লেখক পরিচিতি
লেখা সম্পর্কিত
সম্পাদকীয়
কমপিউটার জগৎ-এর সতেরো বছর পূর্তি
সুপ্রিয় পাঠক৷ ইতোমধ্যেই আপনারা জেনে গেছেন মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর এ সংখ্যাটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে এর প্রকাশনার সতেরো বছর পূর্ণ হলো৷ কমপিউটার জগৎ-এর এই সতেরো বছর পূর্তির শুভলগ্নে আমরা সুখবোধ করছি এই ভেবে যে, এই সতেরো বছরে কমপিউটার জগৎ-এর প্রতিটি সংখ্যা কোনো ধরনের ছেদ ছাড়াই প্রতি মাসে যথাসময়ে আমাদের পাঠকদের হাতে পৌঁছাতে পেরেছি৷ সীমিত পাঠকের এদেশের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক একটি পত্রিকার অব্যাহত প্রকাশনা নিশ্চিতভাবেই সহজ কাজ নয়৷ শুধু অব্যাহতভাবে প্রকাশ করে যাওয়াই নয়, আমরা এরই মধ্যে কমপিউটার জগৎ-কে এদেশের সর্বাধিক প্রচারিত তথ্যপ্রযুক্তি সাময়িকী হিসেবে প্রতিষ্ঠাসহ একে পাঠকনন্দিত পর্যায়ে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছি৷ তাছাড়া আমাদের এ পত্রিকাটি আজ বিতর্কাতীতভাবে এদেশের তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ অভিধায়ও সব মহলে অভিহিত হচ্ছে৷ একটি পত্রিকার জন্য এ এক বড় মাপের পাওয়া৷
সার্বিক দিক বিবেচনায় যদি বলা হয়, কমপিউটার জগৎ প্রকৃত অর্থেই একটি সফল পত্রিকা, তবে এতটুকুও বাড়িয়ে বলা হবে না৷ পাশাপাশি আমরা গভীরভাবে উপলব্ধি করি, আমাদের এই সাফল্যের পেছনে নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে আমাদের লেখক, পাঠক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীদের অব্যাহত ইতিবাচক সহযোগিতা৷ সে উপলব্ধি থেকেই আমরা এদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা৷ পাশাপাশি আমাদের স্বাভাবিক প্রত্যাশা- আমাদের লেখক, পাঠক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে অতীতের মতো আগামী দিনগুলোতে পূর্ণ সহযোগিতা পাবো, যা হবে আমাদের ভবিষ্যৎ চলার পথের পাথেয়৷ পরবর্তী সংখ্যাটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমরা পদার্পণ করবো অষ্টাদশ বছরে৷ আমরা আমাদের পরবর্তী প্রতিটি সংখ্যা আরো আকর্ষণীয়ভাবে সাজাতে চাই আমাদের পাঠকদের চাহিদা ও পরামর্শের ভিত্তিতে৷ তাই আমরা চাই আমাদের সম্মানিত পাঠকরা বরাবরের মতো তাদের গঠনমূলক পরামর্শ দেয়া আগামী দিনগুলোতে অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাবেন৷
যা-ই হোক, এই সতেরো বছরে আমরা একটি তথ্যপ্রযুক্তিসমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নকে সামনে রেখে মাসিক কমপিউটার জগৎ-এর পসরা সাজিয়েছি৷ প্রয়োজনে প্রকাশনার বাইরে গিয়েও ভিন্ন মাত্রার তত্পরতার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার কামনা করেছি৷ এই সতেরো বছরে আমাদের একটা চাওয়া-পাওয়ার প্রশ্ন তাই স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়৷ তারই একটি সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরার প্রয়াস হচ্ছে আমাদের এবারের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন : কমপিউটার জগৎ-এর সতেরো বছরের চাওয়া-পাওয়া৷ আশা করি প্রতিবেদনটি পাঠকরে কাছে সুখপাঠ্য হবে৷
সম্প্রতি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে আউটসোর্সিংয়ের বিপুল সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে৷ তবে এর ফলে কলসেন্টারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল বলেই এখন মনে হয়৷ সার্ক দেশগুলোতে এখন কলসেন্টারের জোয়ার বইছে বলা যায়৷ অথচ এসব দেশের তুলনায় আমরা এক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছি৷ কারণ, আমাদের দেশে কম বেতনে জনশক্তি যোগাড় করা যায়৷ তবে কলসেন্টারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন কিছু প্রশিক্ষণের৷ সুখের কথা, এরই মধ্যে সে অভাব পূরণ করতে ঢাকায় এ ধরনের কিছু কলসেন্টার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে৷ এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত জনশক্তি বের করতে পারলে কলসেন্টার খাতকে আমরা একটা উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে দাঁড় করাতে পারি৷
কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত পাঠকরা নিশ্চয়ই জানেন, আমরা এদেশে কমিউনিটি রেডিও চালুর দাবি নিয়ে প্রচ্ছদ কাহিনী রচনা থেকে শুরু করে সভা-সেমিনার পর্যন্ত আয়োজন করেছি৷ এরই ফসল হিসেবে সরকার সম্প্রতি কমিউনিটি রেডিওবিষয়ক জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে৷ তাছাড়া চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কমিউনিটি রেডিও স্থাপনের জন্য লাইসেন্স নিতে আগ্রহীদের কাছ থেকে দরখাস্তও আহ্বান করেছে৷ এটি একটি শুভ সূচনা বলে আমরা মনে করি৷
গত ৩০ মার্চ ২০০৮ থেকে ঢাকায় শেষ হয় ৬ দিনব্যাপী বিসিএস আইটি এক্সপো ২০০৮৷ এ মেলা বাংলাশের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলবে বলে আমাদের বিশ্বাস৷ আমরা এ মেলার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও আহ্বান জানাই এ ধরনের মেলা আরো বেশিমাত্রায় আয়োজনের৷