• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > পিসির ঝুটঝামেলা
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - মার্চ
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
সমস্যা ও সমাধান
তথ্যসূত্র:
ট্রাবলশুটার টিম
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
পিসির ঝুটঝামেলা

সমস্যা : আমার পিসি পেন্টিয়াম ৪, ১.৭ গি.হা., ৫১২ মে.বা. র্যা ম ও ১৬০ গি.বা. হার্ডডিস্ক। আমার পিসির ডিভিডি রম নষ্ট হয়ে গেছে। এটি কোনো সিডি বা ডিভিডি রিড করতে পারে না। নতুন অপটিক্যাল ড্রাইভ কিনতে চাই, তবে কম্বো ড্রাইভ, ডিভিডি রাইটার নাকি ব্লু-রে রাইটার কিনব, তা বুঝতে পারছি না। কোন ব্র্যান্ডের অপটিক্যাল ড্রাইভ ভালো? বর্তমানে বাজারে কত স্পিডের রাইটার রয়েছে? অপটিক্যাল ড্রাইভের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর উপায় কী?

-রায়হান, ঝিগাতলা

সমাধান : কম্বো ড্রাইভ সিডি/ডিভিডি রিড এবং সিডি রাইট করতে পারে কিন্তু ডিভিডি রাইট করতে পারে না। কম্বো ড্রাইভগুলোর পারফরম্যান্স তেমন একটা ভালো নয়। ডিভিডি রাইটার দিয়ে সিডি/ডিভিডি রিড বা রাইট করা যায়। ব্লু-রে রাইটার দিয়ে ব্লু-রে ডিস্ক, ডিভিডি, সিডি সব কিছুই রিড ও রাইট করতে সক্ষম। আমাদের দেশে ব্লু-রে ডিস্কের বাজার এখনও তেমন একটা চাঙ্গা হয়ে ওঠেনি। তাই খুব একটা প্রয়োজন না হলে তা না কেনাই ভালো। ডিভিডি রাইটার কিনে নিতে পারেন এখনকার কাজ চালানোর জন্য। বাজারে লেটেস্ট ডিভিডি রাইটারের রাইটিং স্পিড হচ্ছে ২৪এক্স। কিন্তু, ২৪এক্সে রাইট করার মতো ব্লাঙ্ক ডিস্ক বাজারে খুব একটা দেখা যায় না। বাজারে ১৬এক্স সাপোর্টেড ব্লাঙ্ক ডিস্ক পাওয়া যায়। বাজারে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ডের অপটিক্যাল ড্রাইভ পাওয়া যায়, এর মধ্যে আসুস, স্যামসাং, লাইটঅন, এইচপি, ফিলিপস, বেনকিউ ইত্যাদি ব্র্যান্ড জনপ্রিয়। অপটিক্যাল ড্রাইভ যত্ন সহকারে ব্যবহার করলে অনেক দিন টিকে। অপটিক্যাল ড্রাইভ ট্রের ধুলোবালি পরিষ্কার রাখা, বেশিক্ষণ ধরে ডিস্ক না চালানো অর্থাৎ ডিস্ক ড্রাইভে ডিস্ক ঢুকিয়ে একটানা কয়েক ঘণ্টা মুভি না দেখে তা কপি করে হার্ডডিস্কে নিয়ে দেখা, স্ক্র্যাচ পড়া ডিস্ক বা ময়লা লেগে থাকা ডিস্ক ড্রাইভে না ঢোকানো ইত্যাদি কাজ করলে অপটিক্যাল ড্রাইভ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

সমস্যা : আমার পিসির কনফিগারেশন ইন্টেল কোরআই থ্রি ৫৪০ ৩.০৬ গিগাহার্টজ প্রসেসর, ইন্টেল ডিএইচ৫৫পিজে মাদারবোর্ড, ২ গিগাবাইট র্যা ম ও ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক। আমি উইন্ডোজ সেভেন আল্টিমেট ব্যবহার করি। উইন্ডোজ নতুন করে ইনস্টল করার পর ২-৩ মাস পরই আমার পিসি বেশ শ্লও হয়ে যায়। তাই আমার পিসির অপারেটিং সিস্টেম ২-৩ মাস পরপর বদল করা লাগে। পিসির উইন্ডোজ বদল করতে তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয় না, কিন্তু ঝামেলা হয় যখন সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করতে যাই। এতগুলো সফটওয়্যার ইনস্টল করতে গিয়ে বিরক্তি ধরে যায়। সার্ভিস সেন্টারে নাকি খুব অল্প সময়ে উইন্ডোজ ইনস্টলেশনের পাশাপাশি অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করে দেয়। কম সময়ের মধ্যে এরা এটি কীভাবে করে থাকেন? তাদের পদ্ধতি কি আমি নিজে ব্যবহার করতে পারব? যদি তা করা সম্ভব হয়, তবে কীভাবে? দয়া করে বিসত্মারিত জানাবেন।

-কাশেম, মগবাজার

সমাধান : সার্ভিস সেন্টারগুলোতে খুব অল্প সময়ে উইন্ডোজ ইনস্টল করে থাকে ব্যাকআপ উইন্ডোজ ডিস্কের সাহায্যে। সেখানে ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে দেয়ার বদলে আগে থেকে ব্যাকআপ নেয়া উইন্ডোজ হার্ডডিস্ক/ডিস্ক/পোর্টেবল ড্রাইভ থেকে পিসির হার্ডডিস্কে কপি করে দেয়া হয়, যা অনেক সময় হার্ডওয়্যারের সাথে খাপ খায় না এবং অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। এভাবে দেয়া উইন্ডোজগুলো বেশিদিন টেকে না এবং খুব সহজেই ক্র্যাশ করে। ইউজারের কারণেও পিসির সমস্যা হয়। যেমন : বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ইনস্টল করা, সিস্টেম ইউটিলিটি সফটওয়্যার ব্যবহার না করা, সফটওয়্যার ঠিকমতো আন-ইনস্টল না করা, রেজিস্ট্রি সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো সমাধান না করা, হার্ডডিস্ক ভরাট করে রাখা, উল্টাপাল্টা সফটওয়্যার ইনস্টল করা, অজানা সফটওয়্যার ব্যবহার করা, ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করা ইত্যাদি হচ্ছে ইউজারের দোষ। এসব কারণেই পিসিতে অনেক সমস্যা দেখা দেয়, যা অনেকেই ধরতে পারেন না। ভালোমানের অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ব্যবহার না করে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করার প্রবণতা এখনকার ইউজারদের এক বড় সমস্যা। ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে ফ্রি অ্যান্টিভাইরাসের ওপর ভরসা করাটা বোকামি। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ছাড়া বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন না। আপনি নিজেও উইন্ডোজ ব্যাকআপ ইমেজ বানিয়ে নিতে পারেন আপনার পিসির জন্য। ইমেজ ডিস্ক বানানোর জন্য বেশ কয়েকটি ভালোমানের সফটওয়্যার রয়েছে। এগুলোর যেকোনোটির সাহায্যে উইন্ডোজ ইনস্টলের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এ কাজ করার জন্য প্রথমে একটি ফ্রেশ উইন্ডোজ ইনস্টল করে নিন এবং এরপর সেখানে প্রয়োজনীয় ড্রাইভার ও সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করে নিন। এরপর ইমেজ ডিস্ক মেকার সফটওয়্যারের সাহায্যে ব্যাকআপ/ ইমেজ ডিস্ক বানিয়ে নিন। বিসত্মারিত জানার জন্য গুগলে সার্চ করে টিউটোরিয়াল দেখে নিন।

সমস্যা : আমার পিসির ক্যাসিংয়ের সাথে থাকা পাওয়ার সাপ্লাইটি হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে পাওয়ার সাপস্নাই কিনতে গিয়ে দামের হেরফের দেখে বুঝে উঠতে পারলাম না কোনটা কিনব? তাই কমপিউটার জগৎ-এর শরণাপন্ন হলাম। আশা করি সমাধান পাব।

-শিহাব, নারায়ণগঞ্জ

সমাধান : আপনার পিসির কনফিগারেশন দেয়া থাকলে পিসির জন্য কোন মানের পাওয়ার সাপ্লাই ভালো হবে তার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া সহজ হতো। সাধারণ মানের ক্যাসিংগুলোর পাওয়ার সাপ্লাইগুলোতে লেখা থাকে ৪০০ বা ৫০০ ওয়াট, কিম্বা ক্ষমতা দেয়া হয় তারচেয়ে কম। সাধারণ মানের ক্যাসিংগুলোর দাম ১৮০০ থেকে ২৪০০ টাকার মধ্যে। ননব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটগুলোর দাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। ভালোমানের ৪০০ ওয়াট পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দাম ৩০০০ টাকার ওপরে। পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেমের সাথে মিল রেখে পর্যাপ্ত পাওয়ার দিতে না পারলে সিস্টেমের ক্ষতি হতে পারে। বেশিরভাগ পিসির সমস্যার মূলে রয়েছে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সমস্যা। ক্যাসিং ভালো না হলে ভেন্টিলেশন ও কুলিং সিস্টেম খারাপ হয় এবং এতে অত্যধিক গরমে পিসির কম্পোনেন্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভালো মানের ও ব্র্যান্ডের ক্যাসিংগুলোর সাথে সাধারণত পাওয়ার সাপ্লাই দেয়া থাকে না। আলাদা পিএসইউ কিনে তাতে লাগাতে হয় সিস্টেমের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে। বাজারে ৫০০ ওয়াটের পিএসইউর দামের মধ্যে অনেক পার্থক্য হতে পারে মানের ওপরে নির্ভর করে। পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানিগুলো তাদের পিএসইউগুলোর জন্য বেশ কয়েকটি সিরিজ হিসেবে বিক্রি করে। যেমন : থার্মালটেকের রয়েছে লাইট পাওয়ার, স্মার্ট পাওয়ার ও টাফ পাওয়ার সিরিজের পিএসইউ। ক্রমান্বয়ে এগুলোর দাম বেশি। লাইট পাওয়ার ৫০০ ওয়াটের চেয়ে টাফ পাওয়ারের ৫০০ ওয়াটের দাম অনেক বেশি। এর কারণ কম্পোনেন্ট মান ও ক্ষমতা। কুলারমাস্টার ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে থান্ডার, ব্রোঞ্জ, গোল্ড, সাইলেন্ট প্রো ইত্যাদি সিরিজ।

আপনার বর্তমান পিসির কনফিগারেশনের তালিকা নিয়ে অনলাইনে পাওয়ার ক্যালকুলেটরের সাহায্যে সিস্টেমের জন্য কত ক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই লাগবে তা পরিমাপ করে নিন, তাতে পিএসইউ কেনার ব্যাপারে সহজে ধারণা পাবেন। পাওয়ার ক্যালকুলেটরে পরিমাপ করে যা আসবে তার থেকে ১০০ বা ১৫০ ওয়াট বেশি কেনার চেষ্টা করা উচিত। পাওয়ার ক্যালকুলেটরগুলো গুগলে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন। খেয়াল রাখতে হবে পাওয়ার ক্যালকুলেটরে হিসাব করার সময় পিসির লোড ৭৫ শতাংশ বা ১০০ শতাংশ সিলেক্ট করে নিতে হবে প্রসেসর ও গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষেত্রে

ফিডব্যাক : jhutjhamela24@gmail.com
পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস