• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - অক্টোবর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেম
তথ্যসূত্র:
গেমের জগৎ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ
ডিসঅনরড
ইউসুফ হৃদয়
পৃথিবীতে রাজতন্ত্রের ইতিহাস বহু যুগের; আর এর পুরোটাই বিশ্বাসঘাতক ও ষড়যন্ত্রকারীদের লোলুপ দৃষ্টি এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত। সে ধরনের এক বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কাহিনী নিয়ে ডিসঅনরড গেমটির প্রেক্ষাপট। সম্রাটের একান্ত দেহরক্ষী করভো বহুদিন পর দেশে ফিরে আসে তার প্রাণাধিক প্রিয় ছোট্ট রাজকন্যা এমিলির সাথে দেখা করতে। সমুদ্রের তীরে সম্রাজ্ঞী এমিলির সাথে একান্তে আলাপচারিতার মধ্যে হঠাৎ শূন্য জগত থেকে একদল মুখোশধারী মানুষ এসে হত্যা করে সম্রাজ্ঞীকে এবং যাওয়ার সময় রাজকন্যা এমিলিকে অপহরণ করে। করভো তাদের জাদুশক্তির সামনে অসহায় হয়ে আটকে থাকে। সম্রাজ্ঞী করভোর সামনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। করভো তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় সে নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও ছোট্ট এমিলিকে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু ঠিক তখন এমন কিছু ঘটল, যার জন্য করভো মোটেও প্রস্ত্তত ছিল না। সম্রাজ্ঞীকে হত্যা এবং রাজকন্যা এমিলিকে অপহরণের দায়ে সম্রাটের সেনাবাহিনী তাকে গ্রেফতার করল। এরপর কারাগারের অন্ধকার এক কুঠুরি থেকে গেমারের যাত্রার শুরু।
প্রতারিত, পরিত্যক্ত করভোর চরিত্রে গেমটি খেলতে হবে গেমারকে। গেমটি ফার্স্ট পারসন, অ্যাডভেঞ্চার, মিস্ট্রি, শুটিং ধরনের। কারাগার থেকে বের হওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপে মৃত্যুর মুখোমুখি করভোকে নিয়ে গেমারকে হতে হবে অসম্ভব সুচতুর এবং কৌশলী। ব্যবহার করতে শিখতে হবে পরিবেশের প্রতিটি উপাদানকে। ছোট্ট ছায়া কিংবা পায়ের আওয়াজও যেকোনো সময় বিশ্বাসঘাতকতা করে বসতে পারে। মানুষ ছাড়াও শত্রু হিসেবে আছে জীবন্মৃত জম্বি, মড়াখেকো ইঁদুর, রাক্ষুসে মাছ, ভয়ঙ্কর সব উদ্ভিদ। আর সবচেয়ে বড় শত্রু নিজের বিশ্বাস। গল্পের প্রতিটি বাঁকে গেমারকে হতে হবে হতভম্ব বাসত্মবতার নিষ্ঠুরতায়। এক পর্যায়ে করভো শিখে নেবে শক্তিশালী সব জাদু, দ্রুত জীবন বাঁচানোর দক্ষতা। পাওয়া যাবে ক্রস বো, গ্রেনেড, পিস্তল, ধারালো ফাঁদ আরও অনেক কিছু। কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে গেমারকে নির্ভর করতে হবে নিজের সিদ্ধান্তগুলোতে, যার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে সবকিছুর ভবিষ্যৎ। এককালে সবার সম্মান ও ভালোবাসার পাত্র করভোকে নিজের চেহারা লুকিয়ে রাখতে হয়ে যান্ত্রিক মৃত্যু-মুখোশ দিয়ে। টানটান উত্তেজনা সত্ত্বেও গেমের সত্যিকারের স্বাদ বেরিয়ে আসে ধৈর্য আর মনোযোগের মধ্য দিয়ে। গেমটির গ্রাফিক্স হালের গেমগুলোর মতো চোখ ধাঁধানো না হলেও এর বাস্তববাদী কন্ট্রোল ব্যবস্থা এবং শব্দকৌশল করভোকে গেমারের সাথে আত্মিক করে তুলে। গেমটির উন্নত এইমিং প্যানেল আর সমৃদ্ধ ইনভেন্টরি সব মিলিয়ে গেমটিকে করে তুলেছে গেমারদের পছন্দের প্রথমসারির গেমগুলোর একটি। আর এর অনন্যসাধারণ স্টোরিলাইন গেমটিকে একটি শিল্পে পরিণত করেছে।
ডিসঅনরড দেহরক্ষীর গল্প এখানেই শেষ হয়নি। অতৃপ্ত গেমারদের জন্য বের হয়েছে গেমটির আরও দুটি এক্সপানশন প্যাক। সুতরাং আর দেরি না করে প্রাচীন ষড়যন্ত্র, অবিশ্বাস, রাজকীয়তা আর জাদুময় বিশ্বে করভোর সঙ্গী হোন এখনই।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
প্রসেসর : ডুয়াল কোর ২.২ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন। উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭। র্যা ম : ১ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭। ভিডিও কার্ড : ২৫৬ মেগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার। সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড, মাউস।

রউগ লেগাসি
গেমিং জগতের সবচেয়ে পুরনোজনরা বোধহয় টুডি প্লাটফর্ম অ্যাকশন গেমিং আর এর মৌলিক ধারণার ওপর ভিত্তি করেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গেমিং ইন্ডাস্ট্রিগুলো গড়ে উঠেছে। সেই ঐতিহ্যের ধারা ফিরিয়ে আনতে এবার সেলার ডোর গেমস নিয়ে এসেছে রউগ লেগাসি। যাই হোক, ছেলেমেয়েরা শিশুকাল থেকেই অনেক অভ্যাস রপ্ত করে তাদের বাবা-মায়ের আচরণকে নকল করে। বুদ্ধিমান বাবা-মায়ের ঘরে ভবিষ্যৎ বুদ্ধিজীবী কিংবা নীরোগ বাবা-মায়ের ঘরে একজন ভবিষ্যৎ গতি তারকা জন্ম নেয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। তেমনি অসম্ভব নয় একজন দক্ষ গুপ্তঘাতকের সমত্মানের জাদুকর হয়ে ওঠাটাও। আর এ জাদুকরকে নিয়েই গেমের কাহিনী। গেমটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে হিরো যদি মারা যায়ও তারপরও গেমারকে একেবারে প্রথম থেকে খেলা শুরু করতে হবে না। ক্লাসিক টুডি প্লাটফর্ম অ্যাকশন গেমিংয়ের এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এখানে গেমারকে বিভিন্ন কায়দায় জাদু আর নানা অস্ত্রের সাহায্যে অসংখ্য মায়াবী জাদুপূর্ণ ঘর পার হতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে অসংখ্য মৃতদেহ, জাদুকর, জম্বি, যোদ্ধা এমনকি জীবমত্ম জলছবিদের সাথেও।
গেমটিতে গেমারের প্রথম লক্ষ্য থাকবে স্বর্ণভার। এর জন্য পথে গেমার পাবে বিভিন্ন ধরনের ম্যাপ, রত্নাভার, অস্ত্র, আপগ্রেড। এছাড়া থাকছে বিভিন্ন ধরনের রিওন্স, যেগুলো দিয়ে গেমার তার হিরোর নানা জাদুকরী ক্ষমতার শক্তি বাড়াতে পারবে। গেমারকে গেমের শুরম্নতেই তিনজন হিরো থেকে যেকোনো একজনকে নিয়ে খেলা শুরম্ন করতে হবে। প্রত্যেক হিরোর রয়েছে আলাদা আলাদা ক্ষমতা, ভিন্নতর স্টোরি সেট। প্রত্যেক বস ব্যাটল গেমারের গেমিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে অনন্য এক উচ্চতায়। প্রত্যেক হিরোর জন্য স্টোরি লাইনের শেষটুকুও ভিন্ন। তাই গেমটির সম্পূর্ণ স্বাদ-আস্বাদন করতে চাইলে তিনটি হিরোকে নিয়েই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শেষ করতে হবে। আর যারা এখনও ভাবছেন রউগ লেগাসি অন্যান্য যেকোনো সাধারণ প্লাটফর্ম গেম থেকে ভিন্নতর কিছু নয়, তাহলে দেরি না করে এখনই গেমটি নিয়ে বসে পড়ুন, চেষ্টা করতে দোষ কী!

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট
প্রসেসর : পেন্টিয়াম ৪.২ গিগাহার্টজ/এএমডি অ্যাথলন এক্সপি ২০০০+। উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭। র্যা ম : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/২ গিগাবাইট উইন্ডোজ ৭। ভিডিও কার্ড : জি ফোর্স ৮৮০০ জিটিএস/রেডিওন এইচডি ৪৭০০ ৫১২ মেগাবাইট উইথ পিক্সেল শেডার। হার্ডডিস্ক : ৪০০ মেগাবাইট। সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড, মাউস।
ফিডব্যাক : alyousufhridoy.com
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------
ফিফা ১৪
যারা ফুটবল ভালোবাসেন তাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় গেম সিরিজ হলো ফিফা। ইলেকট্রনিক আর্টসের এ গেমটি যেমন সবাই সিঙ্গেল প্লেয়ারে খেলেন, তেমনি মাল্টিপ্লেয়ারে খেলতেও ভালোবাসেন। মজার ব্যাপার, এবার ফিফা সব প্লাটফর্মের জন্য, এমনকি অ্যান্ড্রয়িডের জন্যও রিলিজ করা হবে। এর ডেমো ভার্সন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখেই রিলিজ করার কথা। এবার গেমটিতে পরিবর্তনের কথা বলতে হলে সবার আগে বলতে হয় গেমটির ইঞ্জিনের কথা। শুধু প্লে স্টেশন ৪ এবং এক্সবক্স ওয়ানের জন্য যে ভার্সন বের করা হচ্ছে তাতে নতুন গেম ইঞ্জিন ব্যবহার করা হচ্ছে, যার নাম ইগনাইট ইঞ্জিন। এর ফলে গেমটির গ্রাফিক্যাল এবং গেমপ্লের পারফরম্যান্সে বড় ধরনের পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে। একইসাথে প্লেয়ারের মুভমেন্ট আরও রিয়েল হবে। এছাড়া আবহাওয়ার ইফেক্ট ও স্টেডিয়ামের গ্যালারির ইফেক্ট এতে করে আরও বেশি রিয়েল মনে হবে।

প্রথমদিকে ইগনাইট ইঞ্জিনের পিসি ভার্সনের কাজ শুরু করা হলেও পরে তা বাতিল করা হয়। তাই আশা করা যাচ্ছে, প্রথমবার এটি কন্সোল গেমের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বানানোর পর পিসির জন্য জন্য বানানো হবে। অন্য আরও অনেক নতুন ফিচার এতে দেখা যাবে, যার মধ্যে অন্যতম একটি ফিচার হলো ফিফা ১৪ এবং এর পরের সব সিক্যুয়ালে মন্টিনিগ্রো ন্যাশনাল ফুটবল টিম লাইসেন্সড টিম হিসেবে থাকবে। এছাড়া সব ব্রাজিলিয়ান ক্লাবও লাইসেন্স করা থাকবে। ফিফা ১০-এ ব্রাজিলিয়ান ন্যাশনাল টিমের লাইসেন্স বাতিল করা হলেও এবার আবার তা লাইসেন্সড টিম হিসেবে থাকবে। এবারেই প্রথম পোল্যান্ড ন্যাশনাল টিমকে লাইসেন্সড টিম হিসেবে দেখা যাবে। পোল্যান্ড টিমের কভারে থাকবেন Robert Lewandowski, আর ওয়েলস ন্যাশনাল টিমকেও আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

ফিফা ১৪-এর আল্টিমেট গেম মোডেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এক্সবক্স ওয়ানে আল্টিমেট গেম মোডে একটি নতুন অপশন যুক্ত করা হয়েছে, যার নাম লিজেন্ডস। যেখানে বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন লিজেন্ড ফুটবলারদের (যেমন পেলে, ডেনিস ইত্যাদি) অর্জন করা যাবে। মাল্টিপ্লেয়ারেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্লেয়াররা এবার অনলাইনে সিঙ্গেল ম্যাচ খেলতে পারবেন, টুর্নামেন্ট বা সিজনের দরকার হবে না। এবার ট্রান্সফার মার্কেটের স্কোয়াড স্ক্রিনে সরাসরি প্লেয়ারের নাম দিয়েও সার্চ করা যাবে। ৬০টিরও বেশি স্টেডিয়াম এবার দেখা যাবে, যেখানে ৩২টি রিয়েল ওয়ার্ল্ড ভেন্যু থাকবে। মেইন কভার ফটোতে থাকবেন লিওনেল মেসি। গেমটি মুক্তি পায় সেপ্টেম্বর, ২০১৩। ডেভেলপার ইএ কানাডা ও পাবলিশার ইলেকট্রনিক আর্টস। গেমটি সব প্লাটফর্মের জন্যই রিলিজ করা হবে।
সিস্টেম রিকোয়ারমেন্ট

প্রসেসর : ইন্টেল সেলেরন ১.৬ গিগাহার্টজ অথবা এএমডি অ্যাথলন ডুয়াল কোর ৩০০০+। গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া ৮৪০০ সিরিজ অথবা এএমডি রেডিয়ন ৯৫৫০। র্যা ম : ১ জিবি, উইন্ডোজ এক্সপি, ডিরেক্টএক্স ৯। হার্ডডিস্ক স্পেস : ৮ জিবি। রিকমেন্ডেড রিকোয়ারমেন্ট : প্রসেসর : ইন্টেল কোর টু ডুয়ো অথবা এএমডি অ্যাথলন ডুয়াল কোর ৪৮০০+। গ্রাফিক্স কার্ড : এনভিডিয়া ৮৮০০ জিটি অথবা এএমডি এইচ ২৯০০ এক্সটি ৫১২ মেগাবাইট। র্যাঅম : ২ জিবি, উইন্ডোজ ৭, ডিরেক্টএক্স ৯। হার্ডডিস্ক স্পেস ; ৮ জিবি।
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস