ভার্চুয়ালি পালিত হলো অ্যাপনিক সুবর্ণ জয়ন্তী
কমপিউটার জগৎ রিপোর্ট
সাইবার অপরাধ দমনের নামে অনেক দেশেই আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকার ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনায় খবরদারি
করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা। তাদের
অনেক পদক্ষেপই মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে প্রশড়ববিদ্ধ করছে এবং এর
কারণে ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট দুনিয়ার উন্মুক্ত তথ্যপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে
বলে মনে করছেন তারা। গত ১০ সেপ্টেম্বর অ্যাপনিক সুবর্ণ জয়ন্তী
সভার সমাপনী অধিবেশন ওপেন পলিসি মিটিংয়ে এমন উদ্বেগ প্রকাশ
করেন প্রযুক্তিবোদ্ধা ও প্রকৌশলীরা।
তবে শেষ দিনের বার্ষিক সাধারণ সভায় করোনায় এই খাতটিতে
বড় ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন
কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা। এক্ষেত্রে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সদস্যদের
দক্ষতা বাড়াতে আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
প্রশিক্ষণ বাড়ানোর পাশাপাশি অ্যাপনিক ডাটা অ্যাকিউরিসি নিয়েও
আলোচনা হয়। এছাড়া পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য
ফিলিপাইন বৈঠক অনলাইনে করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সভায় গত ৬ মাসের আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এশিয়া
প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের মহাপরিচালক পল
উইলসন। ইসি আপডেট তুলে ধরেন সভাপতি গৌরবরাজ উপাধ্যায়।
এ সময় উপস্থাপিত আয়-ব্যয়ের হিসেবে দেখা গেছে অ্যাপনিক ফের
সচ্ছলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
অল্পদিনের মধ্যেই সংবিধান অনুযায়ী
১৬ মাসে উদ্বৃত্ত অর্থ তহবিলে জমা
হবে। এরপর অতিরিক্ত অর্থ সদস্যদের
হয় চাঁদা না নেয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে
দেয়া অথবা তাদের দক্ষতা উনড়বয়নে
ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।