• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ইগলি পপ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১১ - সেপ্টেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ইগলি পপ

প্যাক-ম্যান গেমসের নাম শোনেননি এমন গেমার হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ১৯৮০ সালের ন্যামকো গেম কোম্পানি গেমটি ডেভলপ করেছিলো। বর্তমানে প্যাক-ম্যান গেমের অনুকরন করে আরো অনেক গেম বাজারে এসেছে। আজ সেরকমই একটি গেম ‘‘ইইগলি পপ’’ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই গেমে দুটো চরিত্র রয়েছে ফিজি ও ডিজি, গেমের শুরুতে এই দুটো চরিত্র থেকে যে কোন একটিকে বাছাই করে নিতে হবে। তার পর শুরু করতে হবে ইগলিদের রক্ষা করার অভিযান।



গেমটি খেলতে প্যাক-ম্যানের মতো হলেও এটিতে বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। যেমন, প্যাক-ম্যানকে নিয়ে স্টেজের গোলক ধাঁধাঁ থেকে গোলাকার বল গলধঃকরণ করে স্টেজ ক্লিয়ার করতে হয় এবং সেই সাথে নিজেকে পথিমধ্যে থাকা ভূত হতে রক্ষা করতে হয়। এই গেমেও ফিজি বা ডিজিকে নিয়ে খেলার সময় ভূত থেকে সাবধান থাকতে হবে। তবে এখানে তাদের নিয়ে কিছু গলধঃকরন করে স্টেজ ক্লিয়ার করতে হবে না। গেমে বলের বদলে ইগলি নামের ছোট ছোট প্রানীদের দেখানো হয়েছে যাদের ভূত বাবলের মধ্যে বন্দী করে রেখেছে। ডিজি বা ফিজি কে নিয়ে এদের উপর দিয়ে গেলে এরা মুক্ত হয়ে যাবে এবং গেমারের সাথে সাথে থাকবে। একসাথে অনেক ইগলি যোগাড় করলে গেমারের পেছনে ইগলিদের বিশাল চেইন তৈরি হয়ে যাবে এবং স্টেজের বিভিন্ন কোনায় অবস্থিত ঘরে এই ইগুলিদের পৌঁছে দিতে হবে। গেমের প্রথম দিকে কমলা, নীল, হলুদ ও সবুজ এই ৪ রঙের ইগলি রয়েছে এবং প্রতিটি আলাদা রংয়ের ইগলির জন্য আলাদা চারটি ঘর রয়েছে। যদি একেকবার শুধু একই রংয়ের ইগলি সংগ্রহ করে তাদের ঘরে পৌঁছে দেয়া হয় তাহলে বেশি পয়েন্ট পাওয়া যাবে। তবে ইগলিদের সংগ্রহ করে চলাচল করার সময় ডিজি বা ফিজি ভূতের সামনে পরে গেলে তার একটি লাইভ নষ্ট হয়ে যাবে। যদি ভূত গেমারের পেছনের ইগলিদের ধরে ফেলে তবে ইগলিরা মারা পড়বে না। তবে তারা আবার বাবলে বন্দী হয়ে যাবে আবার কিছু ইগলি মুক্ত হয়ে এদিক ওদিক ছোটোছুটি করতে থাকবে। তখন সেগুলোকে ধরা বেশ কষ্টকর।

পুরো গেমটি শুধু কী-বোর্ডের অ্যারো চিহ্ন ব্যবহার করে খেলা যায়। গেমে ১৫০টি আলাদা মিশন রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি স্টেজের শুরুতে ডা. ইগলির কাছ থেকে গেম কিভাবে খেলতে হবে এবং কিভাবে বেশি বোনাস পাওয়া যাবে সেই সব বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাবে। গেমের চারটি আলাদা ডিফিকাল্টি লেভেল রয়েছে, এগুলো হচ্ছে প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার এবং ব্রোঞ্জ। গেমের বিভিন্ন বোনাস স্টেজ পার করতে পারলে ফিজি ও ডিজি ছাড়াও আর নতুন তিনটি ক্যারেক্টার আনলক করা যাবে। এরা হচ্ছে- রাইজো, বুজ এবং ডা. ইগলি। এছাড়া গেমটি দুটি স্টাইলে খেলা যাবে এগুলো হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চার মোড ও রেট্রো মোড। রেট্রো মোডে গেমটি খেলতে হলে প্রথমে অ্যাডভেঞ্চার মোডে গেম ওভার করতে হবে। রেট্রো বলতে সাধারণত ক্ল্যাসিক বা পুরোনো আমলের কথা বোঝানো হয়। গেমটি খেলতে পেন্টিয়াম ৩ বা ৫০০ মেগাহার্টজের সমমানের প্রসেসর লাগবে, এছাড়া ১২৮ মেগাবাইট র্যা ম লাগবে। গেমটির আকার খুবই ছোট এবং এটি হার্ডডিস্কে মাত্র ৫-৭ মেগাবাইট জায়গা দখল করবে। গেমটি মাদারবোডের্র সাথে থাকা ইন্ট্রিগেটেড গ্রাফিক্স কার্ডেও চালানো যাবে অনায়াসে।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস