• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সম্পাদকীয়
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: সম্পাদক
মোট লেখা:৩১৭
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০০৭ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সম্পাদক
তথ্যসূত্র:
সম্পাদকীয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সম্পাদকীয়
তথ্যপ্রযুক্তি ও আমাদের দেশ

অর্থনীতিতে একটা কথা আছে : প্রতিটা অর্থনৈতিক মন্দার পর আসে একটা অর্থনৈতিক চাঙ্গাভাব৷ আমাদের অভিজ্ঞতাদৃষ্টে বলতে পারি, অর্থনীতির মতোই তথ্যপ্রযুক্তির বাজারেও এ কথাটা সত্যি৷ সেটা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পণ্যের বাজারই হোক, আর তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট চাকরির বাজারই হোক৷ একথা যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মন্দা চলার সময়টারই পরবর্তী সময়ে আসা সুযোগটাকে যথাযথ কাজে লাগানোর ব্যাপারে একটা সতর্ক প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ আপনা-আপনি আমাদের সামনে হাজির হয়৷ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের চাকরির বেলায় এ কথাটা সবচেয়ে বেশি করে সত্যি হয়ে ধরা পড়ে৷

২০০১ সালে নয়-এগারোর ঘটনা-উত্তর সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় ধরনের একটা মন্দা নেমে আসে৷ এর ফলে হাজার হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী তাদের কর্মসংস্থান হারায়৷ চাকুরেদের বেতন কমিয়ে দেয়া হয়৷ পেশাজীবীদের কাজ পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে৷ নতুন কর্মসংস্থান প্রয়াসী তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা পড়ে হতাশাজনক এক পরিস্থিততে৷ এ বাস্তব পরিস্থিতি দেখে বিশ্বের সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনায় ছাত্রছাত্রীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে৷ বাংলাদেশেও সে প্রবণতা চলে বেশ লক্ষণীয়ভাবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনায় উত্সাহে ভাটা পড়ে৷ এতে করে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ হওয়ার পথে সৃষ্টি হয় নতুন বাধা৷ তখন আমরা শুরুতেই উল্লেখ করা মন্দার পর আবার বাজার চাঙ্গা হওয়ার কথাটা বেমালুম ভুলে যাই৷ আজকে তথ্যপ্রযুক্তির বাজার সম্প্রসারণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চাকরির সুযোগ, কিন্তু সে হারে আমাদের নেই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষিত-প্রশিক্ষিত একটি যথাযথ প্রজন্ম৷ বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের অভাবটা আজ প্রকট আকার ধারণ করেছে৷ যতই দিন যাবে এ অভাব আরো ব্যাপক হয়ে আমাদের সামনে হাজির হবে৷ তাই এখন থেকে আমাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণে জোরালো তত্পরতা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় মনোযোগী হওয়া ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই৷ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি জনশক্তি চাহিদা মেটাতে চাইলে এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিতেই হবে৷ তরুণ-প্রজন্মকেও এ ব্যাপারে সচেতন হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি এগিয়ে আসতে হবে৷ কারণ, তাদের সামনে অপেক্ষা করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ৷ তাছাড়া, মনে রাখতে হবে, তথ্যপ্রযুক্তিই হচ্ছে দ্রুততম সময়ে সমৃদ্ধতম সমাজ গড়ার প্রধানতম হাতিয়ার৷ এ সত্যকে উপেক্ষা করা জাতীয়ভাবে আত্মঘাতী হওয়ারই নামান্তর৷ এ সত্যকে যেনো আমরা ভুলে না যাই৷

এদিকে দেশের অন্যতম বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি আয়োজন করতে যাচ্ছে এসিএম রিজিওনাল প্রোগ্রামিং কনটেস্ট ২০০৭৷ আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু হবে ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে৷ এ প্রতিযোগিতা সফল করে তোলার জন্য বেশকিছু ব্যাংক, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও নিউজ মিডিয়া, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে সহায়তা দানে এগিয়ে এসেছে৷ এ ধরনের একটি বড় মাপের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগী ভূমিকা নেয়ার জন্য ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ৷ পাশাপাশি আমরা আন্তরিকভাবে কামনা করছি এ আয়োজনের সফল সমাপ্তি৷

বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে আমরা সব সময় যথাসময়ে যথাপদক্ষেপ নিতে পারিনি সত্য৷ তবুও বাংলাদেশে অপরিহার্যভাবেই প্রযুক্তির চর্চা থেমে থাকেনি৷ বিনোদনের ক্ষেত্রে সিনেমা শিল্পেও ডিজিটাল প্রযুক্তির পদচারণা শুরু হয়ে গেছে৷ বাংলাদেশের দুই তরুণ-প্রপেল ও দেবাশীষ বিশ্বাস শুভবিবাহ নামে একটি সিনেমা তৈরি করছেন এইচডি ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে৷ জানা গেছে, আগামী ঈদে তাদের এই ডিজিটাল প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সিনেমা মুক্তি পাবে৷ তাদের এই প্রযুক্তি-উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই৷
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
২০০৭ - নভেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস