• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > গেমের জগৎ
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৪ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
গেমস
তথ্যসূত্র:
খেলা প্রকল্প
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
গেমের জগৎ
নিড ফর স্পিড : রাইভালস
দুর্গম বনের মধ্যে দিয়ে দুর্বার গতিতে ছুটে চলেছে ঝকঝকে পোরশে, পেছনে পেছনে ভয়ালদর্শন পুলিশের গাড়ি। এই ভয়ঙ্কর সুন্দর কার চেসিং সিনারিও চিন্তা করতে গেলে একটা গেমের কথাই মাথায় আসবে- নিড ফর স্পিড। আর বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় রেসিং গেম সিরিজ নিড ফর স্পিড এবার নিয়ে এসেছে নিড ফর স্পিড : রাইভালস। হঠাৎ করে সার্চলাইট আর প্রচ- বাতাস- সব কিছু ওলটপালট করে হেলিকপ্টার, চেসিং সিনে এসে পড়লেই বুঝা যাবে আসলে গ্রাফিক্স ও সাউন্ড ফিকশন যুগের সাথে সাথে কতখানি এগিয়ে গেছে। এবারের গেমটির ডেভেলপার ঘোস্ট গেমস। এরা হট পারস্যুটের ক্ল্যাসিক চেসার-রেসার ডায়নামিকের সাথে যোগ করেছে মোস্ট ওয়ান্টেডের ফ্রি ওয়ার্ল্ড রোমিং, যা সিরিজের এই গেমটিকে অন্য সবগুলোর চেয়ে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
নিড ফর স্পিড : রাইভালসের কাহিনি শুরু হয় রেডভিউ কাউন্টি থেকে, যেখানে দেখানো হয়েছে এখন পর্যন্ত গেমিং জগতের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় জিওগ্রাফি। স্বপ্ন থেকে বাস্তব- সব কিছুকে মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এই শহর। আছে নিত্যনতুন প্রণোদনা, উন্মাদনা আর রেসিং। নিড ফর স্পিড এবার নিয়ে এসেছে ফটো-রিয়ালিস্টিক গ্রাফিক্স, যা গেমারকে এখন পর্যন্ত বাস্তবের সবচেয়ে কাছের স্বাদ এনে দেবে। দেখা যাবে বাস্তবের কাছাকাছি বৃষ্টি, রোদ, তুষার- যা গেমিংয়ের ওপর বাস্তবের কাছাকাছি প্রভাব ফেলবে। আছে বজ্র, কুয়াশা, চনমনে রাত আর সব ধরনের রেসিং কার। আর ভালো কথা- এবার আইনের কোন পাশে গেমার থাকতে চান, তা গেমার নিজেই ঠিক করে নিতে পারবেন। খেলা যাবে কপ অথবা রেসারের চরিত্রে। আর যেই চরিত্রই থাকুক না কেনো, সবসময়ই চারপাশে থাকবে রাইভালস, যারা প্রতিটি মুহূর্ত উন্মাদনাময় করে নিতে ভুলবে না।
রেডভিউ কাউন্টি আগের সব ম্যাপ থেকে আকারে বিশাল বড়। সুতরাং শুধু ঘুরে কাটালেও মন্দ লাগবে না। রেসিংয়ের মাঝে মাঝে হঠাৎ হারিয়ে যাওয়াটা অবশ্য এর মন্দ দিকের মধ্যে একটি। অ্যাস্টন মারটিন থেকে ফেরারি পর্যন্ত সব ধরনের গাড়ি, সাথে স্ট্রিপস অ্যান্ড মাইন, শকওয়েভ, টার্বো বুস্ট- সব কিছু মিলিয়ে রমরমা অবস্থা একেবারে। রেসিংয়ের সাথে সাথে আনলক হবে নিত্যনতুন আপগ্রেড। আর মাল্টিপ্লেয়ার খেলতে গেলে কপ হয়ে বন্ধুদের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া করতেও আনন্দ কম হবে না। সব মিলিয়ে নিড ফর স্পিড : রাইভালস সিরিজের এক নতুন অধ্যায়কে সম্পূর্ণ করে তোলে রেসার জীবনের দুটি দিককেই প্রত্যক্ষ করার এক অনন্য সুযোগ। সব কিছু মিলিয়ে অনেকের কাছেই প্রথম অনেকখানি খেলে ফেলার পর গেমটিকে অতখানি অপ্রত্যাশিত মনে হবে না। তবুও পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজের নতুন ধারায় জুটি হতে দোষ কী! এছাড়া নিড ফর স্পিড : রাইভালসের মধ্যে এমন কিছু আছে, যা গেমারের মধ্যে এনে দেবে আচমকা অ্যাড্রেনালিন রাশ, চনমনে উত্তেজনা, যা জীবনকে জাগিয়ে তুলবে এক অদ্ভুত দৃঢ়তায়। তাই রেসারদের উচিত আর এক মুহূর্তও দেরি না করে রাইভালসদের জগতে ঢুকে পড়া।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো/এএমডি অ্যাথলন, র‌্যাম : ৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ১ গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ৩০ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস।

রেড অর্কেস্ট্রা ২
রেড অর্কেস্ট্রা ২ রাইজিং স্টর্ম, রেড অর্কেস্ট্রা ২ হিরোস অব স্টালিনগ্রাদের পরপরই আসা থিয়েটার এক্সপানশন। এর টেকটিক্যাল স্কোয়াড বেজড ফার্স্ট পারসন শুটিং, যার জন্য স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেমারেরা সচরাচর বহুদিন অপেক্ষা করে থাকেন একটি মানসম্পন্ন গেম রিলিজের জন্য। এটুকু বলা যায়, পৃথিবীর অন্য যেকোনো স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেমের মতোই বিশাল যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়াও রাইজিং স্টর্মে আছে টানটান উত্তেজনা, অদ্ভুত নাটকীয়তা আর অবশ্যই রক্তক্ষয়, যদিও সত্যিকারের নয়। তবে যাই হোক না কেনো এই সিরিজের অন্যতম এই গেমটি গেমারকে নিয়ে যাবে বাস্তবতার অনেকখানি কাছাকাছি। দুর্দান্ত স্ট্র্যাটেজিক শুটিং গেম আবহের গ্রাফিক্স আর অনেকটাই বাস্তব শব্দকৌশল গেমারকে বাস্তব আর গেমিংয়ের অপূর্ব সমন্বয়কে জীবন্ত করে তুলবে। আছে অটোম্যাটিক, সেমি অটোম্যাটিক সব ধরনের অস্ত্রের জোগান রেড অর্কেস্ট্রাতে। কিন্তু শুধু সেগুলোর আশায় বসে থাকলে হবে না, মৃত্যুর জন্য একটা গুলিই যথেষ্ট।
রেড অর্কেস্ট্রা ২ রাইজিং স্টর্ম পুরোটাই এমন এক প্রণোদনা, যেখানে গেমার প্রতিমুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রকে, যুদ্ধকে অনুভব করবে নিজের প্রতিটি রক্তকণিকায়। সামনে থেকে ছুটে আসা গুলিকে মনে হবে যেনো নিজের কানের পাশ দিয়েই শিষ কেটে গেল। এখন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, রাইজিং স্টর্ম খেলতে সবচেয়ে বেশি যা প্রয়োজন, তা হচ্ছে ধৈর্য। অপেক্ষা করতে হবে প্রতিটি সতর্ক মুহূর্তের মাঝে প্রতিটি অসতর্কতার। সুযোগ বুঝে আঘাত হানতে হবে সবচেয়ে কঠিন রক্ষাব্যূহের সবচেয়ে দুর্গম কিন্তু মোলায়েম জায়গায়। স্টালিনগ্রাদের পর জাপানিজ আর আমেরিকানদের দ্রুত উত্তরণের পর দুই পরাশক্তির মনস্তত্ত্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে রাইজিং স্টর্ম। অপ্রত্যাশিত না হলেও আচমকা অনেক কিছুর সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে গেমারকে। আর সেখানেই জীবনের উদ্যম।
যারা এই সিরিজের একেবারেই নতুন গেমার, তাদের শুরুর দিকে একটু ঝামেলা হতে পারে গেমিং কন্ট্রোল নিয়ে। কারণ মাউস হুইল আর স্পেসবার দিয়ে গেমের অনেকখানি চালাতে হবে। আর যদি পুরনো গেমার হয়ে থাকেন, তাহলে নিঃসন্দেহে পুরোপুরি বাস্তব মডেলের অস্ত্র ও আর্সেনাল আপনাকে করবে মন্ত্রমুগ্ধ। সুতরাং অভিজ্ঞ ও অনভিজ্ঞ সব গেমারেরই উচিত হবে লড়াই শুরু করা।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍

আল্টিমেট অ্যালায়েন্স ২
সব ভয়ঙ্কর ভিলেন যখন একসাথে হয়ে পৃথিবীর অস্তিতব নিয়ে ডাঙ্গুলি খেলা শুরু করে, তখন ব্যাপারটা তেমন সুখকর দেখায় না। পৃথিবীকে তাদের ভয়ঙ্কর সব পরিকল্পনা থেকে বাঁচাতে গেমারকে কয়েকজনের ছোট একটি দল নিয়ে সুপার ভিলেনদের সেসব দলের সাথে লড়তে হবে। নস্যাৎ করতে হবে তাদের জটিল সব পরিকল্পনা। সবচেয়ে আনন্দের বিষয়, এই রিমিক্সের যুগে মারভেল হিরোস কমিকপ্রেমী এবং গেমারদের জন্য এনেছে একেবারে অরিজিনাল কমিক স্টোরি লাইন, যা কমিকপ্রেমীদের গেমিং এক্সপেরিয়েন্স আর গেমারদের কমিক এক্সপেরিয়েন্সকে আরও আনন্দপূর্ণ করে তুলবে। গেমটি অসম্ভব সুন্দর একটি পস্নট উপহার দেবে গেমারকে, যা তার পছন্দের হিরোর সাথে নিয়ে যাবে মারভেল কমিক জগতের অপূর্ব সব মিথলজির মধ্য দিয়ে, যেগুলোর প্রতিটির আছে ভিন্ন ভিন্ন রং, ধরন আর বৈচিত্র্য। আর মারভেল সবচেয়ে তারুণ্য-প্রণোদিত কাহিনী, যা নিঃসন্দেহেই মারভেলের বাকি গেমগুলোর স্টোরিলাইনকে ছাড়িয়ে গেছে। মুন ড্রাগন থেকে শুরু করে টনি স্টার্ক পর্যন্ত যাকে দরকার তাকেই পাওয়া যাবে মারভেল হিরোসে।
প্রথম হিরো অবশ্যই ফ্রি। ক্যাপ্টেন আমেরিকা, আয়রনম্যান, স্পাইডারম্যান আর উলভারিনের যেকোনো একজনকে নিয়ে গেমারকে তার যাত্রা শুরু করতে হবে। এদের প্রত্যেকেরই বাকি সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা আর ভিন্নতর স্কিল সেট আর ফাইটিং টেকনিক আছে, যেগুলোর স্বকীয়তা গেমারকে মুগ্ধ করবে। হক আই একজন দূরবর্তী রেঞ্জের যোদ্ধা আর অদ্ভুত জাদুশক্তি আর উইচক্রাফটের যোদ্ধা স্কারলেট উইচ। আর বিভিন্ন যুদ্ধে জমা করতে থাকা পয়েন্ট পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন আপগ্রেড কিনতে। সম্পূর্ণ নতুন পাওয়ার কিনতে বা নতুন হিরো আনলক করতেও পয়েন্টগুলো ব্যবহার করা যাবে। আর সবচেয়ে দুর্দান্ত ব্যাপার, হিরোদের পাওয়ার বার পুরোপুরি রিচার্জ হতে বেশ অল্পই সময় লাগে। তাই গেমারদের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ পাওয়ার গেমিং নিয়ে মোটেও চিন্তা করতে হবে না। আর খুব দ্রুতই একটি থেকে আরেকটি মুভে ট্রান্সফার করা যায়, তাই মারভেলের অন্য গেমগুলোর চেয়ে ইন্টারচেঞ্জেবল অ্যাবিলিটি মারভেল হিরোসে আরও সহজ আর উপভোগ্য ভঙ্গিতে ব্যবহার করা যাবে। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, প্রতিমুহূর্তে গেমারকে অসংখ্য ছোট ভিলেন এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গদের সাথে যুদ্ধ করে এগুতে হবে। তাই গেমটি নিয়ে বসলে পানির পিপাসা না পেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তবে একটা জিনিস আগে থেকেই বলে নেয়া ভালো, ভিলেনদের পেছনে ছোটার এই কাহিনিটা বেশ লম্বা। তাই অনেকক্ষণ ধরে দুষ্টদের নিধন করতে ধৈর্য ভেঙেও যেতে পারে। তবে এর জন্যও আছে সমাধান, আছে অসাধারণ মাল্টিপ্লেয়ার গেমিংয়ের ব্যবস্থা। দূরদূরান্তের বন্ধু, নিত্যনতুন স্ট্র্যাটেজি আর কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গেম নিয়ে বসে পড়ুন এখনই আর যদি একটু অর্থ খরচ করতে ইচ্ছে থাকে, তাহলে সহজেই পেতে পারেন মারভেলের দুর্দান্ত সব প্রিমিয়াম কমিক স্টাফ, যা আপনার কালেকশনকে করবে আরও সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ।
গেম রিকোয়ারমেন্ট
উইন্ডোজ : এক্সপি/ভিসতা/৭, সিপিইউ : কোর টু ডুয়ো/এএমডি অ্যাথলন, র‌্যাম : ২ গিগাবাইট উইন্ডোজ এক্সপি/৪ গিগাবাইট উইন্ডোজ ভিসতা/৭, ভিডিও কার্ড : ১ গিগাবাইট, হার্ডডিস্ক : ৫ গিগাবাইট, সাউন্ড কার্ড, কীবোর্ড ও মাউস।

ফিডব্যাক : alyousufhridoy@yahoo.com


পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৪ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস