লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
নিজস্ব প্রতিবেদক
মোট লেখা:১৪৪
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগতের খবর
কমপিউটার জগৎ-এর খবর
বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যয় নয়, বিনিয়োগ : মোস্তাফা জব্বার
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেওয়াকে
ব্যয় হিসেবে নয় বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করা উচিত
বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মোস্তাফা জব্বার।গত ১৮ মার্চ অক্সফাম ও প্রথম
আলোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী
পরিকল্পনা : যুবাদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের
অগ্রাধিকার ও জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ’ শীর্ষক
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী জানান, প্রতিনিয়ত আসছে নতুন নতুন
প্রযুক্তি। নতুন এই প্রযুক্তির সাথে সব পেশার মানুষের সম্পর্ক স্থাপন
করতে হবে। তাই প্রত্যেকটি মানুষকে ডিজিটালি দক্ষ হতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলায় প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিতদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ এবং
নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তি উপযোগী শিক্ষায় গড়ে তোলার
বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রশিক্ষণের বিষয়টি সরকারের পাশাপাশি
বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রী ডিজিটাল
যুগের ধারণা, প্রয়োজন ও প্রস্তুতি কী হওয়া উচিত
তা বোঝার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে
বলেন, এর ওপর ভিত্তি করেই সামনের যুগটা কেমন
যাবে তার পরিকল্পনা করা জরুরি। তিনি আরও
বলেন, ২০২১ সালের বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষ
ডিজিটাল বাংলাদেশ কী, এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি
করতে সক্ষম হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামের প্রথম শ্রেণির
পড়ুয়া শিক্ষার্থীটিও ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা
বুঝতে পারছে। ‘পৃথিবীতে বড় সম্পদ মানুষ। এই সম্পদ ব্যবহার
করতে না পারলে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন হবে। মানবসম্পদ
ব্যবহার করে তাদের ডিজিটাল দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে আমাদের
বড় কাজ। অতীতে তিনটি শিল্পবিপ্লব মিস করেও গত ১২ বছরে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব প্রদানের মতো উপযোগী হিসেবে সক্ষমতা
অর্জন করেছে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে
অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে’ যোগ করেন মন্ত্রী
ব্যবহার বাড়লেও বাড়েনি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৬ মার্চ থেকে লকডাউনের ঘোষণা
আসে। ঘরবন্দি হয়ে পরে মানুষজন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প
পরিসরে ঘরে বসে কাজের উদ্যোগ নেয়। যেখানে ইন্টারনেট মূল
নায়কের ভ‚মিকা নেয়। বাংল াদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা
বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, করোনাকালে
ঘরে বসে কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেমিনার, মিটিংয়ের ট্রেন্ড
চালু হলেও দেশে কার্যত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পায়নি। উল্টো
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার কমেছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন
চিত্রের দেখা মেলে। বিটিআরসির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০
সালের মার্চ শেষে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ১০
কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার, যা চলতি বছরের ফেব্রæয়ারি শেষে বেড়ে
হয়েছে ১১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার। করোনাকালে ১১ মাসে
৯৪ লাখ ৬২ হাজার ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেলেও করোনাপূর্ববর্তী
অবস্থার তুলনায় মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধির
হার কম। এক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ সালে (মার্চ-মার্চ) ইন্টারনেট বৃদ্ধির
হার ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ (মার্চ-মার্চ) সালে
ইন্টারনেট বৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা ২০১৮-১৯
সালের তুলনায় বেশি। তবে ২০১৯-২০-এর তুলনায় ২০২০-২১
(মার্চ-ফেব্রæয়ারি) সালে ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়িয়েছে
আট দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের পরিমান
দিনদিন বৃদ্ধি পেলেও করোনাকালে বৃদ্ধির হার কার্যত কমেছে।
বিস্তারিত বিশ্লেষণে আরও দেখা যায়, ২০১৯ সালের মার্চথেকে
গত বছরের মার্চ পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট বৃদ্ধির হার ছিল ৮
দশমিক ২৬ শতাংশ, যা ২০২১ সালের ফেব্রæয়ারিতে কমে হয়েছে
৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আইএসপি এবং পিএসটিএন গ্রাহকের
ক্ষেত্রেও এমন তথ্যের দেখা মেলে। দেখা যায়, দেশে ২০১৮-এর
তুলনায় ২০১৯ সালের মার্চে এসে আইএসপি
এবং পিএসটিএন গ্রাহক বৃদ্ধির হার ছিল ১
দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, যা গত বছরের মার্চে
এসে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
তবে এই দুই বছরের তুলনায় করোনাকালীন
সময়ে এইখাতে গ্রাহক বৃদ্ধির হার ছিল ১৫
দশমিক ১০ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী বছরের
তুলনায় ১৪ শতাংশ কম। দেশে একই হারে
গ্রাহক বৃদ্ধি না পেলেও ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের
পরিমাণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক
ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি
প্রাকটিকেলি একই রেটে গ্রোথ হবে সবসময় সেটি হওয়ার কারণ
নেই। কারণ, ইন্টারনেট গ্রাহক হওয়ার জন্য যে বয়সসীমা দরকার,
যে যন্ত্রপাতি দরকার সেটিরও তো একটি সীমা রয়েছে। আমরা এই
সময়কালে দেখেছি ডিভাইসের পেনিট্রেশন সেই হারে বাড়েনি। টুজি
সেট নিয়ে তো ইন্টারনেট ইউজ করবে না। ফোরজির এক্সপেনশন
(প্রসার) যেভাবে হওয়া দরকার ছিল সেভাবে হয়নি।’
দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশি। তবে মিলছে না
কোয়ালিটি সার্ভিস। এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে মন্ত্রী জানান,
মোবাইল অপারেটরগুলো কেবলমাত্র স্পেকট্রাম কিনেছে, ফোরজির
সম্প্রসারণ হচ্ছে। ফলে এ স্থান থেকে অতিসত্বর উত্তরণ ঘটবে।
দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তুলনামূলক বৃদ্ধি না পেলেও বেড়েছে
ব্যান্ডউথের দ্বিগুণ ব্যবহার
টেলিকম অপারেটরদের ওপর নজরদারি বাড়াচ্ছে বিটিআরসি
গ্রাহক সেবার মান নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটরদের
ওপর নজরদারি বাড়াচ্ছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। কল
ড্রপ এবং ধীর গতির ইন্টারনেট সেবাসহ অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধির
পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন
স্থানে ড্রাইভ টেস্ট করা হচ্ছে
উল্লেখ করে তিনি নিজে
এবং কমিশনাররা মাঠপর্যায়ে
মোবাইল নেটওয়ার্কের মান
পরীক্ষা করছেন বলেও
জানিয়েছেন বিটিআরসি
প্রধান। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে একইসাথে
প্রযুক্তির দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি টেলিকম অপারেটরদের জন্য
বিদ্যমান নির্দেশিকা আপডেট করার পরিকল্পনা করেছে কমিশন।
এছাড়াও আগামী ১ জুলাই থেকে চালু করা হচ্ছে এনইআইআর।
ফলে ওইদিন থেকেই বন্ধ হবে অননুমোদিত হ্যান্ডসেট। এ বিষয়ে
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ
ফয়সাল জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই বিটিআরসি এক
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে তার বৈধতা বা
আইএমইআই যাচাই করে নেবার অনুরোধ করেছিল গ্রাহকদের। সেই
সাথে দোকানদারের কাছ থেকে রসিদ নিতেও বলেছিল বিটিআরসি।
এছাড়া নিজের মোবাইল ফোনটি বৈধ কিনা সেটি যাচাই করতে বলেছে
বিটিআরসি। সেজন্য মোবাইল ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে কণউ স্পেস
দিয়ে ১৫ সংখ্যার আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠালে
দেখা যাবে মোবাইল বৈধ কিনা। আর মোবাইল ফোনের আইএমইআই
নম্বর জানতে প্যাকেটের গায়ে অথবা *#০৬# ডায়াল করে জেনে
নিতে পারবেন। বিটিআরসি জানিয়েছে, যাদের হ্যান্ডসেট ২০১৯
সালের ১ আগস্টের পর নকল বা অবৈধ পথে আনা হয়েছে এবং
সেগুলো দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত রয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দেবে।
সেজন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তাদের ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি
রেজিস্টার (এনইআইআর)-এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক থেকে
বিচ্ছিন্ন করবে। এর আগে অনেক কয়েকবার এ বিষয়ে দেশের
মোবাইল ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে বিটিআরসি। সংস্থাটি
এজন্য কয়েক বছর থেকেই বৈধ মোবাইল ফোনের আইএমইআই
ডেটাবেজ চালু করা শুরু করে। তারই ধারবাহিকতায় গত বছরের
২২ জানুয়ারি আইএমইআই ডেটাবেজ চালু করে বিটিআরসি
বাংলাদেশের দ্বীপ ও হাওরে ইন্টারনেট সংযোগ প্রকল্পে ডেনমার্কের আগ্রহ
দেশের দ্বীপ ও হাওর অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে
দেয়ার মিশনে বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে
ডেনমার্ক। গত ৪ মার্চরাতে আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত দ্বি-পাক্ষিক
বৈঠকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের
কাছে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ডেনমার্কে রাষ্ট্রদূত উইনি
ইস্ট্রআপ পিটারসন। বৈঠকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের
নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে
‘ডিজিটালাইজেশন আইল্যান্ড, বিল অ্যান্ড হাওর’ প্রকল্পের খুঁটিনাটি
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে কীভাবে ডেনমার্ক
বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে সে বিষয়টিও উঠে আসে
জামানত ছাড়াই অফেরতযোগ্য ৫০ হাজার টাকা পাবেন নারী উদ্যোক্তারা: পলক
মুজিববর্ষ উপলক্ষে মোট ২ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে
অফেরতযোগ্য মোট ১০ কোটি টাকা অনুদান দেবে আইসিটি
বিভাগ। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা
সিড মানি হিসেবে এই অর্থ পাবেন
‘উইমেন ইন ই-কর্মাস গ্রæপ, ডিজিটাল
স্কিল ও ই-ক্যাবের একেকজন নারী সদস্য।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১
উদযাপন উপলক্ষে গত ১৫ মার্চ
আয়োজিত ‘ওমেন ইন ডিজিটাল:
এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ’
শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ছোট-বড় অনেক উদ্যোক্তা তৈরি করার সুযোগ
হয়েছে শহর ও গ্রামে। এ স্থান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি নতুন
উদ্যোগ, উইমেন ইন আইসিটি ফ্রন্টিয়ার ইনসেনটিভ (ওয়াইফাই)
গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে ৪৩ জেলায় ৫০ হাজার নারী উদ্যোক্তা
তৈরি করা হবে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক সচেতনতা, প্রযুক্তির ব্যবহার,
আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং আন্তর্জাতিক সমঝোতাÑ এই চারটি
বিষয় নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল
স্পেসে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো সম্ভব
বলে মনে করেন পলক। নারীদের দক্ষতা
উন্নয়ন হলে, প্রযুক্তি সেক্টরে নারীদের আগ্রহ
বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অনুষ্ঠানের
বিশেষ অতিথি আইসিটি বিভাগের সচিব
এন এম জিয়াউল আলম। নারীদের
উদ্যোক্তা তৈরিতে আরো বেশি বেশি
প্রণোদনা দেয়ার কথা বলেন হাইটেক পার্ক
কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। অনুষ্ঠানে
পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের দেশে
ভুয়া আইডির ব্যবহার বেশি, মানুষ ভুয়া আইডি খোলে যারা লাইভ
অনুষ্ঠান করে তাদের বাজে কমেন্ট করে। এগুলো ধরতে আমাদের
সময় লাগে, আমরা আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছি।
যাতে এ ধরনের মানুষদের সহজে ধরতে পারি
সংলাপে সমাধান : বিটিআরসি চেয়ারম্যান
ধারাবাহিক সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীলতার মাধ্যমে
টেলিকম খাতের টানাপড়েন থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করছেন
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর
সিকদার। তিনি বলেছেন, টেলিকম খাতে
বিস্তর কাজ হয়েছে কিন্তু বিস্তর কাজ এখনো
বাকি আছে। এই খাত সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে
ধারাবাহিকভাবে সংলাপ বা আলোচনা এবং
পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীলতার মাধ্যমে উত্তরণ
সম্ভব। গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় এমটব ও
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
(ডিআইইউ) ৪র্থ ও সমাপনী অনলাইন আলোচনায় (ওয়েবিনার)
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি প্রধান আরও বলেন, দেশে
ডাটার মূল্য গত এক দশকে অনেক কমেছে। তিনি বলেন, ট্রান্সমিশন
নেটওয়ার্ক অপারেটর, টাওয়ার কোম্পানি, মোবাইল অপারেটর ও
নিয়ন্ত্রণ (রেগুলেটর) সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকা দরকার।
‘বাংলাদেশে মোবাইল যোগাযোগ : আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ’
শীর্ষক আলোচনায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রি
ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন
ডিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো: সবুর খান।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসকালে বোঝা গেছে মোবাইল ও
ইন্টারনেট কত গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ও ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের
একেবারেই চলে না। তিনি আরও বলেন,
ইন্ডাস্ট্রি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়
সাধন করা দরকার। আমাদের প্রচুর
ট্যালেন্ট গ্র্যাজুয়েট আছে কিন্তু এই দুই
খাতের মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারণে
আমরা তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে
পারছি না। এই ট্যালেন্টদের যথাযথাভাবে
কাজে লাগানো গেলে তারা প্রযুক্তি খাতে
বিপ্লব সৃষ্টি করার মতো যোগ্যতা রাখে।
অনুষ্ঠানের প্যানেল আলোচনায় এমটব প্রেসিডেন্ট এবং
মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটার এমডি ও সিইও মাহতাব
উদ্দিন আহমেদ দেশে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাত বিকাশের
অন্তরায় প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল খাতের কনজিউমার
ট্যাক্স আর সকল খাতের চেয়ে বেশি। একজন গ্রাহক মোবাইলে
১০০ টাকা খরচ করলে তার মধ্যে ৫৩ টাকা চলে যায় বিভিন্ন
ধরনের ভ্যাট ও ট্যাক্স হিসেবে আর ২০ টাকা খরচ হয়ে যায় খাতের
অন্যান্য লাইসেন্সিদের কাছে নানা রকম সেবা গ্রহণ করতে।
মালি ও সেনেগালে পণ্য রপ্তানিতে ওয়ালটনের চুক্তি
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ও
সেনেগালে মিলবে বাংলাদেশে তৈরি
ওয়ালটনের ইলেকট্রনিকস, ইলেকট্রিক্যাল
এবং আইসিটি পণ্য। এজন্য মালির বিখ্যাত
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিম্পারা গ্রæপের সাথে
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে
বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। গত
২৩ মার্চ রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট
অফিসে সিম্পারা গ্রæপের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মামাদৌ ডিট এন’ফা সিম্পারা
এবং ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস
ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড
কিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই
করেন। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিলের
মাঝামাঝি মালিতে পণ্য রপ্তানি শুরু করবে
ওয়ালটন। প্রথম শিপমেন্টে রেফ্রিজারেটর,
এয়ার কন্ডিশনার, ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লায়েন্সেস,
ল্যাপটপ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন ও
কম্প্রেসর ইত্যাদি পণ্য যাবে
ই-ক্যাবকে এনবিআর চেয়ারম্যানের আশ্বাস
আসন্ন বাজেটকে সমানে রেখে রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল
মুনিমের কাছে ১৬ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জাতীয় বাণিজ্যিক সংগঠন
ই-ক্যাব। গত ৪মার্চ বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট
আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ই-কমার্স
ক্ষেত্রে ব্যবসার প্রসার ঘটছে। উদ্যোক্তারা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। তাদের সুবিধা দেয়া
কিংবা করধার্য করা অথ
বা ভ্যাটের আওতায়
আনার জন্য এমন
একটা প্লাটফর্ম দরকার
যেখানে সবাই নথিভুক্ত
হতে বাধ্য। আমরা এই
বিষয়ে কাজ করতে
চাই। এবং এ ব্যাপারে
ই-ক্যাবের সাহায্য
চাই। তিনি আরো
বলেন, যাদের ক্ষেত্রে
ভ্যাট প্রযোজ্য তারাই ভ্যাট দিবেন। বাকিরা যেন কোনোভাবে ভীত না হোন এব্যাপারে
এনবিআর সচেতন রয়েছে। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ
নেন ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাব উদ্দীন শিপন, ডিরেক্টর জিয়া আশরাফ, ডিরেক্টর
আসিফ আহনাফ, আজকের ডিলের সিইও ফাহিম মাশরুর, সিন্দবাদ ডটকমের ফাউন্ডার
জীসান কিংশুক হক, অর্ণব মোস্তাফা, সিন্দবাদ ডটকমের সিএফও মীর আশরাফ শিমুল,
রকমারি ডটকমের হেড অব ফিন্যান্স মোস্তফা কামাল পাশা, কমপ্লেইন্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড
লিগ্যাল ইস্যুস্ট্যাডিং কমিটির অ্যাডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার, আবদুর রহমান
শাওন, সদস্য এস কে নুরুল হুদা ও ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম
শোভন। বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীর আলম শোভন জানিয়েছেন, আলোচনা শেষে এনবিআর
চেয়ারম্যান সুস্পষ্ট কয়েকটি প্রস্তাবের সাথে ঐকমত্য প্রকাশ করে আসন্ন বাজেটে এর
প্রতিফলন ঘটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। বিশেষ করে ই-কমার্সকে আইটি এনাবল সার্ভিসের
আওতায় আনা এবং ই-লার্নিং ও ই-বুক এই দুটো বিষয়ে ভ্যাট প্রত্যাহার যুক্তিযুক্ত বলে
তিনি মতপ্রকাশ করেন
ডাকঘরে ডিজিটাল-কমার্স বুথ
দেশের ই-কমার্স খাতে যুক্ত হলো নতুন অধ্যায়। প্রান্তিক
মানুষের কাছে ডিজিটাল মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় হওয়া পণ্য পৌঁছে
