লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
সিবি ইনসাইটস ও কেপিএমজি’র গবেষণা প্রতিবেদন: টেক স্টার্টআপে বাড়ছে ভেঞ্চার ফান্ডিং
নিউজক্রিড। বাংলাদেশের এক সফল টেক স্টার্টআপ। সাফকাত ইসলাম, ইরাজ ইসলাম ও আসিফ রহমান- এই তিন তরুণ বাংলাদেশির হাত ধরে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল এই স্টার্টআপের। এখন নিউজক্রিড নামের এই স্টার্টআপ সাফল্যের সাথে কনটেন্ট সার্ভিস ব্যবসায় চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকার মাটিতে। ঢাকার বনানীর এক গ্যারেজে কাজ শুরু হয়েছিল নিউজক্রিডের। এখন তাদের ব্যবসায়িক প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশ ছাড়িয়ে আমেরিকায়। এছাড়া ঢাকা ও লন্ডনে এদের কার্যালয় রয়েছে। মাত্র তিনজন দিয়ে শুরু করে এখন তাদের রয়েছে ১৫০ কর্মী।
জানা গেছে, দারুণ সব কনটেন্ট তৈরি করে বিজনেস ব্র্যান্ডগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে নিউজক্রিড। সেরা মিডিয়া পার্টনার, সাংবাদিকদের সাথে কাজ করে কনটেন্ট মার্কেটিংয়ে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে নিউজক্রিড। বিভিন্ন প্লাটফর্মে তাদের নিজেদের কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যাররের মাধ্যমে ক্লায়েন্টদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই বাংলাদেশি স্টার্টআপ। প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, ব্লু ক্রস ব্লু শিল্ড, স্প্রিন্ট, জেরক্স, ভিসা, ব্যাংক অব আমেরিকা, এআইজি ও টাইম ইঙ্কের মতো নামি-দামি ব্র্যান্ড এখন নিউজক্রিডের ক্লায়েন্ট। এছাড়া কনটেন্ট লাইসেন্সিং ও কনটেন্ট মিডিয়া পাবলিশারদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে নিউজক্রিড। এরা ‘দ্য নিউজ রুম’ নামে একটি নতুন সাভির্সও চালু করতে যাচ্ছে, যেখানে ফ্রিল্যান্সারেরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কনটেন্ট প্রয়োজন মতো নিজেরাই তৈরি করতে পারবে। নিচুমানের অনেক কনটেন্ট তৈরির চেয়ে মানসম্পন্ন কমসংখ্যক কনটেন্ট তৈরির দিকে নজর বেশি নিউজক্রিডের। প্রতিটি ব্লগপোস্টের জন্য নিউজক্রিড ৫০০ ডলার করে সম্মানী দেয়। আর্টিকল যদি বেশি রিসার্চ করে লেখা হয়, তবে সম্মানী বাড়িয়ে ১০০০ ডলার পর্যন্ত দেয়া হয়। কনটেন্ট প্ল্যানিং থেকে অ্যাপ্রভাল পর্যন্ত সব কাজ করে দেয় এই স্টার্টআপ। কনটেন্টের মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ডকে কী করে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তোলা যায়, তা-ই সাফল্যের সাথে প্রমাণ করে আসছে নিউজক্রিড।
এখানে সবিশেষ উল্লেখ্য, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বেশ কিছু অর্জনও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে। আমেরিকার বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছে এই সম্ভাবনাময় স্টার্টআপ। তাদের তহবিল সংগ্রহ করে দেয় ইন্টার ওয়েস্ট পার্টনারস, মেফিল্ড ফান্ড, ফার্স্টমার্ক ক্যাপিটাল ও আইএ ভেঞ্চারর মতো বড় বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড প্রতিষ্ঠান। নিউজক্রিডের মতো আরও অনেক বাংলাদেশি টেক স্টার্টআপ বিশ্ববাজার থেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা যায়। সুখের কথা, স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল জোগান দেয়ার হার এখন সময়ের সাথে বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের টেক স্টার্টআপগুলা এখন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংগ্রহের সুযোগ সহজেই নিতে পারে।
বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তথা ভিসি-ব্যাকড কোম্পানিগুলোতে ২০১৫ সালের দ্বিতীয় চতুর্থক বা কোয়ার্টারে ১৮১৯টি চুক্তির মাধ্যমে ৩২৫০ কোটি ডলারেরও বেশি তহবিল সরবরাহ করেছে। আর ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ভিসি-ব্যাকড কোম্পানিগুলো বিশ্বব্যাপী ৫৯৮০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে। ‘ভেঞ্চার পালস কোয়ার্টার ২, ২০১৫’ নামের প্রথম ত্রৈমাসিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল রিপোর্ট সিরিজে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘কেপিএমজি ইন্ট্যারন্যাশনাল’ ও ভেঞ্চার ডাটা কোম্পানি ‘সিবি ইনসাইটস’। ২০১৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ভেঞ্চার তহবিল সংগ্রহ বাড়ার পরিমাণ ২০১৪ সালের প্রথম দুই কোয়ার্টারের তুলনায় ৪৯ শতাংশ বেশি। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় ব্যাপার, কেপিএমজি ও সিবি ইনসাইটসের জরিপ মতে টেক স্টার্টআপগুলোতে ভেঞ্চার ফান্ডিংয়ের রীতিমতো জোয়ার বইছে। ২০১৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের তহবিল সরবরাহ সম্পর্কিত তথ্য ছাড়াও এই ব্যাপকধর্মী ত্রৈমাসিক রিপোর্টে প্রধান প্রধান প্রবণতা বিশেস্নষণসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষাকরা হয় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল পরিস্থিতি।
কেপিএমজি এন্টারপ্রাইজের গ্লোবাল হেড ডেনিস ফোর্টনাম বলেন, ‘ভেঞ্চার পালস কোয়ার্টারলি সিরিজ তৈরি করতে গিয়ে সিবি ইনসাইটসের সাথে বিগত দুই বছর কাজ করে আমরা অবাক হয়েছি। সিবি ইনসাইটস ইতোমধ্যেই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও বিকাশমান শিল্পের রোবাস্ট ডাটা, ইনসাইটস ও ট্রেন্ডের জন্য হয়ে উঠেছে ‘গো টু’ সোর্স। আমরা বিশ্বব্যাপী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কিত ব্যাপক পর্যালোচনা উপস্থাপনের জন্য তাদের সাথে ভবিষ্যতে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
উল্লিখিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভেঞ্চার ইনভেস্টরেরা এখন বিনিয়োগের জন্য সন্ধানে আছে ‘অন-ডিমান্ড’ স্টার্টআপের সাথে সাথে ডিজরাপটিভ টেকনোলজি ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর। এসব স্টার্টআপ টেক পণ্য ছাড়াও মুদিপণ্য থেকে শুরু করে হাউস ক্লিনিং পর্যন্ত পণ্য ও সেবা সরবরাহ করছে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালের এই জোয়ার বয়ে চলার মূল কারণ মেগা ফান্ডিং ফিন্যান্সিং ও অপ্রচলিত ধরনের বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। বড় বড় ধরনের বিনিয়োগ চুক্তি বেড়ে চলার সাথে সাথে ভিসি-ব্যাকড কোম্পানির সাথে ১০ কোটি ডলারের চেয়ে বেশি অর্থমানের মেগা-রাউন্ড ফিন্যান্সিংয়ের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ২০১৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ৬১টি মেগা-রাউন্ড ফিন্যান্সিংসহ প্রথম দুই কোয়ার্টারের ১০০টিরও বেশি মেগা-রাউন্ড ফিন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ১৬০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুদের ঋণের সাথে হেজ ফান্ড, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বড় বড় করপোরেশনের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল শাখার সম্মিলন প্রবলভাবে মূলধন পাওয়ার একটা বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সম্প্রসারণ বিশ্বজুড়ে
বিগত এক বছরে অর্থাৎ জুন-২০১৪ থেকে জুন-২০১৫ সময়ে টেক স্টার্টআপে কার্যত ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সম্প্রসারণ ঘটেছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের প্রতিটি কোনের অর্থনীতিই এই সুযোগ লাভ করেছে। ডেভেলপারদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের সাথে যোগাযোগ করার এটি একটি ভালো সময়। অভিজাত তথাকথিত ইউনিকর্নগুলো, অর্থাৎ ১০০ কোটি বা তার চেয়েও বেশি ভ্যালুয়েশনের টেক স্টার্টআপগুলোর দ্রুত বিস্তার লাভ অব্যাহত আছে। কিন্তু সব আকারের প্রাইভেট টেকনোলজি কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ স্ফীত হচ্ছে। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি ‘কুইড’ তার নিজস্ব ডাটাবেজ ব্যবহার করে এই বিস্ফোরণের পরিধি তুলে ধরে। কুইড সেসব কোম্পানিকে ‘নোভেল কোম্পানিজ অর প্রোডাক্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যেগুলো বিগত ১২ মাসে লাভ করেছে ৫০ লাখ ডলারের বা তার চেয়েও বেশি পরিমাণের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল মানি। এরা এ ধরনের ২২৩৩টি ইন্ডাস্ট্রি চিহ্নিত করেছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টেরা এ সময়ে স্টার্টআপে যে ৬৪৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, তা আগের এক বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ এবং এরও এক বছরের আগের তুলনায় ৯২ শতাংশ বেশি।
বিশ্বে জুন-২০১৪ থেকে জুন-২০১৫ সময়ে টেক কোম্পানিতে বড় মাপের উল্লেখযোগ্য ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিনিয়োগ ঘটেছে মোট ৬৪৫০ কোটি ডলারের। কুইড এই বিনিয়োগ উল্লিখিত এ সময়ে কোন খাতের টেক কোম্পানিতে কী পরিমাণে ঘটেছে, সে পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে। এমনকি কোন খাতের কোন উপ-খাতে কত পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে সে পরিসংখ্যানও প্রকাশ করেছে। সে পরিসংখ্যান মতে- এই ৬৪৫০ কোটি ডলারের মধ্যে বিগ ডাটা খাতের ২৩১টি কোম্পানি পেয়েছে ৬৪০ কোটি ডলার, আরবান মোবিলিটি ভেহিকল খাতের ১২২টি কোম্পানি পেয়েছে ৯১০ কোটি ডলার, বায়োটেক ও ফার্মা খাতের ৩০১টি কোম্পানি পেয়েছে ৮৯০ কোটি ডলার, কমিউনিকেশন ও সিকিউরিটি খাতের ২১৪টি কোম্পানি পেয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার, হেলথকেয়ার, মেডিক্যাল ও ওয়্যারেবল খাতের ৩০২টি কোম্পানি পেয়েছে ৫৯০ কোটি ডলার, লার্নিং অ্যান্ড প্লেয়িং খাতের ১২১টি কোম্পানি পেয়েছে ২৮০ কোটি ডলার, জ্বালানি শিল্প খাতের ২১১টি কোম্পানি পেয়েছে ৬০০ কোটি ডলার, বিজ্ঞাপন ও গণমাধ্যম খাতের ৩৪৪টি কোম্পানি পেয়েছে ৮৭০ কোটি ডলার এবং বিজনেস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল টেক খাতের ৩৮৮টি কোম্পানি পেয়েছে ১১৩০ কোটি ডলার।
উত্তর আমেরিকা শীর্ষে
আঞ্চলিক দিক দিয়ে উত্তর আমেরিকা বিশ্বের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কর্মকা-- অব্যাহতভাবে শীর্ষে অবস্থান করছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে ৩৭৫০ কোটি টাকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ হয়েছে। এই পরিমাণ ২০১৪ সালের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। উত্তর আমেরিকার ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বেশিরভাগ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অর্থাৎ ১৯০০ কোটি ডলার পাওয়া গেছে ১১০০টি চুক্তির মাধ্যমে। উত্তর আমেরিকার পরপরই রয়েছে এশিয়া অঞ্চলের স্থান। এশিয়া অঞ্চল চলতি বছরে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেয়েছে ১০১০ কোটি ডলারের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। এশিয়ায় প্রতিবছর ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। এশিয়ার পরেই রয়েছে ইউরোপের স্থান। ২০১৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ইউরোপ ৬৬০ কোটি ডলারের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ হয়েছে। এপ্রিল-জুন সময়ে ইউরোপ পেয়েছে ৩২০ কোটি ডলারের ভেঞ্চার ক্যাপিটাল। এর ফলে ইউরোপ ২০১৪ সালের চেয়ে মোট ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগের তুলনায় ২০১৫ সালে বেড়েছে ৬০ শতাংশ।
বৈশ্বিকভাবে করপোরেট বিনিয়োগকরীরা বিগত চার কোয়ার্টারের মোট বিনিয়োগ চুক্তির ২৫টিই সম্পন্ন করে অব্যাহতভাবে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে। এশিয়ায় করপোরেট বিনিয়োগকারীরা ২০১৫ সালে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ভিসি-ব্যাকড কোম্পানির সাথে চুক্তির ৩২টিতে অংশ নিয়েছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপও করপোরেট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ তহবিল পেয়েছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ যথাক্রমে ২৩ শতাংশ ও ২২ শতাংশ ভিসি-ব্যাকড ফিন্যান্সিং পেয়েছে, বিশেষ করে করপোরেট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশের উচিত
বিশ্বব্যাপী টেক স্টার্টআপগুলোর জন্য আজ ভেঞ্চার ক্যাপিটালের যে সুযোগ-সম্ভাবনা বিদ্যমান, তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাতকে এ ব্যাপারে সজাগ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বৈশ্বিক পর্যায়ের অনেক সম্ভাবনাময় সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে আমাদের সীমাহীন অবহেলা ছিল, যার খেসারত জাতি হিসেবে আমাদের কম দিতে হয়নি। এ ক্ষেত্রে যেন তেমনটি আর না ঘটে- এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বৈকি!
অঞ্চলভিত্তিক মুখ্য তথ্য
উত্তর আমেরিকা অঞ্চল
* আর্লি-স্টেজ ডিলের আকার বেড়ে প্রথম কোয়ার্টারের ৪৬ লাখ ডলার থেকে দ্বিতীয় কেয়ার্টারে পৌঁছে ৫৩ লাখ ডলারে।
ইউরোপ অঞ্চল
* ২০১৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে মোটামুটি ইউরোপের সব ধরনের ফান্ডিংয়ের এক-তৃতীয়াংশই পেয়েছে যুক্তরাজ্য।
* সিরিজ ‘এ’ ডিল শেয়ার বাড়লেও ইউরোপের সার্বিক আর্লি-স্টেজ ডিলের আকার দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বিগত পাঁচ কোয়ার্টারের তুলনায় সবচেয়ে কম।
* লেট-স্টেজ ইউরোপিয়ান ডিলের আকার ২০১৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে নতুন উচ্চতায় উঠেছে, যার গড় পরিমাণ ৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার।
* ভিসি-ব্যাকড কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য।
এশিয়া অঞ্চল
* এশিয়ায় ২০১৪ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারের পর থেকে লেট-স্টেজ ডিলের গড় আকার ২০১৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে এসে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ডলারের চেয়েও বেশি।
* চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আর্লি-স্টেজ ডিলের আকার নেমে এসেছে ৪১ লাখ ডলারে।
* ভারতে ভিসি-ফোকাসড ডিলের পরিমাণ বেড়ে প্রথম কোয়ার্টারের ৮৪টি থেকে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পৌঁছেছে ১২২টিতে। একই সময়ে ফান্ডিং বেড়ে পৌঁছেছে দ্বিগুণে।
* এশিয়ার ইন্টারনেট ও মোবাইল স্টার্টআপগুলোর মোট ফান্ডিং চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আগের কোয়ার্টারের তুলনায় বেড়েছে ৮২ শতাংশ, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ অঞ্চলে এই হার যথাক্রমে ৬৫ শতাংশ ও ৭৪ শতাংশ।