লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
মো: মিজানুর রহমান
মোট লেখা:১১
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
ডাটাবেজ ল্যাঙ্গুয়েজ
12c ওরাকল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পর্ব-2
12c ওরাকল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পর্ব-2
ওরাকল ডাটাবেজ ইনস্ট্যান্স
ওরাকল ডাটাবেজ ইনস্ট্যান্স একসেট মেমরি স্ট্রাকচার এবং একসেট ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস নিয়ে গঠিত। ওরাকল ডাটাবেজকে ম্যানেজ করার জন্য ইনস্ট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ওরাকল ডাটাবেজকে অ্যাকসেস করার জন্য এর ইনস্ট্যান্স অবশ্যই চালু (আপ) থাকতে হবে। ইনস্ট্যান্স ডাটাবেজ ফাইলে সংরক্ষিত ডাটাগুলোকে উত্তোলন এবং প্রসেস করতে সহযোগিতা করে।
ডাটাবেজের ইনস্ট্যান্স চালু না থাকলে ডাটাবেজের সাথে কানেক্ট হওয়া যায় না এবং ডাটা অ্যাক্সেস অথবা প্রসেস করা যায় না। যখন ওরাকল ডাটাবেজ সিস্টেমকে স্টার্ট করা হয়, তখন ইনস্ট্যান্সও স্টার্ট হয়। ইনস্ট্যান্স স্টার্ট হওয়ার সময় মেইন মেমরিতে একটি মেমরি এরিয়া অ্যালোকেট করে, যা সিস্টেম গ্লোবাল এরিয়া (SGA) নামে পরিচিত।
ইনস্ট্যান্স ঝএঅ অ্যালোকেট করার সাথে সাথে একসেট ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসকেও স্টার্ট করে, যা ডাটাবেজকে ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।
চিত্র-২-এ ওরাকল ডাটাবেজ ইনস্ট্যান্সের ঝএঅ স্ট্রাকচার এবং ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহ দেখানো হয়েছে। ঝএঅ একটি গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার্ড মেমরি এরিয়া, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট মেমরি ব্লক থাকে, যাদেরকে SGA কম্পোনেন্ট বলা হয়। এসব SGA কম্পোনেন্ট ওরাকল ডাটাবেজের ইনস্ট্যান্স সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ডাটা এবং কন্ট্রোল ইনফরমেশনকে সংরক্ষণ করে থাকে।
SGA কম্পোনেন্টসমূহ হলো ডাটাবেজ বাফার ক্যাশ, শেয়ার্ড পুল, রিডো লগ বাফার, লার্জ পুল, জাভা পুল, স্ট্রিম পুল এবং রেজাল্ট ক্যাশ প্রভৃতি।
সব সার্ভার প্রসেস এবং ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহ SGA-কে শেয়ার করতে পারে। SGA কম্পোনেন্টসমূহ ডাটাবেজের বিভিন্ন ধরনের কাজে সহযোগিতা করে থাকে, যেমন ডিস্ক থেকে উত্তোলিত ডাটাকে ধারণ (ক্যাশ) করা, অনলাইন রিডো লগ ফাইলে স্টোরের আগে রিডো ডাটাসমূহকে ধারণ করা, এসকিউএল এক্সিকিউশন প্ল্যানকে স্টোর করা এবং ইন্টারনাল ডাটা স্ট্রাকচারকে স্টোর এবং মেইনটেইন করা, লার্জ আই/ও রিকোয়েস্টের জন্য ডাটাকে সাময়িকভাবে ধারণ করা, জাভার সেশন স্পেসিফিক কোডকে ধারণ করা, ওরাকলের স্ট্রিম ফিচারকে সাপোর্ট করা এবং কোয়েরির রেজাল্টকে সংরক্ষণ করা প্রভৃতি।
ইনস্ট্যান্স ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহ ডাটাবেজকে অপারেট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টাস্ক সম্পন্ন করে থাকে। প্রতিটি ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস ভিন্ন ভিন্ন কাজ সম্পাদন করে থাকে। 12c ডাটাবেজে দুইশ’র বেশি ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস রয়েছে, তবে এদের সংখ্যা অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে কম/বেশি হতে পারে। তবে সব ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস একই সাথে চলে না, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহ স্টার্ট হয়। ইনস্ট্যান্সের ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়, যেমন ম্যান্ডেটরি ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস, অপশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস এবং স্লেভ ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস।
ম্যান্ডেটরি ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহ ডাটাবেজ ইনস্ট্যান্স স্টার্ট হওয়ার সাথে সাথে স্টার্ট হয়। ম্যান্ডেটরি প্রসেসসমূহ ডাটাবেজ অপারেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ম্যান্ডেটরি ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেসসমূহ হচ্ছে
১. প্রসেস মনিটর (PMON)।
২. সিস্টেম মনিটর (SMON)।
৩. ডাটাবেজ রাইটার প্রসেস (DBW)।
৪. লগ রাইটার প্রসেস (LGWR)।
৫. চেক পয়েন্ট প্রসেস (CKPT)।
৬. ম্যানেজেবিলিটি মনিটর প্রসেস (MMON)।
৭. রিকভারি প্রসেস (RECO)।
৮. লসেনার রেজিস্ট্রেশন প্রসেস (LREG)।
ওরাকল ডাটাবেজ সিঙ্গেল ইনস্ট্যান্স এবং মাল্টিপল ইনস্ট্যান্স হতে পারে।
সিঙ্গেল ইনস্ট্যান্স ডাটাবেজে একটি ডাটাবেজ এবং একটি মাত্র ইনস্ট্যান্স থাকে। সিঙ্গেল ইনস্ট্যান্স ডাটাবেজে কানেক্ট হতে হলে ডাটাবেজের ইনস্ট্যান্সকে অবশ্যই চালু (আপ) থাকতে হবে। কোনো কারণে ডাটাবেজের ইনস্ট্যান্স ডাউন হলে ডাটাবেজে কোনোভাবেই কানেক্ট হওয়া যাবে না এবং ডাটা অ্যাকসেস করা যাবে না।
মাল্টিপল ইনস্ট্যান্স ডাটাবেজে একটি কমন ডাটাবেজ এবং একাধিক ইনস্ট্যান্স থাকে। মাল্টিপল ইনস্ট্যান্স ডাটাবেজকে রিয়েল অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস্টারস (Real Application Clusters) বলা হয়। 12c (১২.২) রিয়েল অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস্টার ডাটাবেজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০টি ইনস্ট্যান্স কনফিগার করা যায়, যারা অনবরত একটি কমন ডাটাবেজকে অ্যাকসেস করতে পারবে। মাল্টিপল ইনস্ট্যান্স ব্যবহার করার মাধ্যমে ডাটাবেজের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাড়ানো যায় এবং কোনো ইনস্ট্যান্স ডাউন হলেও অন্যান্য ইনস্ট্যান্সের মাধ্যমে ডাটাবেজের সাথে কানেক্ট হওয়া যায় এবং ডাটাবেজের ডাটা অ্যাকসেস করা যায়