দিকে প্রতিটি পোস্ট অফিসেই
খোলা হলো ‘ডিজিটাল-কমার্স বুথ’।
বিশেষায়িত কর্নারটি থেকে স্বয়ংক্রিয়
ট্র্যাকিং সিস্টেমের ডিজিটাল পণ্যের
দ্রুত বিলি সুবিধা ছাড়াও বিলির সেবা
পরবর্তী ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার
সার্ভিস (ইএমটিএস), ওয়্যারহাউস
এবং গ্রাহক তথ্য সেবা নিতে পারবেন
ডিজিটাল-কমার্স ব্যবসায়ীরা। ডাক ও
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের
ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে গত ১৬ মার্চ ঢাকার
জিপিওতে ই-ক্যাব ও ডাক বিভাগের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি
হয়েছে। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহাব
উদ্দীন শিপন ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পক্ষে ডাকের পরিচালক
এসএম হারুনুর রশিদ এই চুক্তিতে সই করেন। প্রধান অতিথির
বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডাক
বিভাগের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ই-কমার্সের বর্তমান অগ্রগতিকে
আরো বেগবান করা সম্ভব। কারণ ডাক বিভাগের যে জনবল ও
নেটওয়ার্ক রয়েছে সেটা অন্য কারো নেই। বিগত করোনাকালীন
সময়ে ডাক বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে যেভাবে
সেবা দিয়েছেন তা মনে রাখার মতো। ডাক বিভাগের মহাপরিচালক
মো: সিরাজ উদ্দিন বলেন, দেশের
প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ডিজিটাল ব্যবসায়ের
পরিসীমা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল পরিষেবা
দেয়ার ক্ষেত্রে ডাক বিভাগ চুক্তির
আওতায় ই-ক্যাবের পরিচালনায়
ডিজিটাল কমার্স কর্নার থেকে দ্রæত ও
স্বচ্ছতার সাথে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত
করবে। ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব
উদ্দীন শিপন বলেন, ইতোমধ্যেই ঢাকা
থেকে ৭৫০টি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পণ্য বিলি ও এর
মূল্য পরিশোধের পাইলট প্রকল্প সফল হওয়ার পর আগের চুক্তিটিই
আরো বড় পরিসরে সম্পন্ন হলো। এবার পুরো সেবাটি অ্যাপের
অধীনে আনতে ইতোমধ্যেই ই-ক্যাব একটি সফটওয়্যার তৈরি করে
সেটি পোস্ট অফিসের সফটওয়্যারের সাথে ইন্টিগ্রেট করে দিয়েছে,
যা ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা
করতে সক্ষম হবে। সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, দেশের প্রত্যেকটি
ডাকঘরে (জেলা/উপজেলা/থানা) ডিজিটাল কমার্স পণ্য গ্রহণের
জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড সাইজের নির্দিষ্ট বুথ স্থাপন করা হবে
সেবার মান উতরে গেছে ৪ অপারেটরই, দেশজুড়ে সেবা নিয়ে আপত্তি
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সেবার মান নিয়ে রাজধানী
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ২৩ জানুয়ারি থেকে
৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস ড্রাইভ টেস্ট’ চালায়
বিটিআরসি। ভয়েস কল, ডেটা ও নেটওয়ার্কের কাভারেজ এলাকাÑ
এই তিন মূল বিভাগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান
যাচাই করা হয়। মার্চে জানাগেছে এই মানের ফলাফল। এতে ভয়েস
কলের ক্ষেত্রে অন্যতম ইস্যু কলড্রপের ক্ষেত্রে সীমার অনেক নিচে
রয়েছে চার অপারেটরই। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের রয়েছে দশমিক
১৮ শতাংশ, বাংলালিংকের দশমিক ৩১, রবির দশমিক ৩৭ এবং
টেলিটকের ১ দশমিক ৩১ শতাংশ। যেখানে কিউওএস অনুযায়ী
এটি ২ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে।কল সেটআপ সফল
হওয়ার হারেও অপারেটরগুলো বেঞ্চমার্ক ঠিক রেখেছে। তিনটি
অপারেটরই ৯৯ শতাংশ সীমার উপরে আর টেলিটক ৯৮ শতাংশ
সীমার উপরে এই সেটআপ রেট রেখেছে। এছাড়া কল সেটআপের
জন্য বিটিআরসি নির্ধারিত যে সাত সেকেন্ডের সময় বেঁধে দেওয়া
আছে তার সীমার মধ্যে রয়েছে বেসরকারি তিন অপারেটর। তবে
এখানে টেলিটক ৮ দশমিক ২৮ সেকেন্ড সময় নিচ্ছে। এমওএস
স্কোরে চার অপারেটরই বেঞ্চমার্কের উপরে রয়েছে।কিওএস
নীতিতে এর সীমা ৩ দশমিক ৫। ডেটায় থ্রিজিতে বেঞ্চমার্কের
চেয়ে ভালো সেবা দিচ্ছে বেসরকারি তিন অপারেটর। এতে জিপির
ডাউনলোড গতি ৩ দশমিক ৯৬ এমবিপিএস, রবির ৪ দশমিক ০২,
বাংলালিংকের ৩ দশমিক ৯৯ এবং টেলিটকের ১ দশমিক ৭৪। এতে
দেখা যাচ্ছে টেলিটক অল্পের জন্য বেঞ্চমার্ক পার করতে পারেনি।
কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা অনুযায়ী, থ্রিজি
প্রযুক্তির ইন্টারনেটে ডাউনলোডের সর্বনিম্ন গতি ২ এমবিপিএস
পর্যন্ত। থ্রিজিতে আপলোডে গ্রামীণফোনের গতি ৭ দশমিক ৮৪,
রবির ৯ দশমিক ৪৩, বাংলালিংকের ৮ দশমিক ৪৫ এবং টেলিটকের
২ দশমিক ৩১ এমবিপিএস। কিউওএসে এটি ১২৮ কেবিপিএসের
নিচে হওয়া যাবে না। ফোরজিতে জিপি ও রবির ডাউনলোড গতি ৫
দশমিক ৭২ এমবিপিএস, বাংলালিংকের ৪ দশমিক ৯৪ ও টেলিটকে
২ দশমিক ৮২। কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা
অনুযায়ী, ফোরজি প্রযুক্তির ইন্টারনেটে ডাউনলোডের সর্বনি¤œ গতি ৭
এমবিপিএস হতে হবে। এতে দেখা যাচ্ছে কেউ বেঞ্চমার্ক পার করতে
পারেনি। ফোরজিতে আপলোডে গ্রামীণফোন ১০ এমবিপিএস,
রবি ১২ দশমিক ৬৯ এমবিপিএস, বাংলালিংক ১০ দশমিক ৭২
এমবিপিএস ও টেলিটকের ৪ দশমিক ৫২ এমবিপিএস গতি রয়েছে।
এতে বেঞ্চমার্ক ১ এমবিপিএস। নেটওয়ার্কের কাভারেজ এরিয়াতে
ফোরজিতে বেঞ্চমার্কের সামান্য কম ছাড়া বাকি নেটওয়ার্কে উতরে
গেছে অপারেটরগুলো। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্বিক বিবেচনায়
ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় টেস্ট ড্রাইভের রেজাল্ট ভালো,
অপারেটরগুলো উন্নতি করছে
শিগগির উন্মুক্ত হবে বঙ্গবন্ধু ভিআর-এআর অ্যাপ
বঙ্গবন্ধু একজন দার্শনিক ছিলেন।
এ কারণেই তিনি শত বছর পরেও চলার
পথের পাথেয় হয়ে থাকবেন। তার মানবিক
মূল্যবোধ সকলের জন্য অনুকরণীয়। আর
এই জ্যোতির্ময়ের জীবনকে ডিজিটাল
মাধ্যমে তুলে ধরতে ‘মুজিব আমার পিতা’র
পর আরো একটি এনিমেশন সিরিজ প্রকাশ
করবে আইসিটি বিভাগ। গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন
উপলক্ষে আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দোয়া ও
আলোচনা সভায় সিরিজটির বিস্তারিত তুলে ধরেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানিয়েছেন, এনিমেশন সিরিজটি
হবে ১০০ মিনিটের। ১০টি সিরিজে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ৫৫ বছরকে
তুলে ধরা হবে ৫টি ভাগে। পাঁচটি পর্বের মধ্যে থাকবে টুঙ্গিপাড়ার
খোকা, খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে মুজিব ভাই, মুজিব ভাই
থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা। আইসিটি বিভাগের
জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন ও আদর্শ ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে ও
বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আইসিটি বিভাগের
অগ্রণী ভূমিকার উল্লেখ করে গৌরব ও আনন্দ
প্রকাশ করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসিটি প্রতিমন্ত্রী
বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মে মুজিববর্ষের সব
আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে আইসিটি
বিভাগের তৈরি মুজিব ১০০ ডট গভ ডট
বিডি ওয়েবসাইট। এটি কেবল ওয়েবসাইট
হিসেবেই নয়, গত ১২ বছরে গবেষণার
তথ্যভাÐার হিসেবে কাজ করেছে। বক্তব্যে ডিজিটাল মাধ্যমে
বঙ্গবন্ধুর অনুকরণীয় জীবনকে আগামীর ভবিষ্যতের কাছে তুলে
ধরতে আইসিটি বিভাগের নেয়া উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা শিশুদের জন্য এনিমেশন ফিল্ম মুজিব আমার
পিতা নির্মাণ শেষ করেছি। টেকনিক্যাল স্ক্রিনের ত্রæটি সংশোধনের
পর এ বছরই এটি প্রকাশ করা হবে। এই ফিল্মে ভাষা আন্দোলন
পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মানবিক দিক তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর
জন্মশতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে আইসিটি বিভাগে ইতোমধ্যেই
হলোগ্রাফিক প্রেজেন্টেশন তৈরি করা হয়েছে
ভোগবাদিতায় কমছে বিজ্ঞানচর্চা : বিজ্ঞান জাদুঘর মহাপরিচালক
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর
চৌধুরী বলেছেন, আমরা কর্পোরেট সমাজের দাস হয়ে যাচ্ছি। আমরা খুব
ভোগবাদী হয়ে যাচ্ছি, সে কারণে আমাদের মধ্যে বিজ্ঞানচর্চা হ্রাস পাচ্ছে। গত
১৪ মার্চ বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ব পাই দিবসে আয়োজিত
ওয়েবিনারে এসব কথা
বলেন তিনি।
জাতীয় বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি জাদুঘর ও রুয়েটের
অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড
সাইন্স সোসাইটির যৌথ
উদ্যোগেঅনুষ্ঠিত সভায়
জাদুঘর মহাপরিচালক
বলেন, ‘আজ বিজ্ঞানের
যে অভিযাত্রা,তার তাৎপর্য
বিশ্লেষণ করলে তা
অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ। তবে
দিবস উদযাপন বড় কথা
নয়, আমাদের জন্য যেটি
শিক্ষা তা হলো, আমরা যেন বিজ্ঞানচর্চাকে ধারণ করি। আমাদের ঘরে ঘরে
আইনস্টাইন জন্ম নিক।’ আমাদের অনেক তরুণ উদ্ভাবক ও তরুণ বিজ্ঞানী
আছে,তাদের গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। বিজ্ঞান শিক্ষার উপকরণে
ভরে গিয়েছে স্কুল-কলেজ, কিন্তু বিজ্ঞানচর্চা হ্রাস পাচ্ছে। চর্চা না থাকলে
আইনস্টাইন কখনই জন্ম নেবে নাÑ যোগ করেনি তিনি। মোহাম্মাদ মুনীর
চৌধুরী আরো বলেন, ‘বিজ্ঞান জাদুঘর শুধু বিনোদনের জন্য নয়, আমরা
বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের অনেক বিষয় সম্পৃক্ত করেছি। উদ্ভাবনী চেতনা নিয়ে
বাংলাদেশ এবং পৃথিবীকে এগিয়ে নিতে চাই।আল্লাহর বিশাল এ সৃষ্টি
জগৎকে আমরা বিজ্ঞান দিয়ে সাজিয়ে মানুষের কাছে সবকিছু সহজলভ্য করে দিতে চাই’
দেশে ইউটিউবের বিকল্প অ্যাপস চাল
ইউটিউবের বিকল্প অ্যাপস হিসেবে দেশে ভিডিও
স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম‘আইবিও টিউবার’ অ্যাপস উন্মোচন
করেছেন জাতীয় প্রেক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। রাজধানীর
প্যানপ্যাসিফিক হোটেল সোনারগাওয়েরবলরুমে গত ১৬ মার্চ রাতে এই
টিউবটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে মুঠোফোন
গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ,
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম এ জলিল, ব্যবস্থাপনা
পরিচালক জোনায়েদ হোসেন ও অর্থ পরিচালক মোহাম্মদ
শাহজাহান আলী, পরিচালক শামীম আরা এবং অনুষ্ঠান
পরিচালক অঞ্জন রহমান উস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন
বলেন, দেশের গণমাধ্যম আজ প্রযুক্তির বিকাশের সাথে
সাথে বিজ্ঞাপন হারিয়ে ফেলছে, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
তবে আজ বাংলাদেশ যদি ডিজিটালবান্ধব না হতো
তাহলে করোনা মহামারীর মধ্যে দেশ চরম বিপর্যয়ের
মুখে পড়ত। ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম বিজ্ঞাপন প্রচারের নামে দেশ থেকে
শত শত কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে অথচ আমরা বিজ্ঞাপন
পাচ্ছি না। তাই স্থানীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে এর মাধ্যমে
সরকার রাজস্ব পাবে এবং দেশের বিজ্ঞাপন দেশেই থাকবে
আশা করি। এ সময় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক
জোনায়েদ হোসেন এই টিউবে ভিডিও আপলোডের
পাশাপাশি ব্যবহারকারী দর্শকদের জন্য বাড়তি আয়ের ঘোষণা দেন
আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইডিটিপি প্লাটফর্মে অংশ নেয়ার আহŸান পলকের
আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, খরচ ও
হয়রানি রোধে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল
ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) চালু
করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)
বিভাগ। ইতোমধ্যেই ডিজিটাল মাধ্যমে
আন্তঃলেনদেনের এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে
মোবাইল ওয়ালেট বিকাশ। অল্পদিনের মধ্যেই
দেশের প্রতিটি ব্যাংক এবং আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্লাটফর্মে যোগ দেবে বলে
আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত ২৩ মার্চ রাজধানীর
হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত ‘লিভিং নো মাইক্রো-এজেন্টস বিহাইন্ড ইন দ্য ডিজিটাল এরা ইন
বাংলাদেশ’ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনসিডিএফের হেড অব করপোরেশন ডেলিগেশন মৌরিজিও
সিয়ান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। এসময়
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব
আসাদুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জানান, আইডিটিপির ক্রেডিট রেটিং ও স্কোরিং সুবিধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ
দেয়ার পথ উন্মুক্ত করবে। তিনি আরও জানান, এ মাসেই সেবা এক্সওয়াইজেড এবং স্টার্টআপ
বাংলাদেশ কোম্পানির মধ্যে অংশীদারি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এর ডিজিটাল ইআরপি সল্যুশনের
মাধ্যমে বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা পাবেন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
পলক বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য বিনিয়োগের
প্রয়োজনীয়তা, আমাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, উন্নয়ন অংশীদার ও বিনিয়োগকারীদের
সহায়তায় আমরা এমডিডিআরএমের মতো উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করছি
বিসিএসকম্পিউটার সিটিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, খরচ ও
হয়রানি রোধে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল
ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম (আইডিটিপি) চালু
করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)
বিভাগ। ইতোমধ্যেই ডিজিটাল মাধ্যমে
আন্তঃলেনদেনের এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছে
মোবাইল ওয়ালেট বিকাশ। অল্পদিনের মধ্যেই
দেশের প্রতিটি ব্যাংক এবং আর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্লাটফর্মে যোগ দেবে বলে
আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত ২৩ মার্চ রাজধানীর
হোটেল ওয়েস্টিনে অনুষ্ঠিত ‘লিভিং নো মাইক্রো-এজেন্টস বিহাইন্ড ইন দ্য ডিজিটাল এরা ইন
বাংলাদেশ’ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনসিডিএফের হেড অব করপোরেশন ডেলিগেশন মৌরিজিও
সিয়ান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। এসময়
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব
আসাদুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির
বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জানান, আইডিটিপির ক্রেডিট রেটিং ও স্কোরিং সুবিধা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণ
দেয়ার পথ উন্মুক্ত করবে। তিনি আরও জানান, এ মাসেই সেবা এক্সওয়াইজেড এবং স্টার্টআপ
বাংলাদেশ কোম্পানির মধ্যে অংশীদারি চুক্তি হতে যাচ্ছে। এর ডিজিটাল ইআরপি সল্যুশনের
মাধ্যমে বিনা জামানতে ঋণ সুবিধা পাবেন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
পলক বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে জন্য বিনিয়োগের
প্রয়োজনীয়তা, আমাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, উন্নয়ন অংশীদার ও বিনিয়োগকারীদের
সহায়তায় আমরা এমডিডিআরএমের মতো উদ্যোগকে সম্প্রসারিত করছি
চার দিন ধরে নানা আয়োজনে আইডিবি
ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে
পালিত হলো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। গত
২৫ মার্চ শেষ হয় চার দিনের এই উৎসব।
বিশেষ আয়োজনটির উদ্বোধন করেন
বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতি
মজহার ইমাম চৌধুরী। এ সময় আরো
উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি)
লিমিটেডের চ্যানেল বিজনেস ডিরেক্টর
জাফর আহমেদ, গিগাবাইটের বাংলাদেশের
কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো: আনাস খান
ও স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের
সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।
চার দিন এ আয়োজনে গিগাবাইটের
পক্ষ থেকে গেমিং কনটেস্টের পাশাপাশি
দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় সব উপহার
দেয়া হয়েছে বলে জানান গিগাবাইটের
বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার খাজা মো: আনাস খান।
চার দিনের এই আয়োজনে গেমিং
কনটেস্ট, ফ্যাশন শো, কস প্লে এবং
সঙ্গীতানুষ্ঠান ছাড়াও প্রতিদিনের কুইজ
কনটেস্টে দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি
ছিলো বলে জানিয়েছেন সহ-আয়োজক
প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি)
লিমিটেডের সেলস ডিরেক্টর মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন
ক্লাস খুললেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্রি ইন্টারনেট মিশন
ক্লাস খুললেই প্রতিটি টিঅ্যান্ডটি স্কুল
ডিজিটাল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা
জব্বার। পাশাপাশি দ্রæততম সময়ের
মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রি
ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা হবে বলেও
জানান মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত
২৩ মার্চ বিটিসিএল আয়োজিত রচনা
প্রতিযোগিতার ফলাফল বিতরণী অনুষ্ঠানে
এ তথ্য জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পক্ষে
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক ও
টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল
হোসেন। বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ড. রফিকুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক ও কীর্তি
তুলে ধরেন কাজী সাজ্জাদ আলী জহির
বীরপ্রতীক। এছাড়া বিটিআরসি চেয়ারম্যান
শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল
চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক
অধিদপ্তরের মহপরিচালক মো: সিরাজ
উদ্দিন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর
রহমান, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো:
সাহাব উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ
বিভাগ ও এর অধীন সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাকর্মচারীরা অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন
তরুণদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোন ইউএনডিপি চুক্তি
বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের
জন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, চাকরি, উদ্যোক্তা ও
বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে কোভিডপরবর্তী
বিশ্বের প্রাসঙ্গিকতায় মার্চে একটি সমঝোতা চুক্তি
করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং
গ্রামীণফোন। গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং চিফ
ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ইয়েন্স বেকার ও ইউএনডিপি
বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি নিজ
নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি বিষয়ে ইয়েন্স বেকার বলেন, এ এমওইউ
বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অর্থনৈতিক ও শিক্ষার
সুযোগ বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা রাখতে গ্রামীণফোনকে সুযোগ
করে দিবে। ইউএনডিপি ও সরকারের অংশীদারদের
সাথে সহযোগিতা মাধ্যমে এই ধরনের প্রোগ্রামগুলোর
ডিজাইন ও বাস্তবায়ন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুষ্ঠানে
সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে সৃষ্ট
পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশ মানিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায়
গ্রামীণফোনের সাথে এই ধরনের সহযোগিতামূলক
উদ্যোগ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে হওয়া পরিস্থিতির
পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের তরুণদের সাহায্য করবে
এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্রæততার সাথে টেকসই
উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভ‚মিকা রাখবে। গত
বছর ইউএনডিপির গ্রহণ করা কোভিড-১৯ পরবর্তী
ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে মাল্টি-সেক্টর প্ল্যাটফর্ম চুক্তির
ফলাফল হিসেবে এই এমওইউটি স্বাক্ষরিত হয়েছে
বিডি অ্যাপসকে জাতীয় অ্যাপ স্টোর ঘোষণা
বাংলাদেশকে মোবাইল গেমিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে মোবাইল অপারেটর
রবির বিডি অ্যাপসকে জাতীয় অ্যাপ স্টোর হিসেবে ঘোষণা করেছেন আইসিটি
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গত ৪ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি
টাওয়ারে বিডি অ্যাপসের সাথে অনুষ্ঠিত চুক্তি অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, রবি বিডিঅ্যাপস ডেভেলাপ করেছে। কিন্তু আইসিটি বিভাগের সাথে
যখন চুক্তি হচ্ছে, তখন আমরা এর নামটাও ন্যাশনাল অ্যাপ স্টোর করে দিয়েছি।
ফলে এটা কেবল রবি কিংবা আমাদের ইনোভেশন অন্টরপ্রেনর একাডেমি,অথবা
স্টার্টআপ বাংলাদেশ বা মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ
থাকছে না। এই অ্যাপ স্টোরে গ্রামীণফোনের স্টার্টআপরাও হোস্ট করতে
পারবে। বাংলালিংকের এক্সেলারেটর প্রোগ্রামের অ্যাপ ডেভেলপাররাও ব্যবহার
করতে পারবে। মন্ত্রী আরো বলেন, রবি কেবল আপন শক্তিতে নিজেরাই জ্বলে
ওঠেনি, পুরো বাংলাদেশের তরুণদের জ্বলে ওঠার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বক্তব্যের
শুরুতেই বিডিঅ্যাপসের সাথে আইসিটি বিভাগের চুক্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরে
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি দেশের তরুণদের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
বিষয়ে সক্ষম করে তুলতে পারি তবে আমাদের জন্য বিলিয়ন ডলারের অপরচুনিটি
অপেক্ষা করছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে তরুণ সফটওয়্যার শিল্পীদের
দক্ষতা ও যোগ্যতা বাড়ানোর জন্য দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেম টেস্টিং
ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বিকাশের
মতো রবি অ্যাপের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার সুযোগ সৃষ্টিতে রবি
কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
‘ডিজিটাল পণ্য উৎপাদক-রপ্তানি থেকে উদ্ভাবক দেশ হবে বাংলাদেশ’
দেশে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন বা
রপ্তানিতেই থেমে থাকবে না বাংলাদেশ।
তাই বৈশ্বিক প্রয়োজন মেটাতে গবেষণার
মাধ্যমে নতুন পণ্য ও সমাধান উদ্ভাবনে
সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এজন্য
উদ্ভাবক, উৎপাদক এবং বিনিয়োগকারীদের
মধ্যে মেলবন্ধন রচনায় ডিজিটাল ডিভাইস
অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো আয়োজন
করছে আইসিটি বিভাগ। উদ্যোগ নিয়েছে উদ্ভাবকদের মেধাস্বত্ব
সংরক্ষণ এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও তার বাণিজ্যিকীকরণে সার্বিক
সহায়তার। গত ২৪ মার্চ আইসি টাওয়ারের বিসিসি অডিটোরিয়ামে
অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০২১
আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
এমনটাই জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় বাংলাদেশ অচিরেই ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদক হাব
হিসেবে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক
চাহিদা মেটাতে ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ভাবক
দেশেও রূপান্তরিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত
করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, উদ্যোক্তা
ও উদ্ভাবকদের মেন্টরিংয়ের জন্য একটি
একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই
২০০ জন উদ্যোক্তা সহায়তা করা হয়েছে।
বিশেষায়িত ল্যাব তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণা এবং উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করতে আমরা এখন অথরিটি টু
ইনোভেশন আইন করতে যাচ্ছি। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তীতে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘শতবর্ষ শত
আশা’ ক্যাম্পেইনে আগামী বছরের মধ্যে ১০০টি স্টার্টআপকে তাদের
স্বপ্ন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ। এছাড়া ডিজিটাল
বাংলাদেশ রূপকল্পকে টেকসই করতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলপত্রে পরিণত
করতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ কৌশলপত্র’ তৈরি করা হয়েছে
প্রত্যেক জেলায় ল্যাপটপ পাচ্ছেন ১০ জন প্রতিবন্ধী
বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ইম্পোরিয়া সফটওয়্যার তৈরি করেছে আইসিটি
বিভাগ। গত ২৮ মার্চ অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে এই প্লাটফর্মটি উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও
যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সফটওয়্যারটি দৃষ্টি-বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী
চাকরি প্রার্থী এবং চাকরিদাতাদের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনার পাশাপাশি সুযোগের সমতা নিশ্চিত
করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের
হয়রানি এবং অর্থ ও সময়ের অপচয় কমবে। এর মাধ্যমে তারা প্রশিক্ষণ নিতে পারবে
এবং ভিডিও কনফারেন্সে চাকরির সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা প্রশিক্ষণ
নেয়ার পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সে চাকরির
সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন। থাকছে মেন্টরিং
সুবিধাও। এই ওয়েবে রয়েছে ৩৫০টি অডিও
ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট, ৮টি মডিউলে ৬০টি অডিও
কন্টেন্ট। আছে সনদ গ্রহণের সুযোগ। প্রযুক্তির
শক্তিতে প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়নে প্রতিটি
জেলায় অন্তত ১০ জন প্রতিবন্ধীকে দেশের
৭টি অঞ্চল থেকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ
কম্পিউটার কাউন্সিল। এবার এই কাজকে
আরো ফলপ্রসূ করতে তাদের হাতে মুজিববর্ষে
একটি করে ল্যাপটপ তুলে দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। পলক জানান, প্রাথমিক ও উচ্চ
মাধ্যমিকের শিক্ষকেরা যেন একই ক্লাসরুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিবন্ধীদেরকেও
শিক্ষাদান করতে পারেন সেজন্য প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) সাথে
৩ এপ্রিল একটি চুক্তি করে আইসিটি বিভাগ। প্রত্যেককেই বিবেক প্রতিবন্ধী না হয়ে প্রযুক্তির
শক্তিতে সকলের জন্য সুযোগের সমতায় প্রত্যেককে অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গঠনে এগিয়ে
আসার আহŸান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশ কম্পিউটার
কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইম্পোরিয়া
সফটওয়্যারের বিস্তারিত তুলে ধরেন এর টেকনোলজি সাপোর্টে থাকা প্রতিষ্ঠান জেনারেল
টু-এর কর্মকর্তা খন্দকার রাফি
ফ্রেমলেস মনিটর আনল ওয়ালটন
গত ২৭ মার্চ দেশের ডিজিটাল
ডিভাইস বাজারে নতুন মডেলের স্লিম
মনিটর ছাড়ল বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড
ওয়ালটন। ফুল এইচডি এলইডি ব্যাকলাইট
ডিসপ্লেসমৃদ্ধ মনিটরটির মডেল সিনেডি
ডব্লিউডি২৩৮ভি০৩। ২৩.৮ ইঞ্চির ওই
মনিটরটির তিন দিকে রয়েছে ফ্রেমলেস
ডিজাইন, যা সহজেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের
নজর কাড়বে। ব্যবহারকারী প্রিমিয়াম ফিল
পাবেন। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, কালো
রঙের নজরকাড়া মনিটরটির দাম ১৩,৭৫০
টাকা। এর ডিসপ্লের রেজ্যুলেশন ১৯২০
বাই ১০৮০ পিক্সেল আর এসপেক্ট রেশিও
১৬:৯। মনিটরটিতে রয়েছে ১৭৮ ডিগ্রি
ওয়াইড ভিউয়িং অ্যাঙ্গেল। ফলে ক্রিটিক্যাল
অ্যাঙ্গেল থেকেও ব্যবহারকারী হাই-
কোয়ালিটি পিকচার পাবেন। একুরেট কালার
রিপ্রোডাকশনের সুবিধার্থে এতে ৩০০০:১
কন্ট্রাস্ট রেশিও রাখা হয়েছে। যার কালার
কোয়ালিটি ৭২ শতাংশ এনটিএসসি
ডিজিটাল এডুকেশন সামিট করল ড্যাফোডিল
ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল শিক্ষার সমন্বয় ঘটাতে
‘ফিজিট্যাল’ সম্মেলন করেছে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক
বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স
ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের (এইচআরডিআই)
আয়োজনে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিন ধরে চলে
ভার্চুয়াল এই শিক্ষা সম্মেলন-আইপিইএস ২০২১।
সম্মেলনে ছিল ইনোভেটিভ টিচিং লার্নিং প্র্যাকটিসেস,
অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিক্ষার্থীদের অভিমত ও প্রত্যাশা,
বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্যানেল ডিসকাশন ও কর্মশালা।
কর্মশালা পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা,
অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা।
সম্মেলনের সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারীদের
মধ্যে ভার্চুয়াল সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান
অতিথি আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম
জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এটুআই
প্রকল্পের পরিচালক ড. আবদুল মান্নান, আইসিটি
ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ ও
ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান
ফ্রি প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি দিল বেআইটি
সাইবার আক্রমণ শব্দটির সাথে দেশের মানুষের চেনাজানা খুব বেশি
দিনের নয়। দিন দিন তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের সাথে বাড়ছে সাইবার ঝুঁকিও। ঝুঁকি
মোকাবেলায় দেশেই পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা কর্মী তৈরি করছে বেআইটি।
এতে তরুণদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান। বিদেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াই
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
‘সোনার ছেলে’ তৈরিতে ৫০০
শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ
নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ
হিসেবে ২০ মার্চ বেআইটির
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো
প্রথম পর্বের আয়োজন। প্রথম
পর্বে ডেটা সেন্টার স্পেশালিস্ট
এবং সাইবার সিকিউরিটি
স্পেশালিস্টের উপরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে ৭ জন শিক্ষার্থী
বেআইটিতে তাৎক্ষণিক চাকরি পেয়েছেন। আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথ
মদিনের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৫০ শিক্ষার্থীকে। তাদের মধ্যে ব্র্যাক
বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি)
তিনজন এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) একজনকে চাকরি
দেওয়া হয়। একই সাথে তিনজনকে মেধাবী কোটায় ১০০ শতাংশ স্কলারশিপ এবং
বাকি ৪৭ জনকে ৫০ শতাংশ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বেআইটি কর্তৃপক্ষ আরও
জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ শেষে আইসিসি কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং পিয়ার এক্স
নেটওয়ার্কে জবের সুবিধা পাবেন শিক্ষার্থীরা