• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও আগামী বাজেট
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - মে
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
বাজেট
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
তথ্যপ্রযুক্তি খাত ও আগামী বাজেট

তথ্যপ্রযুক্তি আসলে কী? সে প্রশ্নের জবাব আমাদের অনেকের কাছেই নেই। তবুও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার এখন প্রায় সর্বজনীন হয়ে উঠছে। ছোট-বড়, ধনী-গরিব সবাই কমবেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। ইদানীং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আরও সম্প্রসারণ ঘটে তা ‘তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি’ তথা আইসিটি খাত নামে অভিহিত হচ্ছে। আইসিটি পণ্য ও সেবা যেনো অজান্তেই আমাদের চারপাশটা ঘিরে ফেলছে। কেউ চাইলেও আইসিটি প্রযুক্তি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। আইসিটি পণ্য ও সেবার সদর্প পদচারণা সবখানে। এক সময় তথ্যপ্রযুক্তির ভয়ে যারা শঙ্কিত ছিল, তাদের সে ভয় যেনো কেটে গেছে। এরাও আজ প্রযুক্তিপণ্য ও সেবাকে স্বাগত জানাচ্ছে। প্রযুক্তিপণ্য ও সেবাকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্য এক অনন্য আশীর্বাদ হিসেবে মেনে নিয়েছে। এর ফলে আইসিটি যেমনি সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছে, তেমনি সব মহলে যেনো প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়ে গেছে- কে কার চেয়ে বেশি আইসিটির সুফল ঘরে তুলতে পারে।

আমাদের দেশে অতীতে সরকারের নীতিনির্ধারক ও জাতীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে যে এক ধরনের আইসিটি ভীতি ছিল, তা আজ কেটে গেছে। বর্তমান সরকার তো ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আজ ক্ষমতাসীন। সে লক্ষ্য দিয়ে ঘোষণা করেছে জাতীয় আইসিটি নীতিমালা ২০০৯। আইসিটি নীতিমালায় রয়েছে একটি রূপকল্প, যা অভিহিত হচ্ছে ‘ভিশন ২০২১’ বা ‘রূপকল্প ২০২১’। জাতীয় আইসিটি নীতিমালা প্রণীত হয়েছে ১০টি উদ্দেশ্য সামনে রেখে। এ উদ্দেশ্য অর্জনে প্রণীত হয়েছে ৫টি কৌশলগত বিষয়বস্ত্ত বা স্ট্র্যাটেজিক থিম। তাছাড়া জাতীয় আইসিটি নীতিমালায় সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৩০টি করণীয় বা অ্যাকশন আইটেম।

রূপকল্পের কথা হচ্ছে- তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির সম্প্রসারণ এবং বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করা; দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন নিশ্চিত করা; সামাজিক ন্যায়পরায়ণতা বাড়ানো; সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বে সুলভে জনসেবা জোগান নিশ্চিত করা; ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৩০ বছরের মধ্যে উন্নত দেশের সারিতে উন্নীত করার জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। আর ১০টি উদ্দেশ্যের মধ্যে আছে- সামাজিক সমতা, উৎপাদনশীলতা, অখন্ডতা, শিক্ষা ও গবেষণা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, তথ্য জগতে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার, পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আইসিটিতে সহায়তা প্রদান।

কজ ওয়েব
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস
অনুরূপ লেখা