লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
তুষার চন্দ্র দেব
মোট লেখা:১
লেখা সম্পর্কিত
বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড ২০১৪
চারদিকে শুধু প্রযুক্তির ধুম! দেশকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তির নানা আয়োজন। ‘তথ্যই শক্তি, প্রযুক্তির মুক্তি’ স্লোগানে এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ৪-এ বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে দেশের সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি বাজার। ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় তথ্যপ্রযুক্তি মেলা ‘বিসিএস আইসিটি ওয়ার্ল্ড ২০১৪’ চলে ৮ মার্চ পর্যন্ত। নতুন সাজে সেজেছিল যমুনা ফিউচার পার্কের লেভেল ৪। তরুণ থেকে প্রবীণ, কিশোর থেকে বৃদ্ধ, এমনকি শিশু-কিশোর- কারও কমতি ছিল না উৎসাহে। মেলায় বিশেষ আকর্ষণ বিভিন্ন পণ্যের ওপরে বিশেষ মূল্যছাড়। তথ্যপ্রযুক্তির সর্বাধুনিক পণ্যের সমাহার ছাড়াও উপস্থিত হয় বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত প্যাভিলিয়ন। প্রদর্শনী চলাকালে তথ্যপ্রযুক্তি এবং মুঠোফোন পণ্য ও সেবায় আকর্ষণীয় ছাড় এবং বিশেষ উপহার দেয়া হয়। দর্শনার্থীরা কেনাকাটাও করেছেন অনলাইনে। আর প্রদর্শনী চলাকালে যমুনা ফিউচার পার্কের সব সেবায়, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, ইনডোর ও আউটডোর রাইডস ইত্যাদিতে ছিল ১০ শতাংশ ছাড়। প্রদর্শনী উপলক্ষে সমান্তরালভাবে আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল ওয়েব ফেয়ার।
আয়োজনে যা ছিল
২ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট স্থানজুড়ে এ তথ্যপ্রযুক্তি বাজার গড়ে তোলা হয়েছিল। এ বাজার ও প্রদর্শনীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মুঠোফোনের দেড় শতাধিক দেশী-বিদেশী নামিদামি প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা দেয়। ‘তথ্যই শক্তি, প্রযুক্তিতে মুক্তি’ স্লোগানে আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব, ডিজিটাল জীবনধারা ও মুঠোফোনভিত্তিক নতুন সব আবিষ্কারের খোঁজ মিলেছে। পাশাপাশি ছিল সচেতনতা ও বিনোদনমূলক বৈচিত্র্যময় নানা আয়োজন, উৎসবমুখর ইভেন্ট কর্নার- যাতে ছিল সেলিব্রেটি শো, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, প্রোডাক্ট শো, জাদু প্রদর্শনী, কৌতুক পরিবেশন। প্রদর্শনী চলাকালে তথ্যপ্রযুক্তি ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্তত পাঁচটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে শিখারথিদের জন্য ছিল ডিজিটাল চিত্রাঙ্কন ও চিত্রাঙ্কন, ভার্চুয়াল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, গেমিং ইত্যাদির আয়োজন। এছাড়া ছিল ডিজিটাল এডুকেশন জোন। দেশে এমন আয়োজন এবারই প্রথম। পুরো মেলা প্রাঙ্গণেই ফ্রি ওয়াই-ফাই সুবিধা আর ইন্টারনেট ব্রাউজিং কর্নারে দর্শনার্থীদের সুযোগ ছিল উচ্চগতির ইন্টারনেট বিনামূল্যে ব্যবহারের।
উদ্বোধন
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি মোস্তফা জববার।
নতুন পণ্য ও অফার
ফ্লোরা লিমিটেড মেলা উপলক্ষে নিয়ে এসেছিল বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের ল্যাপটপসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। প্রত্যেকটি ল্যাপটপের সাথে ছিল এক বছরের ওয়ারেন্টি। মেলা উপলক্ষে প্রত্যেকটি পণ্যে ছাড় দেয়া হয়। ফ্লোরা লিমিটেড ৪০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপ এনেছিল মেলায়।
গ্লবাল ব্র্যান্ড মেলা উপলক্ষে এই প্রথম আসুস পণ্যের ওপর দুই বছরের আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টি দেয়। ল্যাপটপের সাথে গিফট হিসেবে ছিল টি-শার্ট, মোবাইল ও হেডফোন। তাছাড়া গ্লোবাল ব্র্যান্ডের অন্যান্য পণ্যও ব্যাপক সাড়া ফেলে।
মেলায় স্মার্ট টেকনোলজি নিয়ে আসে তাদের বাজারজাত করা বিভিন্ন পণ্যের সমাহার এবং মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যের ওপর ছিল বিভিন্ন অফার।
স্যামসাং মেলায় বিভিন্ন মডেলের ক্যামেরা নিয়ে এসেছিল। ক্যামেরার সাথে গিফট হিসেবে ছিল টি-শার্ট ও ব্যাগ। মেলা উপলক্ষে স্যামসাং ছবি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। যারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তাদের মধ্যে প্রথম তিনজনকে পুরস্কার দেয়া হয়।
তাদের বাজারজাত করা বিভিন্ন পণ্যের ওপর কমপিউটার সোর্স মেলা উপলক্ষে ছাড় না দিলেও তাদের পণ্য মেলায় অনেক সাড়া জাগিয়েছিল। তাদের বিভিন্ন পণ্য মেলায় আসা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে ব্যাপকভাবে।
জেএএন অ্যাসোসিয়েটেস-এর বাজারজাত করা ক্যাননের নতুন কোনো পণ্য না থাকলেও চলমান পণ্যগুলো মেলায় প্রচুর সাড়া ফেলেছিল। মেলায় প্রিন্টারে ছিল ছাড়, সাথে গিফট হিসেবে টি-শার্ট দেয়া হয়। প্রিন্টারে ওপর নির্ভর করে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ছাড় দেয়া হয় মেলা উপলক্ষে। ক্যামেরাতে ছিল সর্বনিমণণ ১০০০ হাজার টাকা ছাড়।
মেলায় ইউসিসির নতুন পণ্য ছিল এএমডির পেন্টিয়াম প্রসেসর, যার বাজার মূল্য ৮৮০০ টাকা। কিন্তু মেলা উপলক্ষে ৮০০০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
বিভিন্ন মডেলের মেলায় এইচপির ল্যাপটপের সাথে দেয়া হয় ৫০০ টাকার গিফট। মেলায় এইচপির নতুন নোটবুক প্রচুর সাড়া ফেলেছিল, যার মূল্য ছিল ৮৭ হাজার টাকা।
এক্সিকিউটিভ টেকনোলজিস এসআর ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ও নোটবুকের সাথে স্পেশাল মূল্যছাড়, বান্ডেল গিফট এবং র্যাাফেল ড্র’র বিজয়ীকে সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড-নেপালের রিটার্ন বিমান টিকেট দেয়। ইউনিক বিজনেস সিস্টেমস হিটাচি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাথে একটি স্ক্রিন ও স্পিকার। এছাড়াও কমপিউটার জগৎ-এর স্টলে গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ছাড়ের অফার দেওয়া হয়।
আয়োজনে যারা ছিল
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল প্রদর্শনী আয়োজনে সহযোগিতা করেছে। প্রদর্শনীর প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড। টেলিকম পার্টনার হিসেবে ছিল গ্রামীণফোন লিমিটেড। কানেক্টিভিটি পার্টনার বাংলালায়ন কমিউনিকেশন্স লিমিটেড। মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই, দৈনিক সমকাল, রেডিও এবিসি ও বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। টিকেট কাউন্টার স্পন্সর ক্যাসপারস্কি। ওয়েব উন্নয়নে ভিশন বস্নু ইন করপোরেশন। আর প্রদর্শনীর ব্যবস্থাপনায় যুক্ত ছিল মাত্রা