• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > কমপিউটার থাকবে আপনার পকেটে
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: মো: রেদওয়ানুর রহমান
মোট লেখা:৪৬
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
কমপিউটার
তথ্যসূত্র:
দশদিগন্ত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
কমপিউটার থাকবে আপনার পকেটে



আবারও দিনবদলের পালা, আসছে ল্যাপটপ ও পামটপ থেকে ছোট কমপিউটার, যার জায়গা হবে আপনাদের পকেটে৷ এ কমপিউটারটি দেখতে একটি পেনের মতো৷ জাপানের বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন Miniature Computer৷ চিত্র-১-এ এরকম একটি কমপিউটারের ছবি দেয়া হয়েছে৷ এই পেনগুলোর একটি হবে কমপিউটারের মনিটর, একটি কী বোর্ড আর অন্যটি সিপিইউ৷ এগুলো পরস্পরের সাথে যুক্ত হবে ব্লুটুথ টেকনোলজিতে৷ এই পেনগুলো কিভাবে থাকবে তা দেখানো হয়েছে চিত্র-২-এ৷ এগুলোর পাওয়ার সাপ্লাই হবে সূর্যের আলো হতে, যা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে পাওয়ার জমা করে রাখে যাতে রাতেও কাজ করা যায়৷ এই কমপিউটারকে হলোগ্রাফিক কমপিউটার বলা যেতে পারে কেননা পরের চিত্রগুলো আপনাকে সেই ধারণাই দেবে৷ চিত্র-৩-এ দেখা যাচ্ছে এই পকেট কমপিউটার হতে কিভাবে কী বোর্ড তৈরি হবে৷ এই পেনগুলোর একটি তৈরি করবে ভার্চু্যয়াল কী বোর্ড যা কোনো সমতল জায়গায় আলো দিয়ে তৈরি হবে৷ আবার এই আলোর তৈরি কী বোর্ড কমপিউটার কী বোর্ডের মতোই ব্যবহার করা যাবে৷ এই কী বোর্ডের জন্য শুধু প্রয়োজন হবে সমতল জায়গা, যেমন আপনার কাজের টেবিলটি৷ এবার চিত্র-৪-এর দিকে তাকান, অন্য একটি কলম হয়ে যাবে আপনার মনিটর, যার স্ক্রিন একটি সমতল জায়গায় তৈরি হবে৷ এই স্ক্রিনেই চলবে আপনার যাবতীয় কাজের ছবি৷ এমনকি সিনেমাও দেখা যাবে এই স্ক্রিনে৷ চিত্র-৪-এ একটি সম্পূর্ণ কমপিউটারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ জাপানের বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে তাদের প্রথম পদক্ষেপ পার করে গেছেন৷ এখন শুধু দিন গণনার পালা কখন এটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের কাছে এসে পৌঁছাবে৷



এই একই প্রযুক্তি ব্যবহার হবে আপনার মোবাইলে কিংবা জিপিএসে৷ চিত্র-৫-এ দেখা যাচ্ছে একজন ব্যবহারকারীকে ভার্চ্যুয়াল কী বোর্ডের মাধ্যমে তার জিপিএস চালাতে৷ তেমনি চিত্র-৬-এ দেখানো হয়েছে ভবিষ্যতে আপনি কিভাবে এসএমএস লিখবেন আপনার মোবাইলে৷ সুতরাং দিনবদলের পালা, ল্যাপটপের দিনও ফুরিয়ে আসছে৷ আর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময় এই পকেট কমপিউটার পেতে৷



আসলে কি এই প্রযুক্তি, সে সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়৷ এই কমপিউটারের প্রতিটি অংশ একে অপরের সাথে যুক্ত হবে ব্লুটুথ প্রযুক্তিতে৷ এর একটি পেন তৈরি করবে হলোগ্রাফিক স্ক্রিন আর অন্যটি হবে হলোগ্রাফিক কী বোর্ড৷ এই হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে দেখা যাবে বর্তমান মনিটরের মতো ছবি আর কী বোর্ডটিও কাজ করবে বর্তমানের কী বোর্ডের মতো৷ তাই সব হার্ডওয়্যার চলে আসবে সফটওয়্যারের ভেতরে৷



তাই বলা যায় আর সেই দিনটি দূরে নয়, কথা হবে ভার্চু্যয়াল মানবের সাথে৷ সংবাদ উপস্থাপন হতে গান গাওয়া সব করবে সেই ভার্চু্যয়াল মানব কিংবা মানবী৷ প্রশ্ন করলে উত্তর চলে আসবে-এরকম একজন ভার্চু্যয়াল মানবের ছবি দেয়া হয়েছে চিত্র-৭-এ৷



প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে মানুষের সব কল্পনার জিনিস৷ যখন আপনার পকেটে একটি কমপিউটার চলে আসবে তখন থাকবে না ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপ কমপিউটারের মতো ঝামেলা৷ সেই সাথে অফিসের কাজের ডেস্কও পরিবর্তন হয়ে যাবে৷ ডেস্কের একপাশে থাকবে সাদা একটি বোর্ড যেটি হয়ে যাবে আপনার মনিটর আর টেবিলের একটি অংশ হয়ে যাবে কী বোর্ড, সেই সাথে পরিবর্তন হবে মাউসের চেহারা৷ আপাতত মাউসের চেহারা সম্পর্কে কোনো ধারণাই প্রকাশ করেননি বিজ্ঞানীরা৷ কমে যাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝামেলা৷ যেমনি দিনের আলোতে চলবে কাজ, তেমনি ঝড়-বৃষ্টি কিংবা রাতের বেলায়ও করা যাবে কাজ রিচার্জার ব্যাটারিকে কাজে লাগিয়ে৷



ইন্টারনেট যুক্ত হবে এই পকেট কমপিউটার WiMax (ওয়াইম্যাক্স) প্রযুক্তিতে৷ সুতরাং বাসে, ট্রেনে অথবা উড়োজাহাজে সংযুক্ত থাকবে আপনার ইন্টারনেট৷ পরিবর্তন আসবে চিকিত্সা ক্ষেত্রে, ভেসে উঠবে হলোগ্রাফিক স্ক্রিনে মানুষের ভেতরের অপারেশনের জায়গাগুলো, তাই খুব সহজেই হয়ে যাবে জটিল সব অপারেশন৷ কথা বলার সঙ্গী হয়ে উঠবে এই কমপিউটার৷ চিত্র-৮-এ দেখানো হয়েছে একজন ভার্চ্যুয়াল মানবী কিছু লোকের সাথে কথা বলছে৷ এই হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে করবে অনেক সুন্দর, অনেক আকর্ষণীয়৷ সমস্ত চিত্রগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত হয়েছে৷ মিনিয়েচার কমপিউটার প্রযুক্তিটি জাপানের বিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণাধীন আছে৷ বিজ্ঞানীরা আশা করছেন ২০০৯ সালের প্রথম দিকে প্রযুক্তিটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন৷ তাই এখন শুধু অপেক্ষার পালা৷


ফিডব্যাক : redu007@yahoo.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - মে সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস