লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
ডেইলি স্টারের আইসিটি আওয়ার্ড এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
ডেইলি স্টারের আইসিটি আওয়ার্ড এবং প্রাসঙ্গিক কিছু কথা
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে তরুণ প্রতিভাবানদেরকে উৎসাহ ও প্রেরণা দিতে বিরাট অঙ্কের পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে। যেমন- ‘ক্লোজ আপ তোমাকেই খুজছে বাংলাদেশ’, ‘সেরাকণ্ঠ’, ‘ক্ষুদে গানরাজ’ ইত্যাদি। লক্ষণীয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে প্রতিভাবানদেরকে উৎসাহ ও প্রেরণা দিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও আইসিটি খাতের বিভিন্ন ÿÿত্রে প্রতিভাবানদের উৎসাহ ও প্রেরণা দিতে তেমন কোনো কার্যক্রম হাতে নিতে খুব একটা দেখা যায় না দুয়েকটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া।অথচ দেশের তরুণ মেধাবীরা ইতোমধ্যেই আইসিটি ক্ষÿত্রে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে ইনস্টিটিউশনাল সহযোগিতা ছাড়া সরকারি বা অন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার আলামত দেখা যায় না, যা আমাদের জন্য সত্যিকার অর্থে এক দুঃখজনক ব্যাপার।
তবে খুশির খবর এই যে, সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করতে ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার ছয়টি বিভাগে ‘দ্য ডেইলি স্টার আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস’ নামে পুরস্কার দেয়া হবে। এজন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করা হয়েছে। মনোনয়ন ফরম ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে জমা দেয়ার জন্য আহবান করা হয়।বিজয়ীদের নাম ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঘোষণা করা হবে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান আয়োজকেরা। ডেইলি স্টার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), মাইক্রোসফট এবং ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার দেয়া হবে।
যে ছয়টি বিভাগে পুরস্কার দেয়া হবে সেগুলো হলো- আইসিটি সলিউশন প্রোভাইডার অব দি ইয়ার লোকাল মার্কেট ফোকাস, আইসিটি সলিউশন প্রোভাইডার অব দি ইয়ার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট ফোকাস, আইসিটি প্রোডাক্ট অব দি ইয়ার, আইসিটি স্টার্টআপ অব দি ইয়ার, আইসিটি পারসন অব দি ইয়ার ও ই-বিজনেস অব দি ইয়ার।
লক্ষণীয়, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনে পথিকৃৎ হিসেবে খ্যাত মাসিক কমপিউটার জগৎ ১৯৯২ সালে এ দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহ ও প্রেরণা দিতে সর্বপ্রথম কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এরই ধারাবাহিকতায় কমপিউটার জগৎ আরও কয়েকটি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইউএস-এইডের সহযোগিতায়। এছাড়া কমপিউউটার জগৎ এ দেশের তরুণ মেধাবীদেরকে কমপিউটার শিক্ষায় উৎসাহ ও প্রেরণা দিতে আয়োজন করে ড. মফিজ স্মৃতি ক্যুইজ প্রতিযোগিতাসহ আরও কিছু কর্মসূচি।
আমরা চাই, কমপিউটার জগৎ যে কাজটি শুরু করে গেছে, দেশের অন্যান্য পত্রিকা এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেনো দেশে তরুণ প্রজন্মকে আইসিটিসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ করতে কমপিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করবে।ডেইলি স্টারের উদ্যোগ সফল হোক এবং ডেইলি স্টারের এ উদ্যোগকে অনুসরণ করে দেশের অন্য দৈনিক পত্রিকাগুলোও একই ধরনের উদ্যোগ নেবে- এটা আমাদের প্রত্যাশা।
আসিফ আহমেদ খান
ভোটঘর, মানিকগঞ্জ
চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ থেকে শুরু হচ্ছে ডিজিটাল ভূমিসেবা
সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভূমি-সংশ্লিষ্ট সেবা খাত।বলা হয়ে থাকে, সাধারণ জনগণের উদ্দেশে সরকারের সেবামূলক খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অথচ অবহেলিত এবং মান্ধাতার আমলের নিয়ম-কানুনে পরিচালিত খাতটি হচ্ছে ভূমিসেবা-সংশ্লিষ্ট খাত। বাংলাদেশ সরকারের ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্র বা পৌর এলাকার ভূমি অফিস থেকে ২০০ টাকা দিয়ে একটি খতিয়ান পাওয়া যাবে। চট্টগ্রাম জেলার মানুষ এ সেবার আওতায় আসবে। প্রথমদিকে আবেদনের পর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। পরে এ সময় কমে আসবে। একসময় তাৎক্ষণিকভাবেও এ সেবা পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলার ১ হাজার ৬৪টি মৌজার খতিয়ান ৪০ লাখ। এসবের মধ্যে ব্রিটিশ আমলের খতিয়ানও রয়েছে। জেলার পিএস রেকর্ড রুমটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সেখানে রক্ষিত ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের খতিয়ানগুলো ঝুরঝুরে হয়ে পড়েছে; ছুঁলেই ঝরে পড়ে। এগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ দরকার। এ চিন্তা থেকেই কমপিউটারে খতিয়ান সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। একই সাথে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও খতিয়ান দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে ভূমি অফিসগুলোকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই ভূমিবিষয়ক সেবা নেয়া যাবে। এর জন্য নামমাত্র ফি নেয়া হবে।
একজন নাগরিক সেবা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন। তার আবেদন গ্রহণ করার পর এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ান সরবরাহ করা হবে। তিনি বলেন, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ডাটাবেজে আপলোড করা হবে। এরপর আবেদনকারী খতিয়ান পাবেন। এর জন্য ভূমি অফিস বা জেলা প্রশাসনের রেকর্ডরুমে আসতে হবে না। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ভূমি সংক্রান্ত সব রেকর্ড ডাটাবেজে আপলোড করা হবে। তখন সেবা গ্রহীতারা আবেদন করার পরই খতিয়ান পেয়ে যাবেন। চট্টগ্রামে ২১৪টি ডিজিটাল সেন্টার হবে।
চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ভূমি অফিসগুলোকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আরও কিছু জেলাকে এ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে খতিয়ান সরবরাহের বিষয়টির দেখভাল করছেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যক্রম সফল হোক- এ প্রত্যাশা আমাদের সবার। আমরা চাই চট্টগ্রাম জেলার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এ উদ্যোগ বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার প্রশাসন অনুসরণ করবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ÿÿত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
শাহআলম মজুমদার
বনানী, ঢাকা
দেশের সব মানুষের জন্য ই-আইডি কার্ড চালুর আশাবাদ
সরকারি-বেসরকারি সেবা দেয়া নিশ্চিত করতে এবং সেবামূলক কার্যক্রমে অর্থ অপচয় রোধ এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু করা হয়েছে ইলেকট্রনিক আইডি (ই-আইডি) কার্ড।সম্প্রতি পৃথিবীর উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষকে সহজে সেবা দেয়ার লÿÿ্য ইলেকট্রনিক আইডি (ই-আইডি) কার্ড চালুর আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশে প্রতিটি নাগরিককে এ ধরনের একটি কার্ড দেয়া হলে তা সব সরকারি-বেসরকারি সেবা দেয়া যেমন নিশ্চিত করবে, তেমনি তা সঠিক সময়ে সঠিক সেবা পাওয়ার পথ সুগম করবে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হবে, সুশাসন নিশ্চিত হবে।
মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন ঘটাতে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। সরকার ইতোমধ্যে অনেক সেবাই ডিজিটালাইজড করেছে। এমনকি গ্রামের মানুষও এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবা পাচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রধারীদেরকে (৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি) স্মার্টকার্ড দেয়ার লÿÿ্য কাজ শুরু করেছে। তাই পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের কোন প্রেÿÿতে কীভাবে এ ধরনের কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করছে এবং আমরা কীভাবে বাংলাদেশে এই সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পারি, এসব বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত হয়ে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করে দেশের নাগরিকদের জন্য ই-আইডি কার্ড চালুর ব্যাপারে এখনই আমাদেরকে উদ্যোগী হতে হবে।
কামরুল হাসান
আম্বারখানা, সিলেট