• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস : পিপল পার আওয়ার
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: শোয়েব মোহাম্মদ
মোট লেখা:৫
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ফ্রিল্যান্স
তথ্যসূত্র:
ঘরে বসে ‍আয়
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস : পিপল পার আওয়ার
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘পিপল পার আওয়ার’। সংক্ষেপে পিপিএইচ (www.peopleperhour.com)। লেখার প্রথম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পিপিএইচ কী ও পিপিএইচের বৈশিষ্ট্যসহ অন্যান্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সাথে এর তুলনা। প্রচলিত অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কাজ আউটসোর্স বা ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ দিয়ে থাকে সেগুলোর মতোই একটি অনবদ্য স্কিল বিক্রি করার মার্কেটপ্লেস পিপিএইচ।

পিপিএইচ একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস। আর দশটি মার্কেটপ্লেসের মতো এখানেও কাজের দেয়া-নেয়া হয়, তবে মৌলিক কাঠামো এক হলেও পিপিএইচের বেশ কিছু ফিচার আছে, যা অন্য মার্কেটপ্লেস থেকে ভিন্ন ও আকর্ষণীয়।

আরেক ভাষায় পিপিএইচ হচ্ছে একটি ক্রাউডসোর্সিং প্লাটফর্ম। প্রফেশনাল অফিসের শরণাপন্ন না হয়ে যদি কোনো ব্যবসায়ী বা ক্রেতা সুনির্দিষ্ট কোনো সার্ভিস বা কাজ অনলাইন কমিউনিটি, ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্সারদের কাছ থেকে নিলাম করে কিনে নেন, তবে তাকে ক্রাউডসোর্স বলা যেতে পারে। এর প্রকৃত উদাহরণ পিপিএইচ।

এখানে কন্ট্রাক্টর তথা কাজ যিনি দিতে চাইছেন বায়ার হিসেবে তিনিই জব পোস্ট করতে পারেন অনায়াসেই। আবার যিনি কারিগর তথা কাজ আউটসোর্স করবেন, তিনিও পারেন সেলার হিসেবে তার দক্ষতা বিক্রি করতে। একই সাথে একজন কাজ কিনতে পারবেন, আবার তা বিক্রির জন্য প্রদর্শন করতে পারবেন। এখান থেকে হাজার হাজার বায়ার বা ক্লায়েন্ট পছন্দসই কাজ বেছে নিতে পারবেন।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে, তবে প্রতিটি মার্কেটপ্লেসের বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হতে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন হয়। যেমন গ্রহণযোগ্যতা, কাজের সুযোগ, প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য, অর্থকড়ি উত্তোলনের সুব্যবস্থা ইত্যাদি।

পিপিএইচ খুব বেশিদিন হয়নি যাত্রা শুরু করেছে। ২০০৭-এ জিনিওস ত্রিসিভালু ও সিমস কিতারেস সম্মিলিতভাবে চালু করেন ওয়েবভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। শাখা রয়েছে লন্ডন আর নিউইয়র্কে। এ মুহূর্তে পিপিএইচে অ্যাকটিভ ইউজারের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। এর মধ্যে এক লাখ আশি হাজার ফ্রিল্যান্সার এবং সত্তর হাজার ক্লায়েন্ট বা বায়ার। বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট বা বায়াররা ফুল টাইম প্রফেশনাল কোম্পানির বদলে প্রাধান্য দিয়ে থাকে ক্ষুদ্র উদ্যোগে গড়ে ওঠা একক ফ্রিল্যান্সারদের। আর এ কারণেই পিপিএইচে কোম্পানিবহির্ভূত স্বাধীন ফ্রিল্যান্সারের চাহিদা প্রচুর।

পিপিএইচের বৈশিষ্ট্যগুলো : বেশ কিছু কারণে পিপল পার আওয়ার অন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর চেয়ে খানিকটা ভিন্ন। এর মধ্যে প্রধান একটি কারণ পিপিএইচের ইউজার ইন্টারফেস খুব সহজ ও সরলভাবে গঠন করা হয়েছে। পিপিএইচে আপনি কাজ করবেন অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে। কড়াকড়ি অনেক অংশেই কম, তবে নিয়মনীতি অমান্য করারও অবকাশ নেই। ধরুন, ঘণ্টাপ্রতি হিসেব করে কাজ করছেন। অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে এজন্য আপনাকে আলাদা একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিতে হবে টাইম ট্র্যাক বা সময় পরিমাপ করার জন্য। কিন্তু পিপিএইচে এ ঝামেলা নেই। সরাসরি কাজ শেষ করে নিজেই হিসেব করে লিখে উল্লেখ করে দিতে পারবেন আপনার ক্লায়েন্টের কাছে। যে কয় ঘণ্টা কাজ করেছেন সেই হিসেবেই পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।

পিপিএইচের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিচার হচ্ছে আওয়ার্লি। এটি বোঝার জন্য- ধরুন মেলায় গেছেন। প্রচুর স্টল রয়েছে। প্রতিটি স্টলে আকর্ষণীয় পণ্য সাজানো আছে। স্টলগুলো সাজানো জমকালো ও নজরকাড়া সাজে। এখন আপনি মেলায় ক্রেতা হিসেবে গেছেন। একটি স্টলে আপনার চাহিদানুযায়ী নির্দিষ্ট পণ্যটি বেছে নিলেন। ঠিক একইভাবে পিপিএইচে আপনার স্কিল প্রদর্শন করতে পারবেন। নিজের মতো একটি স্টল বানিয়ে নিয়ে তাতে জাঁকজমকপূর্ণ তথ্যের ভা-ার যুক্ত করতে পারবেন, যা বায়ার এসে পরখ করে দেখতে পারবেন এবং পছন্দ হলে চটজলদি কিনে নেবেন। আপনি টাকা পেয়ে যাবেন মুহূর্তের মধ্যেই। আর আপনার স্কিল বিক্রি করার প্রয়াসে বায়ারের কাজ শুরু করে দেবেন। এমন করে বেশ কটি স্কিল আপনি বিক্রি করার জন্য আওয়ার্লি আকারে পিপিএইচে প্রদর্শন বা শো-অফ করতে পারেন। বিশ্বমানের স্কিল অনায়াসেই বারবার করে সেল পড়া শুরু করবে। আওয়ার্লির আদ্যপান্ত, খুঁটিনাটি আর কীভাবে একটি বিশ্বমানের আওয়ার্লি তৈরি করে জিতে নিতে পারেন হাজার হাজার দর্শকের দৃষ্টি আর বেশ কয়েকটি বায়ারের মন, তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে পরে।

পিপিএইচের সাইটে ক্লায়েন্টদের বায়ার বলা হয়। আর কন্ট্রাক্টর বা ফ্রিল্যান্সার যারা কাজ করবেন তাদের বলা হয় সেলার। এই বায়ার আর সেলার নিজেদের মধ্যে একটি প্রজেক্ট নিয়ে যখন কাজ করবেন, তখন সব কিছু ঘটবে একটি নির্দিষ্ট পাতায়। পেমেন্ট, চ্যাটিং, ডিপোজিট, ফাইল শেয়ার করা, লিঙ্ক দেয়া, সব কিছু ঘটবে ওয়ার্কস্ট্রিমে। এই ওয়ার্কস্ট্রিমসহ অ্যাডভান্স কিছু ফিচার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে পরবর্তী কোনো পর্বে, যেখানে সব কিছু আপনাদের গুছিয়ে প্রদর্শন করে দেয়া হবে, যাতে করে অনায়াসেই আপনারা বুঝে উঠে পিপিএইচ ব্যবহার করা শুরু করতে পারেন।

অন্যান্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সাথে পিপিএইচের তুলনা

পিপল পার আওয়ার অনেকটাই লেইড ব্যাক অর্থাৎ সরল স্কিল বিক্রিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেমন প্রতি মাসে যখন স্টিভ ফলিন সেরা আওয়ার্লি ফিচার করে ভিডিও উপস্থাপন করেন, তখন কোনো না কোনো স্কিল খুবই ভিন্নধর্মী বা ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। যেমন কীভাবে স্পেশাল ওন্থন (এক ধরনের চৈনিক খাবার) তৈরি করা হয় সেই স্কিল বিক্রির নজিরও পাবেন না। কিন্তু এমনটিই হয়ে থাকে পিপিএইচে। যেকোনো বাঁধনহারা স্কিল আওয়ার্লি আকারে প্রকাশ করতে পারবেন এখানে, সেটা বাহ্যিক বস্ত্ত সংক্রান্ত কোনো স্কিল হোক কিংবা আপনার কমপিউটারের দক্ষতা দিয়ে হোক, সব কিছুর সুব্যবস্থা আছে পিপিএইচে।

কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে, যেগুলোর সার্ভিসের সাথে পিপিএইচের প্রস্তাবিত সার্ভিসের হুবহু মিল রয়েছে। তবে পার্থক্য একটি বিশেষ অংশে পরিলক্ষিত। যদিও পিপিএইচ যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন দেশে এর শাখা রয়েছে।

ফিডব্যাক : shoeb.mo87@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস