• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়ার ৭ম এআরএম ২০০৮
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: এম. ‍এ. হক অনু
মোট লেখা:১৬
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৮ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
রক্ষনাবেক্ষন
তথ্যসূত্র:
রির্পোট
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়ার ৭ম এআরএম ২০০৮

ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক বৈঠক জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা



রতের রাজধানী দিল্লি৷ ঐতিহাসিক এই শহরের নেহরু প্যালেসে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল৷ এখানেই ৮-৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়ার সপ্তম বার্ষিক আঞ্চলিক বৈঠক বা এআরএম ২০০৮৷ এআরএমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতিসংঘ ঘোষিত ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্য দূর করতে নেয়া মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) কতখানি অর্জিত হয়েছে এবং এর বাধাগুলোর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়৷ এবার প্রাধান্য পায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি৷ বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ভারত থেকে সুশীল সমাজ, সরকার, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়নকর্মী এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১৭৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন৷ বাংলাদেশ থেকে এডভান্সমেন্ট ফর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচালক শামীমা আক্তার, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক রেজা সেলিম, প্রোগ্রাম কর্মকর্তা দীপক কুমার ব্যানার্জী, ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো: শামসুদ্দোহা, পিরোজপুর গণউন্নয়ন সমিতির নির্বাহী পরিচালক জিয়াউল আহসান, দৈনিক যুগান্তরের আইসিটি বিভাগের সম্পাদক তরিক রহমান, দৈনিক সমকালের সাব-এডিটর সাববিন হাসান, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)-এর সভাপতি এম. এ. হক অনু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন কবির অংশগ্রহণ করেন৷ বাংলাদেশের প্রতিনিধদের বৈঠকে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সার্বিকভাবে সহায়তা করে বিএনএনআরসি৷

ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়া

ভারতের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়া সংক্ষেপে ওডব্লিউএসএ হচ্ছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওয়ান ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সাউথ এশিয়ান সেন্টার৷ এর কাজ হলো দক্ষিণ এশিয়ায় আইসিটির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এবং মানবাধিকার নিশ্চিত করা৷ ওডব্লিউএসএ একটি সুশীল সমাজের নেটওয়ার্ক৷ যারা কাজ করছেন এমডিজি অর্জনে৷ সুশীল সমাজের ৮০০-র বেশি সংগঠন ওডব্লিউএসএ-এর অংশীদার৷ বৈঠকের থিম
এমডিজি অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে সামনে দাঁড়িয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার কোটি কোটি মানুষের ভূমি ও বাড়ি ঘর পানির নীচে তলিয়ে যাবে৷ ইতোমধ্যেই খাদ্যের নিরাপত্তা এবং জীবিকা নির্বাহের ওপর এর প্রভাব পড়ছে৷ তাই এবারের বৈঠকের থিম ছিল ক্লাইমেট জাস্টিস ফর রিয়েলাইজেশন অব দ্য এমডিজিস : সাউদার্ন প্রাসপেকটিভ অ্যান্ড ভয়েসেস৷ উদ্বোধন

৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় প্রধান অতিথি নাগাল্যান্ড গান্ধী আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী নাটোয়ার থাক্কার ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়ার সপ্তম বার্ষিক আঞ্চলিক বৈঠক ২০০৮ আলোক প্রজ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন৷ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়ার পরিচালক নাইমুর রহমান৷ তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এ সমস্যাকে মোকাবেলা করতে সংশ্লিষ্ট বিশ্বসংস্থা এবং আর্থিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একযোগে কাজ করতে হবে৷ তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্রদের এবং তৃণমূল পর্যায়ের লোকদের সমস্যার কথা শুনতে হবে৷

শ্রী নাটোয়ার থাক্কার মহাত্মা গান্ধীর বিখ্যাত বাক্য ধরণী মানবের যতকিছু প্রয়োজন সবকিছুই দিয়েছে কিন্তু লোভ-লালসা চরিতার্থ করার জন্য নয়-এ উক্তি দিয়ে শুরু কনে৷ মানবজাতি বর্তমানে যে পথ অবলম্বন করে চলেছে তা শেষ পর্যন্ত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যাবে৷ তিনি অবশ্য আশাবাদী যে মূল্যায়নের ধারায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)-এর মহা পরিচালক ওয়াল্টার ফুটস৷ বিশেষ ভিডিও বাণী প্রচার করা হয় দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. আ. কে. পাচাউরির৷ প্ল্যানারি সেশন
৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে প্ল্যানারি সেশনের প্রথম পর্ব শুরু হয়৷ যার আলোচ্যসূচি ছিল- সাউদার্ন ডাইলেমা অ্যান্ড দ্য লিংকেজেস বিটুইন ইনক্লুসিভ ইকোনমিক গ্রোথ, প্রভারটি ইরাডিকেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ৷ এ বিষয়ের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ইউএন মিলেনিয়াম ক্যাম্পেইনের মিনার পিম্পল, শ্রীলঙ্কা ওয়ার্ল্ডভিউর ড. তারা দে মেল, ইউএনএফপিএ-এর ড. ওয়াসিম জামান, লিড পাকিস্তানের ড. আলী তাকীর শেখ, তারাইন ভারিওর রাকেশ খান্না এবং ইউনাইটেড এস্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর এস. পদমানাবান৷ এ পর্বে মূল সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ওয়াল্টার ফুটস৷

সমান্তরাল অধিবেশন

দুদিনব্যাপী মূল অধিবেশনের পাশাপাশি ৬টি সমান্তরাল বা প্যারালাল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়৷ এগুলো হলো- ইমপ্যাক্ট অন সাউথ এশিয়ান ফুড সিকিউরিটি, ইনকাম অপরচুনিটি অ্যান্ড লাইভলিহুড রিসোর্স; মিটিগেশন অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন স্ট্র্যাটেজিস ইন সাউথ এশিয়াস জিও-ক্লাইমেটিক অ্যান্ড কালচারাল কনটেক্স; ক্লাইমেট চেঞ্জ চ্যালেঞ্জ ইন সাউথ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভস : স্ট্যাবলিশিং ইন্টার-সেক্টোরাল রিলেশনশিপস; ইনক্লুশন অব সাউথ এশিয়ান গ্রাসরুটস ভয়েস ইন দ্য ক্লাইমেট চেঞ্জ ডায়ালগ; রোল অব আইসিটি অ্যান্ড ইমারজিং মিডিয়া ইন অ্যাড্রেসিং ক্লাইমেট চেঞ্জ চ্যালেঞ্জ এবং কোলাবোরেশন্স অ্যান্ড পার্টনারশিপ ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইকুইটেবল ক্লাইমেট চেঞ্জ মিটিগেশন পলিসি অ্যান্ড ইনিশিয়েটিভস৷ উপসংহার

এবারের বৈঠক থেকে যে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি ফুটে উঠে তাহলো একটি নুতন ধারার ডিজিটাল সার্ভিস চালু করা যা ভারতের গ্রাম অঞ্চলে শিক্ষক দেবে৷ যারা হবেন জটিল বিষয়সমূহকে সহজবোধ্য করার কাজে সাহায্যকারী৷ এই সার্ভিসকে বলা হচ্ছে লাইফ লাইন ফর এডুকেশন৷ ব্রিটিশ টেলিকম (বিটি),সিসকো,ভিক্রমশীলা, এডুকেশন রিসোর্স সোসাইটি, ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ফাউন্ডেশন এবং কোয়েস্ট অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় ওয়ান ওয়ার্ল্ড সাউথ এশিয়া এ প্রকল্পটি সম্পন্ন করবে৷ আগামী বছর শ্রীলঙ্কায় অষ্টম এআরএম অনুষ্ঠিত হবে৷
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৮ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস