লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
ভাস্কর ভট্টচার্য
মোট লেখা:১৯
লেখা সম্পর্কিত
লেখার ধরণ:
ডিজিটাল সিস্টেম
মুখ থুবড়ে পড়েছে ডিজিটাল পুলিশ প্রটেকশন সিস্টেম
বাংলাদেশ পুলিশের ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধীকে শনাক্ত করার প্রকল্প ডিজিটাল পুলিশ প্রটেকশন সিস্টেম (ডিপিপিএস) শুরু করে ২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর। ডিজিটাল যন্ত্রের সাহায্যে অপরাধী শনাক্ত করার এ পদ্ধতির নাম ওয়াচম্যান। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য জার্মানি ও পোল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আনা হয় দুই শতাধিক ডিজিটাল যন্ত্র। প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার জানান, প্রযুক্তিটি ব্যবহার করলে বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত বা ব্যবসায়-প্রতিষ্ঠানে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য জেনে যাবে পুলিশ; নিতে পারবে দ্রুত ব্যবস্থা। দেশে এই প্রথমবারের মতো এমন এক স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার শুরু করা হলেও তা এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে।
চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে ওয়াচম্যান
ব্যাংক, বাসাবাড়ি কিংবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতিসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ ঠেকাতে ঢাকায় প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পুলিশ প্রটেকশন সিস্টেম চালু হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অত্যাধুনিক সিকিউরিটি সিস্টেমটি চালু করেছে। মানববিহীন আধুনিক এ সিসিটিভির নাম দেয়া হয়েছে ওয়াচম্যান। স্বল্প সময়ের মধ্যেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশেও চালু হচ্ছে ডিজিটাল পুলিশ প্রটেকশন সিস্টেম (ডিপিপিএস)। যেসব প্রতিষ্ঠানে সিস্টেমটি লাগানো রয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানে যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়া মাত্র সে খবর স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায়ই বিভিন্ন ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান, বাসা-বাড়িতে বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতিসহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়। এ ক্ষেত্রে সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করা যায় না। বাংলাদেশে ইজি গ্রুপ এ ধরনের সিসিটিভি আমদানি করছে, যা খুবই আধুনিক। মূলত এটি একটি বিশেষ ধরনের ডিভাইসযুক্ত সিসিটিভি। প্রতিটি সিসিটিভি ৫শ’ বর্গফুট জায়গা কভার করার ক্ষমতাসম্পন্ন। ঘরের কোনো জায়গায় লাগানো হলে সিসিটিভি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে থাকে। দেশে ব্যবহৃত সিসিটিভিগুলো শুধু ছবি বা ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতাসম্পন্ন। কিন্তু কোনো দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বার্তা পাঠাতে পারে না।
দেশে ডিপিপিএসের যাত্রা শুরু
নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০১১ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনে ডিজিটাল পুলিশ প্রটেকশন সিস্টেমের (ডিপিপিএস) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। এদিকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দফতরে এ প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মো: শফিকুল ইসলাম। ওয়াচম্যান নামে এ প্রযুক্তির মাধ্যমে নগরবাসী তাদের বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে অফিস ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এ প্রযুক্তির কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ইজি গ্রুপ। ঢাকায় ডিপিপিএসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিএমপির এ উদ্যোগ তারই একটি পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, নগরবাসীর সেবার আওতা বাড়ানোর জন্য সবক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে নগরবাসীসহ সারাদেশে আরও ব্যাপক পরিসরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আবু নইম মো: শহিদুলস্নাহ, ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ ও ইজি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাবিবর হোসেন। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে ডিএমপি।
