখন হঠাৎ করে ভড়কে যেতে পারেন। হাতপাখা, ইলিশ কিংবা শাপলা প্রভৃতি যেমন আমাদের গাড়িগুলোর গায়ে অাঁকা থাকে, তেমনটি স্পষ্ট দেখতে পারবেন। ফেনী থেকে এই রাস্তা শুরু হয়ে শেষ হবে চট্টগ্রামে গিয়ে। কোনো কোনো মিশনে গ্রামীণ বাঙালি নারী কিংবা ছোট বালককে দেখা যাবে রাস্তার ধারে। অসম্ভব সুন্দর এই গেমটি নিয়ে তাই দেশপ্রেমী গেমাররা বসে পড়ুন আর উদ্বুদ্ধ হোন নিজেও।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : পেন্টিয়াম ২.৩ গিগাহার্টজ/এএমডি প্রসেসর, র্যা ম : ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ২৫৬ মেগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার, ২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস