• ভাষা:
  • English
  • বাংলা
হোম > হাইটেক পার্কের বাস্তবায়ন কবে হবে?
লেখক পরিচিতি
লেখকের নাম: কজ
মোট লেখা:১০৪১
লেখা সম্পর্কিত
পাবলিশ:
২০১৫ - জুলাই
তথ্যসূত্র:
কমপিউটার জগৎ
লেখার ধরণ:
মতামত
তথ্যসূত্র:
পাঠের মতামত
ভাষা:
বাংলা
স্বত্ত্ব:
কমপিউটার জগৎ
হাইটেক পার্কের বাস্তবায়ন কবে হবে?
হাইটেক পার্কের বাস্তবায়ন কবে হবে?
আমরা জানি, নববইয়ের দশকে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও নীতি-নির্ধারকদের প্রায় সবার মনে কমপিউটার-ভীতি ছিল। এ সময় এরা মনে করতেন এ দেশে কমপিউটারের ব্যাপক বিস্তার ঘটলে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাবে। অবশ্য সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে ’৯৬ সালে নির্বাচনের পর সরকারের পট-পরিবর্তনের পর থেকে যখন সরকার দেশের আইসিটির অবস্থা উন্নয়নে কিছু যুগান্তকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর ফলে দেশের জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনমানসিকতারও পরিবর্তন হয়েছে যথেষ্ট।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে এক প্রযুক্তিবান্ধব সরকার হিসেবে খ্যাত। এ সরকার তার বিভিন্ন শাসনামলে আইসিটিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-- স্বাক্ষর রেখেছে, যা ইতোপূর্বে কখনই হতে দেখা যায়নি। এ সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহল যথার্থ উপলদ্ধি করে, আইসিটিই হতে পারে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের চাবিকাঠি। তাই এ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ইন্টারনেটের অনুমোদন দেয়। কমপিউটার ও এ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। মোবাইল ফোনের একচেটিয়া মনোপলি ব্যবসায় ভেঙে দেয়। দেশে প্রতিবছর দশ হাজার প্রোগ্রামার তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে, যদিও তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের জন্য অধিগ্রহণ করে জমির সব ঝামেলা দূর করা হয়। তখন সবাই আশা করেছিল খুব শিগগিরই দেশের হাইটেক পার্ক চালু হবে। তাছাড়া এ সময় দেশে আইসিটি বিষয়ে পড়াশোনা করার হার দিন দিন বাড়তে থাকে, যা এক ইতিবাচক দিক। কেননা, আইসিটি অঙ্গনের এরাই হবেন আগামী দিনে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। এ সরকারের আমলেই ঘোষিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়- লক্ষ্য স্থির করা হয় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার। দেশের আইসিটির অবস্থা উন্নয়নে বর্তমান সরকার এসব উন্নয়নমূলক কর্মকা--র জন্য প্রযুক্তিবান্ধব সরকার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। অবশ্য এ সরকারের কিছু কিছু কর্মকা- ব্যাপকভাবে সমালোচিত। আইসিটিপ্রেমীদের কাছে সরকারের সমালোচিত কর্মকা-গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো দীর্ঘদিনেও কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক বাস্তবায়ন না হওয়া।
ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছি বিশ্বের বিখ্যাত সপ্তম আশ্চর্যের একটি হলো আগ্রার তাজমহল, যা সে সময় তৈরি করতে ২২ বছর লেখেছিল। অথচ এই আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক তৈরি করতে আমাদের বোধহয় তার চেয়েও বেশি সময় লাগবে। এ কথাটি আমি এ কারণেই বলছি, আমরা গত ১৫ বছর ধরে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের শীর্ষস্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় শুনে আসছি কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক তৈরির কথা। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের শীর্ষস্থানীয় কর্তা-ব্যক্তিরা হাইটেক পার্ক তৈরির কথা এমনভাবে বলে থাকেন, যা শুনে মনে হয় কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক তৈরি করার কাজ সম্পন্ন হয়ে বুঝি তার অপারেশন শুরু করে দিয়েছে। অবশ্য এ ধরনের বক্তব্যের বাস্তবভিত্তিক কোনো সংবাদ আমরা পত্র-পত্রিকায় আজ পর্যন্ত দেখতে পাইনি, যেমনটি সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের শীর্ষস্থানীয় কর্তা-ব্যক্তিরা বলে থাকেন। বরং হাইটেক পার্ক নিয়ে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সংবাদ আমরা প্রায় সময় পত্র-পত্রিকায় দেখে আসছি, যা অনাকাঙিক্ষত এবং আমাদের সবার কাছে অপ্রত্যাশিত।
আমরা কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নিয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণী মহলের শীর্ষস্থানীয় কর্তা-ব্যক্তিদের কথামালার ফুলঝুরি আর শুনতে চাই না। আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক সঠিকভাবে বাস্তবায়ন।
নাজিম উদ্দিন
কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

ডিজিটাল প্রতারণা প্রতিরোধে সরকারের সহযোগিতা চাই
আমি কমপিউটার জগৎ-এর একজন নিয়মিত পাঠক। আমি মূলত কমপিউটার জগৎ পত্রিকার সুবাদেই দেশ-বিদেশের আইসিটির হালনাগাদ সংবাদ জানতে পারি। বর্তমানে সারাবিশ্বে আইসিটি নিয়ে চলছে দারুণ প্রাণচাঞ্চল্য ও উন্মাদনা। এ উন্মাদনায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে আরেক নতুন উন্মাদনা, যা ই-কমার্স নামে পরিচিতি লাভ করেছে। মূলত ইন্টারনেটকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠছে এই নতুন ব্যবসায় ধারা। এ নতুন ব্যবসায় ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করলেও আমাদের দেশে তেমনভাবে এখনও বিস্তার লাভ করেনি এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায়।
সম্প্রতি বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট যেমন বিক্রয় ডটকম, এখানেই ডটকম, ওএলএক্স ইত্যাদি বেশ ভালোভাবেই আস্থা ও সুনামের সাথে ব্যবসায় করে আসছে। এ ধরনের আরও কিছু ই-কমার্স সাইট তাদের ক্লায়েন্টদের আস্থা অর্জন করতেও সক্ষম হয়। মজার ব্যাপার- ক্রমবর্ধমান হারে ই-কমার্স সাইটের ব্যবসায় কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি বেশ কিছু প্রতারক চক্র প্রতিষ্ঠিত এই ই-কমার্স সাইটের নাম ব্যবহার করে কিংবা নতুন কোনো ওয়েবসাইট ডেভেলপ করে নীরবে প্রতারণা করে আসছে। এসব প্রতারক চক্রের কারণে সদ্য বিকাশমান ই-কমার্স ব্যবসায় আস্থার সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে। এসব প্রতারক চক্রকে এখনই যদি প্রতিরোধ করা না যায়, তাহলে ই-কমার্স সাইটগুলো শুধু যে সঙ্কটেই পড়বে তা নয়, বরং মান-সম্মানের ভয়ে নিজেদের ব্যবসায় গুটিয়েও ফেলতে হতে পারে।
সুতরাং ই-কমার্স সাইটের নাম ভাঙ্গিয়ে যাতে কেউ প্রতারণা করতে না পারে, সেজন্য সদ্য গড়ে ওঠা ই-কমার্স সাইটগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সব সদস্যের ভূমিকা থাকা দরকার। ই-কমার্স সাইটগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবসহ ই-কমার্স ব্যবসায় জড়িত অন্যান্য সদস্য সম্মিলিতভাবে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালাবে, যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়। যেসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়, সেগুলোকে চিহ্নিত করে বন্ধ করার পাশাপাশি প্রতারক চক্রের হোতাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে। এর অন্যথা হলে সদ্য বিকাশমান এই ই-কমার্স ব্যবসায় মুখ থুবড়ে পড়বে।
পরিশেষে কমপিউটার জগৎ পরিবারকে ধন্যবাদ, মে ২০১৫ সংখ্যায় ‘ডিজিটাল প্রতারণা : বাঁচতে হলে জানতে হবে’ শীর্ষক এক সময়োপযোগী লেখা প্রকাশের জন্য। এ ধরনের ডিজিটাল প্রতারণা প্রতিরোধে ই-কমার্স সাইটগুলোর পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ অপরিহার্য। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া ই-কমার্সভিত্তিক প্রতারণা দমন করা কোনোভাবেই ই-ক্যাব নামের সদ্য গড়ে ওঠা এক সংগঠনের পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং সব ধরনের ডিজিটাল প্রতারণা দমনে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
পরিশেষে ধন্যবাদ জানাই সরকারকে ই-কমার্স সাইটের বিকাশের লক্ষে্য আরোপিত কর প্রত্যাহার করায়।
তাহমিনা
শাহজাহানপুর, ঢাকা

পত্রিকায় লেখাটির পাতাগুলো
লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
লেখাটির সহায়ক ভিডিও
২০১৫ - জুলাই সংখ্যার হাইলাইটস
চলতি সংখ্যার হাইলাইটস