• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কার্যক্রম শুরু করা হোক
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - ডিসেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
পাঠকের মতামত
তথ্যসূত্র:
৩য় মত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কার্যক্রম শুরু করা হোক
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কার্যক্রম শুরু করা হোক
কমপিউটার জগৎ যারা নিয়মিত পড়েন, তারা জানেন বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইটের ঘোষণা দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে, যার নামকরণও করা হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। তবে অনেক দিন পর আবার আমাদের বহুল কাঙিক্ষত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা শোনা গেল, যা শুরু হচ্ছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে। ইতোমধ্যে ফ্রান্সের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে এই স্যাটেলাইট তৈরি ও তাদের কার্যাদেশ দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করবে। ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই থ্যালাসকে এর কার্যাদেশ দেয়া হয়। থ্যালাস স্পেস সব মিলে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার প্রস্তাব করে।
মহাকাশের বিভিন্ন রেখায় স্থাপন করা ৫৩টি দেশের এক হাজারের বেশি স্যাটেলাইট যোগাযোগ ও সম্প্রচার এবং গোয়েন্দাগিরির কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হবে ৫৪তম দেশ, যাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট হতে যাচ্ছে। নিজেদের স্যাটেলাইট না থাকায় বাংলাদেশের ওপর বিদেশি পাঁচটি স্যাটেলাইট ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য অরবিটাল সস্নট (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) লিজ নিতে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ইন্টারস্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্পেস কমিউনিকেশনের সাথে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারে এই চুক্তি হয়েছে।
উল্লেখ্য, রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইট পাঠানো হয় মহাকাশে। অনেক সময় রকেট উৎক্ষেপণের আগে-পরে কিংবা অন্য যেকোনো কারণে বিগড়ে যেতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না বাংলাদেশ। এজন্য বিকল্প আরেকটি রকেট মজুদ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি ব্যর্থ হলে আরেকটি দিয়ে উৎক্ষেপণ করা হবে। এজন্য ওই প্রকল্পে খরচ কিছুটা বাড়ছে। এরপরও এটি করা হচ্ছে, কারণ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে বাংলাদেশসহ আশপাশের কয়েকটি দেশ টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা পাবে। এতে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশ নিজের ব্যবহারের জন্য রেখে দেবে। বাকি ২০টি বিক্রি করা হবে।
সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম আন্তরিকভাবে শুরু করা উচিত এখনই। বেশি দেরি হয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য খালি অরবিটাল সস্নট (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) হয়তো পরে আর নাও পাওয়া যেতে পারে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য সৃষ্টি হবে আরেক নতুন জটিলতা।
আবদুল আজিজ
আজিমপুর, ঢাকা

দ্রুত ফোরজির জন্য গাইডলাইন তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হোক
বর্তমান সরকার দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রযুক্তিবান্ধব সরকার হিসেবে বিবেচিত। কেননা, এ সরকারের শাসনামলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়, বিশেষ করে মোবাইল সেক্টরে। ফলে এক সময়ে স্ট্যাটাসসিম্বল মোবাইল ফোনের মনোপলি ব্যবসায় ভেঙ্গে যায় এবং একাধিক মোবাইল অপারেটরের আবির্ভাব ঘটে। এতে মোবাইল সেটের দাম যেমন কমেছে, তেমনি কল রেটও কমেছে এবং মোবাইল ফোন সবার হাতের মুঠোয় চলে আসে।
বিভিন্ন ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানা বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক দেরিতে এ দেশে মোবাইল সেবা টুজি থেকে উন্নীত হয়ে থ্রিজিতে রূপান্তরিত হয়।
ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) মোবাইল সেবা চালু হয়ে গেছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের দেশে অতি সম্প্রতি চালু হওয়া তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সেবার পাশাপাশি চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা চালু রাখা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এজন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) মোবাইল সেবার জন্য গাইডলাইন তৈরি করেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালে তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের ঘোষণা দেয়া হবে।
ফোরজি এবং এলটিই (লং টার্ম এভ্যুলিউশন) দ্রুত আসবে। ৭০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ও ১৮০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের ব্যবহারে প্রযুক্তি নিরপেক্ষ নীতিমালা হচ্ছে। এতে একটি তরঙ্গ দিয়ে থ্রিজি ও ফোরজি চলতে পারবে। এতে খরচও কমে আসবে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শেষের দিকে থ্রিজি প্রযুক্তির সেবা চালু করে দেশের পাঁচটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান। থ্রিজির অতিরিক্ত কিছু তরঙ্গ নিলামের তারিখ দেয়া ছিল। তবে ট্যাক্সেশন ও অন্যান্য কারণে অপারেটরেরা অংশ নিতে চায়নি। এখন তারা অংশ নেবে। কেননা, আরও উন্নত সেবার জন্য তাদের বাড়তি তরঙ্গ প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ঠিক করা হয়েছে। খুব সহসাই তা চলে আসবে এবং ফোরজির নিলাম হবে।
লক্ষণীয়, একটা সময় ছিল যখন বিটিআরসির ভূমিকা সম্পর্কে সরকারকে অনেক বিষয় জানানো হতো না। এখন অবশ্য সে পরিস্থিতি নেই। এছাড়া গঠিত হতে যাওয়া টেলিযোগাযোগ অধিদফতর সরকারকে পরামর্শ দেবে। এর ফলে বিটিআরসি আর আগের মতো তেমন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই অনেকে মনে করছেন, এ খাতের উন্নয়নের গতি কিছুটা হলেও স্তিমিত হবে। সরকারকেও বুঝতে হবে রেগুলেশনের কাজটি বিটিআরসির হাতেই থাকা উচিত। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের কর্তাব্যক্তিদের মনে রাখা দরকার, বিটিআরসি না হলে টেলিযোগাযোগ খাতের এত বিকাশ হতো না।
তবে যাই হোক, আমরা চাই খুব শিগগিরই ফোরজি মোবাইল সেবার জন্য গাইডলাইন তৈরি করে নিলাম দেয়া হোক এবং কোনো অবস্থাতেই ফোরজি নিয়ে আগের মতো টালবাহানা যেন না হয়।
ফারহানা রহমান
শাক্তা, কেরানীগঞ্জ

দেশের সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে বেসিসকে আরও উদ্যোগী হতে হবে
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) গত কয়েক বছর ধরে দেশের সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকা- করে যাচ্ছে বলে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে, বিশেষ করে যখন থেকে বেসিস দেশের সফটওয়্যার খাত থেকে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করার লক্ষমাত্রা স্থির করে তখন থেকে।
বাংলাদেশের সফটওয়্যার এবং আইটি এনাবলড সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির বিকাশ ও উন্নয়নে বেসিস যেসব কাজ করছে, সেসব কাজের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ফ্রিল্যান্সারদেরকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা। গত কয়েক বছর ধরে দেশের ফ্রিল্যান্সরদেরকে উৎসাহিত করতে বেসিস সেরা ফ্রিল্যান্সারদেরকে পুরস্কৃত করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের মতো এবারও বেসিস স্বীকৃতি দিল দেশে আউটসোর্সিংয়ে সেরা প্রায় একশ’ আউটসোর্সিং প্রফেশনাল ও প্রতিষ্ঠানকে। আউটসোর্সিংকে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এ বছর ৬৪টি জেলা থেকে সেরা ৫৮ জন ফ্রিল্যান্সার তথা আইটি উদ্যোক্তাকে এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে ৮ জন এবং ৩ জনকে নারী ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক ক্যাটাগরিতে ১৫টি কোম্পানি আউটসোর্সিং খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে। এবারই প্রথম স্টার্টআপ কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ১০টি কোম্পানিকে অ্যাওয়ার্ড দেয়া হচ্ছে।
আমরা বেসিসের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। সেই সাথে আমরা এও প্রত্যাশা করব, বেসিস সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশের জন্য শুধু ফ্রিল্যান্সারদেরকে বছরে একবার করে সম্মানিত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এ শিল্পের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোও গুরুত্বসহকারে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে, যা খুব একটা চোখে দেখা যায় না। বরং অতীতে দেখা গেছে বেসিসের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাদের দায়সারা আচরণ।
পান্থ
উত্তরা, ঢাকা

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - ডিসেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস