• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > দেশের তরুণেরা হোক আইসিটি খাতের উদ্যোক্তা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
দেশের তরুণেরা হোক আইসিটি খাতের উদ্যোক্তা
তরুণেরাই হচ্ছে একটি দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রধান শক্তি। বিশ্বের নানা দেশে বড়দের পাশাপাশি তরুণদের নানা উদ্যোগ-আয়োজন দেশোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে, তেমন উদাহরণ ভুড়িভুড়ি। তবে আইসিটি খাতে তরুণদের উদ্যোগ অন্যান্য যেকোনো খাতের চেয়ে বেশি সমোজ্জ্বল। মাইক্রাসফটের কর্ণধার বিল গেটস ও ফেসবুকের কর্ণধার জুকারবার্গে মতো আরো অনেক তরুণ উদ্যোক্তার হাত ধরেই বিশ্বপ্রযুক্তি অসাধারণ এগিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের তরুণেরা সহ বিশ্বের নানা দেশের তরুণ উদ্যোক্তাদের অসাধারণ সাফল্যের কথা গণমাধ্যম সূত্রে আমরা মাঝে মধ্যেই শুনতে পাই। আমাদের বিশ্বাস, আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমাদের দেশের তরুণদের তা সম্যক উপলব্ধি করতে হবে। তাই আমাদের তরুণদেরকেই হতে হবে আইসিটি খাতের উদ্যোক্তাদের প্রধানতম অংশ।
সম্প্রতি দেশের তরুণদের প্রতি এ ধরনেরই একটি আহবান জানিয়েছেনে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন-‘শুধু চিকিৎসক ও প্রকৌশলীর মতো প্রথাগত পেশায় আটকে না থেকে দেশের তরুণদের উদ্যোক্তা হতে হবে। ’গত ৯ ডিসেম্বর তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে রাজধানীতে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি তরুণদের প্রতি এ আহবান জানান। এ সম্মেলনের আয়োজন করে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড অরগ্যানাইজেশন (বিএসিসিও)। অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ‘এখন শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা আইনজীবী হওয়ার চেয়ে আমাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তির দিকে বেশি নজর দেয়া দরকার। আমরা চাই, আমাদের তরুণেরা উদ্যোক্তা হোক। নিজেদের উদ্যোগে এরা আউটসোর্সিং ও ফ্রিলান্সিং করুক। আইটি কোম্পানি গড়ে তুলুক, যেখানে এরা নিজেদের কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারবে এবং দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।’
সজীব ওয়াজেদ জয় তার বক্তব্যে আইসিটি খাতের বেশ কিছু সাফল্যের কথা তুলে ধরেন, যা মূলত আমাদের তরুণদের হাত ধরেই এসছে। তিনি বলেন, সরকারের ৮০ শতাংশ সেবা এখন ডিজিটাল। ডিজিটাল সেবায় বাংলাদেশ যতটা এগিয়েছে, ছয় বছর আগে তা চিন্তাও করা যেতনা। ২০০৮ সালেও দেশে বিপিও বলতে কিছু ছিল না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা মেক্সিকান বংশোদ্ভূত সান্তিয়াগো গুতিয়ারেজ বলেন, ‘২০০০ সালে বিপিও খাতে মেক্সিকোর রফতানি আয় ছিল ৫০ মিলিয়ন ডলার। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ বিলিয়ন ডলার। মেক্সিকো যদি তা পারে, বাংলাদেশও তা পারবে।’ এ প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘মেক্সিকো যে লক্ষ্য ১৫ বছরে অর্জন করেছে, আমরা তা অর্জন করতে পারব ১০ বছরেরও কম সময়ে। আউটসোর্সিংয়ের মতো কাজে আমাদের দেশের তরুণদের সুযোগ সৃষ্টি করে এদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে চাই।’
বলা দরকার-অতীতে আমরা অনেক প্রমাণ পেয়েছি, আমাদের তরুণেরা নিশ্চিতভাবেই মেধা ও মননের অধিকারী। বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও আইসিটি কোম্পানিতে কাজ করে আমাদের দেশের অনেক তরুণ উল্লেখযোগ্য সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। কিন্তু দেশে তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ আমরা করে দিতে পারছিনা। ফলে সামগ্রিকভাবে আমাদের তরুণ সমাজ তাদের প্রতিভার বিকাশের সুয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে চাই প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি। সেই সুযোগ সৃষ্টি না করে, তাদের শুধু উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবনা। আমাদের জরুরিভিত্তিতে প্রথমত দরকার, দেশে একটি তরুণ দক্ষ আইটি প্রজন্ম গড়ে তোলা নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা সীমাহীন। একটি তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলা নিশ্চিত করার পর এদের নিয়োজিত করতে হবে তিনটি ক্ষেত্রে: গবেষণার কাজে, আইসিটির বাস্তব কর্মক্ষেত্রে এবং আগ্রহীদের করে তুলতে হবে উদ্যোক্তা। গবেষণার জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জোগাড় করতে হবে প্রয়োজনীয় তহবিল। তেমনি আগ্রহী উদ্যোক্তাদেরকেও তহবিল সহায়তা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকাই একমাত্র ভরসা। এসব নিশ্চিত করলেই যদি দেশ সত্যিকার অর্থে তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ হয়। নইলে আমাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে থাকতে হবে একটি ভেন্ডরজাতি হয়েই। অন্যদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি কিনে ব্যবহার করেই আমাদের চলতে হবে। কাঙিক্ষত প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আমরা থেকে যাবো পিছিয়েই।


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস