• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > সফটওয়্যারের কারুকাজ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৩ - নভেম্বর
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
ট্রিকস ‍এন্ড টিপস
তথ্যসূত্র:
সফটওয়্যারের কারুকাজ
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
সফটওয়্যারের কারুকাজ
ইমেজ বার্ন করা
মাইক্রোসফট অবশেষে এর ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমে সিডি বা ডিভিডি বার্নিং সুবিধা সংবলিত ফিচার সমন্বয় করেছে, যা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমে অনেক আগে থেকেই সমন্বিত ছিল। আগে উইন্ডোজে সিডি বা ডিভিডি বার্ন করা গেলেও তা খুব সহজ ছিল না। তবে উইন্ডোজ ৭-এ কাজটি বেশ সহজ করা হয়েছে। উইন্ডোজ ৭-এ সিডি বা ডিভিডি বার্ন করানোর জন্য আইএসও ইমেজে ডাবল ক্লিক করে খালি ডিস্কসহ ড্রাইভ বেছে নিয়ে বার্নে ক্লিক করলেই আপনার ডিস্ক তৈরি হয়ে যাবে।

প্রবলেম স্টেপস রেকর্ডার
আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় বন্ধুবান্ধব, অফিস সহকারীরা তাদের কমপিউটারের কোনো সমস্যা দেখা দিলে আপনার সহায়তা নিতে ছুটে আসেন। ব্যবহারকারীর সাধারণ কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য উইন্ডোজ ৭-এ যুক্ত করা হয়েছে এক চমৎকার টুল- প্রবলেম স্টেপস রেকর্ডার।

যখন উইন্ডোজ ৭-এর অন্তর্গত কোনো প্রোগ্রাম অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকলে স্টার্টে ক্লিক করে কমান্ড প্রম্পটে পিএসআর টাইপ করে এন্টার চাপতে হবে। এরপর স্টার্ট রেকর্ডে ক্লিক করুন। এরপর যেভাবে কাজ করছিলেন সেভাবে যদি কাজ হয়, তাহলে প্রবলেম স্টেপস রেকর্ডার আপনার প্রতিটি ক্লিক এবং কিপ্রেস রেকর্ড করে রাখবে, স্ক্রিন গ্র্যাব নেবে এবং কাজ শেষে সবকিছুই একটি সিঙ্গেল এম এইচ টি এম এল জিপ ফাইলে প্যাকেজ করবে ও ই-মেইল করবে। এটি ট্রাবলশুট করার এক দ্রুতম পদ্ধতি।

স্টার্টআপ রিপেয়ার
যদি আপনি উইন্ডোজ ৭ ডাউনলোড করে ব্যবহার করেন, তাহলে একটি সিস্টেম রিপেয়ার ডিস্ক তৈরি করে নেয়া উচিত, যাতে পরবর্তী সময় উইন্ডোজ বুটিংয়ে কোনো সমস্যা হলে সহায়তা পাওয়া যায়। স্টার্টআপ রিপেয়ার ডিস্ক তৈরি করার জন্য Start→Maintenance→ Create a System Repair Disc-এ ক্লিক করুন। এভাবে উইন্ডোজ ৭-এ তৈরি করা যায় একটি বুটেবল ইমার্জেন্সি ডিস্ক, যা প্রয়োজনে পিসিকে আবার রান করাতে সহায়তা করবে।
ট্রাবলশুট করা
যদি উইন্ডোজ ৭-এর কোনো অংশ অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে, যার কারণ আপনার জানা নেই কেনো এমন হচ্ছে তাহলে Control Panel→Find and Fix problems (ev Troubleshooting) ক্লিক করুন নতুন ট্রাবলশুটিং প্যাকে অ্যাক্সেস করার জন্য। এগুলো সাধারণ উইজার্ড, যা সাধারণ সমস্যা সমাধান করতে পারে, আপনার সেটিং চেক করতে পারে, সিস্টেমকে পরিপাটি করাসহ আরও অনেক কাজ করতে পারে।
আবদুস সামাদ
পল্লবি, ঢাকা
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
নির্দিষ্ট কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করা
আপনার কমপিউটারটি যদি বাসার কিংবা অফিসের সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত থাকে, তাহলে সেখানে আপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি কমপিউটারকে এমনভাবে সেট করতে পারেন যাতে ব্যবহারকারীরা শুধু নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রাম রান করাতে পারবে।

এ ধরনের কাজ করার জন্য উইন্ডোজ ৭-এ সম্পৃক্ত করা হয়েছে AppLocker নামে এক ফিচার, যা ব্যবহারকারীকে নিশ্চিত করে নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রাম রান করানোর জন্য। এটি খুব সহজে সেটআপ করা যায়। আপনি ইচ্ছে করলে একটি রুল তথা নিয়ম তৈরি করতে পারেন, যা সবকিছুকে অনুমোদনের জন্য সাইন করতে হয়। ধরুন, একটি নিয়মের মাধ্যমে সাইন করা মাইক্রোসফটের সব অ্যাপ্লিকেশন রান করাতে পারবেন। এজন্য GPEDIT.MSC চালু করুন। এরপর Computer Configuration→ Windows Settings→Security Setting→ Application Control Policies→AppLocker-এ নেভিগেট করুন।

সিস্টেম রিস্টোর
উইন্ডোজের আগের ভার্সনে সিস্টেম রিস্টোর ব্যবহার করে জুয়া খেলার মতো কিছু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সিস্টেমে কোন অ্যাপিস্নকেশন বা ড্রাইভার আক্রান্ত হবে, তা জানার কোনো উপায় নেই।
উইন্ডোজ ৭ একটু ভিন্ন। কমপিউটারে ডান ক্লিক করে Properties→System Protection→ System Restore→Next-এ সিলেক্ট করম্নন। এরপর আপনার কাঙ্ক্ষিত স্টোর পয়েন্ট বেছে নিন, যা আপনি ব্যবহার করতে চান। এবার নতুন বাটন Scan for affected programs-এ ক্লিক করুন। এর ফলে উইন্ডোজ বলে দেবে কোন প্রোগ্রাম এবং ড্রাইভার ডিলিট করতে হবে বা রিকোভার হবে রিস্টোর পয়েন্ট সিলেক্ট করার মাধ্যমে।

প্রজেক্টরে সুইচ করা
উইন্ডোজ ৭-এ সম্পৃক্ত করা হয়েছে এক মনিটর থেকে আরেক মনিটরে কিংবা প্রজেক্টরে সুইচ করার কৌশল হিসেবে ডরহ+চ চাপুন অথবা DisplaySwitch.exe রান করতে হবে। এরপর কাঙ্ক্ষিত ডিসপ্লে বেছে নিতে হবে।

আরিফ আহমেদ
স্টেশন রোড, রাজবাড়ী
--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
জিপ ফাইলে পাসওয়ার্ড যোগ করা
জায়গার স্বল্পতা ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা সাধারণত এ দুটি কারণেই বিভিন্ন ফাইল কমপ্রেসড বা জিপ আকারে কমপিউটার রাখা হয়। জিপ ফাইল ­­­দেখতে হলে একে প্রথমে আনজিপ করে নিতে হয়। এ ধরনের ফাইলকে আরো সুরক্ষিত করতে জিপ ফাইলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা সম্ভব। এতে ফাইলগুলো ভাইরাস থেকে যেমন সুরক্ষিত থাকবে, তেমনি অনাকাঙিত ব্যবহারকারীর কাছ থেকেও একে নিরাপদে রাখা যাবে। পাসওয়ার্ড দেওয়া ছাড়া ফাইলটি কেউ ব্যবহার করতে পারবেনা। এ সুবিধা পেতে প্রথমে কমপিউটারের যে ড্রাইভে ফাইলটি কমপ্রেসড আকারে রাখতে চান, সেখানে গিয়ে উইন্ডোর ফাইল মেন্যুতে ক্লিক করতে হবে। এরপর ড্রপডাউন মেন্যু থেকে প্রথমে নিউ তারপর Compressed (Zipper) Folder-এ ক্লিক করতে হবে। এখন জিপ ফোল্ডারটি নাম রিনেম করতে হবে। এরপর ফোল্ডারটিতে প্রয়োজনীয় ফাইল কপি করে এনে জিপ ফোল্ডারটিতে পেস্ট করতে হবে। এখন জিপ ফোল্ডারটির ফাইল মেন্যুতে ক্লিক করে Add a Password-এ ক্লিক করলে নতুন একটি পপ-আপ বক্স আসবে। সেখানে Password I Confirm Password-এর ঘরে একই পাসওয়ার্ড দিয়ে ঙশ করতে হবে।
পরবর্তী সময়ে ফাইলটি খুলতে হলে অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে হবে। এ পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ ফাইলটি খুলতে পারবে না বা এর কোনো তথ্য দেখতে পারবেন না।

হার্ডড্রাইভের গতি বাড়ানো
সেণা সাইকেল বা ডিফল্ট আইআরকিউ (Interrupt Request) সেটিং সমস্যার জন্য হার্ডড্রাইভের গতি মন্থর হয়ে যায়। এর ফলে কমপিউটার ধীর গতির হয়ে পড়ে। এ সমস্যার সমাধানে হার্ডড্রাইভের গতি বাড়াতে প্রথমে Start থেকে Run-এ যেতে হবে। জঁহ বক্স ওপেন হওয়ার পর সেখানে Sysedit.exe লিখে এন্টার বাটনে চাপতে হবে। নতুন System Configuration Editor নামের একটি উইন্ডো কয়েকটি সাবউইন্ডো নিয়ে ওপেন হবে। এখন উইন্ডো থেকে C:Windows\System.ini উইন্ডোটি নির্বাচন করতে হবে। এবার উইন্ডোটি থেকে (Driver 32) ট্যাবের নিচে থাকা 386enh অপশনটির নিচের বক্সে irq14=4096 টাইপ করে ওপরে ফাইল অপশন থেকে সেভ করতে হবে। উইন্ডোগুলো থেকে বের হয়ে এসে কমপিউটার রিস্টার্ট করতে হবে। এখানে ৪০৯৬ মূলত ৪ মেগাবাইট বাফারকেই প্রকাশ করছে।

কার্তিক দাস
পূর্ব মেরুল বাড্ডা, ঢাকা
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৩ - নভেম্বর সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস