সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে ই-জিপি
কাজী সাঈদা মমতাজ, কমপিউটার সিস্টেম অ্যানালিস্ট, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর
ই-জিপি অর্থাৎ ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট। বাংলাদেশে চারটি অধিদফতর- সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, বিআরইবি, বিডব্লিউডিবি ই-জিপি কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর ৫০ কোটি পর্যন্ত এমএইচ দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে আহবান করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে জোন অনুযায়ী দেখা যায়, মোট ৩০৪৪টি দরপত্র ই-জিপির মাধ্যমে আহবান করা হয়েছে। ই-জিপি পোর্টালে গিয়ে e-tender ক্লিক করে Advanced Search ক্লিক করে কতকগুলো দরপত্র NOA দেয়া হয়েছে। এর কোন কোন টেন্ডার বাতিল হয়েছে এবং কোনটি Re-tender হবে তা জানা যায়। এখন দেখা যায়, জোন অনুযায়ী দরপত্রের সংখ্যা, ক্যানসেল/রিটেন্ডার/রিজেক্টের সংখ্যা। অর্থাৎ সুন্দর একটি পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে। উক্ত সংখ্যাকে যদি এভাবে দেখতে চাই যে, শতকরা কতগুলো দরপত্র বাতিল হলো বা কতগুলো রিটেন্ডার হবে, তবে তা চার্টের মাধ্যমে নিম্নে দেখতে পারি।
আমরা চিত্র দেখে খুব সহজেই বলতে পারি কত পারসেন্ট দরপত্র ক্যানসেল/রিটেন্ডার/রিজেক্ট হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাতিল দরপত্রের সংখ্যা নগণ্য। এখানে বিডারদের বা দরপত্রদাতাদের তথ্যও আছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত সব দরপত্র ই-টেন্ডার করা হয়। ই-জিপি কেন দরকার : ০১. দরপত্র প্রথমেই Annual Procurement Plan (APP) হিসেবে Web Portal-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। APP দেখে ঠিকাদার ঠিক করতে পারবেন তিনি এই দরপত্রে অংশ নেবেন কি না। যদি অংশ নেন তিনি তবে প্রস্ত্ততি নেয়ার সময় পাবেন। ০২. দরপত্রগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকেউ অংশ নিতে পারবেন। ০৩. স্বচ্ছতা বিদ্যমান। ০৪. রাজনৈতিক হয়রানি থেকে মুক্ত থাকা যায়। ০৫. স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা। ০৬. সময় ও অর্থ সাশ্রয়।
ই-জিপি পোর্টালে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তথ্যে দেখা যায়, আগস্টের ৩০ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ১৫টি দরপত্রের NOA দেয়া হয়েছে এবং ২০টি দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দরপত্রের মূল্যসহ পোর্টালে দেয়া আছে। সাধারণ মানুষ দেখতে যা পায় তা ই-জিপি না হলে কখনই জানত না।
ই-জিপি পোর্টালের কারণেই আমরা এক নজরে যেকোনো তথ্য যেকোনোভাবেই পেতে পারি। এটাই ই-জিপির সুফল। এই তথ্যগুলো কখনই সাধারণ মানুষ জানতে পারত না, যা ই-জিপির কল্যাণে জানতে পারছে
ফিডব্যাক : momtazk@rhd.gov.bd
প্রযুক্তির সাথে তারকা
নুসরাত ফারিয়া
রেজাউর রহমান রিজভী
ছোটপর্দার মডেল ও অভিনেত্রী এবং হালের বড়পর্দার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। গত ঈদুল আজহায় দুই বাংলায় মুক্তি পায় নুসরাত ফারিয়া অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আশিকী’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন কলকাতার অঙ্কুশ। চলচ্চিত্রটি এ পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসায় করেছে বলে প্রযোজনা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে খুব শিগগিরই দেখা যেতে পারে বলিউড তারকা ইমরান হাশমী ও নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকের বিপরীতে বলিউডের একটি ছবিতে। অর্থাৎ, নুসরাত ফারিয়ার গণ্ড দেশ ছেড়েও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ছে।
দেশের অন্যান্য নায়িকা ও অভিনেত্রীর পাশাপাশি নুসরাত ফারিয়াও নিয়মিত ফেসবুকিং করেন। ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও লাইক পেজ নিয়মিত আপডেট ও মেইনটেইন করেন তিনি। তার অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার হলেও লাইক পেজে কিন্তু এই সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ। প্রায় ২০ লাখ মানুষ তার ফেসবুক লাইক পেজে লাইক দিয়েছে।
নুসরাত ফারিয়া নিয়মিত বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় তার নিজের ও চলচ্চিত্র সম্পর্কে বিভিন্ন লিঙ্ক ও আপকামিং চলচ্চিত্রের ভিডিও ট্রেইলার শেয়ার দেন। তার ভক্তদের সাথে মাঝে-মধ্যে ফেসবুকে আড্ডাও দেন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে নুসরাত ফারিয়া নিজের ফেসবুক পেজে ব্যতিক্রমী এক আড্ডার আয়োজন করেন। লাইভ এই আড্ডায় ফেসবুক বন্ধু এবং ভক্তদের সাথে জমজমাট আড্ডায় মেতে ওঠেন। ১২ মিনিটে ২ হাজার ৬০০ কমেন্ট এবং ৫ লাখ ৩০ হাজার ভিউয়ার পেয়ে যান ফারিয়া। এ সময় ফারিয়া বন্ধু এবং ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং তার নতুন সিনেমা আশিকীর সাফল্যের জন্য দোয়া চান। এ প্রসঙ্গে ফারিয়া বলেন, ফেসবুকের লাইভ আড্ডা এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। জানতাম বেশ ভালো সাড়া পাব, কিন্তু এতটা সাড়া মিলবে তা ভাবিনি। তবে সময় স্বল্পতার কারণে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি ধারাবাহিক আড্ডা করার।
উল্লেখ্য, আগে অনেক তারকা ফেসবুকে এ ধরনের লাইভ আড্ডায় বসলেও সিনেমার নায়িকাদের মধ্যে নুসরাত ফারিয়াই প্রথম বসলেন।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট : https://www.facebook.com/nusraat.mazhar
ফেসবুক লাইক পেজ : www.facebook.com/nusraatfariaofficial