ডিপিপিএস যেভাবে কাজ করে
এ সেবা গ্রহীতা যেকেউ আক্রান্ত হলে প্রথমে বার্তা যাবে মহাখালীর প্রধান অফিসে। তারা যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকের সাথে কথা বলবেন। তিনি পুলিশের সাহায্য চাইলে মহাখালী থেকে একটি সাহায্যবার্তা গুলিস্তানের শাখা অফিসে পাঠানো হবে। সেখান থেকে বার্তা ট্রান্সফার করা হবে ডিএমপির অপরাধ বিভাগে। অপরাধ বিভাগ ঘটনাসংশ্লিষ্ট থানায় ফোন দিয়ে পুলিশের সাহায্য নিশ্চিত করবে। ডিভাইস স্থাপন করা স্থানের পাশ দিয়ে কোনো গাড়ি জোরে হর্ন বাজালে এ বার্তাও কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেবে এ ডিভাইস। ডিপিপিএসের প্রধান অফিস মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস ২১ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাড়িতে। আর শাখা অফিস করা হয়েছে গুলিস্তানের রেল ভবন সংলগ্ন ডিএমপির সেন্ট্রাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের চার তলায়। মূলত গেস্নাবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) অভিজ্ঞতা থেকেই ডিপিপিএস ব্যবস্থাটি চালু করে ডিএমপি। এ পদ্ধতির বিশেষ সুবিধা হলো, এতে নিজস্ব যন্ত্রপাতি পাহারা দেয়ার জন্য সিকিউরিটি গার্ডের প্রয়োজন নেই। ডিএমপির কেন্দ্র থেকে তা সরাসরি মনিটরিং করা সম্ভব। ডিভাইসে একটি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার সেট করা আছে। কেউ কন্ট্রোল ডিভাইস চুরি করতে চাইলে বা তাতে আঘাত করলে ওই সফটওয়্যার আগেই কন্ট্রোল রুমে এ বার্তাটি পৌঁছে দেবে।
যেভাবে কাজ করে ওয়াচম্যান
সিস্টেমটিতে একটি ইমারজেন্সি প্যানিক বাটন রয়েছে। অনেক সময় দুর্ঘটনাকবলিত জায়গায় অনেকেই আটকা পড়েন। এ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি প্যানিক বাটনে চাপ দিলেই ওই ব্যক্তির ছবি, নাম, ঠিকানা, ঘটনাস্থলসহ একটি বার্তা চলে যাবে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। মোবাইল প্রযুক্তিনির্ভর তারবিহীন এ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শুধু একটি সুদৃশ্য কন্ট্রোলারের প্রয়োজন হয়। সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য কোনো ধরনের রেকর্ডিং কন্সোল, টিভি বা পর্যবেক্ষণকারীর প্রয়োজন হয় না। স্বয়ংক্রিয় সিকিউরিটি সিস্টেমটি নিজে থেকেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক সর্তকবার্তা পাঠাতে সক্ষম। অনেক সময় বার্তা পাঠানোর পরও পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি যথাসময়ে পৌঁছতে না পারে বা দুষ্কৃতকারীরা যদি লুটপাট শেষে সিসিটিভি খুলেও নিয়ে যায় তাতেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ ততক্ষণে সিসিটিভির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপরাধ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, ভিডিওচিত্র চলে যাবে সিসিটিভির মেমরিতে থাকা মনোনীত ১০ জনের মোবাইল ফোনে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কন্ট্রোল রুমে, যা দেখে সহজেই অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব। কোনো সময় বিদ্যুৎ চলে গেলে সিসিটিভি ৬ ঘণ্টা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম। এ সিসিটিভি ৩২ জিবি (গিগাবাইট) সাপোর্ট করে। ক্যামেরার ডিভাইসের মেমরিতে প্রতিষ্ঠানের মালিক বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, পুলিশ কন্ট্রোল রুমসহ অন্যান্য বিষয়ে আগাম ডাটা দেয়া থাকে। ক্যামেরাটি এমনিতেই চারদিন পর্যন্ত টানা ভিডিও রেকর্ড করতে সক্ষম। ক্যামেরাটিতে রিচার্জেবল একটি ব্যাটারি রয়েছে। সিসিটিভির মেমরিতে যেসব মোবাইল নম্বর দেয়া থাকবে, সেসব মোবাইল ফোনে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসে যে ঘরে সিসিটিভি বসানো আছে সেই ঘরের জীবন্ত শব্দ শোনা যাবে। ই-মেইলের মাধ্যমে যেকোনো মুহূর্তের ছবিও দেখা সম্ভব। প্রতিটি ক্যামেরায় আলাদা আলাদা গোপন কোড নম্বর আছে। ক্যামেরার মালিক ইচ্ছে করলে নিজের ইচ্ছেমতো গোপন কোড নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। এতে করে ইজি গ্রুপের নিজস্ব কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ইচ্ছে করলেও সিসিটিভির সিস্টেম বা কার্যক্রমের ধরন পাল্টানো সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসিটিভি বন্ধ করে দিয়ে অপরাধীদের সাথে যোগসাজশ করে কোনো অপরাধ করাও সম্ভব নয়। কারণ কোড নম্বর সিসিটিভির কার্যক্রম পরিবর্তন করামাত্র এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পৌঁছে যাবে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে।
২৪ ঘণ্টা মনিটরিং
এছাড়া ইজি গ্রুপের নিজস্ব কন্ট্রোল রুম রয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভিগুলো মনিটরিং করা হয়। কন্ট্রোল রুমের পক্ষ থেকেও প্রতিষ্ঠানের মালিক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ বা ফায়ার সার্ভিসকেও জানানো হয়। মালিক দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেনো, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক থাকলে সিসিটিভি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বার্তা পাঠাতে সক্ষম।
যারা ওয়াচম্যান ব্যবহার করে
বলার অপেক্ষা রাখে না, ওয়াচম্যান এ সময়ের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য অন্যতম উপায়। যদিও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকেই এর সঠিক ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ইস্টার্ন ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ালটন, আপন জুয়েলার্স, ভেনাস জুয়েলার্স, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, হাতিম পাইপ, রিজেন্ট এয়ারওয়েজসহ বহু নামীদামী প্রতিষ্ঠান সিস্টেমটির সাথে যুক্ত। মূলত ব্যাংক, মার্কেট, শপিং মল, কলকারখানায় এ পদ্ধতি বেশ কার্যকর। এছাড়া বিভিন্ন অফিস ও বাসাবাড়িতে এখন এ সেবাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওয়াচম্যানের খরচ
প্রাথমিকভাবে এর একেকটি ক্যামেরার দাম রাখা হয়েছে ৪৫ থেক ৫০ হাজার টাকা। আর মাসিক নির্দিষ্ট হারে সার্ভিস চার্জ রয়েছে। প্রযুক্তিটি সম্পর্কে ইজি গ্রুপের মার্কেটিং অফিসার মিনহাজুল ইসলাম সিদ্দিক জানান, এ সফটওয়্যারের সার্বিক খরচ প্রায় ১০ কোটি টাকা। কিন্তু কেউ যদি এ সফটওয়্যারের সেবা নিতে চান তবে তাকে আগে একটি ওয়াচম্যান নামে সফটওয়্যার কিনতে হবে। যার দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আর বিশেষ বিষয়ে সেবা নিতে আগ্রহীদের আলাদাভাবে সেন্সর কিনতে হবে। একেকটি সেন্সর ৭-৮ হাজার টাকা। এমন কয়েকটি সেন্সর হচ্ছে- মোশন, পেট ইমিউল মোশন, গ্লাস ব্রেকস, উইন্ডো কন্ডাক্ট, ফায়ার সেন্সর এবং গ্যাসলিক ইত্যাদি। তিনি জানান, ওয়াচম্যানটি ২৫ মিটার জায়গার তথ্য ও ছবি পাঠাতে সক্ষম। আর একেকটি সেন্সর ১০০ বর্গমিটারের মধ্যকার এমএমএস, শব্দ ও তথ্য পাঠাতে পারবে।
সফল ওয়াচম্যান ব্যর্থ ডিপিপিএস!
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকাসহ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা কৌশল অবলম্বন করে আসছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বিশেষ করে হত্যাকা-, ডাকাতি ও বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটলে তার রহস্য উদঘাটন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক পুলিশ সদস্যের কাছে এ সম্পর্কে কোনো ধরনের তথ্য জানা নেই। প্রচারের অভাব, নীতিমালা না থাকা, ডিএমপির নিষ্ক্রিয়তায় ডিপিপিএস এখন কার্যত অন্ধকারে। এ পদ্ধতিতে কোনো মানুষ চুরি-ডাকাতির মতো ঘটনার শিকার হলে অটোমেটিক পুলিশের সাহায্য পাওয়ার কথা। কার্যত পুলিশ বাহিনী এর উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি। এছাড়া এ পদ্ধতিটি চালু হওয়ার দেড় বছর পার করলেও ন্যূনতম সাড়া জাগাতে পারেনি। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ডিএমপি ও ইজি কমিউনিকেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। তবে দু’পক্ষই বলেছে, এটি চালুর একেবারে প্রাথমিক পর্যায় হওয়ায় অনেকটা ধীরগতিতে এগুচ্ছে তারা। বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনী ছাড়াও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল নিরাপত্তা সিস্টেম ওয়াচম্যান ব্যবহার করছে। কার্যত ওয়াচম্যান সফল হলেও পুলিশ বাহিনী এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়নি।
কজ
ফিডব্যাক : mmrs helbd@gmail.com