লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম:
তাসনুভা মাহমুদ
মোট লেখা:১০৩
লেখা সম্পর্কিত
তথ্যসূত্র:
অপারেটিং সিস্টেম
এক্সপি থেকে উবুন্টুতে যেভাবে আপগ্রেড করবেন
৮ এপ্রিল ২০১৪ সালে মাইক্রোসফট এর দীর্ঘদিনের পুরনো উইন্ডোজ ঘরানার অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপির সিকিউরিটি আপডেট ইস্যু বন্ধ করার ঘোষণা দেয়ার পর সবাই যে রাতারাতি উইন্ডোজের পরবর্তী উন্নততর ভার্সনে সিস্টেমকে আপডেট করেছেন, তা বলা যাবে না। কেননা, খুব সীমিত সংখ্যক ব্যবহারকারী তাদের সিস্টেমকে উইন্ডোজ ৭ বা তার পরের ভার্সনে আপগ্রেড করেন। এখনও প্রায় ২৫ শতাংশ ব্যবহারকারী এক্সপি ব্যবহার করছেন বেশ ঝুঁকি নিয়ে। কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী উইন্ডোজ ঘরানা থেকে সরে এসে লিনআক্সের উবুন্টু ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ উবুন্টুতে সরে আসার চিন্তাভাবনা করছেন।
যেসব ব্যবহারকারী উইন্ডোজ এক্সপি থেকে সরে এসে ফ্রি আধুনিক উবুন্টু ওএসে তাদের সিস্টেমকে আপগ্রেড করাতে চাচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত বিভাগ পাঠশালায় সে সম্পর্কে এবার উপস্থাপন করা হলো।
নতুন অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করার কাজকে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন বলা যায় এবং এটি যদি হয় উইন্ডোজের নতুন ভার্সনে সরে আসা, তাহলে তা হবে বেশ ব্যয়বহুল। সুতরাং, বোঝা যাচ্ছে স্বতন্ত্র ব্যবহারকারীর ও ব্যবসায়ীরা কেনো এক্সপি সংবলিত তাদের পুরনো কমপিউটার থেকে সরে আসছেন না, যদিও মাইক্রোসফট এক্সপি সিকিউরিটি প্যাচ ও সাপোর্ট বন্ধ করে দিয়েছে।
মারাত্মকভাবে ভঙ্গুর অপারেটিং সিস্টেমের কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা আধুনিক উবুন্টু অপারেটিং সিস্টেমে আপগ্রেড করার কাজটি যথেষ্ট সহজ। যদি আপনি উইন্ডোজ ৭ বা ৮-এর পরিবর্তে লিনআক্স ডিস্ট্রিবিউশনে সুইচ করার চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে আপনাকে বাড়তি কোনো খরচ বহন করতে হবে না। কেননা, এই ওএস এবং এর প্রধান প্রধান অ্যাপ্লিকেশনগুলো ফ্রি।
পুরনো এক্সপি পিসি থেকে সর্বাধুনিক ইউজার ফ্রেন্ডলি উবুন্টু লিনআক্স ওএসে সরে আসা কত সহজ, তা দেখানো হয়েছে নিচে। এর সাথে কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে আপনার প্রতিদিনের কাজের জন্য কোন কোন প্রোগ্রাম ব্যবহার করা উচিত।
আপগ্রেডের পরিকল্পনা
উবুন্টুতে সরে আসার চিন্তাভাবনা করার আগে প্রথমেই আপনাকে চেক করে দেখতে হবে নতুন ওএস আপনার প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারবে কি না। নিচে উবুন্টুর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো, যেখানে আমাদের প্রাত্যহিক কমিপউটিং জীবনের কাজগুলো কভার করা হয়েছে। এর বাইরে যদি আপনি বিশেষ ফাইলে কাজ করতে চান, তাহলে সে ক্ষেত্রে উইন্ডোজ হবে একমাত্র অপশন।
ধরে নিচ্ছি, উবুন্টু ওএস আপনার জন্য উপযুক্ত। এ ক্ষেত্রে আপগ্রেডের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এক্সপিকে অক্ষত রেখে একটি ডুয়াল বুট সিস্টেম সেটআপ করা। এ লেখায় আমরা সুপারিশ করছি না যে, পুরনো এক্সপি ইনস্টলেশনের বুটিং অভ্যাস বজায় রাখুন। কেননা, এতে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তবে আপনি উবুন্টুতে উইন্ডোজের সব ফোল্ডারে অ্যাক্সেস করতে পারবেন। সুতরাং উইন্ডোজ থেকে সরে আসার ফলে আপনার পার্সোনাল ডাটা হারানোর ভয়ে শঙ্কিত থাকার কোনো কারণ নেই। আপনার আরও দরকার একটি ইমারজেন্সি ফলব্যাক, যদি কোনো কাজ উবুন্টু করতে ব্যর্থ হয়।
যেহেতু এক্সপি ও উবুন্টু উভয়কে সঙ্কুচিত করে হার্ডডিস্কে রাখা হয়, তাই বিশেষভাবে পরামর্শ নতুন ওএসের জন্য পর্যাপ্ত স্পেস রাখা উচিত। এজন্য উইন্ডোজ ডিস্ক ক্লিনআপ টুল ব্যবহার করা উচিত অনাকাঙিক্ষত টেম্পোরারি ফাইল অপসারণ করার জন্য এবং সেই সাথে অনাকাঙিক্ষত ও দীর্ঘ অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে আনইনস্টল করা উচিত। এছাড়া পার্সোনাল দীর্ঘ ফাইলগুলো, যেগুলো আপনি ব্যবহার করেন না, সেগুলো অপসারণ করলে ভালো হয়। আপনার হার্ডডিস্কে কোন কোন জিনিস সবচেয়ে বেশি স্পেস ব্যবহার করছে, তা শনাক্ত করার জন্য ব্যবহার করুন WinDirStat নামের টুল। এসব কাজ শেষ করার পর রিসাইকেল বিন খালি করতে ভুলে গেলে হবে না।
যদি ১০ গিগাবাইটের বেশি স্পেস ফ্রি করতে না পারেন, তাহলে উইন্ডোজ ইনস্টলেশন মুছে ফেলতে পারেন উবুন্টুর জন্য স্পেস সৃষ্টি করার জন্য। ইনস্টলেশন প্রসেসের সময় এ কাজটি সহজে করা যায়। যদি আপনি এক্সটার্নাল ডিস্কে ব্যাকআপ করার কথা চিন্তা করে থাকেন, তাহলে খুব সতর্কতার সাথে তা করুন, যাতে কোনো কিছু হারিয়ে না যায়।
উবুন্টুর একটি ভার্সন বেছে নেয়া ও ডাউনলোড করা
উবুন্টুর অনেকগুলো ভার্সন রয়েছে, তবে সর্বশেষ ডেস্কটপ ভার্সন ডাউনলোড করা যায় মূল উবুন্টুর সাইট থেকে। উবুন্টুর সর্বশেষ ভার্সন হলো 14.04 LTS, যা Trusty Tahr হিসেবে পরিচিত। এটি অবমুক্ত হয় long-term support হিসেবে, যা ২০১৯ সাল পর্যন্ত অবিরতভাবে সিকিউরিটি ও সাপোর্ট আপডেট রাখার নিশ্চয়তা দেয়ার মাধ্যমে হবে এক স্ট্যাবল অপারেটিং সিস্টেম।
এর ডিফল্ট ডাউনলোড ৬৪ বিটের। তবে যদি ৪ গিগাবাইটের বেশি র্যা ম না হয়, তাহলে ৩২ বিট ভার্সন ব্যবহার করা উচিত। এটি মূলত আপনাকে সীমাবদ্ধ করে ৩ গিগাবাইট ব্যবহারযোগ্য মেমরিতে। তবে এটি আরও ব্যাপক বিসত্মৃত রেঞ্জের সফটওয়্যার ও ড্রাইভার সাপোর্ট করে। যদি আপনার কমপিউটার সত্যি পুরনো হয়ে থাকে, তাহলে সিপিইউ ৬৪ বিট কমপিউটিং সাপোর্ট করবে না কোনোভাবেই।
ডাউনলোড করার আগে উবুন্টুতে ক্লিক করলে আপনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে ডোনেট করার জন্য। যদি আপনি বিনা পয়সায় ডাউনলোড করতে চান, তাহলে Not now take to the download-এর ফলে একটি দীর্ঘ আইএসও ফাইল ডাউনলোড হতে শুরু করবে। এটি আনুমানিক ১ গিগাবাইট সাইজের। সুতরাং আপনার ইন্টারনেট সংযোগের ওপর ভিত্তি করে কয়েক মিনিট থেকে ঘণ্টাখানেক সময় নিতে পারে।
আইএসও ফাইল ডাউনলোড হওয়ার পর তা ডিভিডিতে বার্ন করা উচিত। যদি ডিভিডি না থাকে তাহলে LinuxLive USB Creator টুল ব্যবহার করুন ইউএসবি ফ্ল্যাশড্রাইভে বার্ন করানোর জন্য। এ কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পর উইন্ডোজ শাটডাউন করুন এবং পিসিকে বুট করুন নতুনভাবে তৈরি করা ডিভিডি বা ইউএসবি ড্রাইভে। এমন অবস্থায় অর্থাৎ কমপিউটার স্টার্টআপ প্রসেসের সময় বুট মেনুতে অ্যাক্সেসের জন্য অথবা বায়োসে অ্যাক্সেস করতে হতে পারে এবং বুট ডিভাইসের অর্ডার পরিবর্তন করতে হার্ডডিস্কের পরিবর্তে ইউএসবি বা অপটিক্যাল ড্রাইভকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য।
উপায় খুঁজে বের করা
উবুন্টু একটি সাধারণ ও সংজ্ঞামূলক অপারেটিং সিস্টেম। কোনো কোনো কাজ এক্সপি যেভাবে করে, উবুন্টুর ক্ষেত্রে তার কিছুটা ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। প্রথম যে বিষয়টি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, তাহলো উবুন্টুতে কোনো স্টার্ট মেনু নেই। তবে আপনি অ্যাপ্লিকেশন চালু করতে পারবেন স্ক্রিনের বাম প্রান্তে Launcher আইকনে ক্লিক করে। আপনি সফটওয়্যার ও ফাইল সার্চ করতে পারবেন নাম দিয়ে ‘Dash’ ওপেন করার মাধ্যমে। এভাবে করে Launcher-এর উপরে Ubuntu লোগোতে ক্লিক করুন বা উইন্ডোজ কী-তে ট্যাপ করুন এবং টাইপ করা শুরু করুন। স্পাইকি আইকন রয়েছে মেনুবারের উপরে ডান দিকে, যেখানে খুঁজে পাবেন সিস্টেম সেটিং ও শাটডাউন অপশন।
উবুন্টুতে পার্সোনাল সব ফোল্ডারের অবস্থান বা লোকেশনকে বলে ‘Home’। আপনি এটি ব্রাউজ করতে পারবেন File view ওপেন করার মাধ্যমে। এটি হলো ওপর থেকে দ্বিতীয় Launcher আইকন। এখানে আপনি যেমন পাবেন মিউজিক, ডকুমেন্ট ইত্যাদি, তেমনই পাবেন ডেস্কটপের ফাইলে সহজে অ্যাক্সেসের জন্য ডেস্কটপ ফোল্ডার। এখানে পাবলিক নামের এক ফোল্ডার পাবেন, যেখানে আপনি ওইসব জিনিস রাখতে পারেন, যেগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চান। যদি আপনি মাল্টিপল ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন (ধরুন, পরিবারের সদস্যদের জন্য), যাদের থাকবে তাদের নিজস্ব হোম ডিরেক্টরি। তবে শুধু পাবলিক ফোল্ডারের কনটেন্ট অ্যাক্সেস করা যাবে।
উবুন্টুর সাথে পরিমিত রেঞ্জের প্রিইনস্টল করা সফটওয়্যার থাকে, যাদের ব্যবহারবিধি বেশ সহজ। উবুন্টুর সফটওয়্যার সেন্টার আপনার ডেস্কটপের জন্য একটি কার্যকর অ্যাপ স্টোর। এগুলো খুঁজে বের করে নতুন প্রোগ্রাম ইনস্টল করুন কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে। এর আইকনটি দেখতে অনেকটা শপিং ব্যাগের মতো, যার সামনে দিকে আস্তা আছে। যেহেতু এটি লিনআক্স, তাই এর কনটেন্টের বিরাট অংশই অফার করে ফ্রি। নিচে লিনআক্স অ্যাপ্লিকেশনের এক গাইড তুলে ধরা হলো। এসব অ্যাপ্লিকেশনের কাজগুলো সাধারণত আমরা উইন্ডোজ পরিবেশে করে থাকি।
ওয়েব ব্রাউজিং
লিনাক্সে ইন্টারনেট এক্সপেস্নারার নেই। এতে কেউ হয়তো বলবেন খুব ভালো হয়েছে। ইন্টারনেট এক্সপেস্নারার না থাকলেও ফায়ারফক্স উবুন্টুতে প্রিইনস্টল করা থাকে। এটি ঠিক উইন্ডোজ ভার্সনের মতো কাজ করে ও একই অ্যাড-অনস ব্যবহার করতে পারে।
অন্যান্য ব্রাউজারের ব্যবহারকারীরা এর বাইরে নেই হয়তো। উবুন্টু সফটওয়্যার সেন্টারে অপেরা অতিথি নয়। তবে আপনি এটিকে ইনস্টল করতে পারবেন অপেরা ওয়েবসাইট থেকে। আপনার অপারেটিং সিস্টেম তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করবে। তাই আপনাকে শুধু Download বাটনে ক্লিক করতে হবে ইনস্টলার পাওয়ার জন্য। যদি আপনি ফায়ারফক্সে উবুন্টুর স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টলেশন ব্যবহার করেন, তাহলে ডিফল্ট অপশন /use/bin/software-center-এর সাথে ডাউনলোড করা ফাইল ওপেন করবে। এতে এক্সেস করে ওহংঃধষষ-এ ক্লিক করুন, যাতে সফটওয়্যার সেন্টার অ্যাপ এটি সেটআপ করে।
যদি আপনি ক্রোম পছন্দ করেন, তাহলে এর ওপেনসোর্স ক্রোমিয়াম সরাসরি সফটওয়্যার সেন্টার থেকে ইনস্টল করতে পারবেন। এই ব্রাউজার কাজ করে নিয়মিত ক্রোম ব্রাউজারের মতো। যদি আপনি সাইন-ইন করেন, তাহলে এটি ক্রোম থেকে সিঙ্ক করবে বুকমার্ক হিস্টোরি ও সেটিংস। যাই হোক, ক্রোমিয়ামে ফ্ল্যাশ এবং H.264 ভিডিও সাপোর্ট সম্পৃক্ত না থাকায় পেইড ভার্সন নিতে হবে। তাই আপনি বেছে নিতে পারেন সম্পূর্ণ ক্রোম ব্রাউজার। এটি ইনস্টল করতে চাইলে গুগলের ক্রোম সাইটে ভিজিট করে ডাউনলোডে ক্লিক করুন এবং অফার করা অপশন থেকে সিলেক্ট করুন 32-bit.deb ডেবিয়ান/উবুন্টুর জন্য।
ই-মেইল
উবুন্টুর সাথে এসেছে মজিলা থান্ডারবার্ড। যদি এটি উইন্ডোজে ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে মনে হবে আপনি হোমে আছেন। এটি যেকোনো ওয়েব মেইলে ও আইএসপি ই-মেইল সার্ভিসের সাথে কাজ করবে, যা ব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড পপ (POP) বা IMAP প্রটোকল। যদি আপনি ইন্টিগ্রেটেড ক্যালেন্ডার, যেমন মাইক্রোসফট আউটলুকসহ একটি ক্লায়েন্ট চান, তাহলে সফটওয়্যার সেন্টার ডাউনলোড করতে পারবেন অধিকতর অ্যাডভান্স ইভ্যুলিউশন মেইল ও ক্যালেন্ডার অ্যাপ্লিকেশনসহ।
আউটলুক নিজেই লিনআক্সে রান করে না। যদি আপনি মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সার্ভারে কানেক্ট হতে চান, তাহলে আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারকে ওয়েব মেইল অ্যাক্সেসকে সক্রিয় করতে বলুন।
চ্যাট ও ভিওআইপি
মাইক্রোসফট স্কাইপেকে কিনে নিয়েছে। সুতরাং সবাই আশা করতে পারেন, স্কাইপে শুধু উইন্ডোজে কাজ করবে। উবুন্টু ক্লায়েন্ট যথাযথভাবে কাজ করে ও মূল স্কাইপে ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়।
যদি আপনি অন্যান্য চ্যাট সার্ভিসের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে চান, সে ক্ষেত্রে প্রিইনস্টল করা এম্প্যাথি (Empathy) ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং টুল এ কাজটি যথাযথভাবে করতে পারবে। এটি বিভিন্ন ধরনের সিস্টেমসহ এআইএম, গুগল টক, ফেসবুক সাপোর্ট করে। এটি টাস্কবার আইকনের মাধ্যমে উবুন্টুর সাথে ইন্টিগ্রেটেড থাকে। আপনি একই সাথে বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসে সাইন করতে পারেন ও চ্যাট নোটিফিকেশন সব এক জায়গায় পেতে পারেন।
ক্লাউড স্টোরেজ
ড্রপবক্স উবুন্টুর জন্য অফার করে এক নেটিভ ক্লায়েন্ট, যা আপনি সফটওয়্যার সেন্টার থেকে সরাসরি সেটআপ করতে পারবেন। যদি আপনি মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ (ইতোপূর্বে যা স্কাইড্রাইভ হিসেবে পরিচিত ছিল) ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফ্রি স্টোরেজ মেড ইজি সার্ভিস দেয় এক নেটিভ উবুন্টু ক্লায়েন্ট ও একই সময় হ্যান্ডেল করে স্কাইড্রাইভ। অ্যাপলের আইক্লাউড বক্স গুগল ড্রাইভ ও অন্যান্য সার্ভিস সমর্থিত। উবুন্টু অফার করে এর নিজস্ব উবুন্টু ওয়ান সার্ভিস, উবুন্টুর পাবলিশার ক্যানোনিক্যাল সার্ভিস বর্তমানে নেই।
ভিডিও এডিট
ওপেনশুট হলো একটি ফ্রি নন-লিনিয়ার ভিডিও এডিটর, যা সফটওয়্যার সেন্টারে পাওয়া যায়। এটি উইন্ডোজের বাণিজ্যিক প্যাকেজের মতো তেমন অ্যাডভান্সড নয়। ওপেনশুট অন্য অ্যাপ্লিকেশন থেকে ভিডিও প্রজেক্ট ইম্পোর্ট করতে পারে না। এটি শুধু এর নিজস্ব OSP ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট করে। যদি আরও শক্তিশালী সফটওয়্যার ব্যবহার করতে চান, তাহলে ব্যবহার করতে পারেন ফ্রি ভিডিও এডিটিং টুল লাইটওয়ার্কস। এটি অনেক বেশি অ্যাডভান্সড ভিডিও এডিটর। এর পরিপূর্ণ ফিচার পেতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন লাইসেন্স সফটওয়্যার
ফিডব্যাক : mahmood_sw@yahoo.com