লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগতের খবর
কমপিউটার জগতের খবর
ঢাকায় আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
ইমদাদুল হক \ ইন্টারনেট দেশ ও দেশের সীমানা পেরিয়ে মানুষের সাথে মানুষের সংযোগ ঘটায়। প্রযুক্তির সহায়তায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মায়েরা বিদেশে অবস্থানরত প্রিয়জনদের সাথে ভাব বিনিময় করতে পারছেন। আমরা সবাই প্রযুক্তির ভালো দিকের সাথেই বেশি পরিচিত। কিন্তু এর কিছু মন্দ দিকও রয়েছে। যেমন- ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু এবং ব্যাংক জালিয়াতির মতো ঘটনা। সাইবার ক্রাইমের কারণে জনসাধারণ বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে গত ৯ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয় সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, প্রতিবছর দেশে ৪৪ শতাংশ ডাটার ব্যবহার বাড়ছে। কিন্তু ৭৫ শতাংশ অ্যাপস থেকে চুরি হচ্ছে প্রয়োজনীয় ও গোপনীয় তথ্য। এ ছাড়া তথ্যজনিত অবকাঠামো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে সরকারের ২২টি সংস্থা।
বাংলাদেশ সরকারের (আইসিটি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্প) সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত এ সম্মেলনে পলক বলেন, যেসব অ্যাপসের সোর্স থাকে না সেগুলো অরক্ষিত। মোবাইলের নিরাপত্তা ভেঙে হ্যাকারেরা অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সব তথ্য চুরি করে। সোর্স না থাকা এসব অ্যাপসের সংখ্যা ৭৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, সরকারের ২২টি সংস্থার অবকাঠামো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি মানুষের ডিজিটাল স্বাক্ষর নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, দেশের সাইবার আকাশে পরিচালিত হামলার বেশিরভাগ হয়ে থাকে বাইরে থেকে। তাই সাইবার হামলা দেশীয় কোনো সমস্যা নয়। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি মোকাবেলা করতে হলে সম্মিলিতভাবেই করতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লিথুনিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী রিমান্টাস জাইলিস ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড ইজ গোয়িং ওয়াইল্ড : ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ট্রেন্ডস’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আইসিটি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী, কমপিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন। এতে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ার আই, এনআরডি এএস, সিএ টেকনোলজিস, মাইক্রোসফট, সিসকো, রিভ সিস্টেম ও ওয়ান ওয়ার্ল্ড ইউএসএ’র নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ জনের মতো সাইবার নিরাপত্তা গবেষক এবং ২ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের পরিচালক তারেক এম বরকতুলস্নাহ বলেন, সাইবার জগতে নিজেদের নিরাপদ রাখতে প্রযুক্তি খাতের কাঠামোগত সক্ষমতার দিকে নজর দিতে হবে। স্থাপন করতে হবে পর্যাপ্ত রক্ষাকবচ। একই সাথে যথাযথভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংস্থাগুলোকে তাদের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের ই-সরকার ব্যবস্থাকে নিরাপদ রাখতে ইতোমধ্যেই ২ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। এ জন্য লিভারেজ ইন আইসিটি প্রকল্পের অধীনে নরওয়ের প্রতিষ্ঠান এনআরডি এএস-কে নিয়োগ করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে কমপিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সার্ট)। সাইবার হামলা ও সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে এই টিম সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী শেষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ৬টি কর্ম-অধিবেশন।
বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা প্রবণতাবিষয়ক অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের সার্ট বিশেষজ্ঞ দেবাশীস পাল ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। অধিবেশনে সাইবার নিরাপত্তা ও হাইব্রিড ক্লাউড ইকো সিস্টেমের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন মাইক্রোসফটের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিপণন ও পরিচালন কর্মকর্তা রেনেটা চাই। বাংলাদেশের নাজুক সাইবার অবকাঠামো পরিস্থিতির চিত্র উপস্থাপন করেন ওয়ান ওয়ার্ল্ড ইউএসএ’র পরিচালক মারুফ আহমেদ। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে পজ মেশিনে ম্যালওয়্যার আক্রামেত্মর বিষয়ে সতর্কতা তুলে ধরেন ফায়ার আইয়ের নিরাপত্তা পরামর্শক মরিটজ র্যােবি। সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি কমিয়ে আনার কিছু টনিক উপস্থাপন করেন সিসকোর মানদ্বিপ সিং। ডিজিটাল অবকাঠামোর স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন সিএ টেকনোলজির জয়দিপ বার্তাককে। আর সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষুদে বার্তা ও দাফতরিক কাজে ব্যবহৃত ম্যাসেঞ্জার সেবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরেন রিভ সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী আজমত ইকবাল।
সম্মেলন থেকে জানা যায়, বর্তমান সরকার সাইবার ক্রাইম ও নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে টেলিকম রেগুলেটরি অ্যাক্ট-২০১০ যুগোপযোগী করেছে, আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬ প্রণয়ন করাসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ২০১৩ সালে আইসিটি অ্যাক্ট-২০০৬-এর সংশোধন করেছে। এতে সাইবার ক্রাইমের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ মিলিয়ন টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-- দ--ত করার বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকার সাইবার সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি-২০১৪ প্রস্ত্তত করেছে। সংসদ সদস্যরা সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ও নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে আইসিটি বিশেষজ্ঞ ও আইন প্রণয়নকারী সংস্থার জনবলকে সক্ষম করে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে
ভিয়েস মেইল সার্ভিস উদ্বোধন করলেন জয়
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সম্প্রতি ভয়েস মেইল সার্ভিসের (ভিএমএস) উদ্বোধন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্প্রতি বিটিআরসি কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে ভিএমএসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। জয় তার বার্তায় বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ভিএমএস চালুর জন্য বিটিআরসি ও এর চেয়ারম্যানকে জানাচ্ছি আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তিনি এই সেবার সাফল্যও কামনা করেন। বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবি এই সেবা চালু করছে। ডাক ও টেলিকমিউনিকেশন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার বার্তায় আশা প্রকাশ করেন যে, ভিএমএস ব্যবহার করে দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীরা উপকৃত হবেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এই সেবা চালু হওয়ায় এখন ফোনে কাউকে পাওয়া না গেলে ভিএমএস পাঠিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা যাবে। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে ভিএমএস মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও গতিশীল করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রাহকদের সন্তুষ্টির জন্য শুধু ভিএমএস নয়, সব সেবার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে
২২০২১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারী হবে ৩ বিলিয়ন
২০২১ সালের মধ্যে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, পিসি এবং স্মার্টওয়াচে রিটেইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারকারী তিন বিলিয়নের কাছাকাছি হবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে গবেষণা সংস্থা জুনিপার রিসার্চ। ‘রিটেল ব্যাংকিং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড ডিজরাপ্টর অপরচুনিটিজ ২০১৭-২০২১’ শিরোনামের এক গবেষণায় আরও ধারণা করা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর মাল্টি চ্যানেল ডিজিটাল সেবা সুবিধার প্রস্তাব দেয়ার কারণে ভোক্তাদের এই ক্রমবর্ধমান ব্যবহার বাড়তে থাকবে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলোকে তাদের গ্রাহকদের আরও ঝামেলাহীন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদানে চেষ্টা করতে হবে, বিশেষ করে তারা যদি বাজারে প্রভুত্ব করতে চায়।
এ গবেষণার গবেষক নিতিন ভাস বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তি সব ধরনের ব্যাংকের জন্য চ্যালেঞ্জ, এমনকি ২০১৬ সালে ব্যাংকিং প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে এবং আশা করা যায়, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো যদিও অনেক পিছিয়ে রয়েছে, তবুও তারা ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্যোগে ফোকাস করবে
মিাইক্রোম্যাক্স মোবাইলের নতুন মডেল কিউ৩৯৮
গত ৬ ফেব্রম্নয়ারি বাংলাদেশের বাজারে উন্মোচিত হয়েছে মাইক্রোম্যাক্স কিউ৩৯৮ মডেলের নতুন স্মার্টফোন। ফোনটিতে আছে ৫.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড কোর প্রসেসর, ১ জিবি র্যাাম, ১৬ জিবি রম, ক্যামেরা যথাক্রমে ৮ এমপি ও ৫ এমপি। নতুন এই ফোনটির ব্যাটারি ধারণক্ষমতা ৪৭০০এমএএইচ, যার ফলে এটিকে পাওয়ার ব্যাংক হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। গ্রাহকরা ফোনটি পাবেন মার্শমেলো ভার্সনে। নতুন এই ফোনের মোড়ক উন্মোচনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে মাইক্রোম্যাক্সের একমাত্র পরিবেশক সোফেল টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক সাকিব আরাফাত, বাংলাদেশে মাইক্রোম্যাক্সের মহাব্যবস্থাপক রিয়াজুল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবাসহ সারাদেশে স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে মাত্র ৭,৪৯০ টাকায়
মিাসব্যাপী গ্রামীণফোনের ক্ল্যাশ রয়েল গেমিং প্রতিযোগিতা শুরু
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘ক্ল্যাশ রয়েল গ্রামীণফোন চ্যাম্পিয়নশিপ’ শীর্ষক গেমিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতা ২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বলে গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শীর্ষ তিন বিজয়ী পাবেন ক্ল্যাশ রয়েলের পক্ষ থেকে ইন-গেম জেমস। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন পাবেন ২৫০০ জেম, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ যথাক্রমে ২০০০ ও ১৫০০ জেম পাবেন। বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী গেম ‘ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান্স’-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সুপারসেল তৈরি করেছে মাল্টিপ্লেয়ার গেম ‘ক্ল্যাশ রয়েল’। ২০১৬ সালে বিশ^ব্যাপী মুক্তি পাওয়া এ গেমটি গুগল প্লেস্টোরের ‘বেস্ট গেম অব দি ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছে
আিইসিটি ডিভিশনের সাথে কাজ করবে আইবিএম
দেশের টেকনোলজি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আইবিএম গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিওর প্রোগ্রাম চালু করল সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) কর্পোরেশন। সম্প্রতি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। আইবিএম গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিওর প্রোগ্রামের আওতায় স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তারা আইবিএম ক্লাউড ও আইবিএম ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম বস্নুমিক্সের ওয়াটসন এপিআইসমূহ (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ব্যবহার করতে পারবে। আইবিএমের সুবিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কের বড় বড় গ্রাহক, পরামর্শক ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের সাথে দেশী উদ্ভাবনগুলোকে ত্বরিত সংযোগ স্থাপন, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে।
সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগের প্রতিনিধি দল এবং আইবিএমের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও সিইও র্যা ন্ডি ওয়াকারের নেতৃত্বে আইবিএম প্রতিনিধি দল এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়। এ সময় আইবিএম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, আইবিএম আইসিটি ডিভিশনের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে চায়। কারণ, বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর প্রবৃদ্ধি এবং সরকারের প্রচেষ্টার ফলে বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং বর্তমানে স্টার্টআপগুলো তাদের উদ্ভাবন প্রদর্শনে অনেক ধরনের প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছে। আইবিএমের বৈশ্বিক কর্মসূচির ফলে স্টার্টআপগুলো তাদের উদ্দেশ্য সাধনে এখন আরও বেশি সমর্থন ও সহযোগিতা পাবে। উপযুক্ত স্টার্টআপগুলো আগামী এক বছরের জন্য প্রতিমাসে এক হাজার ডলার সমমূল্যের আইবিএম ক্লাউড ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এ ছাড়া ব্যবসায় চালু করতে তাৎক্ষণিকভাবে অবকাঠামো ব্যবহারের সুবিধাসহ স্টার্টআপগুলোকে তাদের উদ্যোগসমূহ কোডিং, বিল্ডিং, স্কেলিং ও বাজারে উপস্থাপন করতে সহায়তা করবে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আলোচনায় অংশ নিয়ে আইবিএম প্রতিনিধি দলকে বলেন, দেশে উদ্ভাবনকে অনুপ্রেরণা যোগাতে ও স্টার্টআপ কালচার প্রতিষ্ঠা করতে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইবিএম দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক করণ বাজওয়া বলেন, বিসত্মৃত ও শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্টার্টআপদের উদ্ভাবনে উদ্যম যোগাতে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আইবিএম গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিওর প্রোগ্রামের সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
মমোবাইল অ্যাপ ‘মায়া আপা’য় বিনিয়োগ করছে ব্র্যাক
অ্যান্ড্রয়িডভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘মায়া আপা’য় বিনিয়োগ করছে ব্র্যাক। প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও বেশিসংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন সমস্যামূলক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞ মতামত পৌঁছে দিতে মায়া আপার সাথে ব্র্যাকের এই উদ্যোগ। পাশাপাশি ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি একটি পাইলট প্রজেক্টে এই অ্যাপের মাধ্যমে গার্মেন্টস কারখানার ৫০ হাজার নারী শ্রমিককে সেবাদান করবে।
গত ১৫ ফেব্রম্নয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে ব্র্যাক-মায়া আপার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ‘মায়া আপা’ হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ চাওয়ার এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে যেকেউ নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে প্রশ্ন করতে পারেন ২৪ ঘণ্টা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সংক্রান্তসহ বিভিন্ন মনো-সামাজিক এবং আইনি সমস্যা সমাধানের পরামর্শ পাওয়া যায়। কেউ প্রশ্ন পাঠালে সাথে সাথে তা সংশিস্নষ্ট বিশেষজ্ঞদের প্রোফাইলে চলে যায় এবং সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার মধ্যে তারা এর জবাব দেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাসে মায়া আপার যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে প্রায় দেড় লাখ প্রশ্ন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। ব্র্যাকের স্ট্র্যাটেজি, কমিউনিকেশনস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্টের ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহর সঞ্চালনায় এই কার্যক্রমের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা। মায়া আপার কর্মকা- তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এর প্রতিষ্ঠাতা আইভি এইচ রাসেল। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ডা. মুহাম্মাদ মুসা ও আইভি এইচ রাসেল
বিাংলাদেশী গবেষকের হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্ট চশমা
