• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে চলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৯ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
আইটি
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে চলা

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির জয়জয়কার। প্রযুক্তির এ জয়জয়কার এমনিতে আসেনি। প্রযুক্তি তার যথাযোগ্যতা প্রমাণ করতে পারছে বলেই প্রযুক্তিকে এড়িয়ে চলা আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। প্রযুক্তি কী, প্রযুক্তির মাত্রা ও পরিধি কী, সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই তেমন কোনো ধারণা না থাকলেও প্রযুক্তি আমাদের চারপাশে ধীরে ধীরে এসেছে তাদের সদর্প পদচারণায়। কিন্তু সময়ের সাথে প্রযুক্তি যেভাবে এগিয়ে চলেছে, আমাদেরকেও সমান্তরালভাবে চলতে না পারলে অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় আমরা টিকতে পারবো না। আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে ও আমাদের জাতীয় অগ্রগমনের স্বার্থে প্রযুক্তির সাথে আমাদের এগিয়ে চলতেই হবে।

সম্প্রতি ঢাকার বিডিআর সদর দফতরে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটলো, তা নজিরবিহীন। আমাদের জাতীয় জীবনে তা এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ ঘটনায় আমাদের জাতীয় জীবনের নিরাপত্তা যে কতটা নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, কতটা ঝুঁকির মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে, এ ঘটনা তারই জায়মান উদাহরণ। আমরা আজ সবাই বলছি, বাইরে থেকে কমান্ডোরা ছাই রঙের একটি গাড়িতে করে বিডিআর কম্পাউন্ডে ঢুকে এবং তাদের কিলিং মিশন সম্পন্ন করে নিরাপদে চলে গেছে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, বিডিআরের মতো একটি আধাসামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেনো এতটা নাজুক হবে? বাইরে থেকে এরা কেমন করে এলো, কারা এলো তার সঠিক কিছুই বিডিআর জানাতে পারলো না। কিলারদের চিহ্নিত করাও সম্ভব হলো না। আসলে আজকাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুরোটাই প্রযুক্তিনির্ভর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে তোলার হাজারো উপায় আজ আমাদের সামনে হাজির করেছে এই প্রযুক্তি। আজ প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা প্রযুক্তি অনেক জায়গায়ই সফলতার সাথে ব্যবহার হচ্ছে। অপরাধীরা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় তোলা ভিডিও চিত্রে আজ সহসাই ধরা পড়ছে। কিন্তু বিডিআর সদর দফতরের গেটগুলোতে যদি আজ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকতো, তবে হয়তো কিলারদের নিয়ে আসা সে গাড়িটি চিহ্নিত করা, সেই সাথে আসল কিলারদের চিহ্নিত করে শাসিত্মর মুখোমুখি দাঁড় করানোর কাজটা আমাদের জন্য সহজতর হতো। বিডিআর সদর দফতরের মতো জাতীয় এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটি এতটা যে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে তা ভাবতেও অবাক লাগে। এখানে বিডিআর সদস্য ছাড়া অন্য কোনো বহিরাগত সহজে কোনোমতেই ঢুকতে পারতো না, যদি সেখানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা চালু রাখা হতো এবং বায়োমেট্রিক চেকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সবাইকে ভেতরে ঢুকতে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হতো। আজ অনেক ছোটখাটো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিনির্ভর নানা ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে, অথচ বিডিআর সদর দফতরের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে সে ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি নেই। আমরা মনে করি, এখন এ নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। নইলে বিডিআর সদর দফতর বার বার এভাবে নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হবে। শুধু বিডিআর সদর দফতর নয়, প্রতিটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সদস্যের জন্য আরএফআইডি বা রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি আইডেনটিটি কার্ড চালু করলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার পর্যায়ে উঠে আসতে পারতো।

এবারের সংখ্যায় আমরা প্রচ্ছদ কাহিনীর বিষয় হিসেবে বেছে নিয়েছি কনভারজেন্সকে। কনভারজেন্স প্রযুক্তির সম্ভাবনাময় এক নতুন ক্ষেত্র। নতুন তত্ত্ব। একটি কমপিউটার, একটি ল্যাপটপ, এমনকি স্মার্ট টেলিফোনকেও একযোগে তথ্যপ্রবাহ ও ছবি বিনিময়ের মাধ্যমে পরিণত করেছে কনভারজেন্স। কনভারজেন্স সময় ও খরচ কমিয়ে ব্যবস্থাপনাকে সহজ, কার্যকর ও গতিশীল করেছে। কনভারজেন্স টেলিযোগাযোগের সর্বশেষ রূপ। কনভারজেন্সের কল্যাণে শব্দ, তথ্য ও ছবি আজ একক মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। কনভারজেন্স আজ আমাদের জীবনের নানাক্ষেত্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এই কনভারজেন্সের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে আমাদের এবারের প্রচ্ছদ কাহিনীতে।

প্রিয় পাঠক, আগামী এপ্রিল, ২০০৯ সংখ্যাটি আমাদের নিয়মিত প্রকাশনার অষ্টাদশ বর্ষপূর্তি সংখ্যা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বর্ষপূর্তি সংখ্যাটি আপনাদের কাছে বর্ধিত কলেবরে আরো আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে। অতীতের মতো আমাদের পাঠক, লেখক, পৃষ্ঠপোষক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের অব্যাহত সহায়তা আমরা কামনা করছি।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৯ - মার্চ সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা