সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের একজন
সংμমণ-বাহক আরো আড়াইজনে এই
সংμমণ ছড়িয়ে দেয়, যদি যথাসময়ে তাকে
কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নেয়া না হয়।
এই যদি সত্যি হয়, তবে করোনাভাইরাসে
সংμমিত একজন মানুষ তার সংস্পর্শে আসা
আড়াইজনকে সংμমিত করতে পারে। পরবর্তী
ধাপে এই আড়াইজন সংμমিত ব্যক্তি প্রত্যেকে
আরও আড়াইজন করে সংμমিত করতে পারে।
এভাবে এই সংμমিত ব্যক্তির সংখ্যা কেবল
বাড়তেই থাকবে। এভাবে একজন মানুষের
সংμমণ লাখ-লাখ, এমনকি কোটি-কোটি মানুষের
শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তেমনটি যাতে না
ঘটে, তাই সংμমণ-বাহক প্রতিটি ব্যক্তিকে
যথাশিগগির চিহ্নিত করে তাকে নির্দিষ্ট কয়দিন
কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশনে নিয়ে সংμমণ
অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া রোধ করা যায়। আর
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে একমাত্র উপায়
এটি। বিশ্বের নানা দেশে এই উপায় বিভিনড়বভাবে
অবলম্বন করা হচ্ছে। লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন বা
আইসোলেশন ইত্যাদি নামে।
তাহলে করোনা দমনে মুখ্য কাজ হচ্ছে
‘সংμমণ-বাহক অনুন্ধান’। এরই ইংরেজি নাম
পড়হঃধপঃ ঃৎধপরহম। আর এ কাজে ব্যবহার করা
হয় বøুটু প্রযুক্তি। বিশ্বের বিভিনড়ব দেশ এর জন্য তৈরি
করছে কভিড-১৯ স্মার্টফোন অ্যাপ। এসব অ্যাপের
সাহায্যে চেষ্টা-সাধ্যি চলছে সংμমণ-বাহককে
চিহ্নিত করে তাকে ও তার সংস্পর্শে আসা
ব্যক্তিদেরও প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর।
এভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া সীমিত করে
লকডাউনের বিধিনিষেধের কড়াকড়ি প্রশমিত করা
হয়। এই অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে
সংμমণ-বাহকের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সম্ভাব্য
ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া।