বাংলাদেশী ডক্টরাল শিক্ষার্থী নাজমুল হাসানকে সাথে নিয়ে স্মার্ট চশমা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উথা। এই গবেষণা কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে রয়েছেন কার্লোস মাসট্রেঙ্গেলো। ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, তাদের সফল গবেষণার কারণে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন যারা রিডিং গস্নাস ব্যবহার করেন তারা। কেননা দূরের কিছু দেখার জন্য তাদের চশমা খুলতে হতো, আবার কাছের কিছু পড়ার জন্য চশমা চোখে দিতে হতো। কিন্তু এখন থেকে তার প্রয়োজন হবে না। কারণ স্মার্ট এই চশমা আপনার প্রয়োজন অনুসারে ফোকাস তৈরি করবে। ফলে চশমা না খুলেই কাছের ও দূরের বস্ত্ত দেখা যাবে। প্রধান গবেষক কার্লোস মাসট্রেঙ্গেলো বলেন, এখানে খুব সাধারণ কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। একটি ব্যাটারি, ক্ষুদ্র্র মোটর এবং কিছু সার্কিটের সহায়তায় এই চশমাটি তৈরি করা হচ্ছে, যা আপনার দৃষ্টির সাথে ফোকাস করতে সময় নেবে মাত্র ১৪ মিলি সেকেন্ড। নাজমুল হাসান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সাবেক শিক্ষার্থী
২২০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে কমপিউটার ভিলেজে ‘ফেস্টিভাল-২০’
কমপিউটার ও আইটি পণ্য পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ‘কমপিউটার ভিলেজ’ ২০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাতটি শাখায় ক্রেতাদের জন্য বিশেষ প্রমোশন ‘ফেস্টিভাল-২০’ আয়োজন করেছে। সম্প্রতি শুরু হওয়া এই প্রমোশনে ক্রেতাদের জন্য উপহার হিসেবে থাকছে চারটি ল্যাপটপ, দুটি এয়ার টিকেট, ট্যাবলেট পিসি, নেটবুক, ২৪ ইঞ্চি কালার টিভি, স্মার্টফোন, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
ঢাকার বিসিএস কমপিউটার সিটি, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার, মতিঝিল, সিটি সুপার মার্কেট ও চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, জিইসি ও জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত কমপিউটার ভিলেজের শাখা থেকে কেনা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও কমপিউটার অ্যাক্সেসরিজের সাথে ক্রেতারা এসব উপহার জিতে নেয়ার সুযোগ পাবেন। পণ্যভেদে স্ক্র্যাচ কার্ড, ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিনটি করে দৈনিক মোট ছয়টি গিফট হ্যাম্পার এবং সাপ্তাহিক মেগা ড্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের এসব উপহার দেয়া হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করে কমপিউটার ভিলেজ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ম্যাকাফি অ্যান্টিভাইরাসসহ বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইটি পণ্যের পরিবেশক হিসেবে কাজ করছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন village-bd.com
গুলশানে স্যামসাংয়ের ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড শপ উদ্বোধন
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড স্যামসাং গ্রাহকদের সব চাহিদা মেটাতে রাজধানীর গুলশানে এই প্রথম একটি ‘ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড শপ’ উদ্বোধন করেছে। গুলশানের জাহেদ পস্নাজার দ্বিতীয় তলার এই শপটি স্যামসাং অনুমোদিত পরিবেশক ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের পরিচালিত। নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ড শপে গ্রাহকেরা ক্রয় করতে পারবেন স্যামসাংয়ের প্রায় সব ধরনের পণ্য। এ ছাড়া স্যামসাংয়ের নিত্য উদ্ভাবনী সামগ্রীগুলোর পাশাপাশি এখানের ‘স্মার্ট এক্সপেরিয়েন্স জোন’ সেন্টারে গ্রাহকেরা অত্যাধুনিক সব গেমও খেলতে পারবেন। দেশের অভ্যন্তরে প্রথম এই ব্র্যান্ড শপটি উদ্বোধন করেন স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যাংওয়ান ইউন এবং ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আলম আল মাহবুব
এিমআইটির সাথে কাজ করতে আগ্রহী আইসিটি ডিভিশন
বিশ্ববিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সাথে অভিনব প্রযুক্তিতে (ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি) কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। সম্প্রতি রাজধানীর বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলে আয়োজিত ‘ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইন ডিজিটাল এজ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমআইটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লব ও গবেষণায় অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংসসহ অভিনব প্রযুক্তিতে এমআইটির দারুণ সব গবেষণা কার্যক্রম পুরো পৃথিবীর চিত্র বদলে দিচ্ছে। আমাদের সরকারও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণে অনন্য সব প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাতে চায়। তাই আমাদের অভিনব প্রযুক্তিতে কাজ করতে হবে এবং আমরা এমআইটির সাথে কার্যকর ও টেকসই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী। প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিগত ৮ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখপূর্বক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আনয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদের সরকার ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিয়া) শীর্ষক এক অনন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিল্প-শিক্ষার্থী-শিক্ষক-সরকারের সাথে সমন্বয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কার্যক্রমী প্রণোদনা সৃষ্টি করবে এবং দেশে একটি বৈশ্বিক স্টার্টআপ কালচার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। এমআইটির কানেকশন সায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড এম শয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির ন্যায্যহিস্যা বুঝে নিতে বাংলাদেশের করণীয়, সুযোগ ও সম্ভাবনা উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্মানজনক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়
তিথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণদের এগিয়ে নিতে কাজ করছে পিকেএসএফ
২০২১ সালের মধ্যে আইসিটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সাথে আইসিটি পেশাজীবীদের সংখ্যা ২০ লাখে উন্নীতকরণ ও জিডিপিতে আইসিটি খাতের অবদান ৫ শতাংশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে সংশিস্নষ্টরা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে যশোরে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পলস্নী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সরকারের ‘স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম-সেইপ’ প্রকল্পের আওতায় তিন মাসব্যাপী দক্ষতা উন্নয়নে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক ‘আইসিটি-আউটসোর্সিং’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে
দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলো বাংলাদেশ
ভাষা দিবসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। উচ্চগতির এই নতুন মহাসড়কে দেশের সংযুক্তি নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে। শুধু প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে প্রতি একক নির্ভরতা কমাবে এই নতুন সংযুক্তি। এখন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রম্নটি-যান্ত্রিক গোলযোগ হলেও একেবারে অচল হবে না দেশের ইন্টারনেট সংযোগ। বিশ্বের তথ্য মহাসড়কের আধুনিকতম সংস্করণে বাংলাদেশকে যুক্ত করে এসব আশার কথা শোনালেন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের পরিচালক পারভেজ মনন আশরাফ। তিনি বলেন, প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের বিকল্প হিসেবে এলো দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। এখন থেকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা যেকোনো যান্ত্রিক গোলযোগে দেশের ইন্টারনেটে বিপর্যয় নেমে আসবে না বলে আশা করি। আসলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা দূর করতেই দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দেশের উচ্চগতির ইন্টারনেট অগ্রযাত্রায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এমন আশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সি-মি-উই ফোরের পর এবার সি-মি-উই ফাইভে যুক্ত হলাম আমরা। অচিরেই ফোরজি চালু হচ্ছে। তখন উচ্চগতির ইন্টারনেট চাহিদা পূরণে মেরুদ- হিসেবে কাজ করবে নতুন এই সাবমেরিন ক্যাবল। কারণ নেটওয়ার্কের আসল ভিত্তিটা হলো ক্যাবল। অদূর ভবিষ্যতের ফাইভজি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের পথও সুগম হলো। এই সাবমেরিন ক্যাবল উচ্চগতির ইন্টারনেট ও নিরবচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করবে। ইন্টারনেটের দ্বিতীয় এ মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার কাজ শেষ হলেও এখনও কুয়াকাটার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকায় ব্যান্ডউইডথ আনার লিঙ্ক তৈরি হয়নি। কারিগরি এই অসম্পূর্ণতা স্বীকার করে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের প্রকল্প পরিচালক বলেন, লিঙ্ক তৈরির কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছি। নতুন সাবমেরিন ক্যাবলে ১৫টি আলোকতরঙ্গেও প্রতিটি দিয়ে ১শ’ জিবিপিএস অর্থাৎ মোট দেড় হাজার জিবিপিএস পাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে মাত্র দুটি আলোকতরঙ্গ দিয়ে আমরা ২শ’ জিবিপিএস পাচ্ছি
যিশোরে ডিজিটাল আইসিটি মেলার পৃষ্ঠপোষক স্মার্ট টেকনোলজিস
গত ৩ ফেব্রম্নয়ারি যশোরের জেস টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয় পৌর ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১৭। মেলায় একই সাথে পস্নাটিনাম ও গোল্ড স্পন্সর ছিল স্মার্ট টেকনোলজিস পরিবেশিত ৬টি ব্র্যান্ড। মেলায় পস্নাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ছিল এইচপি, ডেল, এসার ও গিগাবাইট এবং গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল এক্সট্রিম ও লেনোভো। মেলা উপলক্ষে স্মার্ট টেকনোলজিস পরিবেশিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্যে আকর্ষণীয় উপহার ও মূল্যছাড় ছিল
এিক জীবনের মেডিক্যাল তথ্য এক নিমিষেই
ঘরে বসে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও প্রেসক্রিপশন পাওয়া, সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ পাওয়ার যুগান্তকারী সুবিধা নিয়ে উন্মুক্ত হলো স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা-বিষয়ক অ্যাপ বিডিইএমআর।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্প্রতি রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে রোগী, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য খাতের সব পেশার মানুষের ব্যবহারের জন্য তিনটি অ্যাপ ও ওয়েব সার্ভিসের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক মো: কামরুল আহসান খান ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক। বাংলাদেশী চিকিৎসক বর্তমানে কানাডা প্রবাসী ডা. অসিত বর্ধন রোগী ও চিকিৎসকদের স্বস্তি দিতে তৈরি করেছেন ‘বাংলাদেশ ইলেকট্রোনিক মেডিক্যাল রেকর্ড’ সংক্ষেপে বিডিইএমআর অ্যাপসটি
আিপনার পরিবার কি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে?
আমাদের বাসাবাড়িগুলো যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৈরি করা হয়, তাতে দেখা যায় দরজায় ডোর ভিউ লাগনো থাকলেও ডোর বেল থাকে দেয়ালে লাগানো। কেউ ডোর বেল বাজালো কিন্তু ডোর ভিউয়ের সামনে এলো না তখন ওই ব্যক্তিকে দেখা বা সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ধরা যাক, কেউ ডোর বেল বাজালো আর ঐ মূহুর্তে বিদ্যুৎ চলে গেলো দরজার সামনে অন্ধকার হয়ে পড়ায় ভেতর থেকে কে কে বলে চিৎকার করতে হলো কিন্তু কাউকে দেখা গেলো না। কি করবে তখন ঘরের ভেতরে থাকা আপনার পরিবার?
এর সহজ সমাধান নিয়ে এলো গজঋ ঞৎধফরহম ঈড়. চীনে অবস্থিত এশিয়ায় সর্ববৃহৎ ফ্যাক্টরি থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির জখ ইৎধহফ এর ঈড়ষড়ৎ ঠরফবড় উড়ড়ৎঢ়যড়হব/ঈধষষরহম ইবষষ এখন আপনার দোরগোড়ায়।
একটি ৭ ক্ষ্ম ঈড়ষড়ৎ গড়হরঃড়ৎ সহ পৃথক দুটি উবারপব সহজেই স্থাপনযোগ্য যা দিয়ে বাইরে থাকা ব্যক্তিকে বা বাইরের অবস্থানকে ভিতরে থাকা গড়হরঃড়ৎ-এ সহজেই দেখা যাবে। চযড়হব ঝুংঃবস দিয়ে সহজে কথাও বলা যাবে। এতে ঘরমযঃ ঠরংরড়হ প্রযুক্তি ব্যবহার করায় অন্ধকার অবস্থানও আপনি দেখতে পাবেন।
আধুনিক প্রযুক্তির এই ঈড়ষড়ৎ ঠরফবড় উড়ড়ৎঢ়যড়হব/ঈধষষরহম ইবষষ অত্যন্ত সুলভে ভিন্ন দুটি মডেলে ও ডিজাইনে পাওয়া যাচ্ছে। জখ ইৎধহফ এর ঈড়ষড়ৎ ঠরফবড় উড়ড়ৎঢ়যড়হব/ঈধষষরহম ইবষষ ব্যবহার করুন সুরক্ষেত থাকুন। আমাদের জখ ইৎধহফ এর চৎড়ফঁপঃং সমূহ গ্যারান্টিসহকারে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার মত বড় বড় দেশসমূহে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে ব্যবহার হয়ে আসছে। যোগাযোগ : ০১৭১১৩৯৩০৫৩