• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ডিজিটাল সরকারে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: অজিত কুমার সরকার
মোট লেখা:৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৯ - ফেব্রুয়ারী
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
প্রতিবেদন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ডিজিটাল সরকারে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ
ডিজিটাল সরকারে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ
অজিত কুমার সরকার

বিশ্ব এখন ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। ঠিক এ সময়ে ডিজিটাল বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়ের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল দেশ (ই-দেশ) ও ডিজিটাল সরকার (ই-গভর্মেন্ট)। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের কিছু পরে ডিজিটাল বিপ্লবে অংশ নেয়া দেশগুলো সরকারি কার্যক্রম ও সেবাদানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করেছে। এদের মধ্যে অনেক দেশই শতভাগ সেবা ও অধিকাংশ কার্যক্রমের ডিজিটাইজেশন করে ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল হয় মাত্র এক দশক আগে। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয় নানা উদ্যোগের বাস্তবায়ন। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠা করা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের শুরুর দিকে সমালোচকেরা যেখানে বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের সুরক্ষিত দুর্গ ভেদ করে ই-গভর্ন্যান্সের পথে অগ্রসর হওয়া অনেক বিলম্বিত ও কঠিন হবে বলে আভাস দিয়েছিলেন, সেখানে ওই পথে দ্রæত এগিয়ে যাওয়া মানুষের মনে আশার সঞ্চার করছে। এক দশকের অভিযাত্রায় ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে সনাতনী সেবাদানের পদ্ধতিতে পরিবর্তন এনে ৬শ’র বেশি সরকারি সেবা অনলাইনে দেয়া হচ্ছে। সরকারি অফিসে ই-ফাইলিং চালু করা হয়েছে। ২৫ হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইটের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ শীর্ষক প্লাটফরমের উন্নয়ন করে তথ্য ও সেবা দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার (বিএনডিএ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসবই ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার পথে বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতির চিত্রকে তুলে ধরছে।

মূলত বিএনডিএ (nda.bcc.gov.bd) নিয়ে আলোচনার জন্যই এ লেখায় প্রাসঙ্গিকভাবে উপরোক্ত বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। বিএনডিএ মূলত ডিজিটাল সরকারের কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। এ প্লাটফরমটি তৈরি করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলের লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্প। এ প্রকল্পটির অন্যতম উপাদান ই-গভর্মেন্টের প্রযুক্তিভিত্তি তৈরি করা। ই-দেশ, ই-গভর্মেন্ট বা ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠায় এ ভিত্তি তৈরি খুব জরুরি। অবকাঠামো তৈরিসহ প্রযুক্তি ও ই-কার্যক্রম পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণে এ ভিত রচিত হয়। ২০১৩ সাল থেকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বিএনডিএ প্লাটফরম তৈরি করা হয়। ভবিষ্যতে ই-গভর্মেন্টের অন্যতম প্রধান প্লাটফরম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। বিএনডিএ প্লাটফরমের উন্নয়নে নিয়োগ দেয়া হয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ংকে (ইওয়াই)। ইওয়াই প্লাটফরমটিকে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করেই তৈরি করে। এজন্য বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলকে (বিসিসি) উদ্ভাবন ও উৎকর্ষ ক্যাটাগরিতে ‘ওপেন গ্রুপ প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৮’ দেয়া হয়।
বিএনডিএ প্লাটফরমে কী থাকছে? বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিচ্ছিন্নভাবে সফটওয়্যার তৈরি করে তা ব্যবহার করছে। এর ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও ডাটা আন্তঃপরিবাহী হয় না। এ আন্তঃপরিবাহিতা নিশ্চিত করার জন্য বিএনডিএ প্লাটফরমটি কাজ করছে। অর্থাৎ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেগুলো বিএনডিএ’র সাথে যুক্ত, তাদের প্রকাশযোগ্য তথ্য ও ডাটা এ প্লাটফরমে ক্লিক করেই পাওয়া যাচ্ছে। এতে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ডস, গাইডলাইনস ও স্পেফিকেশন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসব স্ট্যান্ডার্ডস, গাইডলাইনস ও স্পেফিকেশন অনুসরণ করেই সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। এটা অনুসরণ করে সফটওয়্যার তৈরি করা হলে খুব ভালো মানের সফটওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হবে। টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরিসহ অনলাইনভিত্তিক দ্রুত এবং সহজে করা সম্ভব হবে। সরকারি সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও ডাটা ইন্টারঅপারেবল (আন্তঃপরিবাহী) হবে। ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারভিত্তিক মিডলওয়্যার প্লাটফরম তৈরি করা হয়েছে। এটি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ডাটা শেয়ারিংয়ের জন্য খুব কার্যকর। সরকারি এক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও ডাটা অন্য প্রতিষ্ঠান সহজেই নিতে পারছে। অর্থাৎ আন্তঃপরিবাহিতার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকছে না। এটি নিশ্চিত করছে এ সফটওয়্যারভিত্তিক বিএনডিএ প্লাটফরম। জানা গেছে, সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিএনডিএ প্লাটফরমের স্ট্যান্ডার্ডস, গাইডলাইনস ও স্পেফিকেশন অনুসরণ করেই সফটওয়্যার উন্নয়ন বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার।

বিএনডিএ’র আওতায় ১০ বছরের জন্য আইসিটি ডিভিশনের জন্য একটি আইসিটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে যত ধরনের উদ্যোগ ও সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে, এর সবগুলোকে একটি সমন্বিত কাঠামোর মধ্যে এনে পরিকল্পনা ও নকশা তৈরি করা হচ্ছে। এটি করতে গিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান ওপেন গ্রুপ আর্কিটেকচার ফ্রেমওয়ার্ক (টোগাফ) ৯.১ অনুসরণে করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বিএনডিএ ফ্রেমওয়ার্কের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে নাগরিক সেবাদানের অংশ হিসেবে খাদ্য অধিদফতর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রমের সমন্বয় এবং তথ্য ও সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে খাদ্য অধিদফতরের খাদ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ডিজিটাইজেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য কমাতে। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পেনশন স্কিমের কার্যক্রমের ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে। অবসর নেয়ারা যাতে ঝামেলাবিহীন দ্রæত পেনশন পায়, সেজন্য এ ব্যবস্থাকে স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। পাইলটিং শেষ হলে আগামী মার্চ নাগাদ সারা দেশে এ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া হবে। ডিজিটাইজেশনের এ উদ্যোগটি যাতে অন্য প্রতিষ্ঠান অনুসরণ করতে পারে, সেভাবেই এটি তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে খাদ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও পেনশন স্কিমের কার্যক্রমের ই-সার্ভিস এবং সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে ই-রিক্রুটমেন্ট ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে সংযুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে কৃষক এবং প্রাথমিক শিক্ষকদের তথ্য ও ডাটা যাচাই করা হচ্ছে।

তবে ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য এলআইসিটি প্রকল্পের বিএনডিএ এবং আইসিটি রোডম্যাপ প্রণয়ন কার্যক্রমের সাথে বিসিসির ই-গভর্মেন্ট মাস্টারপ্লান প্রকল্পের সমন্বয় করা হচ্ছে।

ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস

ডিজিটাইজেশনের সরকারি সব উদ্যোগ, প্রকল্প ও কর্মসূচি এবং আলাদা কার্যক্রমসমূহ সমন্বয়ের মাধ্যমে একই ¯্রােতধারা এবং সরকারি সেবা, তথ্য ও ডাটা বিনিময় সহজ করার জন্য ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালু করা হয়। বিএনডিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় এ ই-সার্ভিস চালু করা হয়।
বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো একে অপরের তথ্য, ডাটা ও সেবা অনলাইনে পাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তঃপরিবাহিতা সম্পর্কিত যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস তা দূর করছে। এ অবকাঠামোটি মিডলওয়্যার প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে। চালু হওয়ার পর থেকে ক্রমান্বয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইনভিত্তিক তথ্য, ডাটা ও সেবাসমূহ এসে যুক্ত হবে এ ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে। আর এ ই-সার্ভিস বাস এসব অনলাইনভিত্তিক নিরবচ্ছিন্নভাবে তথ্য, সেবা ও ডাটা বিনিময় করবে।
ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালু হওয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যার চালিত তথ্য, ডাটা ও ই-সেবা তৈরিতে দ্বৈততা কমছে এবং ব্যয়ও সাশ্রয় হচ্ছে। যেমন বর্তমানে সরকারি কোনো একটি প্রতিষ্ঠান যদি নাগরিক তথ্যের ডাটাবেজ তৈরি করে এবং তা যদি ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত থাকে, তাহলে অন্য প্রতিষ্ঠানের সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয় করে একই ডাটাবেজ আবার তৈরির প্রয়োজন নেই। কারণ, ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস যেকোনো সেবাগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যে তৈরি করা নাগরিক তথ্যের ডাটাবেজ প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।
ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত হওয়ার আগে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য, সেবা ও ডাটা তৈরিতে বিএনডিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন ও স্পেশিফিকেশন অনুসরণ করে সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে, যাতে তা ইন্টাঅপারেবল (আন্তঃপরিবাহী) বা বিনিময়যোগ্য হয়।
ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সফটওয়্যারভিত্তিক তথ্য, সেবা ও ডাটা তৈরির জন্য বিএনডিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত মান, গাইডলাইন ও স্পেশিফিকেশন প্রণয়নের কাজ শেষে এটি চালু করা হয়। এসব অনুসরণ করে নিজ নিজ সরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য, সেবা ও ডাটা বিনিময়ের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করে ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাসে যুক্ত হচ্ছে।

ন্যাশনাল ই-সার্ভিস বাস চালুর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিএনডিএ পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য, সেবা ও ডাটার সফটওয়্যার তৈরিতে বিএনডিএ (হফধ.নপপ.মড়া.নফ) ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় নির্ধারিত যে মান, গাইডলাইন, স্পেশিফিকেশন ও রোডম্যাপ অনুসরণ করবে, তা থাকছে বিএনডিএ পোর্টালে।

বিএনডিএ প্রতিষ্ঠা ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার পথে বড় ধরনের অগ্রগতি, যা মূলত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিভিন্ন দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলেছেন, `Good Governance is ensuring respect for human rights and the rule of law; strengthening democracy and promoting transparency and capacity in public administration.

বাংলাদেশ সুশাসন নিশ্চিত করায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস এবং প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। আর বিসিসি বিএনডিএ সুশাসন প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৯ - ফেব্রুয়ারী সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস